মহাকর্ষীয় ট্রাক্টরের খবর শুনেই চিন্তাটা মাথায় আসল। এ নিয়ে সার্চ করতে করতে এমন কিছু তথ্য পেলাম যার কথা আগে চিন্তাও করতে পারতাম না। মানুষ নাকি মহাকর্ষীয় বলকে নিয়ন্ত্রণ করে গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তন করে দিতে পারবে। কল্পবিজ্ঞানেও যার আভাস পাইনি আগে, তা-ই হয়ে উঠল বাস্তবতা। মহাকর্ষীয় ট্রাক্টরের মাধ্যমে গ্রহাণুর গতি কেন পরিবর্তন করা দরকার বা কিভাবে তা করা হবে এ নিয়ে পরে লিখার ইচ্ছা আছে। আজকে লিখব আরও চমকপ্রদ একটি বিষয় নিয়ে। শুধু গ্রহাণু না পুরো পৃথিবীকেই মহাকর্ষীয় ট্রাক্টরের মাধ্যমে কক্ষচ্যুত করা সম্ভব এবং আমাদেরকে এটি করতেও হতে পারে। কেন করতে হবে তা আগে বলে নেয়া ভাল, তাহলে করার প্রক্রিয়া নিয়ে বলা কথাগুলো বাস্তবানুগ মনে হবে।
সব তারাই একসময় মৃত্যুবরণ করে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাদের একটি জীবনচক্র রয়েছে। সূর্যের জীবনচক্রটি নিচের চিত্রের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
চিত্র দিয়েই সব বোঝা যাচ্ছে। বর্তমানে সূর্যের বয়স ৪৫০ কোটি বছরের সামান্য বেশি। এর কেন্দ্রে মজুদকৃত হাইড্রোজেনের অর্ধেকই খরচ হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। প্রতি ১১০ কোটি বছরে সূর্যের উজ্জ্বলতা শতকরা ১০ ভাগ হারে বেড়ে যাচ্ছে। এ হিসেবে সূর্যের বয়স যখন ৬০০ থেকে ৮০০ কোটি বছর হবে তখন পৃথিবীর অবস্থা থাকবে বর্তমান শুক্র গ্রহের মত। বোঝাই যাচ্ছে, জীবনধারণের কোন অবস্থাই সেই পৃথিবীতে থাকবে না। বয়স ৯৪০ কোটি বছর হলে সূর্য লোহিত দানবে পরিণত হতে শুরু করবে। অর্থাৎ এর আয়তন ও উজ্জ্বলতা বহুগুণে বাড়তে থাকবে। ১০০০ কোটি বছর পরে সূর্যের ব্যাস বর্তমানের তুলনায় ১০০ গুণ বেড়ে যাবে যা সর্বোচ্চ। আমি সূর্যের ভবিষ্যৎ বলা এখানেই শেষ করবো। কারণ, আমার এই প্রবন্ধের জন্য এটুকুই যথেষ্ট। এই তথ্যগুলো জানিয়ে মূল আলোচনায় প্রবেশ করছি।
এতোদিন বিজ্ঞানীরা ধারণা করে এসেছেন সূর্যের এই সর্বোচ্চ ব্যাসের সময়ে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬৪০ কোটি বছর পর বুধ গ্রহ সূর্যের ভেতরে চলে যাবে তথা ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু শুক্র ও পৃথিবী ধ্বংস হবে না। কি কারণে পৃথিবীকে গলঃধকরণ করতে পারবে না বলে মনে করা হতো তা ডঃ রবার্ট স্মিথ এভাবে বলেছেন: “আমরা এর আগে দেখিয়েছিলাম, সূর্য যতই বর্ধিত হবে ততই সৌর বায়ুর মাধ্যমে তার ভর হারাতে থাকবে। সেই সৌর বায়ু বর্তমানের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হবে। এভাবে ভর হারানোর কারণে পৃথিবীর উপর সূর্যের মহাকর্ষীয় টান কমে আসবে। ফলে পৃথিবীর কক্ষপথ বাইরের দিকে সরে যাবে। সূর্য প্রসারিত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবীর নাগাল পাবে না।” বলা বাহুল্য, শুক্রকে গলঃধকরণ করতে না পারার কারণও এটি। কিন্তু এই রবার্ট স্মিথ অপর জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডঃ ক্লাউস-পিটার শ্রোয়েডারের সাথে মিলে একটি নতুন গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। এতে তারা বলেছেন, বর্ধিষ্ণু সূর্যের একটি বিশাল প্রভাবকে নগণ্য ধরেই আগের গণনাগুলো করা হয়েছে। সেই প্রভাবটিকে ধরলে দেখা যায়, পৃথিবী চূড়ান্ত ধ্বংস থেকে পালাতে পারবে না। তাকে এবং শুক্রকেও সূর্যের অভ্যন্তরে চলে যেতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবটি নিয়ে তাই কিছু বলছি।
একটি তারা যখন প্রসারিত হয়ে লোহিত দানব হওয়া শুরু করে তখন তার মূল আয়তনের বাইরে আরও বিশাল এলাকা জুড়ে আরেকটি পাতলা স্তর গঠিত হয়। এই বিজ্ঞানীদ্বয় হিসাব করে দেখেছেন, ৭৬০ কোটি বছর পরে (সূর্যের বয়স যখন ১২২০ কোটি বছর) পৃথিবী মূলত এই পাতলা বহিঃস্তরের মধ্যেই থাকবে। অর্থাৎ সূর্যস্তরের ভিতরে থেকেই সে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে থাকবে। এই স্তর অতোটা ক্ষতিকর নয়, কিন্তু এই পাতলা স্তর মহাকর্ষীয় বলের কারণে পৃথিবীকে আকর্ষণ করবে। আর এই আকর্ষণেই অবশেষে পৃথিবী সূর্যের কেন্দ্রের দিকে যাওয়া শুরু করবে।
এতো গেল পৃথিবীর কথা, কিন্তু এতে বসবাসকারী জীবকূলের কি হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৭৬০ কোটি বছর কেন, আর এক বিলিয়নের বেশি পৃথিবীতে জীবের বসবাস সম্ভব নয়। কারণ সূর্যের ধীর প্রসারণের কারণে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ছে। তাই এক সময় সমুদ্রের সব জল বাষ্প হয়ে যাবে। এই বাষ্প আবার কার্বন ডাই অক্সাইডের মত গ্রিনহাউজ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। ফলে সব বাষ্প ও বায়ু মহাশূন্যে বিলীন হয়ে যাবে। জীব বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে পৃথিবী, মাত্র এক বিলিয়ন বছরে। কিন্তু, কোনভাবে যদি আমরা সেই প্রতিকূল পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ করে আরও ৭৬০ কোটি বছর বেঁচে থাকতে পারি তাহলে তো চিন্তা করতে হবেই। তাই আগে ভাগে সব ভেবে রাখতে দোষ কোথায়? সেই সাথে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক তত্ত্বও যদি বেরিয়ে আসে তাহলে তো কথাই নেই।
সূর্যের পাতলা বহিঃস্তরের কথাই যদি সত্য হয় তবে প্রাকৃতিক নিয়মে পৃথিবী কখনই চূড়ান্ত ধ্বংস এড়াতে পারবে না। লাগবে কৃত্রিম কোন নিয়মের। এই কৃত্রিম নিয়ম বা পদ্ধতিটিই হতে পারে মহাকর্ষীয় ট্রাক্টর। আসলে ট্রাক্টর বললে বিষয়টিকে খাটো করে দেখা হয়। মহাকর্ষীয় বলকে নিয়ন্ত্রণের যেকোন পদ্ধতিই এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। পদ্ধতিটি নিশ্চয় কারও আন্দাজ করতে বাকি নেই, মহাকর্ষীয় বল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর কক্ষপথকে বাইরের দিকে ঠেলে দিতে পারি।
মহাকর্ষীয় বল নিয়ন্ত্রণের একটি কার্যকর পদ্ধতি প্রস্তাব করেছে সান্টা ক্রুজ ইউনিভার্সিটির একটি গবেষক দল। পদ্ধতিটা এরকম: পৃথিবীর কাছ দিয়ে যখন একটি গ্রহাণু উড়ে যায় তখন তার মহাকর্ষীয় বলটিকে সংগ্রহ করতে হবে। সংগৃহীত এই বলের মাধ্যমে পৃথিবীর কক্ষপথকে খুব মৃদু ঠেলা দেয়া সম্ভব। এভাবে অনেকগুলো গ্রহাণুর বল দিয়ে ধীরে ধীরে পৃথিবীর কক্ষপথকে বাইরের ঠেলতে হবে।
মানুষ কিন্তু সূর্যের লোহিত দানব অবস্থার কথা ভেবেই মহাকর্ষীয় টানে পৃথিবীকে কক্ষচ্যুত করার কথা ভাবতে শুরু করেছিল। আর সেই কথা ভাবতে গিয়ে এখন ৭৬০ কোটি বছর বেঁচে থাকার উপায়ও আবিষ্কৃত হয়ে গেছে। আগে বলেছি, কোনভাবে যদি বেঁচে থাকতে পারি। এখন আর তার দরকার নেই। মহাকর্ষীয় বল নিয়ন্ত্রণ করেই ততদিন বেঁচে থাকা সম্ভব। প্রতি ৬ হাজার বছরে যদি একটি করে গ্রহাণুর মহাকর্ষীয় টান সংগ্রহের মাধ্যমে পৃথিবীকে ঠেলতে থাকা যায়, তাহলে অন্তত আরও ৫০০ কোটি বছর পৃথিবী জীবের বাসযোগ্য থাকবে। সঠিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করা গেলে ৭৬০ কোটি বছর শুধু নয়, এর পরও পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখা যায়। কারণ মহাকর্ষীয় আকর্ষণ নিয়ন্ত্রণ করেই পৃথিবীর চূড়ান্ত ধ্বংস ঠেকানো সম্ভব।
এবার একটু ভিন্ন সুরে কথা বলা যাক। এতো কষ্ট করার কি কোন প্রয়োজন আছে? এর চেয়ে সহজ কোন সমাধান কি নেই? আর এটি করেই কি খুব বেশি লাভ আছে? প্রশ্নগুলোর কাটকাট উত্তর দেয়ার উপায় নেই। তাই এই প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধতা নিয়ে কিছু বলা দরকার। যেকোন বল থেকে কাজ আদায় করা সম্ভব। কিন্তু সেজন্য, উক্ত বলের কারণে একটি ভরযুক্ত জিনিসের সরণ হতে হবে। বলের সাথে সরণ গুণ করলেই কাজ পাওয়া যায়। কিন্তু মহাকর্ষীয় বলের এ ধরণের বৃহৎ স্কেলের সরণ ঘটে না। তাই এটা সংগ্রহ করাটা বেশ জটিল। আরেকটি বিষয় হল, আমরা যা-ই করি না কেন সূর্য তো একসময় মৃত্যুবরণ করবেই। সূর্যের ধ্বংসাত্মক রূপ থেকে রক্ষা পেলেও মারণ রূপ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে কি? সূর্য যখন শ্বেত বামন হয়ে যাবে তখন পৃথিবীতে থাকার কোন প্রশ্নই উঠে না। কারণ আশেপাশে শক্তির কোন বিশেষ উৎস থাকবে না। তাই ভিন্ন ধারায় পরিচালিত হতে হবে আমাদের চিন্তাধারা। এই ভিন্নধারা অনেক মজার এবং কম সময়ে এতে ফল পাওয়অ যাবে অনেক বেশি।
ভিন্নধারাটি হচ্ছে মহাবিশ্বের অন্যত্র উপনিবেশ স্থাপন। লক্ষ-কোটি তো নয়ই হাজার বছরের ব্যবধানেই অন্য কোন গ্রহে বা অন্য কোন তারার জগতে উপনিবেশ স্থাপন করতে পারবে মানুষ। এমনকি এক ছায়াপথ থেকে অন্য ছায়াপথে যাতায়াতও শুরু হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা হল মানুষ বসবাসের উপযোগী গ্রহ খুঁজে পাওয়া। সৌর জগতের বাইরে এখন পর্যন্ত আমরা যে ২৫০ টি’র মত গ্রহ খুঁজে পেয়েছি তার কোনটিতেই প্রাণ বেঁচে থাকতে পারবে না। ভবিষ্যতে যে অনুকূল গ্রহ খুঁজে পাব না তা তো হলফ করে বলা যায় না। আর একেবারেই না পেলে কাছাকাছি পরিবেশের কোন গ্রহকে উপযোগী বানিয়ে নিলেই হল। মার্কিনীরা তো ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে মঙ্গল ও চাঁদে উপনিবেশ স্থাপন করার।
সূর্যকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর মত যোগ্যতা এখনও আমাদের হয় নি, তথাপি অচিরেই সে পথে এগুতো যাচ্ছি আমরা। আর কিছুকাল পরই হয়তো মহাজাগতিক সঙ্গীতে নতুন সুরের সৃষ্টি হবে। অন্য কোন তারার পাশে বা অন্য কোন ছায়াপথে যাবে মানুষ, এভাবে সেই সঙ্গীতে ভিন্ন রকমের কতশত সুরের সৃষ্টি হবে। আর সেই সব সুর একসাথে অবজ্ঞাভরে জানাবে, "প্রয়োজন নেই সূর্যের তীব্রতা"।
মন্তব্য
প্রিয় অতিথি লেখক,
লেখার সাথে আপনার নাম সংযোজন করলে বোধহয় ভালো হয়। আপনি যদি ইতিমধ্যে সচলে নিবন্ধন করে থাকেন, তাহলে আপনার নিবন্ধননাম এবং ইমেইল ঠিকানাটি সংযোজন করতে পারেন লেখার শেষে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
লেখাটি আমাদের জ্ঞানী "মুহাম্মদ" এর লেখা। সে নাম দিতে ভুলে গেছে।
ইদানিং ওনার লেখার ধারা থেকে সেরকমই ধারনা করেছিলাম।
জ্ঞানের পোস্ট। ধন্যবাদ।
এই লেখাটা আগের গুলোর মতো মাথার উপর দিয়ে যায়নি। পড়ে বুঝলাম। থাঙ্কু।
---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...
খুবই জটিল একটা বিষয় নিয়ে অত্যন্ত প্রাণবন্ত একটি লেখা।
আমাদের দেশের সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানের এসব বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতে- বাংলা ভাষায় এই ধরণের লেখা অনেক বেশি জরুরী।
মুহাম্মদের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
তবে মুহাম্মদের সাথে আরো অনেককে এগিয়ে আসতে হবে।
আমরা যারা বিজ্ঞানের ছাত্র- তারা যদি এই কাজটি না করতে পারি
তাহলে আর কারা করবে?
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
ইনিই কি উইকিপিডিয়ার মুহম্মদ?
ঠিক।
উইকিপিডিয়ায় আপনি আছেন নাকি?
ওখানে আপনার নাম?
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
আছি অনেকটা না থাকার মতই। সেখানে আসল নামেই আছি, তাই সরাসরি উত্তর দিলামনা; গুগলের কল্যাণে গোপন করার যদিও কিছুই নাই।
- ভালো লাগলো লেখাটা।
কয়েকটা প্রশ্নের অবতাড়না হলেও শেষতক এসে খানিকটা পরিষ্কার হয়েছে। এরকম লেখা আরও লিখুন।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ সবাইকে। বিজ্ঞান নিয়ে লিখতেই সবচেয়ে ভালো লাগছে। লেখা চালিয়ে যাচ্ছি তাই এটি নিয়েই।
আমি নিজে যে জিনিসগুলো সবচেয়ে ভালো বুছি সেগুলোই সবচেয়ে ভালো বোঝাতে পারবো অন্যকে। তবে আমার লেখার প্রচেষ্টা মূলত নিজের জানার প্রচেষ্টারই অংশ। একটা কিছু লিখলে অনেক দিন মনে থাকে এবং বিষয়টাও পরিষ্কার হয়ে যায়।
কেউ প্রশ্ন করলে তার উত্তর খুঁজতে গিয়ে আরও খানিকটা জানা হয়ে যায়। আর প্রকৌশলের ছাত্র হয়ে এখন বুঝতে পারছি বিশুদ্ধ বিজ্ঞান নিয়ে পড়লে ভালো হতো। কিন্তু সামাজিক ব্যবস্থার কারণে সবাই তো এক দিকে ধাবিত হয়। সেভাবেই থেকেই তাই খানিকটা বিজ্ঞান চর্চা আর কি।
@হিমু: নাম লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম, দুঃখিত। এরপর আর হবে না আশা করি।
-----------------------------------
মুহাম্মদ
নতুন মন্তব্য করুন