আমি কলম হাতে নিলেই
দুঃখগুলো কিভাবে যেন টের পেয়ে যায়
গন্ধ শুঁকে শুঁকে ঠিক চলে আসে।
সুখগুলোকে ঠেলেঠুলে
সামনে এসে দাঁড়ায়,
ভেংচি কাটে আমার দিকে তাকিয়ে।
বেশি কৌতূহলী কোন দুঃখ
একপা এগিয়ে এসে
হয়তোবা কুশল জানতে চায়
তাদেরকে নিয়ে আমি ভালো আছি কীনা।
প্রথম দিককার কথা
ভেংচির বদলে ভেংচি কেটে জবাব দিতাম,
গলাটিপে ধরতাম নিঃসঙ্গতার
অন্ধকারের কোলাহল
বড় বেশি বিরক্ত করতো।
এরপর...
মাকড়সা দম্পতির প্রেমকাব্য
দীর্ঘায়িত হয় দিন দিন
আমার এলোমেলো দীর্ঘশ্বাস উপেক্ষা করে।
অস্পষ্ট অনুভূতিগুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে আরো ভোঁতা হয়;
পায়ের নিচে শুকতলী হয়ে
কাঁকর বিছানো পথ মাড়িয়ে বহুদূর চলে যায়।
দুঃখগুলোকে হাসতে দেখে
অক্ষম রাগে কিংবা ঘৃণায়
চোখজোড়া এখন আর সরু হয়ে আসেনা
কলমটাও লেখা থামিয়ে
কেঁপে কেঁপে ওঠেনা আগের মতো।
নিস্কম্প নির্লিপ্ত হাতে
আমি আমার কথা লিখে যাই
আমার দুঃখের কথা লিখে যাই।
স্বপ্নাহত
মন্তব্য
লিখে যান।
..................................................................................
অপরিপক্কতা সবসময় একরোখা হয়, আর পরিপক্কতা হচ্ছে সর্বগ্রাহী
-সেলিম আল দীন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
নতুন মন্তব্য করুন