পূর্বপাঠ্যঃ বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর.............. প্রশ্ন পর্ব-১ ( http://www.sachalayatan.com/guest_writer/12590)
বিশ্বাসে পাওয়া বস্তু (যেমনটি ঐ যুবক পেয়েছে তার পুতুল বউকে) নিয়ে যদি কেউ সন্তুষ্ট থাকতে চান- তো আর কি আর করা!
আর যারা তর্কে বহুদূর যেতে চান,
তাদের উদ্দেশ্যে কিছু প্রশ্ন।
শুরু করছি ছোটোখাটো ও অতি সাধারণ একটি প্রশ্ন দিয়ে-
হয়তো- এদিয়েই আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করতে পারবো-
প্রশ্ন ১: আচ্ছা প্রশ্ন হিসাবে না দিয়ে প্রসঙ্গটি কথোপকথন আকারে উপস্থাপন করি.........
:এই বিশ্বজগত, এই প্রকৃতি- সবই কত সুশৃঙ্খলভাবে চলতেছে। যত দেখি ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ে।
:তাহলে ক্যাটরিনা বা সুনামি বা সিডর - এই বিশৃঙ্খলা দেখে কি শ্রদ্ধা কমে?
:নারে ভাই, সবই ঈশ্বরের লীলা। হয়তো তিনি মানুষের পরীক্ষা নিচ্ছেন, নতুবা মানুষের কৃতকর্মের জন্য শাস্তি দিচ্ছেন।
:শাস্তি?
:জানেনতো, নুহের সময় মহা প্লাবনের কথা? সেটা তো শাস্তি ছিল। তবে, এখন কেন ঈশ্বর এসব দিচ্ছেন, তা ঈশ্বরই ভালো জানেন।
:ভাই, বিশ্বজগতের সুশৃঙ্খলা দেখে আপনার ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা বড়েছে, নাকি ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধার কারণে- এসবের মধ্যে ঈশ্বরের মহিমা দেখেছেন?
:মানে?
:ঈশ্বরের ধারণাটি পাওয়ার পর আপনি তাঁর মহিমায় পঞ্চমুখ, নাকি সবকিছু দেখে শুনে তারপর আপনি ঈশ্বরের ধারণাটি নিজের মধ্যে উপলব্ধি করেছেন? আপনার পিতামাতা বা পরিবেশ থেকেই তো জন্মের পর যে ধারণাটি পয়েছেন- তাইতো আপনার মধ্যে অপারেট করছে।
:না, আপনার কথা আংশিক ঠিক। আমি হয়তো জন্ম থেকে এই বিশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু প্রতিনিয়ত এই বিশ্বাস যুক্তি দিয়েই পাকাপোক্ত হয়েছে ও এখনও হচ্ছে। চারপাশে চোখ-কান একটু খোলা রাখলেই ঈশ্বরের মহিমা সকলের কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে। আর, এমন অনেকেই আছে- যারা জন্মের সময় অন্য ধর্মের ছিল কিন্তু পরে ধর্মান্তরিত হয়ে আমাদের ধর্মে এসেছে।
:চোখে রঙ্গিন চশমা একবার উঠে গেলে, যতক্ষণ তা না খোলা হয় ততক্ষণ দুনিয়াটাকে রঙ্গিনই লাগে। আর রঙ্গিন চশমা চোখে যতবেশি সময় ধরে থাকে ততই দুনিয়াটা রঙ্গিন- এ ধারণা আরো পাকাপোক্ত হতে থাকে। আর, অনেকে যেমন আপনার ধর্ম গ্রহণ করেছে- তেমনি অনেকে আপনার ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে কনভার্ট হয়েছে। এতে কি প্রমান হয়?
:দেখুন, আমাদের ধর্মগ্রন্থে সেই কোন সময়ে- এ কথা বলা হয়েছে- এমন অবিশ্বাসী মানুষ যুগে যুগে আসবে, তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। এটাও ঈশ্বরের এক ধরণের পরীক্ষা।
:আচ্ছা, আপনি আপনার ধর্মগ্রন্থকে এত বিশ্বাস করেন, তার রেফারেন্স দিচ্ছেন- এর কারণ কি? আপনি কি একে বাছাই করে নিয়েছেন, মানে সব ধর্মগ্রন্থ পড়ে পার্থক্য বুঝে বাছাই করেছেন- নাকি, এটাও জন্মের পর থেকে আপনার মাথার ভিতরে প্রবেশ করেছে, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস জন্মেছে তারপর এটি এক ও অদ্বিতীয় গ্রন্থ হিসাবে আপনার আস্থা অর্জন করেছে?
:পরে কিন্তু আমি অন্য ধর্মগ্রন্থও পড়েছি। খুব সহজেই পার্থক্য পরিস্কার হয়। আমাদেরটিই একমাত্র, সঠিক ও ঐশী।
:আপনি অন্যগুলো পড়তে পারেন, কিন্তু আপনি আপনারটি পড়েছেন স্থির বিশ্বাস নিয়ে- ফলে যা কিছু পড়েছেন আপনার বিশ্বাস দিয়ে ব্যাখ্যা করে সন্তুষ্ট থেকেছেন। আর অন্যদের গুলো পড়েছেন প্রথমেই স্থির অবিশ্বাস নিয়ে- ফলে যা কিছু পড়েছেন তার বিপরীতে একটা যুক্তি অটোমেটিক আপনার মধ্যে তৈরি হয়েছে।
:এখনকার বিজ্ঞানের অনেককিছুই কিন্তু আমাদের ধর্মগ্রন্থে পাবেন। সেই কোন আমলে বুঝেন কিভাবে এই অত্যাধুনিক বিজ্ঞানের আলোচনা স্থান পেল?
:আপনি কি জানেন, অন্য ধর্মগ্রন্থেও কিন্তু স্ব স্ব বিশ্বাসীরা বিজ্ঞানের অনেক মিল খুঁজে পান? আচ্ছা বলেন তো - এই আপনার জন্ম যদি অন্য কোন ধর্মীয় পরিবারে হত আপনার অবস্থান কি অনুরূপ হতো? আজ আপনি যে শুকর বা গরু এত মজা করে খান- মুসলিম পরিবারে বা হিন্দু পরিবারে জন্ম হলে কি তা খেতে পারতেন?
:কিন্তু তাদের অনেকে কিন্তু খায়!
:সেরকম আপনার ধর্মের অনেকেই অনেক ধর্মীয় ভাবে নিষিদ্ধ কাজ কারবার করে- এটা করে দুকারণে- হয় রঙ্গিন চশমাটা খুলে ফেলে নয়তো- আরেকটা পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে অনেকটা সুবিধাবাদির কারণে।
...........................
বাকিটা আপনারা চালাতে থাকুন,
দেখা যাক কতদূর চলে!!!!!!!
(চলবে)
মন্তব্য
এই সুন্দর ফুল, সুন্দর ফল
মিঠা নদীর পানি
খোদা তোমার মেহেরবানী
কি মাঝি? ডরাইলা?
আস্তিকতায় পরম নির্ভরতার একটা ব্যাপার থাকে।
আর বিশ্বাসেই শান্তি।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নাস্তিকতায় স্বনির্ভরতা ব্যাপারটাও কম শান্তির নয়।
কি মাঝি? ডরাইলা?
- দে পানাহ্ দে, ইয়া ইলাহী-
দে পানাহ্...
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রোজার মাসে ইফতারের আগে এই গানটা বাজাইত বিটিভি ,,, আমরা গাইতাম, "দে খানাহ, ইয়া ইলাহী ,,,,"
ধুসর আবার ওযু করতে দৌড় না দিলেই হয়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
পাবিনা রে তুই পাবিনা খোদারে
ব্যথা দিয়ে তার মানুষের প্রাণে ...
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
নাস্তিকের ধর্মকথা
==================
এ পর্যন্ত যতখানি এগুনো হলোঃ..............
: এই সুন্দর ফুল, সুন্দর ফল
মিঠা নদীর পানি
খোদা তোমার মেহেরবানী
:তবে কি .......
মহামারি, ভূমিকম্প যত
ঝড়, সিডর আর রোগ-বালাই শতশত
যুদ্ধ, মানুষে ভেদাভেদ, মারামারি- হানাহানি
সবই কি খোদার শয়তানি???
:আস্তিকতায় পরম নির্ভরতার একটা ব্যাপার থাকে।
আর বিশ্বাসেই শান্তি।
:নাস্তিকতায় স্বনির্ভরতা ব্যাপারটাও কম শান্তির নয়।
:দে পানাহ্ দে, ইয়া ইলাহী-
দে পানাহ্...
:রোজার মাসে ইফতারের আগে এই গানটা বাজাইত বিটিভি ,,, আমরা গাইতাম, "দে খানাহ, ইয়া ইলাহী ,,,,"
:পাবিনা রে তুই পাবিনা খোদারে
ব্যথা দিয়ে তার মানুষের প্রাণে ...
:পাবিনা রে তুই পাবিনা খোদারে
খোদা বলে নাই কিছুরে.......
মানুষের প্রাণে দিতে ব্যথা
খোদার ব্যবহার যথা তথা
নাস্তিকের ধর্মকথা
================
আশা করি, আরো চলবে..................
দেরী করে হলেও পড়া হল এবং খুবই ভাল লাগল। ধর্ম একদল মানুষের শোষনের হাতিয়ার। ধর্মের নামে যদি রূপকথার গল্প বলি তবু মানুষ তা বিশ্বাস করবে কিন্তু শত যুক্তিতর্ক আর প্রমান উপস্থাপন করলেও এর অসারতার কথা মানুষ কে বিশ্বাস করানো কত কষ্টের তা বলাই বাহুল্য।
রবিন
নতুন মন্তব্য করুন