আজকাল পত্রিকার সাথে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, খুব সম্ভবত ১৯৯৩ থেকে। অচ্ছেদ্য বাঁধনে আমি বাধা ছিলাম পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত আজকাল পত্রিকার সাথে। আলোচনা বা সমালোচনা , সম্পাদক অশোক দাশগুপ্তের কলাম " নেপথ্য ভাষনের " , মন্ত্রমুগ্ঘের মত আকর্ষনী ক্ষমতার আমি ছিলাম একনিষ্ঠ পাঠক । শুধু কি তাই , আজকাল পত্রিকার " রবিবাসর ", " আয়না " , " উত্তর সম্পাদকীয় " কী না পড়তাম। বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিশ্লেষন মন ছুঁয়ে যেত।
হঠাৎ ই আবিঃষ্কার করলাম , আজকাল স্হানচ্যুত , লক্ষ্যচ্যুত। ক্ষুদ্র পাঠকের মূল্য দিতে আমার প্রিয় আজকাল আজ অপারগ।
পূর্ব অভ্যাস বশত ২২ ফেব্রুয়ারী খুলেছিলাম আজকাল। বিদেশ সংক্রান্ত খবরের পৃষ্ঠায় জহিরুল হকের রিপোর্ট " একুশের ঢাকায় জানাল নির্বাচন কমিশন, ভোটে দাঁড়াতে পারবে না ৭১ - এর ঘাতক দালালরা " । এক অবিশ্বাস্য আনন্দে নেচে উঠেছিল মন। এখানে পড়ুন।
বিস্তরিত সংবাদ পড়ার পূর্বেই মেসেজ পাঠালাম নির্বাচন কমিশনে কর্মরত বন্ধুকে, খানিক পরেই এল নির্দয় উত্তর " কে দেয় এমন ফাউল খবর ? "। তবু বিশ্বাস করতে মন চাইল না , আজকাল পত্রিকা নিশ্চই ভুল সংবাদ পরিবেশন করেনি। এক সাংবাদিক বন্ধুর কাছে জানতে চাইলাম , পেলাম একই উত্তর। কথাপ্রসঙ্গে এক বড়ভাইকে বলেছিলাম , তিনি জানতে চাইলেন আমার মস্তিষ্কের সুস্হতা সম্পর্কে ।
বাহ আজকাল বাহ। কী প্রয়োজন ছিল মিথ্যে সংবাদ পরিবেশন করার ? কী প্রয়োজন ছিল পাঠকের আবেগ নিয়ে খেলার ? প্রিয় অশোক দাশগুপ্ত , আপনি জানেন না এবং কখনই জানবেন না কতটা আবেগ জড়িত বাংলাদেশীদের একাত্তর এবং একুশ নিয়ে ।
আমার মত খুব অল্প সংখ্যক পাঠকের আবেগের সাথে প্রতারনা করেছেন আপনি , জনাব অশোক দাশগুপ্ত । শুধু কি তাই , মিথ্যে সংবাদ পরিবেশনের নূন্যতম দায় স্বীকারের প্রয়োজনীয়তাটুকুও অস্বীকার করেছেন। খুব কি ক্ষতি হয়ে যেত দুঃখ প্রকাশ করলে ? আর যাই হোক অন্তত পাঠকের আবেগকে সম্মান দেয়া হত। নয় কি?
আমার পরিচয়, আমি ক্ষুদ্র পাঠক। আমার খুব বেশি কিছু করার নেই , তবু অন্তত একটি প্রতিবাদ , আজ থেকে আজকাল পত্রিকার সাথে আমার পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। জানি এমন পাঠকের পড়া , না পড়ায় কিছু যায় আসে না । তবু আমার প্রতিবাদ টুকু থাকল।
বিদায় আজকাল
বিদায় অশোক দাশগুপ্ত
মন্তব্য
এতো সহজে হতাশ হলে চলে না এখানে । সব পত্রিকাই আকছার এই ধরনের নিউজ ছাপে । এছাড়া বক্তার বক্তব্যের খন্ডিত অংশ হেডিঙে ব্যবহার করে পাঠকদের বিভ্রান্ত করার নজির সারা বিশ্বেই আছে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপনার লেখার পড়েই মনে হলো বড় একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে আপনি আর আপনার প্রিয় কলকাতা দৈনিক আজকালের মধ্যে। আগেই বলে রাখি আমি কখনই আজকাল পড়িনি, মাঝে মাঝে খেলার কোন স্কোর দেখতে হলে বড়জোর "আনন্দবাজারে" চোখ বুলিয়েছি, কলকাতার দৈনিক নিয়ে আমার কোন অভিঙ্তা নেই।
আপনার দেয়া লিংক থেকে খবরটা পড়লাম এবং অশোক দাশগুপ্তের কোথায় ভুল হয়েছে ঠিক বুজলাম না। আপনি কি ২১ তারিখের বাংলাদেশের সমকাল/ প্রথম আলো/ যুগান্তর পড়েছেন- সমকালের লিংকটা দিলাম। খবরের সারর্মম হলো- "নির্বাচন কমিশন নতুন আইন করতে যাচ্ছে যে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোন আদালতে দন্ডিত যেকোন যুদ্ধাপরাধী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।" আজকাল এই খবরটাই ছেপেছে। নির্বাচন কমিশনে কর্মরত আপনার বন্ধুকে আরেকটা sms করুন
আমরা সবাই জানি কোন কোন জামাত নেতা যুদ্ধাপরাধী, কারা কারা গণহত্যায় সাহায্য করেছে- কিন্তু প্রচলিত আইনে বিচার কিন্তু হয় নাই কারো। আমাদের রাজনীতিবিদরা ক্ষমতার জন্য রাজাকারদের বিচার করেনাই। তাই এখনো এদের আস্ফালন দেখতে হয়। তাই শুধু আইন করে কোন লাভ নাই বিচার না করলে, তাওতো এখন আইনটা হচ্ছে (হয়তো!!), একটা কিছু তো শুরু হলো।
--
কৈলাশ
"নতুন আইন করতে যাচ্ছে" এবং " নতুন আইন ঘোষনা করেছে " এর পার্থক্য ব্যাপক , অনুগ্রহ করে দুটো রিপোর্ট ভালভাবে পড়ুন তারপর মন্তব্য করুন। @ কৈলাশ
লেখক
কি জানি হয়তো আমারই বোঝার ভুল- আবার ভাল করে পড়ার পরেও (আগেই পড়েছিলাম) আমার এখনো মনে হচ্ছে আপনি যে কারনে বিদায় দিলেন অশোক দাশগুপ্তকে সেটা বোধ হয় খুব একটা শক্ত হচ্ছে না। এখনো বুজলাম না অশোক দাশগুপ্তের ভুলটা কোথায় হয়েছে। নিউজের কোথাও বলা নাই যে আইনটা পাশ হয়ে গেছে- বলা হয়েছে "তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘোষণা করলো নির্বাচন কমিশন।"
এনিওয়ে কোন পেপার পড়বেন আর পড়বেন না এইটা সম্পূর্ন আপনার ব্যাপার। ভাল থাকবেন।
-
কৈলাশ
কাল কথঢষঋঘঃভঃ
ী
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/12747#
নতুন মন্তব্য করুন