বাংলাদেশে মনে হয় একমাত্র আই.ইউ.টি তেই টানা চার মাসের ছুটি পাওয়া যায়। (একমাত্র আই.ইউ.টি তে 'মেয়ে' জিনিসটা পড়ে না)। এবার অবশ্য ছুটি চার মাসের কিছুদিন কম ছিল।২০০৮ খ্রীষ্টাব্দের ২০ জানুয়ারি- তিন মাস ষোল দিনের ছুটি শেষে আই.ইউ.টি. তে আসলাম। চিটাগাং-এর জি.ই.সি.মোড়ের কথা মনে আসি আসি করছে। রায়হান(যাচাই করা হয়নি) নাটকীয় ভঙ্গিতে আমাকে বলল।
- দোস্ত। হেভী বস্ একটা জিনিস পাইছি। সচলায়তন।
আমি কিছুটা অবাক হলাম। 'সচলায়তন' নামক কোন বস্তুর নাম আমি আমার একুশ বছরের দীর্ঘ জীবনে শুনিনি। রায়হানকে তেমন একটা পাত্তা দিলাম না। 'বন্ধু' হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত হল- একজন অপরজনের কোন কথাকেই সিরিয়াসলি নিবেনা। আমি আমার চিরায়ত শুকনো মুখ আরো শুকনো করে বললাম।
- সচলায়তন? এইটা আবার কী জিনিস?
সবকিছুতে নাটকীয়তা করা রায়হানের স্বভাব। সে সব দাঁত বের করে দিয়ে বলল।
- আছে। বলব না।
কিছুটা আগ্রহ জেগে উঠলেও কথা বাড়ালাম না। নিশ্চয় সচলায়তন মেয়ে-সম্পর্কিত কোন ব্যাপার না। সুতরাং পরে জানলেও চলবে।
কিচ্ছু ভালো লাগছিল না। একটার পর সিগারেট টানছি। হঠাৎ রায়হান আমাকে ডাকল। মেগা সিরিয়ালের ডায়ালগের ভঙ্গিতে বলল।
- এই দ্যাখ।
আমি মনিটরের পর্দার দিকে তাকালাম। অপেরা'র ট্যাবে লেখা 'সচলায়তন'। পাশে ছোট্ট করে লেখা-' চিত্ত যেথা ভয় শুন্য, উচ্চ যেথা শির'। ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা নৌকা।
ছবিতেও কেন জানি মনে হচ্ছে নৌকাটা ছুটে চলছে। এখনি নৌকাটা দুলে উঠবে। নদীর পানি বৃষ্টির ফোঁটার মত ভিজিয়ে দিবে। ভালো লাগল। ক্লাস ফাইভে 'পরী' কে প্রথম দেখে যেমন ভালো লেগেছিল- তেমন ভালো। রায়হানকে বললাম।
- এটা কি?
- ব্লগ।
ব্লগ সম্পর্কে একটা ভাসা ভাসা ধারণা ছিল আমার। ওখানে নাকি সবাই লিখতে পারে। তবে একবার একটা ব্লগ দেখেছিলাম ( নাম বলা যাবে না। হা হা হা )। যেটা দেখে মনে হয়েছিল- যাদের ঝগড়া করার জন্য আশেপাশে কেউ নাই- তারা ওখানে লিখে লিখে ঝগড়া করছে।
তাই উপরের ছবিটা ভালো লাগলেও কিছুটা অ-ভক্তির সাথেই মেইন পেইজটা দেখতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর আমি মিশে গেলাম- কোমল এক সৌন্দর্যের মধ্যে। নীড়পাতা-ব্লগরব্লগর-আড্ডাঘর। কী অদ্ভুত সব শব্দ! 'নীড়পাতা'র কয়েকটা লেখা পড়লাম। আর আবাক হলাম। আর ভালোবেসে ফেললাম। মনে হল বাংলাদেশে কত সুনীল- কত শীর্ষেন্দুর লেখা আমার পড়া হয়নি।
বুঝতে পারলাম- আমি এমন একটা জিনিসের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। 'পরিবর্তনশীল' নামে নিবন্ধন করলাম। সচলায়তনের ই-মেইল পেয়ে বারবার পড়লাম। মানুষের মনের কথা বলার জন্য নাকি এমন কাউকে দরকার- যে সব কথা প্রাণ দিয়ে শুনবে। এখন থেকে সচলায়তনকে সব বলব- সিদ্ধান্ত নিলাম। মনে হল সে আমার সব কথা শুনবে। সে আমার কথা প্রকাশ করবে- সবার কাছে।
আই.ইউ.টি-র আমাদের ব্যাচের আমি (পরিবর্তনশীল), রায়হান, জিহাদ (স্বপ্নাহত) সচলায়তনের প্রেমে পড়েছি। প্রতি রাতে তিনজন নিজেদের কম্পিউটারের সামনে শুকনো মুখে বসে থাকি 'ব্লগ' লেখার জন্য। ভাগ্য ভালো কম্পিউটারে 'backspace' নামের একটা বাটন আছে। তা নাহলে আমার মত স্বঘোষিত লেখকদের কি হত আল্লাহ জানে!
একেকটা লেখা আপলোড করার পর কোটি কোটি উত্তেজনা নিয়ে বসে থাকি। আর তিরিশ সেকেন্ড পর-পর নীড়পাতা রিফ্রেশ করি। যখন লেখাটা 'নীড়পাতা'য় দেখি তখন যে আনন্দটা পায় সেটা মনে হয় ভবিষ্যতে কোন একদিন যখন একুশে বইমেলায় আমার বই প্রকাশিত হবে (!!!!) তখনও পাব না।
আমাদের তিনজনের মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলে। এক প্রেমিকাকে নিয়ে তিন প্রেমিকের প্রতিযোগিতা।
সবচেয়ে ভালো লাগে 'মন্তব্য' পেতে। কেউ যদি আমাদের লেখা ভালো বলে তখন বুকটা আপনা-আপনি গর্বে ভরে যায়। আর যদি দেখি 'গুঁতোগুঁতি'র শীর্ষে উঠে গেছি- তখন তো মনে হয় আমি এভারেস্ট জয় করে তার চূড়া থেকে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে আছি।
ক্লাসের ফাঁকে সুযোগ পেলেই রুমে এসে কম্পিউটারের সামনে বসে যায়। মোবাইলকে মডেম বানিয়ে- কচ্ছপের গতিতে হেঁটে চলা ইন্টারনেটে কানেক্টেড হয়ে- প্রথমে একটা জিনিসই টাইপ করি। www.sachalayatan.com। 'হিমু'-'দ্রোহী'-'রাগিব হাসান'-'কিংকর্তব্যবিমূড়'-'কনফুসিয়াস'-'সৌরভ'-'লুৎফুর আরেফীন'-'অলৌকিক হাসান' এবং অতিথি লেখক। ওদের সবার লেখা পড়ে মুগ্ধ হই।
সেদিন রাত সোয়া তিনটার দিকে ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘুম আসছেনা। ভাবলাম একটু 'সচলায়তন' এর জগত থেকে ঘুরে আসি। কিন্তু রুমে কোথাও মোবাইল পাচ্ছি না (যেটা মডেম হিসেবে ব্যবহার করি)। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। রায়হানের রুমে গেলাম- নিয়েছে কিনা দেখতে।
রায়হানের রুমে ঢুকলাম। গাধাটা কম্পিউটারের সামনেই ঘুমিয়ে পড়েছে। মনিটরের দিকে তাকালাম। দেখলাম একটা নৌকা ছুটে যাচ্ছে।
পাশে জ্বলজ্বল করছে- ''চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির''।
পরিবর্তনশীল
মন্তব্য
ভাল লাগছে।
এই পোস্ট এর মন্তব্য শুরু কি দিয়ে হবে জানি না তবে অচিরেই তোমার অতিথি লেখক থেকে সচল হওয়া অবধারিত।
চমৎকার লেখা। আপনার লেখার হাত ভালো, বেশ ভালো।
-- (বিপ্লব) দিলাম।
কি মাঝি? ডরাইলা?
আমি দিলাম জাঝা
হুম। মহিব তুই তো আগায় গেলিরে। আমার কি হবে। লিখবো যে মাথায় তো কিছু আসে না। তাই ভাবছি সচলায়তনের মহার্ঘ সদস্যপদের পিছনে না ছুটে আগামিকাল সকাল থেকে মাইক্রোপ্রসেসর পড়া শুরু করব।
রায়হান আবীর (expired)
জটিলস্য!!!
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
প্রেম এরকমই। প্রেমিকার প্রতি থেকো নিষ্ঠাবান।
আর বলবেন না! সচলায়তনের সঙ্গে পরিচিত হবার পর থেকেই এমন সচলায়তনাসক্ত হয়ে পড়েছি যে, প্রতিদিন বার কয়েক সেবন না করলে জুইত পাই না একেবারেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
দোস্ত,তুই তো নৌকায় এক পা দিয়াই ফেল্লি।আমাগো কি হবে?
স্বপ্নাহত (কোনদিনও মনে হয় যাচাই করা হবেনা )
সচলায়তন নিয়ে আপনাদের ভালোবাসা জেনে খুব ভালো লাগল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হাহ হা।
সচল প্রভূদের দৃষ্টি ও কর্ণ এবার আকর্ষিত হবে, আশা করা যায়।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আপনারা বন্ধুরা মিলে তো ঝামেলায় ফেলে দিচ্ছেন! আজকে এরকম একটা প্রাণবন্ত লেখা পড়ার পর থেকে নিজের লেখা আর এগুচ্ছে না। ভাগ্য ভালো কম্পিউটারে 'backspace' নামের একটা বাটন আছে। দুইটা করে বর্ণ লেখার পর তিনবার করে 'backspace' প্রেস করতে হচ্ছে।
'অতিথি' হিসেবে আপনাদের স্বল্পায়ু কামনা করছি। তাছাড়া বাড়িতে অতিথি যতো কম দিন থাকে, ততোই ভালো... নাকি...? (চাম হাসি)
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
জীবনে একটা backspace বাটন বড় বেশি দরকার হয়ে পড়েছে।
ওহ... সচল তো হইয়া গেলাম। তবে backspace থাকলে ভুলেও আড় অতিথি লেখক হব না।
---------------------------------
-মহিব
ভাবসাব দেখে মনে হইল "উনি একজন মানুষ"
বাংলা সিনেমার গুরুত্ব আজকে আবার হাড়ে হাড়ে টের পাইলাম।
সিনেমার লাস্ট সীনে নায়কের আবেগময়,অশ্রুময় কথার ফুলঝুড়িতে নায়িকার বাপ যেমন এক হাতে চোখ মুছতে মুছতে আরেক হাত দিয়ে নায়িকাকে সমর্পণ করে,মহিব(পরিবর্তনশীল) এর লেখার বিপরীতেও দেখি সেম আফটার ইফেক্টস
স্বপ্নাহত,রায়হান আবীর এবং পরিবর্তনশীল এর অতিথিত্ব ঘুচলো অবশেষে
এই আনন্দে ভার্সিটির পাশের হলে তিনজনে মিলে নাইট শো তে ঢুকবো কীনা ভাবতেসি।তবে পুরো প্ল্যানটা এখনো যাচাই করা হয়নি।দেখা যাক...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আপনাকে মনে মনে এবং সশব্দে অনেকদিন থেকেই এখানে আশা করছিলাম।
লেখাটা কোনও কারণ ছাড়াই অনেক দেরীতে পড়া হলো।
আপনার লেখায় আমার নাম (ভুল বানানে) দেখে চমকিত হলাম! কিন্তু এই ভুলের জন্য আপনার ওপরে রাগ হলো না। আমাকেই মনে করেছেন - সেটা ভেবে যে আনন্দটা হলো, সেটার মূল্য অনেক বেশী। সেই মূল্য থেকে খানিকটা ব্যয় করলাম আপনার ভুলটা মাফ করতে। এরপরেও যেটুকু বাকি থাকছে, সেটা দিয়ে আপনার পরবর্তি আরোও কয়েকশত বানান ভুল ক্ষমা করা যাবে অনায়াসে।
সুস্বাগতম হে বন্ধু!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
স্বাগতম!
আপনার লেখা সত্যিই সুখপাঠ্য। ভালো লাগছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
স্বপ্নাহত,রায়হান আবীর এবং পরিবর্তনশীল,
আশাকরি অন্যকিছু ঘুমন্ত সচলদের অনুসরণ করবেন না। এবং সচলায়তনের জন্যে আপনাদের প্রেম সজীব থাকবে সবসময়।
চলুক লেখালেখি।
স্বাগতম।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
স্বাগতম পুলাপাইনজ ...
এইবার লিখে লিখে ডেটাবেজ ওভারফ্লো কইরা দেও ...
লেখাটা জটিলস্য হইছে, নেক্সট যারা সচল হইতে চায় তাদেরকে এইটার চোথা সাপ্লাই দিতে হবে ...
আর লেখার মাঝে আমারেও স্মরণ করলা, এই আনন্দ তো রাখার জায়গা নাই
হ্যাপী ব্লগিং ...
স্বাগতম - রায়হান আবীর, স্বপ্নাহত, এবং পরিবর্তনশীল ।
স্বাগতম - স্বপ্নাহত, রায়হান আবীর ও পরিবর্তনশীল।
একেবারে "ইকোনো লেখে চমৎকার, এক কলমে মাইল পার অবস্থা"। এক লেখায় তিনজনই সচল!
কনগ্র্যাচুলেশনস্
কি মাঝি? ডরাইলা?
সবাইকে কোটি কোটি ধন্যবাদ
---------------------------------
-মহিব
ভাবসাব দেখে মনে হইল "উনি একজন মানুষ"
স্বপ্নাহত, রায়হান আবীর ও পরিবর্তনশীল,
সচল হওয়ায় শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হ্যাপি ব্লগিং।
হুমম। হাত ভাল আছে বলেই মনে হচ্ছে। সচলায়তন এমনই এক নেশা যে দিনে অন্তত বিশবার ভিজিট করা হয়। তবে ব্যস্ততা এত বেশি যে লেখা সম্ভব হয়ে উঠছেনা।
সচলায়তনে স্বাগতম।
লেখাটা চোখের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিলো, কনফুর কথায় পড়লাম। চমৎকার গতিময় লেখা।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
অনেক পরে পড়লেও লেখাটা ভাল লাগল খুব। নিজের কথা মনে পড়ে গেল। প্রথমদিকের কথা তো বাদই দিলাম, আমি তো এখনো পুরাই অবসেসড! আমার আবার অনিদ্রা রোগ আছে, ঘুম হয়ও খুব ছাড়া-ছাড়া। ল্যাপটপ সারা রাত খোলাই থাকে। মাঝে মাঝে রাতে ঘুম ভাঙলে, বিছানায় শুয়েই, সচলায়তনের পাতায় চোখ রাখি। প্রিয় কারো পোস্ট আসলো কি না, অথবা নতুন কোন কমেন্ট। কি অদ্ভুত নেশা!
_______________
বোকা মানুষ
এতদিন পর এই পোস্টে মন্তব্য দেখে বেশ আমোদ পাইলাম। অনেক নস্টালজিকও হয়ে গেছি। ধইন্যবাদ বস।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তোদের দু'বছর আগে সচলায়তনের প্রতি যে আকর্ষন কাজ করছিলো...দু'বছর পর আমার সেই অবস্তা...যে লেখাটি তোকে সচল করে দিয়েছিল সেটা আজ পড়লাম আর উৎসাহিত হলাম...আবার আফসোসও হচ্ছে তোদের সাথেই বা কেন শুরু করলাম না?
এত সুন্দর করে লিখলি... মুগ্ধ না হয়ে উপায় আছে?
লেখালেখি তোরে দিয়াই হবে...আমার মতো যারা ছেঁড়া স্যান্ডেল পরতে লজ্জা পায় তারা সারাজীবন পাঠক হয়েই রবে হয়তো
শুভ কামনায়
ভন্ড_মানব
আমি একগুঁয়ে স্বভাবের কি না ,, যখন যেদিকে ছুটি ,পুরো পৃথিবী কাঁধে নিয়ে ছুটি ...গত দিন দশেকের মধ্যেই আমার এই হ্মুদ্র বালিকা হৃদয় ,আর আমার নেই ! নিজে মোটেই লিখতে জানি না, তাতে কি ?মন্তব্যবাজ সেজে হলেও আমি আজীবন সচলে থাকতে রাজী ! লাভ ইউ " সচলায়তন "---*তিথীডোর
নেক্সট যারা সচল হইতে চায় তাদেরকে এইটার চোথা সাপ্লাই দিতে হবে!!
খিকজ!!
জেনে রাখলাম!!
বোহেমিয়ান
নিবিড় প্রভা-ইডেড চোথাটা গতবছর দরকার ছিলো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভাই পরিবর্তনশীল আপনার লেখা পড়তে আমার প্রচন্ড ভালো লাগে। আরো ভালো লাগতো যদি বর্ত্মান সময়ে আপনাকে সচলে দেখতাম।
খারাপ লাগে যখন দেখি ভালো কেউ আর লেখে না, যদি কোনদিন এই পোস্টটা আপনি আবার পড়েন তবে আপনার প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনি যেন আবার সচলে লেখেন।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
আহা! সচলে প্রথম দিকের সেইসব দিন।
সেদিন ক্লাস থেকে হলে ফিরতেই দেখি- মেকানিকাল ব্লগ থেকে জিহাদ দৌড়ায়া আসতেছে- আনন্দে সব দাঁত বাইর হইয়া আছে। কইল, "মেইল চেক করছস? আমরা তো সচল হয়া গেসি!"
সেই মেইল দেইখা যে আনন্দ পাইছিলাম- এমআইটি কিংবা কেমব্রিজ থেকে এডমিশন লেটার পাইলে তার অর্ধেক আনন্দও পামু না।
সাড়া পেয়ে গেলে সব প্রেমেই হয়তো ভাটা পড়ে
ভালো বলসেন।
হায় সচলায়তন।
পরিবর্তনশীল ভাইডি।
ডাকঘর | ছবিঘর
নতুন মন্তব্য করুন