পুরুষ কাঁদে না

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০২/২০০৮ - ১২:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক

ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে বুকের ভিতরে এক ধরনের শুন্যতা অনুভব করতে থাকে আসিফ। কিছু যেনো হারিয়েছে, কিছু যেনো হারিয়ে যাবে তেমনি একটি অনুভূতি। বিছানার উপর হাঁ করে থাকা স্যুটকেসটা আর তার আসেপাশে ব্যক্তিগত ব্যবহার্য কিছু জিনিসের সংগে হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা তার জামা কাপড়গুলো তাকিয়ে আছে। সময় হয়ে আসছে। স্যুটকেসটা গুছিয়ে ফেলা দরকার।

মা'র গুনগুনিয়ে কোরান পড়ার আওয়াজ ভেসে আসছে। নামাজ পড়ে কোরান পড়ে হয়তো ছেলের নির্বিঘ্ন ভ্রমন কামনা করছেন। মারুফ দরজা থেকে একবার উঁকি দিয়ে চলে যেতে নেয়। আসিফ জিজ্ঞেস করে, 'কিছু বলবে মারুফ?' সে কিছু না বলে মাথা নেড়ে লাজুক মুখে দাঁড়িয়ে থাকে। আসিফ অনেকটা যেনো অভয় দেয়ার মত করে মুচকি হেসে স্যুটকেস গোছাতে শুরু করে। মারুফ সংকুচিতভাবে বলে 'আমি গুছিয়ে দিই?'
'আচ্ছা দাও।' হেসে ফেলে বলে আসিফ। মারুফ যথাসম্ভব তাকে ভাইয়া ব'লে ডাকাটা এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে। বয়সের ব্যবধান আর নিজেদের অজান্তে গড়ে তোলা দুরত্বের কারনে হয়তো লজ্জা পায়। আসিফ জিজ্ঞেস করে 'জাফর কোথায়?'
'ভাইয়া ঘুমাচ্ছে, এখনো ওঠেনি।' মারুফ মন দিয়ে ভাই এর জামা কাপড়গুলো ভাঁজ করতে করতে উত্তর দেয়।

মারুফকে কী যেনো জিজ্ঞেস করবে ব'লে ভেবে রেখেছিলো আসিফ, মনে করতে পারছেনা। এই ভাইটির সাথে তার বয়সের ব্যবধান প্রায় চৌদ্দ বছরের। যখন খুব ছোট হাঁড় জিরজিরে শুকনো ছিলো, চশমা পরতো, তখন একবার ওকে নিয়ে স্কুল থেকে ফেরার সময় আসিফ জিজ্ঞেস করেছিলো, 'তোমার বন্ধুদের আর কারো বড় ভাই আছে?'
'হ্যাঁ,' একটু চিন্তা করে বলেছিলো মারুফ, 'তবে কেউ তোমার মত বড় না।'
'তোমার খারাপ লাগে?'
'বাহ্ খারাপ লাগবে কেনো, ভালো লাগেতো।'
দেশ ছেড়ে যাবার সময় ওর বয়স ছিলো হয়তো দশ বা এগারো। ওর বেড়ে ওঠাটা দেখা হয়নি কাছ থেকে। মাঝে মাঝে ফোনে কথা ব'লে একজন মানুষকে আর কতখানি চেনা যায়, বিশেষ করে ষোলো বছরের একটি কিশোরকে যে অনেক কৌতুহল আর উত্তেজনা নিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে তরুন্যে।

আসিফ বাথরুমে ঢুকে যায় গোসল সেরে নিতে। দীর্ঘ ভ্রমনের আগে একটা ভালো গোসল দরকার। পানির ঝর্না ছেড়ে দিয়ে তার নীচে দাঁড়াতেই মারুফকে কী জিজ্ঞেস করার কথা ভাবছিলো মনে পড়ে যায়। ওকে কখনো জিজ্ঞেস করা হয়নি ও কবিতা পড়ে কি না, কিংবা গোপনে কবিতা লেখার চেষ্টা করে কি না। বাথরুম থেকে বেরিয়ে জেনে নিতে হবে।

দ্রুত কেটে গেলো দিনগুলো। এইতো এলো সেদিন, আর দেখতে দেখতে ফিরে যাবার দিনও এসে গেলো। প্রবাসের প্রথম দিকের নিঃসঙ্গ একাকী দিনগুলোতে সুযোগ পেলেই দেশে আসার কথা ভাবতো। কল্পনার ঘোড়া ছুটিয়ে দিতো। আনন্দ হৈ চৈ বাবা মা ভাই বন্ধু প্রেমিকা। বাস্তবে সেরকম কিছুই হয়নি। হ'বার মত পরিবেশ আর নেই। অনেক দেরী হয়ে গেলো আসতে। বদলে গেছে কতকিছু।

বাবা চলে গেলেন গত বছর। কিছুই বলেন নি। শুধু শেষ কিছুদিন ফোনে কথা হলেই ধরা গলায় বলতেন, 'বাবা চলে এসো দেশে। আমরা গ্রামে চলে যাবো। তোমার দাদার বাড়ীটা আবার ঠিকঠাক করিয়ে আমরা ক'জন মিলে বেশ থাকতে পারবো।' আসিফ কিছু না বলে চুপ করে থাকতো। তিনি নিঃশব্দে কান্না চাপার চেষ্টা করতেন। ছোটবেলা থেকে দেখে আসা সেই কঠিন মানুষটির এই হঠাৎ দুর্বল রূপটি খুব অচেনা লাগতো। সবাই চলে যায় নিজ ভিটে ছেড়ে, তারপর সারাজীবন শুধু ফিরে যাবার স্বপ্ন লালন করে যায়। বাবা হয়তো সারাজীবন স্বপ্ন দেখেছেন অবসর জীবনের অলস বিকেলগুলোতে সেই স্কুলের মাঠে গিয়ে বসে থাকবেন যেখানে ফুটবল খেলতেন বা ঘুড়ি ওড়াতেন শৈশবে। যদি ফিরে যেতে পারতেন তবে কি কোনো এক সন্ধ্যের আগে আগে কোন এক বিশেষ বাড়ীর সামনে দিয়ে হেঁটে আসার সময় মনে করতেন কৈশোরের কোনো এক গাছের আড়ালে লুকিয়ে যেতে দেখা একটি ওড়না বা লাজুক হাসির স্মৃতি? জানা হবে না আর কখনো। তাড়াহুড়ো করে চলে গেলেন কিছু না বলে। আসিফ দেশে আসতে পারেনি সেসময়।

বন্ধুদের বেশীর ভাগকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। জীবন যুদ্ধে কে কোথায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে। যে কয়েকজনকে পাওয়া গেছে তারাও কাজ আর পারিবারিক জীবনের ব্যস্ততায় সময় দিতে পারেনি খুব একটা। শৈশবের খুব কাছের বন্ধু স্বপনকে খুঁজতে গিয়ে জেনেছে সেও দেশের বাইরে আছে। খুব স্বপ্নালু চোখ ছিলো ওর। স্কুলের মেয়েরা, পাড়ার মেয়েরা ওকে বেশী পছন্দ করতো ব'লে গোপন একটি হিংসে ছিলো আসিফের মনে। শৈশবের অনেক রোমহর্ষক অভিযানের সঙ্গী। লুকিয়ে সিগারেট, ক্লাস পালিয়ে সিনেমা, কবিতার বই চুরি, জুম্মার নামাজ ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়ানো, আরো কত কিছু। একবার অনেক সাধনা ক'রে, অনেক সময় নষ্ট করে, বাড়ীর কাজ ফাঁকি দিয়ে আসিফ নিজের লেখা কবিতা দিয়ে একটি প্রেমপত্র লিখে দিয়েছিলো স্বপনকে তার গোপনে ভালো লাগা মেয়েটির জন্যে। সেই প্রেমপত্র অবশ্য কখনোই দেয়া হয়নি মেয়েটিকে। আর আসিফেরও কবিতা লেখা এগোয়নি। স্বপনের সাথে সেইসব স্মৃতিগুলো মিলিয়ে নেবার খুব ইচ্ছে ছিলো।

স্বপনকে না পেয়ে সেদিন শহরের এখানে সেখানে রিক্সায় ঘুরতে ঘুরতে, ছোট খাটো আর বড় বড় পরিবর্তনগুলো দেখতে দেখতে, কোথায় যাওয়া যায় ভাবতে ভাবতে চলে এসেছিলো সেই এলাকায় যেখানে কাটিয়েছিলো প্রাইমারী স্কুলের বয়সটা। কেউ যায় এমন? সেই বাসাটা দেখতে আগের মতই আছে, শুধু পুরোনো হয়েছে অনেকখানি। দোতলার বারান্দায় মা'র কোলে উঠে মাথা ঝুঁকিয়ে কৌতুহলী চোখে রাস্তার মানুষ দেখছে একটি ছোট ছেলে। সেওতো এমনি করে 'রাস্তা দেখা' করেছে কতো! সে যখন আনমনে তাকিয়ে দেখছিলো শিশুটিকে, আপনা আপনি খুলে যাচ্ছিলো স্মৃতির জানালাগুলো, তখন রাস্তার মোড়ে আড্ডারত ছেলেদের মধ্যে একজন এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করে, 'কাকে খুঁজেন ভাই?'
সম্বিত ফিরে পেয়ে আসিফ বলে, 'কাউকে না।'
'কাউকে না!' ছেলেটির চোখে বিশ্ময়।
আসিফ কিছু না বলে পাশ দিয়ে যেতে থাকা একটি রিক্সায় উঠে চলে আসে। ছেলেগুলো সন্দেহের চোখে তাকিয়ে থাকে। নিজের উপর বিরক্ত হয় একটু। এমন আবেগপ্রবন ছেলেমানুষী কাজ করে কেউ এই বয়সে?

বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভিতর দিয়ে আসার সময় দু'টি ছেলে মেয়েকে একটু আড়াল ক'রে একটু ঘনিষ্ট হয়ে বসে থাকতে দেখে মনে পড়েছে সীমার কথা। ওর হাতটা ধরার জন্যে, একটু নরম ছোঁয়া পাওয়ার জন্যে, শরীরের মাদকতাময় গন্ধটা নেয়ার জন্যে ওর সাথে ঘনিষ্ট হয়ে এইভাবে বসে থাকতো সেইসব দিনগুলোয়। প্রথম যৌবনের প্রেম, ঝালমুড়ি -চানাচুর, হাসি , মান-অভিমান, ঝগড়া, মুখ না দেখাদেখি, স্বপ্ন। তারপর সে যখন বাইরে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় তখন দু'জনই বুঝতে পেরেছিলো, আর হয়তো স্বপ্নটা টেনে নেয়া যাবেনা। সীমা বুঝতে পেরেছিলো সমবয়সী প্রেমিক নিজ পায়ে দাঁড়ানোর জন্যে যুদ্ধ করে যাবে আরো অনেকদিন। আসিফ বুঝতে পেরেছিলো সমবয়সী প্রেমিকা আর বেশীদিন বিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা। সীমা করুন গলায় হেসে বলেছিলো, 'আমার কখনো বিকিনি প'রে তোমার সাথে সমুদ্র সৈকতে হাঁটা হবে না, তাই না?' কেঁদেছিলো। সেই তো শেষ। একবার ভেবেছে সীমার অফিসে গিয়ে দেখা ক'রে চমকে দেবে ওকে। পরমুহূর্তেই ভেবেছে পুরোনো আবেগ খুঁচিয়ে তোলার কোনো মানে হয় না। জানা হবে না সীমা কেমন থেকেছে এতদিন, স্বামীর সাথে হেঁটেছে কি না কোনো সমুদ্র সৈকতে। আসিফ হেঁটেছে, তারও অনেক পরে, একা।

বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখে জাফর ঘুম থেকে উঠে গেছে। আসিফকে দেখে বললো, 'ভাইয়া তুমি কাপড় বদলে নাস্তা করতে এসো। আমরা অপেক্ষা করছি তোমার জন্যে।'
'তোমার ক্লাস আছে আজ?'
'আছে। তোমাকে বিদায় দিয়ে তারপর যাবো।' জাফর চলে যায় খাবার ঘরের দিকে। ওর চেহারা আর ব্যক্তিত্বে বাবার যুবক বয়সের ছাপ স্পষ্ট। আসিফ ঘরে ঢুকে কাপড় বদলাবার আগে স্যুটকেসটায় একবার দেখে নেয় মারুফ সবকিছু ঠিকমত তুলেছে কি না।

মা গতকাল থেকেই কিছুক্ষন পরে পরে কাঁদছেন। খাবার টেবিলে শেষবারের মত পরম যত্নে আসিফের প্লেটে খাবার তুলে দিতে দিতে বলেন, 'আবার কবে আসবে বাবা?'
'বছর খানেকের মধ্যেই আবার আসবো।'
'সেই প্রথম বারও এক বছরের কথা ব'লে এতগুলো বছর পরে এলে। তোমার বাবা থাকতে আসতে পারলেনা। শেষ দিনগুলোতে শুধু বলতেন তুমি ফিরে এলে তোমাকে নিয়ে গ্রামে যাবেন।' কন্ঠ বুঁজে আসে তাঁর, আঁচলে চোখ মোছেন। আসিফ চুপ ক'রে থাকে। তিনি আবার বলেন, 'একেবারে চলে আসতে পারোনা বাবা?'
'আর কয়েক বছর পরেই চলে আসবো মা, আরেকটু গুছিয়ে নিই...।'
এইসময় কাজের ছেলেটার ডাক শোনা যায় বাইরে থেকে, ট্যক্সি নিয়ে এসেছে।

---
দুই

ট্যাক্সির পেছনের সিট থেকে হাত নেড়ে বিদায় জানায় আসিফ গেটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মা'কে আর ভাইদেরকে। ট্যাক্সি চলতে শুরু করতেই মারুফ শিশুর মত দৌড়ে এসে গাড়ীর জানলা ধরে ধরা গলায় বলে 'ভাইয়া, তুমি সত্যিই এক বছরের ভেতর আসবেতো?'
'নিশ্চয় আসবো।' আসিফ হেসে প্রতিশ্রুতি দেয়।

একবছর কেটে যাবে দেখতে দেখতে জানে আসিফ, এক বছরের মধ্যে ফেরা হবে কি না তা নিশ্চিত করে জানে না। ট্যাক্সি এগিয়ে যায়। পিছিয়ে যেতে থাকে চেনা মুখ, বাড়ী-ঘর, পাড়ার দোকান। মোড় ঘোরার আগে আসিফ আরেকবার ঘাড় ফিরে তাকায়। জাফর মুখ শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে, বাবার মত লাগছে দেখতে ওকে; মারুফকে কেমন অসহায় দেখাচ্ছে, মনে পড়লো কবিতা লেখার কথাটা জিজ্ঞেস করা হয়নি ওকে; মা কাঁদছেন, কত বুড়ো দেখাচ্ছে মা'কে তার। আসিফ মুখ ফিরিয়ে সামনে তাকায়। ফিরে যাচ্ছে সেখানে, যেখানে কেউ অপেক্ষা ক'রে নেই তার জন্যে।

ট্যাক্সি বড় রাস্তায় এসে ওঠে। হঠাৎই আসিফের চোখ ঝাপসা হয়ে আসতে শুরু করে। ড্রাইভারের দৃষ্টি আড়াল ক'রে দ্রুত চোখ মুছে ফেলার চেষ্টা করে সে। কিন্তু ততক্ষনে ভাঙ্গন শুরু হয়ে গেছে বুকের ভেতর, অনেক বছর ধরে সতর্কতার সাথে ধরে রাখা কাঠিন্যের বাঁধটা ধ্বসে পড়তে থাকে, খড়কুটোর মতো ভাসিয়ে নিয়ে যায়। দু'হাতে মুখ ঢেকে মাথা নিচু ক'রে রাখে সে, শরীর কেঁপে ওঠে কান্নার দমকে। কান্না চাপতে গিয়ে গোঙ্গানির মত অদ্ভূত একটা একটা শব্দ বেরিয়া আসে গলা দিয়ে। বুঝতে পারে ড্রাইভার অবাক হয়ে রিয়ার ভিউ মিররে তাকিয়ে দেখছে তাকে। সে কান্না চাপার ব্যর্থ চেষ্টা করে যেতে থাকে।

-------------------------------
শামীম হক


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

একটা বোকার মত প্রশ্ন করি - আপনার লেখা এত ভালো এবং পরিণত বলেই অবশ্য প্রশ্নটা মাথায় আসলো - আপনি কি একজন পরিচিত/প্রতিষ্ঠিত/নিয়মিত লিখিয়ে ? দেশের বাইরে থাকার ফলে নতুন যারা ভালো লেখেন তাদের খবর পাওয়া হয় না, তাই ......

আপনার আগের গল্পটাও খুব ভালো ছিলো, মন্তব্য করা হয় নি।

পুতুল এর ছবি

অনেক কথা মনের জানালায় উকি দিচ্ছে। খুব প্রাণবন্ত একই সাথে মন খারাপ করে দেয়া লেখা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

@স্নিগ্ধা
লজ্জা দেবেন না প্লিজ। আমি এই লাইনে নতুন, সচলায়তন দিয়েই শুরু।

@পুতুল
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

- শামীম হক

রাশেদ এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। কিন্তু মন্টাও খারাপ হয়ে গেলো।

সৌরভ এর ছবি

পুরুষ কাঁদে না!


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

শামীম,
আরোও একজন কাঁদানে গ্যাস নিয়ে ঢুকেছে সচলে।
সকাল সকাল (আমি জার্মানীতে) চোখদুটো সজল করে দিলেন মিয়া।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

স্বপ্নাহত এর ছবি

বয়স খুব বেশি হয়নি।কিন্তু স্মৃতিকাতর করার মত কিছু স্মৃতি কিভাবে কিভাবে যেন হয়ে গেল।আপনার গল্পটা পড়ে আরেকবার পেছন দিকে তাকালাম।পিছু ফিরলো পুরোনো কিছু দ্বীর্ঘশ্বাসও।

পৃথিবীতে আসিফ একা নয়।সবাই ই জীবনের কোন না কোন সময়ে আসিফ হয়ে যায়।

গল্পটি অসম্ভব ভাল লেগেছে।আরো কিছুর অপেক্ষায় রইলাম।

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চমৎকার লাগলো।
আরও একটু দারুণ লেখা, শামীম। জাঝা

অতিথি লেখক এর ছবি

আহ, মন্তব্যগুলো পড়ে মনটা ভরে গেলো। দিলখুশ হাসি
- শামীম

বিপ্লব রহমান এর ছবি

সবাই চলে যায় নিজ ভিটে ছেড়ে, তারপর সারাজীবন শুধু ফিরে যাবার স্বপ্ন লালন করে যায়।

অসাধারণ!


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মিহির  এর ছবি

ফাটাফাটি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।