আমাদের বাড়ীর সামনে একটি বিশাল গাছ ছিল। আমরা জানতাম যে এটি স্থলপদ্ম গাছ। মনে নেই ঠিক কোন সময় ফুল আসতো গাছটিতে, তবে এটুকু মনে আছে যে যখোন সেই সময়টি আসতো, তখন বিশাল বড় ফুলে ফুলে গাছটিতে নামতো সৌন্দর্য্যের সম্ভার। আশ্চর্য্যের ব্যপার হোল যে সকালের দিকে ফুলগুলোর রং থাকতো সাদা, কিন্তু আস্তে আস্তে যত বেলা বাড়তো, ফুলগুলোর রং ততই গাঢ় হোত। বিকেল বেলার দিকে রংটা একদম গোলাপী হয়ে যেত। পরদিন ভোরে সাদা ফুলে আবার গাছটি ভরে যেত। আবার চলতো সেই রং বদলের খেলা
আমার মাতামহ ছিলেন রহস্যময় এক মানুষ। অনেকের ধারণা ছিল যে বেশী পড়াশুনা করে তাঁর মাথা এলোমেলো হয়ে গেছে। শীর্ষেন্দুর ভাষায় বলতে হয়, "তার মাথায় গোটা আকাশটিই যেন ঢুকে পড়েছে।" একদিন আমাদের বাসায় বেড়াতে এসে তার গাছটিকে চোখে পড়লো। অনেক সময় ধরে ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে রইলেন তিনি। তারপর বললেন, "দাদু, যদি পারো, তবে এই গাছটির মতো হয়ো। যত দিন যাবে, তত বেশী মানুষকে আনন্দ দেবে, ছড়িয়ে দেবে রংয়ের বন্যা।"
তিনি আজ নেই। গাছটিকেও কেটে ফেলা হয়েছে। প্রকৃতির সুন্দর জিনিসগুলো নেই, সুন্দর জিনিসগুলো দেখাবার লোকেরাও নেই। কে জানে হয়তো বা আমাদের সুন্দর জিনিসগুলো দেখবার মতো দৃষ্টিও আর নেই।
মন্তব্য
লেখার নীচে পরিচয় উল্লেখ করিলে বাধিত হইতাম।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
নামটা যতদূর মনে পড়ে দিয়েছিলাম, কিভাবে যেন সেটা উধাও হয়েছে।
-নির্বাসিত
শুক্রিয়া.......
লেখাটা ভাল্লাগছে..
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
ভালো লাগলো এই লেখাটাও। তবে কে জানে হয়তো বা আমাদের সুন্দর জিনিসগুলো দেখবার মতো দৃষ্টিও আর নেই। - এই অংশটার সঙ্গে একমত হতে পারি না। আছে, এখনো আছে। নাহলে পৃথিবী বাসযোগ্য থাকে না!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আপনার আগের লিখাটিও পড়েছি...
অত্যন্ত শক্তিশালী হাত আপনার।
আপনার গদ্য বেশ কাব্যময়... কবিতা যদি থেকে থাকে, পড়তে দিন, আরো একটু মুগ্ধ হই...
কি এক অজানা কারণে আমার স্কুলের বিশাল (তখন মনে হত)বাগানের পূর্বপাশের সেই স্থলপদ্মটার কথা প্রায়ই মনে পড়ে । কি যে ভাল লাগত ঐ গোলাপী রংয়ের ফুলগুলো...
লেখাটা ভাল্লাগছে। শুক্রিয়া।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
মনে দাগ ফেলে এই লেখাটা
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
থ্যাংক ইউ!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
লেখা ভালো লাগল। ফুলের রঙ পরিবর্তনের একটা সম্ভাব্য বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থাকার কথা, আমি ঠিকভাবে বুঝিয়ে বলতে পারতেছি না, অন্যকেউ নিশ্চয় পারবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন