তিনদিক পাহাড়ঘেরা আমার একটি সুন্দর ফলফলান্তির বন ছিল।
তিনদিক বনঘেরা চোখের জলের স্বাদের মতো পানিপূর্ণ হৃদটি ছিলো আমারই।
হৃদের এক কোণে তিনদিক পানিঘেরা আমার ছোট ঘরটি ছিল ঠায় দাঁড়িয়ে,
পুতুল পুতুল বারান্দাগুলো দখল করে ছিলো আমার ঘরের তিনটি মূল্যবান দিক...
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমার পাহাড়গুলো আড়মোড়ভাঙ্গা একটি বাতাস পাঠিয়ে দিতো-
ফলফলান্তির পাশে থাকা বাঁশপাতার জমানো পানি ছুঁয়ে সেই বাতাস এসে রাগিয়ে দিতো হৃদের অশ্রুকণাকে-
রেগে গেলে অশ্রুকণা তখুনি চাইতো ধাক্কা দিয়ে দিয়ে রাগের কথাগুলো ঘরটিকে জানাতে,
ফলে নিষিদ্ধগোপনতীব্রতম আনন্দে একটু কি কেঁপে উঠতো আমার ঘরটি?
বারান্দাগুলো কি সেই কারণেই দুলতে দুলতে ঘরের ছিদ্র দিয়ে রোদঝলমল কয়েকটি সোনালী টিপ দোলাতো আমার নিরাভরণ শরীরে?
সারারাত সঙ্গমরত শরীরে সকালবেলায় সঙ্গমের আমন্ত্রণ জানাতো সেই সোনালী সোনা রোদ।
যদিও তিনটি দিক ঘেরা ছিলো ওদের দ্বারা; একটি দিকে ছিলাম শুধু আমি - মানুষ।
সে আরো কয়েকশ বছর আগের কথা বলেছি আমি।
এখন তারা নেই-আমি আছি; এখন আমার-
তিনদিক দেয়ালঘেরা আমার একটি ইটপাথরের হাউজিং সোসাইটি আছে।
হাউজিং সোসাইটির মাঝে অ্যাকুরিয়ামের মতো মনুষ্যস্পর্শহীন লেকটির কথা কি আগে বলেছি?
নিজেকে ব্যতিক্রম করে সাজতে একটি রেস্টুরেন্ট নিজেকে বসিয়েছে এমন এক জায়গায় যার তিনদিকে ওই লেকের পানি;
যদিও রেস্টুরেন্টের বারান্দা আছে, ভূমিসংস্কার উপেক্ষা করে সেখানকার তিনভাগ জায়গা দখল করে আছে খাবার চেয়ারগুলো...
এখন আমি সকালে ঘুম থেকে উঠি, কিন্তু সোসাইটির ভবন এবং তাদের দূরকথার টাওয়ারগুলো সুর্যকে ঠেকিয়ে রাখে অনেকক্ষণ।
ফিল্টার করা সূর্যের আলোকে পড়তেই দেয় না লেকের ওপরের ছাদ- পানি যদি বেশি গরম হয়ে যায়!
লেকটি জানে না তার কোনো এক পূর্বপুরুষের কী এক অপরিসীম গতি ছিলো একদা!
ফলে রেস্টুরেন্টের মধ্যে নেই কোনো আনন্দোল্লাস...
বারান্দা অবশ্য আগের মতোই দোলে, কৃত্রিম ওয়েভে কাস্টমারদের খাবার এনজয় করতে
শারীরিক সঙ্গম না করলেও মৌখিক ও মুঠোফোনসঙ্গম চালাতে ঝানু হতে থাকে আজকের ‘জেনারেশননেক্সট’...
এখনো সবকিছুই তিনদিকে ঘেরা; একদিকে আছি আমি - মানুষ।
এই কথাগুলো এই সময়ের; পরিবর্তনের কথা বলছো তুমি?
আমি মানুষ, আমি বিশ্বাস করাই পরিবর্তনেই গতি।
ধ্বংসপরিবর্তন কি আমার মজ্জাগত নয়?
গৌতম
মন্তব্য
আমি মানুষ, আমি বিশ্বাস করাই পরিবর্তনেই গতি।
ধ্বংসপরিবর্তন কি আমার মজ্জাগত নয়?
....হ্যাঁ, বিশ্বাস করে যেতে হয়। তবুও হারানো অতীত তো নাড়া দেবেই!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আপনার মন্তব্যটি আমি আগে দেখি নি। ধন্যবাদ জলিল ভাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বাহঃ এত চমৎকার কবিতাটি এতদিন চোখে পড়েনি কেন?
কেনু কেনু কেনু? এই কারুনে আপুনাকে জুরিমানা করা হলু।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন