উর্ধ্বমুখি, চোখা
ধারালো পেন্সিলের মতো
প্রাচীন-প্রসিদ্ধমাথাটা
ঘোলা-কালিবর্ণ মেঘের মধ্যে ডুবিয়ে
কী লেখে অই গীর্জা?
অকাল-অন্ধকারের চাপে :
মাথায় তখনও পাওয়া যাবে
ছিন্ন কিছু মুকুল- জীর্ণ কিছু পাতা
আর দু’একটি কীট, কীটের ঝরা-পাখা ;
প্রজাপতি এসে বসতে চেয়েছিল আমার মাথায়,
ওদের কথাই ভাবতে ভাবতে আমি ফিরছিলাম
নিসর্গ থেকে- নগরীর দিকে-
- উৎক্ষেপণযোগ্য মনে হলো!
ঈশ্বর আসবেন না। কাঠের দরজা ঢেলে বেরিয়ে আসবে
তোমার প্রভুরা অথবা
মানুষকেই দাঁড়াতে হবে দরজায়। ভেতরে ঢুকলে
ওরা জেদ্জা করতে বলবে, মানে নত হও।
আর নত হওয়া মানে, কার কাছে?
আমাদের নিজস্ব পোশাক আর চিহ্ন
পরিয়ে দেবে : মোল্ল্লা-পুরোহিত আর পাদ্রীগণ।
মানুষতো জন্মেছে চির-চিহ্নবিহীন পোশাক নিয়ে।
আমরা যারা যাই না মন্দিরে, মসজিদে-গীর্জায়,
তাদের পোশাকটা কী হবে? ব্যক্তিগত
উপাসনালয় তো সবারই থাকে। এই আমার
ত্বকটাই ধরা যাক, পোশাক আর চিহ্ন ; একটু ভেতরে,
রক্তের ঠিক গূঢ়তার মধ্যে, আর একটু গভীরে, আমি ;
মানে প্রত্যেকটি আমি। তারও মধ্যে আরও অনন- আমি ...
আমাকে আর পরমা ছাড়া : কী নাম দিয়ে দেবে তোমরা প্রভুরা?
আমার এই একাকী নিসর্গ ভ্রমণ আর
তোমাদের যুগ যুগ দাঁড়িয়ে থাকা : হে গীর্জা,
এখনো যথেষ্ঠ নয়?
০৪.০৫.০০৫
মন্তব্য
স্বাগতম, শাহীন হাসান।
হাঁটুপানির জলদস্যু
মানুষতো জন্মেছে চির-চিহ্নবিহীন পোশাক নিয়ে।
খুব ভাল লাগল আপনার রচনা।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ভালো লাগলো।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
মৃত ঈশ্বর কি জানেন,বেলা কতো হলো?
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অসাধারণ
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
মন্তেব্যর জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ
ভালো থাকেবন সবাই ..
....................................
বনের বেঞ্চিতে ওম শান্তি!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
নতুন মন্তব্য করুন