একটু খানি ফিজিক্স: ডার্ক মেটার-১!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১২/০১/২০০৮ - ৯:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার নাম: রনি রক

মহাবিশ্বে ডার্ক ম্যাটারের অবস্হান নিয়ে গবেষনা ১৯৩০ সালের কিছু আগে পরে। তখন থেকেই ধরনা করা হয় মহাকাশে যতটা না বস্তু দৃশ্যমান তার চেয়ে বেশী পরিমানে আছে ডার্ক ম্যাটারের সংখ্যা। তবে মেইন সমস্যা হলো এসব অদৃশ্য বস্তু চোখে না দেখে শুধু এদের থেকে নির্গত রশ্নি বা কণা সমূহের উপর ভরসা করে।
ধরা যাক একটা বিশাল দৈত্যাকৃতির গ্যালাক্সিগুচ্ছ যাদেরকে দেখতে হলে বিশাল একটা অপ্টিক্যাল টেলিস্কোপের সাহায্য নেয়া হলো। এখানে দেখা গেলো গরম, অস্হির প্রকৃতির গ্যাস সমূহ যাদের অবস্হান গ্যালাক্সি গুলোর মধ্যে, তাদেরকে দেখার জন্য নাসার চন্দ্র এক্সরে স্যাটেলাইটের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। কিন্তু বর্তমান রাজত্বে এক গুচ্ছ গ্যালাক্সির তৃতীয় কোনো অদৃশ্য মাত্রা বিদ্যমান থাকতে পারে যেটা হলো সেই রহস্যময় ডার্কম্যাটার যা অশেপাশের গ্রহ বা গ্রহানুগুলোকে শুষে ফেলে। এখানে অনেক প্রশ্ন করতে পারে, এসব পদার্থ গুলোকে গিলে ফেলা হলে এগুলো কোথায় যায়?ইভেন্ট হরাইজনে গিয়ে সিঙ্গুলারিটির পর্যায়ে এসব শুষে ফেলা এলিমেন্ট এর কি অবস্হা হয়, তার ব্যাখ্যা কি? এগুলো আপাতত প্রশ্নই থাক পরে কোনো এক পোস্টে এটা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে!
এখানে আমার বিষয়টা হলো এগুলো আমি কিভাবে দেখতে পারি, যে বস্তু আলোর কনাকে পর্যন্ত শুষে নেয় তাদের নির্ণয় করার জন্য কিসের সাহায্য নেয়া যায়!

যাই হোক আমরা হয়তো টাইম ডায়ালেশন সম্পর্কে শুনে থাকবো, যদিবা না শুনি তাহলেও অসুবিধা নাই! ধরা যাক একটা ধাতব বুলেট ছোড়া হলো। স্বাভাবিক ভাবে বিনা বাধায় এটা সোজা পথেই যাবে কিন্তু এটাকে যদি মাঝপথে কোথাও শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ডের পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে দেখা যাবে বুলেটটির গতি পথ একটু বেকে যাবে। এটা ম্যাগনেটিক ফিল্ডের যত কাছ দিয়ে যাবে এর বেকে যাওয়াটা ততটা প্রমিন্যান্ট হবে কেন্দ্রের দিকে। তাহলে এক সাথে অনেক গুলো বুলেট আলাদা আলাদা পিস্তল থেকে একই সাথে ছোড়া হলে দেখা যাবে ঐ ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কাছে দিয়ে যাবার সময় কিছুটা বাক নেবে এবং বুলেটের গতিপথ গুলো কেন্দ্রের দিকে ঝুকে যাবে। ডার্ক ম্যাটারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে যখন বুলেটের গতিপথকে আমরা আলোর সাথে তুলনা করি। তাহলে ডার্কম্যাটার সনাক্ত করার একটা উপায় পাওয়া যেতে পারে যখন দেখা যাবে তার পিছনে থাকা নক্ষত্র গুলোর আলো গুলো খুব কাছাকাছি দেখা যাবে যেটাকে আমরা অপ্টিক্যাল ইলউশন বলতে পারি!
এটাকে আসলে "উইক লেন্সিং" হিসেবে বলা যেতে পারে যা এখন খুব উন্নততর টেক হিসেবে ধরা যায়!

আজ এ পর্যন্তই!


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভালো লাগল। আরো দিবেন আশা করি।

কেমিকেল আলী এর ছবি

--------------------

গৌতম এর ছবি

ডার্ক ম্যাটারের বিপরীতে হোয়াইট ম্যাটারের অস্তিত্ব থাকার কথা। যদিও এই হোয়াইট ম্যাটারের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিঃসংশয় হওয়া যায়নি এখনো। অনেকে কোয়াসারকে হোয়াইট ম্যাটার বলে থাকেন। এ সম্পর্কে কিছু লিখতে পারেন।

..................................................
ছিদ্র খুঁজে বেড়াই, বন্ধ করার আশায়

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

হোয়াইট হোল নিয়া লেখারও খুব ইচ্ছা, তবে সবচেয়ে ভালো লাগতো যদি এখানে ইকোয়েশন গুলো দিয়ে প্রিসাইসলি যেসব কনস্ট্যান্ট গুলোর কারনে এসব ধারনার উৎপত্তি সেগুলোও ব্যাখ্যা করতে চাইছিলাম, কিন্তু ইকোয়েশন কিভাবে লেখবো এখানে সেটা জানি না!
তবে আস্তে আস্তে লেখবো একটু সময় নিয়ে। কারন ভুল হলে আপনারাই তখন ইভেন্ট হরাইজনের ছিদ্র নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন;))

ধন্যবাদ!

গৌতম এর ছবি

অবশ্যই ছিদ্র বের করা হবে সেটিকে বন্ধ করার আশায়। তবে ছিদ্রের কথা চিন্তা করে লিখতে আবার দেরি করবেন না যেন!
আর অনুরোধ থাকবে ইকুয়েশন ছাড়া সহজ ভাষায় লেখার জন্য। স্টিফেন হকিং কিন্তু জানতেন, তার অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বইয়ে যতো ইকুয়েশন থাকবে, ততো বইয়ের বিক্রি কমবে।
বইটি সুপারহিট বিক্রি হযেছিলো। হিন্দি সিনেমার সিডিও এতো বিক্রি হয় না।

..................................................
ছিদ্র খুঁজে বেড়াই, বন্ধ করার আশায়

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ছিদ্র এর কথা থেকে আমার হঠাত ইভেন্ট হরাইজনের কথা মনে পরা গেলো। আচ্ছা যদি হকিং রেডিয়েশন আর কোয়ান্টাম এ্যাফেক্ট নিয়ে যদি এগিয়ে যাওয়া যায় তাহলে ইভেন্ট হরাইজনের পর একটা ফোটন চ্যাপ্টা হয়ে তার শেষ দশাটা কি হয় অথবা তার ওটা কিভাবেই বা হারিয়ে যায়, সেটা নিয়ে একটু পড়ালেখা করা যেতে পারে!

ধন্যবাদ

রনি রক

s-s এর ছবি

খুব ই ইন্টারেস্টিং লেখা, এ পর্যন্ত একটানে পড়ে গেলাম। আ্যন্টিম্যাটার নিয়ে লিখবেন কি?

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার ইচ্ছা নিয়েই এসেছি। এখন এ্যাকাউন্টটা এ্যাকটিভেট হলে দ্রুত লেখতে পারবো আরো এসব বিষয় নিয়ে। তাই আপাতত যেসব বিষয় নিয়ে লিখতে চাচ্ছি শুধু সেসব বিষয়ের সূচনা আলোচনা করবো!

ধন্যবাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

এই পোস্টে একটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, আসলে ডার্ক ম্যাটার বলতে এখনও যতটুকু জানি সেটা হলো নিউট্রন স্টার, ব্লাক হোল। যেহেতু প্রকৃতি চরম শূন্যতা পছন্দ করে না, সেহেতু এমন আরো কিছু থাকতে পারে অনাবৃস্কিত যা ডার্ক ম্যাটারের মধ্যে পড়ে। তবে আমার এই লেখায় প্রথমে সামগ্রিক ডার্ক ম্যাটার নিয়ে আলোচনা করা হলেও পরে এটা ব্লাক হোলের দিকে ধাবিত হয় আলোচনাটা।

ধন্যবাদ আপনাদের কমেন্টের জন্য।

রনি রক।
নিঃস্বঙ্গতার সঙ্গী!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।