[url=http://en.wikipedia.org/wiki/Peter_Ward_(paleontologist)]পিটার ডি ওয়ার্ড[/url] রচিত "ইমপ্যাক্ট ফ্রম দ্য ডিপ" প্রবন্ধের বঙ্গানুবাদ
অনুবাদ: মুহাম্মদ
---------------------
দার্শনিক ও ইতিহাসবিদ টমাস এস কুন-এর মতে বিজ্ঞান অনেকাংশেই একটি জীবের মত আচরণ করে। তার কথায়: ধীর অথচ নিরবচ্ছিন্নভাবে বিবর্তিত হওয়ার পরিবর্তে বিজ্ঞান মাঝে মাঝেই বিভিন্ন বিপ্লবী ঘটনার শিকার হয়। একটি নতুন প্রজাতির আবির্ভাবের মাধ্যমে যেমন জীবজগতে বিপ্লবের সৃষ্টি হয় তেমনি একটি নতুন তত্ত্বের আবির্ভাবে বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সৃষ্টি হয়, আর এরকম বিপ্লবের মাধ্যমে বিজ্ঞান সহসাই বড় ধরণের ঝাঁকুনি খায়। আমি যে বিষয়ে গবেষণা করি তার ক্ষেত্রে এ ধরণের বর্ণনার সত্যতা আরও বেশী। আমার গবেষণার বিষয় "গণ বিলুপ্তির কারণ ও ফলাফল"। পর্যায়ক্রমিকভাবে বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীবাসী জীবজগতের একটি বিশাল অংশের বিলুপ্তি ঘটেছে এবং বিলুপ্তির পর পুরো পৃথিবীর অবস্থাটাই গেছে পাল্টে। এ ধরণের বিলুপ্তিকে বলে গণ বিলুপ্তি।
প্রায় দুই শতাব্দীকাল আগে বিজ্ঞানীরা এ ধরণের ঐতিহাসিক গণ বিলুপ্তির ঘটনা চিহ্নিত করেন। তখন মনে করা হয়েছিল, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং শিকার, প্রতিযোগিতা ও রোগ-শোকের মত জৈব প্রভাবের কারণে ধীরে ধীরে স্বাভাবিকভাবেই এই গণ বিলুপ্তি ঘটেছে। কিন্তু ১৯৮০ সালে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলির বিজ্ঞানী ওয়াল্টার আলভারেজের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি বিজ্ঞানী দলের গবেষণার ফলাফল গণ বিলুপ্তি বিষয়ে কুনীয় বিপ্লবকে নতুন করে চাঙ্গা করে তোলে। তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফলটি হল, আজ থেকে ৬৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে ডাইনোসরদের বিলুপ্তি হঠাৎ করে হয়েছিল আর বহির্বিশ্ব থেকে আগত গ্রহাণুর আঘাতে সৃষ্ট বাস্তুতান্ত্রিক বিপর্যয়ই ছিল এই বিলুপ্তির কারণ। এরপরের দুই দশক ধরে এই চিন্তা ব্যাপক প্রসার লাভ করে যে, মহাকাশ থেকে আগত কোন বস্তুর আঘাতে পৃথিবীর জীববৈচিত্রের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। অনেক গবেষকরা মেনেই নেন, পাঁচটি বড়সড়ো গণ বিলুপ্তির মধ্যে আরও তিনটির কারণ বহির্জাগতিক বস্তুর এ ধরণের সংঘর্ষ। এই ধারণাটি সাধারণ্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করে হলিউড থেকে "ডিপ ইমপ্যাক্ট" ও "আর্মাগেডন" এর মত ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার পর।
প্রাচীন জীবকূলের এভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণ ও ফলাফল নিয়ে আমাদের চিন্তা এখন আবার নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। স্তরীভূত শিলার বিভিন্ন স্তর থেকে নতুন নতুন সব ভূ-রাসায়নিক প্রমাণ বেরিয়ে আসছে। শিলাগুলোকে সেই বিলুপ্তি ঘটনার ভূতাত্ত্বিক চিত্রালেখ্য হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারটি হল "রাসায়নিক অবশিষ্টাংশ" যাকে এক ধরণের জৈব নির্দেশক বলা হয়। খুব ক্ষুদ্র জৈব-বস্তু যারা জীবাশ্ম ছেড়ে যেতে পারে না তারাই এই নির্দেশক তৈরী করে। এই সবগুলো উপাত্ত এক করে বোঝা গেছে, এ ধরণের আকস্মিক সংঘর্ষ গণ বিলুপ্তির একটি ব্যতিক্রমী কারণ মাত্র, কোন নিয়ম নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, পৃথিবী নিজেই জীবকূলের একটি বিরাট অংশের শত্রু হয়ে দাড়ায় যা আগে ভাবাও যেতো না। তবে এখন ভাবা যাচ্ছে, আমরা মানুষরা পৃথিবীর বুকে যে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছি তাতে জীব মণ্ডলে আবার সে ধরণের বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে।
আলভারেজের পর
এ ধরণের সংঘর্ষ নমুনার পক্ষে যে প্রমাণগুলো পাওয়া গেছে, নমুনাগুলো দিয়েই আবার সেই প্রমাণগুলো পরীক্ষা করা যাচ্ছে। আলভারেজ তার বাবা পদার্থবিজ্ঞান লুই ডব্লিউ আলভারেজ এবং নিউক্লীয় রসায়নবিদ হেলেন ভি মিচেলের সাথে মিলে যে উন্নততর নীতি আবিস্কার করেন তার দুইটি পৃথক প্রকল্প ছিল: প্রথমত, প্রায় ১০ কিলোমিটার ব্যাসের একটি বৃহৎ গ্রহাণু ৬৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল; দ্বিতীয়ত এই সংঘর্ষের পরিবেশগত প্রতিক্রিয়ায় সমগ্র জীববৈচিত্রের অর্ধেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এই সংঘর্ষের একটি প্রমাণ তারা পেয়েছেন। পার্থিব বস্তুতে ইরিডিয়ামের পরিমাণ খুব কম থাকে কিন্তু বহির্জাগতিক বস্তুতে তার আধিক্য দেখা যায়। গ্রহাণুর সংঘর্ষের ফলে পৃথিবীতে ইরিডিয়ামের যে ধূলিময় আভার সৃষ্টি হয়েছিল তার নিদর্শন আবিষ্কার করা গেছে।
এই বিস্ময় জাগানিয়া ঘোষণার পরপরই সেই বহির্জাগতিক ঘাতকের পদচিহ্ন আবিষ্কৃত হয়। মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা সেই চিহ্নের নাম চিকশুলুব খাদ। এই আবিষ্কারের পর, বহির্জাগতিক বস্তুর আঘাতে ডাইনোসরদের রাজত্ব ধ্বংস হয়েছে এ নিয়ে যতটুকু সন্দেহ অবশিষ্ট ছিল তাও নিঃশেষ হয়ে যায়। সেই সাথে অন্য গণ বিলুপ্তি ঘটনাগুলোর কারণ নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়, একটি বিলুপ্তি সংঘর্ষের কারণে হলে অন্যগুলোই বা সে কারণে হতে পারবে না কেন? গত ৫০০ মিলিয়ন বছরে পাঁচবার পৃথিবীর জীবকূলের উল্লেখযোগ্য অংশ বিলুপ্তির শিকার হয়েছে। ৪৪৩ মিলিয়ন বছর পূর্বে অর্ডোভিসিয়ান যুগে এ ধরণের প্রথম বিলুপ্তির ঘটনা ঘটে। ৩৭৪ মিলিয়ন বছর পূর্বে দ্বিতীয় বিলুপ্তির ঘটনাটি ঘটে ডেভোনিয়ান যুগের শেষ দিকে। সবচেয়ে বড় গণ বিলুপ্তিটি ঘটেছিল ২৫১ মিলিয়ন বছর আগে পার্মিয়ান যুগের শেষ দিকে। সে সময় জলভাগের শতকরা ৯০ ভাগ এবং স্থলভাগের শতকরা ৭০ ভাগ জীব নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল, উদ্ভিদ, প্রাণী বা পোকামাকড় কেউই সে কড়াল থাবা থেকে রেহাই পায়নি। এরপর আবার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুযজ্ঞ ঘটে ২০১ মিলিয়ন বছর পূর্বে, যে বিলুপ্তির মাধ্যমে ট্রায়াসিক যুগ শেষ হয়। আর সব শেষে ৬৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে ক্র্যাটাসিয়াস যুগে ডাইনোসরদের বিলুপ্তি ঘটে।
১৯৯০-এর দশকে জীবাশ্ববিদ ডেভিড রাউপ তার "এক্সটিংশন্স: ব্যাড জিন্স অর ব্যাড লাক?" নামক বইয়ে উল্লেখ করেন, সবগুলো গণ বিলুপ্তিই বহির্জাগতিক বস্তুর সংঘর্ষের কারণে হয়েছিল এবং ছোটখাট আরও সংঘর্ষের কারণে সীমিত পর্যায়ে আরও বিলুপ্তির ঘটনা ঘটেছে। ক্র্যাটাসিয়াস ও টার্শিয়ারি যুগের মধ্যে যে ভূতাত্ত্বিক সীমানা রয়েছে তাও এ ধরণের সংঘর্ষ ঘটনার সাক্ষ্য বহন করে। নির্দিষ্ট প্রমাণের মধ্যে রয়েছে: চিকশুলুব খাদ, ইরিডিয়ামের স্তর, সংঘর্ষের ধ্বংসাবশেষ যার মধ্যে আছে পৃথিবীব্যাপী বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে থাকা চাপ-সংকুচিত পাথর। এছাড়া প্রাচীন পলিতে পাওয়া রাসায়নিক তথ্যাদি আমাদের জানিয়ে দেয়, গণ বিলুপ্তিগুলোর পর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও জলবায়ু কিভাবে দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছিল।
আরও কিছু বিলুপ্তি যুগের নিদর্শনে সেই বহির্জাগতিক বস্তুর ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ভূতাত্ত্বিকেরা ১৯৭০-এর দশকে ডেভোনিয়ান যুগের শেষ দিককার বিলুপ্তি ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি ইরিডিয়াম স্তরের সন্ধানও পেয়েছেন। আর ২০০২ সালের মধ্যে বেশ কিছু আবিষ্কার প্রস্তাব করছে যে, ট্রায়াসিক যুগের শেষ পর্যায় ও পার্মিয়ান যুগের শেষ পর্যায়ের সীমানার মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে বহির্জাগতিক বস্তুর সংঘর্ষ ঘটেছিল। এছাড়া ট্রায়াসিক স্তরে সামান্য পরিমাণ ইরিডিয়ামের সন্ধান মিলেছে। একটি উল্লেখযোগ্য প্রমাণ হচ্ছে, পার্মিয়ান যুগের স্বতন্ত্র "বাকিবল" (Buckyball) কার্বন অণু যার মধ্যে বহির্জাগতিক গ্যাস আটকা পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব কারণে অনেক বিজ্ঞানীই সন্দেহ করছেন, পাঁচটি বড় ধরণের গণ বিলুপ্তির চারটিই ঘটেছে বহির্জাগতিক বস্তুর সংঘর্ষের কারণে। একমাত্র ব্যতিক্রম হল অর্ডোভিসিয়ান যুগের ঘটনাটি। আমাদের মহাজাগতিক প্রতিবেশের কোন এক তারার বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট বিকিরণের কারণে সে বিলুপ্তিটি ঘটেছিল বলে মনে করা হয়।
অধুনা গবেষকরা এসব উপাত্ত একসাথে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং এই প্রচেষ্টার কারণে এমনকিছু একটা বেরিয়ে আসছে যাকে এ ধরণের সংঘর্ষ ঘটনার সাথে ঠিক মেলানো যায় না। নতুন জীবাশ্ম বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পার্মিয়ান ও ট্রায়াসিক যুগের বিলুপ্তিটি কয়েক হাজার বছরের ব্যবধানে ধীরে ধীরে ঘটেছে। তার উপর আবিষ্কৃত হয়েছে, বায়ুমণ্ডলে কার্বনের পরিমাণ পর্যায়ক্রমিকভাবে বাড়ে আর কমে, যাকে কার্বন চক্র নামে অভিহিত করা হয়। এ ধরণের আবিষ্কার অব্যাহত থাকলে অচিরেই হয়তো আমাদের মেনে নিতে হবে, কোন আকস্মিক সংঘর্ষ নয় বরং ক্রমান্বয়িক পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণেই গণ বিলুপ্তিগুলো ঘটেছিল।
চলবে ...................
---------------------------
সূত্র: সাইন্টিফিক অ্যামেরিকান; অক্টোবর ২০০৬
---------------------------
মুহাম্মদ২০১৭
মন্তব্য
ভাল উদ্যোগ আর লেখাও ভাল। ধন্যবাদ।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ধন্যবাদ। আর তিন কিস্তিতেই আশাকরি শেষ হয়ে যাবে।
-------------------------
মুহাম্মদ
ডাইনোসর এর মতো মহা শক্তিশালী প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এবং এমন না যে এই ধরণের আঘাত শেষ হয়ে গেছে। যে কোন সময় আমাদের উপরও নাজিল হতে পারে বহির্জাগতিক এই আঘাত। চিন্তার বিষয়।
দারুন উদ্যোগ। পরের পর্বের জন্য মুখিয়ে আছি।
খুব ভালো লাগল।
অনেক কিছু জানতে পারলাম।
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
চমৎকার!! চলুক।
এমনকি হতে পারে মানুষের হাতেই ডাইনোসাররা বিলুপ্ত হয়েছিল, যেমন তিমিরা হচ্ছে।
বাপ্পী
ক্রিটাশিয়াস-টার্শিয়ারির বিলুপ্তিটিও বেশ কয়েক হাজার বছরের ব্যবধানেই ঘটেছে বলে পড়েছিলাম (দ্য অ্যানসেস্টর'স টেল, রিচার্ড ডকিন্স)। প্রথম চোটে, অর্থাৎ গোঁত্তা, ভূমিকম্প, ৎসুনামি, তাপপ্রবাহ আর শব্দে একটা বিশাল অঞ্চল জুড়ে অনেক প্রাণী (স্থল ও জলচর উভয়ই) মারা পড়েছিলো, তার পরবর্তী বিলুপ্তি ধীরে ধীরে ঘটে খাদ্যশৃঙ্খল ব্যাহত হওয়ায়। তাছাড়া এ ধরনের ইমপ্যাক্টের আগে বায়ুমন্ডলে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় বহিস্থ উল্কার তীব্রবেগের কারণে, যা সংঘর্ষের পর পতনবিন্দুর আশেপাশের ধূলার স্তর দিয়ে পূর্ণ হয়ে ওঠে, ফলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সূর্যরশ্মি বেশ বড় একটা অঞ্চল জুড়ে আর মাটিতে পৌঁছাতে পারে না। স্বাভাবিকভাবেই জলবায়ু ও বৃক্ষমন্ডলে দ্রুত পরিবর্তন আসে।
স্তন্যপায়ীদের বিকাশও এই ফাঁকা মাঠে ঘটেছে বলেই ধারণা করা হয়। ডাইনোসরদের দাপটে এর আগে কোণঠাসা হয়ে থাকতে হতো বেচারিদের, ডাইনোসরদের গোষ্ঠী লোপাট হবার ফলে তারা বেশ দ্রুত প্রকৃতির শূন্যস্থান(নিশ)গুলি পূরণ করা শুরু করে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
পিটার ওয়ার্ডও খুব সম্ভবত রিচার্ড ডকিন্সের সাথে একমত হয়েছেন।
সংঘর্ষবাদীরা ইরিডিয়ামের যে স্তরের কথা বলে তা সম্ভবত এই ধূলার স্তরকেই বোঝায়।
----------------------------------
মুহাম্মদ
ইরিডিয়ামের ভস্ম তো আছেই, আশেপাশের মাটি আর পাথরের স্তরও চূর্ণ হয়ে বাতাসে ভেসে বেড়ায়। বোমা ফাটার পরে যেমন হয়, তেমনি।
আফ্রিকার চাদের একটি মরুময় অঞ্চলের কারণে আমাজন বনভূমি এত ঊর্বর, কারণ শক্তিশালী একটি বায়ুস্রোত সরাসরি চাদের খনিজ বালু উড়িয়ে নিয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার পশ্চিমদক্ষিণপশ্চিমে আমাজন অববাহিকায় নিয়ে ফেলে। এটি দীর্ঘদিন ধরে ঘটে আসছে, এবং নিয়মিত একটি ঘটনা। প্রশান্ত মহাসাগরের যেসব অঞ্চলে আগ্নেয়গিরি আগে সক্রিয় ছিলো, সেসব অঞ্চলে আশেপাশের দ্বীপগুলিতে মাটি বেশ ঊর্বর, কারণ আগ্নেয় ভস্মে মাটির পুষ্টি বাড়ে। বাতাসে এই ভাসমান কঠিন কণার পরিমাণ যদি হঠাৎ বেড়ে যায়, তাহলে আবার সহজে সেগুলি পৃথিবীতে ফিরে আসে না। বায়ুমন্ডল থেকে ধূলিকণা আবার পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্যে যে প্রক্রিয়া, অর্থাৎ বৃষ্টিপাত এবং তীব্র বায়ুপ্রবাহ, সেগুলিও ব্যাহত হয় সূর্যের আলো ভূস্তরে পৌঁছাতে না পারায়। ফলে দীর্ঘসময় ধরে এর প্রভাব থাকে। ক্রাকাতোয়া অগ্ন্যুৎপাতের ফলে যেমন হয়েছিলো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
@হিমু: আপনার ক্রিটাশিয়াস শব্দটি আমি নিলাম। কারণ এটাই ঠিক। আমি ভুল করেছি, ক্রেটাসিয়াস হবেনা।
----------------------------------
মুহাম্মদ
নতুন মন্তব্য করুন