হ্যালো বলার পরও অন্যপ্রান্ত থেকে কোনো সাড়া এল না। নিঃশ্বাসের আওয়াজ শুনতে পেলাম শুধু। আমি আরো একবার হ্যালো বলে কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম। তারপর ফোন রেখে দিলাম। আম্মা রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'মামুন, কে ফোন করেছিলোরে?'
'কথা বললোনা কেউ।'
'সকালে তোরা যখন এয়ারপোর্টে গেলি নাসরিনদের আনতে তখনও একবার ফোন করেছিলো কেউ, কথা বলেনি।'
আমি উত্তর না দিয়ে চলে এলাম আমার ঘরে। নাসরিন আমার খাটের পাশে রাখা পুরোনো টেবিলটির মাঝামাঝি জায়গাটায় তাকিয়ে আছে। আমাদের ছোটো বেলার পড়ার টেবিল। আনেকদিন আগের কথা। আমার বয়স যখন হবে বারো আর ওর সাত, তখন এই টেবিলে আমরা একই গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তাম। ওটির এখন সত্যিকার অর্থে আর কোনো ব্যবহার নেই। কেনো যে ফেলা দেয়া হয়নি কে জানে। যতবার বাসা বদলেছি টেবিলটি এসেছে আমাদের সংগে সংগে। আমার পায়ের শব্দ পেয়ে নাসরিন মুখ তুলে বলল, 'ভাইয়া, এটি তোমরা এখনো ফেললেনা?' হাসছে ও।
হাসলাম আমিও টেবিলের মাঝামাঝি জায়গাটায় ছুরির ডগা দিয়ে আঁকা প্রায় অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া ছবিটির ইতিহাস মনে করে। টেবিলটি কেনার ক'দিন পর আমি পাশের বাসার নাররিনের বয়সী ছেলেটির কাছ থেকে নাসরিনের সাথে তার গোপন প্রেমের কথা জেনে ফেলি। নাসরিন নাকি ওকে প্রেম নিবেদন করেছে; বলেছে বড় হয়ে ওরা বিয়ে করবে, তবে ও যেনো কাউকে না বলে। কিন্তু ছেলেটি মনের আনন্দ চেপে রাখতে না পেরে আমাকে বলে ফেলেছে। আমিও দেরি না করে প্রথম সুযোগেই কথাটি আম্মার কানে তুলে দিলাম। আম্মা শুধু মুচকি হেসে নাসরিনকে ডেকে একটি ধমক দিলেন আর এসব প্রেম বিয়ে খেলা বাদ দিয়ে মন দিয়ে পড়াশুনো করতে বললেন। কিন্তু ওইটুকু পুঁচকে মেয়েটি প্রেমের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বোধহয় খুব অপমানিত বোধ করেছিলো সেদিন! আমরা যখন আশেপাশে ছিলামনা, তখন কাগজ কাটার ছুরি দিয়ে এই টেবিলের মাঝখানে আমার কুটিল রূপের একটা ছবি আঁকার চেষ্টা করেছিলো। লম্বাটে মুখমন্ডল, মাথায় দু'টো শিং আর নীচে লেখা 'কুটিল'। যদিও শিশুসুলভ হাস্যকর কান্ড, টেবিলের বার্নিশ নষ্ট করার জন্য ওকে মার খেতে হয়েছিল আম্মার কাছে সেদিন।
আমি প্রশ্ন করলাম, 'তোরা কেমন আছিসরে?'
'ভালোইতো...,' বললো নাসরিন।
'রাশেদ তোকে ভালোবাসেতো?'
মজা পেয়ে হাসলো ও, বলল, 'তাই তো মনে হয়।'
'আর তুই?'
এক পলক তাকালো ও আমার চোখে চোখে। তারপর চোখ ফিরিয়ে নিয়ে প্রসংগ পাল্টালো, জিজ্ঞেস করলো 'আব্বা কি করছেন?'
'বসার ঘরে রাশেদের সাথে কথা বলছেন। তোরা কানাডায় কি খাস, কিভাবে থাকিস এইসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।'
'বাবার স্বাস্থ্য অনেকখানি ভেংগেছে গত তিন বছরে না?'
তিন বছর কত দ্রুত কেটে যায়! এই যেন সেদিন বিয়ের পর স্বামীর সাথে কাঁদতে কাঁদতে প্লেনে উঠে গেল নাসরিন। বাবা-মা-ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে ছেড়ে চলে গেল হাজার হাজার মাইল দুরে। যখন ছোট ছিল, ভাবতে কষ্ট হতো এই শান্ত সহজ সরল মেয়েটি কোনোদিন আমাদের ছেড়ে থাকতে পারবে। আর এখন সম্পূর্ন অজানা অচেনা একটি দেশে বাস করছে, সংসার করছে। রাশেদ ওকে একটি ভালো কাজও পাইয়ে দিয়েছে শুনেছি। স্বাস্থ্যও কি ভালো হয়েছে কিছুটা?
ফোন বেজে উঠলো আবার। আব্বা ফোন ধরে হ্যালো হ্যালো করছেন শুনতে পেলাম। তারপর লাইন কেটে দিয়ে আবার রাশেদের সাথে গল্প শুরু করলেন। আম্মা রান্নাঘর থেকে চেঁচালেন আবার, 'টুম্পা ফোন করার চেষ্টা করছেনাতো? মামুন, ওর মোবাইলে একটা ফোন করে দেখবি?' আব্বা বসার ঘর থেকে বললেন, 'আরে না, কোন ফাজিল চুপ করে ফোন ধরে থাকে কথা বলেনা!' নাসরিনকে যেনো একটু সংকুচিত, একটু বিচলিত মনে হ'লো।
টুম্পা আমাদের ছোটবোন। নাসরিনের বছর তিনেক পর ওর জন্ম। গতবছর বিয়ে হয়ে যাবার পর থেকে সেও বাড়ী ছেড়ে চলে গেছে। কুমিল্লায় থাকছে স্বামীর চাকরির সূত্রে। নাসরিনের দেশে আসার কারণে ওরা ঢাকার পথে রওয়ানা হয়েছে ঘন্টা কয়েক আগে। সকালে এয়ারপোর্টে যাবার আগে যখন কথা হয়েছিল ওদের সংগে তখন বলেছিল দুপুরের খাবারের আগেই এসে পৌঁছে যাবে। সেই হিসেবে আর বেশীক্ষন লাগার কথা নয়। ওর বিয়ের সময় নাসরিন আর রাশেদ দেশে আসতে পারেনি ছুটির অভাবে। দু'বোনের অনেক কথা জমা হয়ে আছে নিশ্চয়। নাসরিনকে বললাম, 'এখানে একা না থেকে আব্বা আর রাশেদের সাথে গল্প কর না গিয়ে।'
'তুমি যাও ভাইয়া, আমি থাকি কিছুক্ষন তোমার ঘরে...।'
ওকে একা থাকতে দিয়ে আমি চলে এলাম বারান্দায়। রাশেদের পক্ষের লোকেরা যেদিন সন্ধ্যায় নাসরিনকে দেখতে এসে পছন্দ ক'রে তখন তখনই বিয়ে পড়িয়ে ফেলার প্রস্তাব করলো, আমার মধ্যবিত্ত পিতা সেদিন আনন্দে প্রায় অর্ধোন্মাদ হয়ে যেতে বসেছিলেন। তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি এমন অবস্থাসম্পন্ন একটি পরিবারের সাথে আমাদের সম্পর্ক হয়ে যাবে। কিছুদিনের মধ্যে চাকরী জীবনের অবসানের পরে ছেলের স্বল্প আয়ে সংসার কী করে চালাবেন আর দুই মেয়ের বিয়েই বা কী করে দেবেন এইসব দুশ্চিন্তার মধ্যে এ তো মহা সুখবর। রাশেদের বাবা মা তাঁদের দুই ছেলে নিয়ে বাইরে আছেন ওর ছোটবেলা থেকে। ওদের আর্থিক অবস্থা যে অনেকের চেয়ে অনেক ভালো তা বোঝা যায়। সেই সময় আমি অফিসের কাজে ক'দিনের জন্য ঢাকার বাইরে থাকায় আব্বা অবশ্য একটু আপত্তি তুলেছিলেন। কিন্তু রাশেদের চাচা 'ভাই এখন নেই তো কি হয়েছে, বিয়ের সময় থাকবে' বলে তাঁর আপত্তি ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছিলেন; তিনিও সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। ছেলের হাতে ছুটি বেশী না থাকায় কাজী ডেকে বিয়ে পড়ানো থেকে শুরু করে বিয়ের অনুষ্ঠান পর্যন্ত সবকিছু করা হয়েছিল খুব তাড়াহুড়ো করে। আমাকে অনেক রাতে ফোনে জানানো হয়েছিল যে বিয়ে হয়ে গেছে।
তার দিন তিনেক পরে কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরে আসি আমি। সন্ধ্যায় গোসলের পর সারাদিন বাস ভ্রমনের ক্লান্তি কাটানোর চেষ্টায় বিছানায় শুয়ে চোখ বুঁজে ছিলাম। অল্প সময়ের মধ্যে বিয়ের যোগাড়যন্ত্রের আয়োজন, ধারকর্য এইসবের ধাক্কা সামলানোর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এই সময় ঝড়ের মত নাসরিন আমার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় ভেতর থেকে। ওর কেঁদে ফোলানো লাল দু'টো চোখ আর চেহারায় অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তার ছায়া দেখে আমি বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লাম, চিন্তিত হয়ে বললাম, 'কি হয়েছে?'
ও আমার হাত ধরে বলল, 'ভাইয়া, আমি এখন বিয়ে করতে প্রস্তুত ছিলামনা। তুমি বাসায় ছিলেনা, সবাই তাড়াহুড়ো করে...।, আমি কিছু বলতে পারিনি...।'
আমি অত্যন্ত অবাক হ'লাম। আগেতো কখনো বলেনি যে বিয়ের জন্য প্রস্তুত নয়। আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারে এটি ঠিক ইচ্ছা অনিচ্ছার ব্যপারও নয়। বললাম, 'কেনো তোর ছেলে পছন্দ হয়নি?'
ও এক মূহুর্ত চুপ করে থেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আমাকে, বললো, 'আমি মাহবুবকে ভালোবাসি...।' আমি একটি ধাক্কা খেলাম। ধাক্কা সামলাতে সামলাতে কী বলব ভাবছিলাম; ও ফুঁপিয়ে কেঁদে যাচ্ছিলো।
মাহবুব আমাদের বাসায় এসেছিলো কয়েকবার। বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ক্লাসে পড়তো নাসরিনের সাথে। ওদের বন্ধু বলে জানতাম সবসময়। এর বইরে কিছু থাকতে পারে এমন ভাবিনি কখনো। পিতৃহীন পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় সেই ছাত্র জীবনেই পরিবারের ভরনপোষনের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল মাহবুবকে। সবসময় হাসিখুশি থাকলেও ছাত্র পড়িয়ে সংসার চালানোর ক্লান্তি আর সার্বক্ষনিক দুশ্চিন্তার ছায়া দেখতে পেতাম ওর চোখেমুখে। বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়া একটি বোনের বিয়ের দায়িত্বও ছিলো মাথার ওপর। এমন একটি অনিশ্চত ভবিষ্যতের ছেলের প্রেমে পড়ে কেউ?
নাসরিনের খুব ছোট্টবেলার একটি ঘটনা মনে পড়ে আমার প্রায়ই। এক স্বাস্থ্যকর্মী এসেছে বাসায় শিশুদের টীকা দেবার জন্য। নাসরিন কছুতেই টীকা নেবে না ব্যাথা পাবে এই ভয়ে। কাঁদতে কাঁদতে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো, 'ভাইয়া, আমাকে বাঁচাও, ওরা আমাকে মেয়ে ফেলতে চায়।' হেসেছিলাম সবাই। ওইটুকু মেয়ে কোথায় শিখেছিলো অমন করে কথা বলতে কে জানে! অবশেষে অনেক বুঝিয়ে, অনেক আশ্বাস দিয়ে রাজী করানো হয় ওকে। রাজী হ'লো ঠিকই, কিন্তু টীকা নেবার সময় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রইলো আমাকে। স্বাস্থ্যকর্মী যখন টীকা দেয়া শেষ করলো, তখন দারুন বিশ্ময়ে চোখ মুছতে মুছতে বললো, 'বাহ্, ব্যাথা লাগেনি একটুও'! সবাই হেসেছিলাম আবার।
তখন থেকেই নাসরিনের আমার কাছে ওর দুঃখের কথাগুলো বলার অভ্যাসটি তৈরী হয়েছিলো। স্কুলে বন্ধুর সাথে ঝগড়া, আব্বার কাছে পড়া না পেরে বকা খাওয়া, কাঁচি নিয়ে দুষ্টুমি করতে গিয়ে হাত কেটে ফেলা, প্রিয় খেলনাটি হারিয়ে ফেলা..., এইসব ছোটোখাটো বিষয়ে কষ্ট পেলেই আমার কাছে আসতো। ছুটে এসে 'ভাইয়া' বলে জড়িয়ে ধরলেই বুঝতে পারতাম কিছু একটা হয়েছে। তারপর আমার দায়িত্ব ছিলো মন দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বিবরন শোনা এবং বিবরন শেষে ওকে শান্তনা দেয়া, সব ঠিক হয়ে যাবে ব'লে আশ্বাস দেয়া। দুঃখের কথাগুলো আমাকে বললে যেনো ওর ব্যাথাগুলো চলে গিয়ে সবকিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে যেতো। কিন্তু আস্তে আস্তে বড় হতে হতে, শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পৌঁছানোর সাথে ওর এই আচরণটি কমে যেতে থাকে। কমতে কমতে এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। অন্য সবার মত দুঃখ ঢেকে রেখে, হাসি ফুটিয়ে চেহারায় স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে শেখে।
এতদিন পরে সেদিন নাসরিন আবার যখন ছোটবেলার মত জড়িয়ে ধরেছিলো আমাকে, কী বলবো ভেবে পাইনি। ওর পিঠে হাত বুলিয়ে কোনমতে বলতে পেরেছিলাম, 'কাঁদেনা, ঠিক হয়ে যাবে...।' কান্না থামিয়ে নিজেকে সামলে নিতে নিতে একটি দীর্ঘস্বাস ফেলে ও শুধু বলেছিলো, 'জানি।', তারপর চোখ মুছে বেরিয়ে গিয়েছিলো ঘর থেকে।
আম্মার ডাক শুনতে পেলাম বারান্দা থেকে। টেবিলে খাবার দেয়া হয়েছে। খাবার ঘরে এসে দেখি হরেক রকমের আয়োজন। সবাই হৈ চৈ করে খেতে বসছে। খেতে খেতে আলোচনা চলছে, প্রশংসা চলছে আম্মার রান্নার। প্লেটে ভাত নিয়ে মাখতে শুরু করেছি এই সময় বাইরে গাড়ী থামার শব্দ শুনলাম। একটু পরেই সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে টুম্পার গলার আওয়াজ, 'আপুরা এসেছে..., ওরা কোথায়?' স্বামীসহ টুম্পাও চলে এসেছে। ওরা ঘরে ঢুকবার আগেই ফোন বেজে উঠলো আবার।
আমি উঠতে যাচ্ছিলাম ধরতে। আম্মা বললেন, 'খেতে বসে ফোন ধরার দরকার নেই, খেয়ে নে আগে।' আমি বসে পড়ে আড়চোখে নাসরিনের দিকে তাকালাম এক পলক। এক মুহূর্তের জন্য একটা বিচলিত ভাব নাকি অস্থিরতা দেখলাম যেনো ওর মধ্যে। তারপরই আবার স্বাভাবিক হয়ে হাসিমুখে দরজার দিকে তাকিয়ে রইলো টুম্পা আর তার স্বামীর ঘরে ঢোকার অপেক্ষায়।
একা একা ব্যাথা জয় করতে শিখে ফেলেছে ও?
শামীম হক
মন্তব্য
বর্ণনা ও ধরণ ভালো লাগলো।
আগে পড়েছিলাম কি, অন্য কোথাও?
চমৎকার লাগলো
-স্বপ্নাহত
লেখার স্টাইলটা চমৎকার ।
ভালো লাগল @ শামীম ।
দারুন লিখেছেন শামীম।
ভালো লাগলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
খুব ভালো লাগলো। চমৎকার।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
লেখাটি আগে কোথাও প্রকাশিত হয়নি @আনোয়ার সাদাত শিমুল। এটি আমার লেখার প্রথম প্রচেষ্টা। তবে, গল্পের বিষয়বস্তু নতুন নয় স্বীকার করছি।
সবাইকে কষ্ট করে পড়বার আর সদয় মন্তব্য করবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখার সাহস পেলাম।
- শামীম হক
একমত@ আরিফ জেবতিক।
শাবাশ! তাহলে, সাহস যখন পেয়েছেন, তখন আরো চলুক। একেবারে কি-বোর্ডে সুনামি (অথবা সিডর) তুলে ফেলুন।...নিয়মিত লিখবেন প্লিজ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
অসাধারণ ১ টা লেখা... নিজের জীবনের কথা মনে পরিয়ে দিল... আর সঙ্গে পুরানো সেই আফসোস মনে পড়লো, আমি যদি আমার ভাইয়া কে এভাবে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে পারতাম...
নতুন মন্তব্য করুন