প্রশ্নদুটো তাৎক্ষণিক কোনো আবেগের ফলে সৃষ্টি নয়। যুদ্ধ এবং এরিক মারিয়া রেমার্কের সাহিত্য এতো অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে যে, তার লেখা উপন্যাসগুলো পড়ার পর এই প্রশ্নগুলো মনের মধ্যে উঠে আসতে পারে। যুদ্ধ নিয়ে তিনি বেশ লিখেছেন। লিখেছেন অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টের মতো বিখ্যাত উপন্যাস। লিখেছেন অ্যা টাইম অব লাভ অ্যান্ড অ্যা টাইম অব ডাই-য়ের মতো অতলস্পশী যুদ্ধ-সামাজিক কাহিনী।
দুটো উপন্যাসেই কিন্তু রেমার্ক সত্যিকার অর্থে যুদ্ধের বিরোধিতা করেন নি। তিনি সেখানে বিভিন্ন উদাহরণ, উপমা এবং রূপকল্পের মধ্যে যুদ্ধের আগ্রাসী বিস্তার, ভয়াবহ মনোবৈকল্য এবং পারিপার্শ্বিক প্রতিক্রিয়াগুলো তুলে এনেছেন। পাশাপাশি তিনি যে কঠিন সত্যটি উচ্চারণ করেছেন সেটি হচ্ছে- যুদ্ধ আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নিয়তির মতো। প্রতিটি মানুষকে যুদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
কিন্তু কী সেই যুদ্ধ? সেই যুদ্ধ হচ্ছে যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। প্রচলিত গোলাবারুদ, ক্ষমতাদখল, আগ্রাসন, অস্ত্রব্যবসা থেকে শুরু করে এ ধরনের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধের একজন অগ্রচিন্তাবিদ তিনি। ফলে অ্যা টাইম অব লাভ অ্যান্ড অ্যা টাইম অব ডাইয়ের আর্নস্ট গ্রেবারের মুখ দিয়ে তিনি বলাতে চেয়েছেন সেই কঠিন প্রশ্নগুলো যার উত্তর জানা নেই তার শিক্ষক পোলম্যানেরও।
সত্যিই তো, রাষ্ট্রনায়ক যুদ্ধ করতে চাইলে প্রজানায়কদের তো যুদ্ধবিরোধী হতেই হবে।
গৌতম
মন্তব্য
anti-war approach e amar oboshsho The Road Back ebong Three Comrades ke onek beshi powerful mone hoi...
দ্য রোড ব্যাক আমি পড়িনি, তবে থ্রি কমরেডস-এর ব্যাপারে একমত।
এরিক মারিয়া রেমার্কের বেশ কয়েকটি লেখা পড়েছি। বিশেষ প্রয়োজনে গোটা দুয়েক পড়তে হয়েছে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। "আমি যুদ্ধবিরোধী" বলে ঘোষণা তিনি লেখাগুলোর কোথাও দেননি বটে, কিন্তু এ নিয়ে আমার কখনওই সংশয় জাগেনি। জীবনযুদ্ধের অপরিহার্যতা তো সকলেরই জানা। আর রেমার্ক তাঁর লেখাগুলোয় প্রচার করে গেছেন যুদ্ধবিরোধী (যে যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থাকে সামরিক শক্তি)চেতনা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
যুদ্ধবিরোধী ঘোষণা তিনি সরাসরি দেননি বটে, তবে তাঁর উপন্যাসগুলোতে তিনি প্রধান চরিত্রগুলোর মুখ দিয়ে বলিয়েছেন বেশ কিছু যুদ্ধবিরোধী কথা।
আপনি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে যে বইগুলো পড়েছেন, সেগুলো থেকে কী পেয়েছেন, তা শেয়ার করলে খুশি হতাম।
নতুন মন্তব্য করুন