থাইল্যান্ডের নির্বাচনের ফলাফলঃ কি বোঝা গেল?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/১২/২০০৭ - ১:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

থাইল্যান্ডের নির্বাচনের ফলাফল বের হয়েছে, দুর্নীতিবাজ থাকসিনের দলকে জনগন পার্লামেন্টের প্রায় অর্ধেক আসনে বিজয়ী করেছে । থাই রাজধানীকেন্দ্রিক সুশীল সমাজ ও সেনাবাহিনী - যারা থাকসিনের অস্তিত্বকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন, তারা সেই গ্রামীন জনগোস্ঠীর কাছে হার মানলেন যারা গত ১৪ মাস অন্তর্বতী সরকারের দুর্বল পরিচালনা ও অর্থনৈতিক ক্রমাবনতির স্বীকার ।

নির্বাচনের এই ফলাফল হয়তো আরো কিছুদিন থাইল্যান্ডকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখবে, কিন্তু এটা একি সাথে যেকোন সরকারের কাছে সাধারন জনগনের আসল চাহিদাটা আরেকবার পরিস্কারভাবে বুঝিয়ে দেয় ।

~


মন্তব্য

সৌরভ এর ছবি

আরেকটু বিশ্লেষণ করে লিখলে ভালো হতো বোধহয়।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পত্র-পত্রিকার বিশ্লেষণ পড়ে আমার ধারণা - গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মতামতই নির্বাচনে প্রতিফলিত হয়েছে। তবে এ কথা মনে করা বোধ হয় ঠিক হবে না যে - এ নির্বাচনের ফলাফল থাকসিনকে সমর্থন দেয় কিংবা তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগগুলোকে দূর্বল করে।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বরের ক্যূয়ের পরে থাকসিনের নির্বাসন, তার থাই রাক থাই পার্টির বিলুপ্তি বা এরকম কোনো কিছুর বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত কিংবা জনস্রোত দেখা যায়নি। বরং সোন্থির ক্ষমতা গ্রহণকে যথেষ্ঠ স্বাগত: জানানো হয়েছে। সে সময়কার কার্ফ্যুর মাঝে ব্যাংককে যেসব এন্টি-আর্মী সভা হয়েছে সেখানেও শ'খানেকের বেশী জমায়েত হয়নি। থাকসিনের এমপি মন্ত্রীরা দেউলিয়া না হয়ে নিজ নিজ এলাকার জনসংশ্লিষ্ট থাকার চেষ্টা করেছে। তাই বিলুপ্ত থাই রাক থাই পার্টির লোকজন নিয়ে গঠিত পিপল পাওয়ার পার্টি নতুন বোতলে পুরনো মদ হলেও ভোটের ফলাফলে মুখে হাসি ফুটেছে।

অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট দলের প্রধান সুদর্শন-সুশিক্ষিত অভিসিত ভেজ্যাজিভার আবেদন 'নাগরিক-সুশীল' সমাজের বাইরের জগতে যেতে পারেনি। জনসমর্থন আদায়ের কৌশলে তার দল তাই পিঁছিয়ে গেছে অনেক। যদিও ভোটের আগে শোনা গেছে - আর্মী ব্যাকড সোন্থি সরকার পরোক্ষভাবে ডেমোক্র্যাটদেরই সাপোর্ট করছে, ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তারা কোনো প্রভাব ফেলেনি।

নতুন সরকার গঠিত হবে আগামী এক মাসের মধ্যে। ডেমোক্র্যাট দল বলছে তারা অপোজিশন গঠন করবে। ছোটোখাটো কিছু দল কোয়ালিশন সরকারে যোগ দিবে। তবে এর মাঝে থাকসিনের ফেরত সম্ভবনার বিপরীতে আরেকটি মিলিটারী ক্যূয়ের আশংকাও উড়িয়ে দিচ্ছে না বিশ্লেষকরা। আগামী দিনগুলোয় যা-ই হোক না কেনো, ভোটের ফলাফলে আপাতত: এটা বোঝা গেছে - রাজনীতি অভিজ্ঞ নেতা কর্মীরাই করবে। মিলিটারী পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার কিংবা শাসন জনসমর্থিত হয় না।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।