চাল-ডাল, সাদা কাফন বা চু এর দিখ্যা ভর্তি খক মাথায় বয়ে বয়ে দকমান্দা পড়া বিভিন্ন বয়সী নারীরা চলেছেন বন-বাইদ পেরিয়ে। মাঝে মাঝে পুরুষদের কাঁধে চ্যাদোলা পোষমানানো বন্যশুকর। বিভিন্ন বয়সী বাচ্চা-কাচ্চার দল একেকটা লেজ তৈরি করে এগিয়ে চলছে পিছু পিছু। আর কাঁধে আঁচলে বাঁধা পুটুলির চোখদুটো হেলেপড়া সূর্যের আলোয় বিষ্মিত চাহনিতে। খক বওয়া নারীর মনে আজ চলছে গ্রাপা-প্রিয়জনকে অচেনা পথের পথ বাৎলে দেওয়ার গ্রাপা। বন-বাদারের চারিদিক থেকে এই যাত্রার স্রোত মিলছে একই গন্তব্যে। গন্তব্যে আয়োজনের ছড়াছড়ি। বেদনার্ত মুখ, স্বজনদের আহাজারি, কফিন, মাংফং...প্রভু যিশুর বাণী, মাটি চাপা...১৭/১৮টা ওয়াক বলি, গোটা বিশেক চু এর দিখ্যা, শ্রাদ্ধের ভোজ...আরও কত কি! ঘাটতি যেন নেই কোন কিছুর। তারপরেও মিলল না কেবল একটা জিনিসই; ঐ লাশের শেষ পাওনাটুকু। কেননা বছর দেড়েক আগে থানারবাইদ হাসপাতালে তিনদিন যখন অজ্ঞান, নিজের অজান্তে ঐ অবস্থায়ই তাঁর বিশ্বাসকে লুট করা হয়েছিল প্রভু যিশুর নামে! আর তাই চিতাহীন সমাধিতে লুণ্ঠন স্মারক- পবিত্র ক্রশ!
মন্তব্য
গতরাতে পোস্ট করার সময় অসাবধনতাবশত লেখক হিসেবে নিজের নাম খানা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলাম। অতিথি লেখকদের লেখা এডিট করার সামর্থ্য না থাকায় মন্তব্যের ঘরেই জানিয়ে দিলাম-লেখাটি আমারই ।
লেখাটা পড়েছিলাম পোষ্ট হবার সাথে সাথেই ।
নাম ছিলোনা । কিন্তু লেখার ধরনে আপনারই মনে হচ্ছিলো ।
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হুম!
জুয়েল বিন জহির
নতুন মন্তব্য করুন