দুপুরবেলা ভরপেট খেয়ে একটা ভাতঘুম ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম, এমন সময় ফোনটা বাজলো। আমার ঘনিষ্ঠতম বন্ধু শিবলী খুবই উত্তেজিত ভঙ্গিতে বললো, এখনই আমার বাসায় চলে আয়, যত দ্রুত সম্ভব । আমি জিজ্ঞেস করলাম সাথে লাঠিসোটা কিছু আনতে হবে নাকি। এরকম কথা জিজ্ঞেস করার যথার্থ কারন অবশ্য আছে। আমার এই বন্ধুটি মহা দাঙ্গাবাজ এবং গোয়ার প্রকৃতির। যেখানেই যায় একটা ঝামেলা না বাধিয়ে ছাড়ে না। গত মাসেই ট্রাফিক পুলিশকে চড় মেরে বসেছিলো কারন ট্রাফিক আমাদের রিকশাওয়ালাকে চড় মেরেছিলো। ওর কল্যানেই জীবনে প্রথমবারের মত তিনঘন্টার ছোটখাটো একটা হাজতবাসের সুযোগ হয়েছিলো এবং ওর সাথে থাকলে ভবিষ্যতে এমন সুযোগ যে আরও আসবে সে ব্যপারে আমি নিশ্চিত। যাইহোক আমার দাঙ্গাবাজ এবং গোয়ার বন্ধু আমাকে দ্বিতীয় কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন রেখে দিল। আর আমি হাতের কাছে যথোপযুক্ত কোন অস্ত্র না পেয়ে ‘অসির চেয়ে মসি বড়‘ এই বাণীতে বিশ্বাস করে আমার ফাউন্টেনপেনটি হাতে তুলে রওনা হলাম। তবে আমার ফাউন্টেন পেনটি অস্ত্র হিসেবে মোটেও অগ্রাহ্য করার মতোন না। এর কালি বিচ্ছুরণ ক্ষমতা অসাধারণ। আমি যেদিনই একে পকেটে নিয়ে বের হয়েছি আমাকে প্রচুর পরিমানে কালি উপহার দিয়েছে যার দরুন আমার প্রায় সব শার্টেরই বুক পকেটে এ হৃদয়ের কাছাকাছি জায়গাটিতে একটি আধুলি সাইজের ‘ব্ল্যক স্পট‘ আমার ব্যর্থ হৃদয়কে সুন্দরভাবে তুলে ধরে। আজ হয়তো শত্রুকে কালিমা লেপনে এটি সহায়তা করতে পারে। আর তা ছাড়া এটি যে শুধু কাগজের লেখা হয়ে খোঁচাতে পারে তা নয় বরং এর চোখা অগ্রভাগ সরাসরি খোঁচা দেয়ার কাজেও সমান পারদর্শী।
ওর বাসায় গিয়ে বোঝা গেল জরুরী তলবের রহস্য। আমরা দু‘জনেই অনার্স ফাইনাল দিয়ে বসে আছি রেজাল্টের অপেক্ষায়। আমি চাকরীর জন্য টুকটাক চেষ্টা করে গেলেও শিবলী তার ধার কাছ দিয়েও যাচ্ছেনা। বরং কিছুদিন পরপর এক একটা করে উদ্ভট ব্যবসার পরিকল্পনা ওর মাথা থেকে বের হচ্ছে। আপাতত ওর মাথায় প্রাইভেট ভার্সিটি খোলার পরিকল্পনা ঢুকেছে। আমাকে জরুরী তলবের কারন ওর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা নাম ঠিক করে দেয়া। আগেই বলেছি আমার বন্ধু শিবলী বেশ গোয়ার প্রকৃতির, মাথায় একটা কিছু ঢুকে গেলে বের করা মহা মুশকিল। ক্লাস টেনে থাকতে ও একবার রবীন্দ্র সঙ্গীত লিখবে বলে গো ধরেছিল। আমি ওকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম রবীন্দ্রসঙ্গীত লেখা যায় না। রবীন্দ্রসঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কেউ লিখতে পারেনা। আর তিনি যখন আর জীবিত নেই তাই নতুন করে রবীন্দ্রসঙ্গীত
লেখা সম্ভব নয়। শিবলী বলল, রবীন্দ্রসঙ্গীত কি রবীন্দ্রনাথ একাই গেয়েছেন নাকি? তার জীবদ্দশায় বা তার মৃত্যুর পরে রবীন্দ্রসঙ্গীত অনেকেই গেয়েছেন এবং গেয়ে যাচ্ছেন। আর রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলে যদি অপরাধ না হয় তবে সেটা লিখলে সমস্যা কোথায়। অকাট্য যুক্তি! এবার কেন জানি হঠাৎ ক্ষেপে উঠেছে প্রাইভেট ভার্সিটি দেয়ার জন্য। আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে সে একাজ করতে চাইলে আমি হয়তো আপত্তি করতাম না। আমাদের দেশে একেকসময় একেক ব্যবসার হুজুক আসে। একসময় খুব জমে উঠেছিলো নার্সিংহোম ব্যবসা। কমার্শিয়াল এলাকাতে কোনমতে দু-একটা ফ্ল্যাট খালি পেলেই হলো। খুলে ফেলো নার্সিংহোম, প্রাইভেট ক্লিনিক। তারপর শুরু হলো এই প্রাইভেট ভার্সিটির ব্যবসা। কিছুকাল আগেও প্রাইভেট ভার্সিটির ব্যবসা বেশ রমরমা ছিলো। কিন্তু এখন অবস্থা ভিন্ন। দেশে এখন প্রায় পঞ্চাশটার মতো প্রাইভেট ভার্সিটি খুলে গেছে এবং সবাই মহা উৎসাহে ছাত্রদের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিজনেস এডমিন্ষ্ট্রেশন ডিগ্রী দিয়ে দিচ্ছে। আগে জানতাম এদেশের শতকরা আশিভাগ লোক কৃষিজীবি। এভাবে চলতে থাকলে অবস্থা পাল্টে দশ বছর পর দেশের শতকরা আশিভাগ লোক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বা বিজনেস এডমিন্ষ্ট্রেটর হয়ে যাবে। নিঃসন্দেহে এটা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতিরই প্রমান!
আমি আমার বন্ধুকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম প্রাইভেট ভার্সিটি খোলাটা এই মূহুর্তে ঠিক বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। দেশে সরকারী ভার্সিটির তুলনায় প্রাইভেট ভার্সিটির সংখ্যা অনেক বেশী হয়ে যাচ্ছে। আমার বন্ধূ আমার কথাটা যে একেবারে ফেলে দিল তা নয় বরং কিছুক্ষন ভেবে তারপর সিদ্ধান্ত নিল তাহলে প্রাইভেট নয় সে সরকারী ভার্সিটিই দিবে। আমি এবার বোঝানোর চেষ্টা করলাম সরকারী ভার্সিটি দেয়া সম্ভব নয়। ঠিক যে কারনে রবীন্দ্রসঙ্গীত লেখা সম্ভব নয় ঠিক সেই একই কারনে সরকারী ভার্সিটিও দেয়া সম্ভব নয়। রবীন্দ্র সঙ্গীত যেমন রবীন্দ্রনাথ ছাড়া অন্য কেউ লিখতে পারে না তেমনি সরকারী ভার্সিটিও সরকার ছাড়া অন্যকেউ দিতে পারেনা। আমার বন্ধু এখন বেশ বড় হয়েছে তাই অনেক বুদ্ধিও হয়েছে। তাই সে আর রবীন্দ্রসঙ্গীত কেন লিখা যাবেনা এই নিয়ে তর্ক না জুড়ে বলল,
: রবীন্দ্রনাথ জীবিত নেই তাই রবীন্দ্রসঙ্গীত আর লিখা সম্ভব না এটা মানলাম কিন্তু সরকার তো আর মৃত না তাহলে সুতরাং সরকারী ভার্সিটি দিতে বাধা কোথায়?
সরকার সত্যি জীবিত না মৃত এই নিয়ে হয়তো আরও তর্ক করা যেতো কিন্তু আমি হাল ছেড়ে দিলাম। ওর মাথায় যখন বিশ্ববিদ্যালয় বানাবার চিন্তা ঢুকেছে সেটা বের করা মহা মুশকিল হবে। শিবলী যদি মধ্যবিত্তের সন্তান হতো তাহলে ওকে নিরস্ত করার দরকার হতোনা। শুনেছি প্রাইভেট ভার্সিটি খুলতে নাকি কয়েক কোটি টাকা জামানত লাগে। সেটা তার দ্বারা জোগাড়ও হতোনা ভূতও নেমে যেত মাথা থেকে। কিন্তু দু:খের বিষয় শিবলীর পিতার পক্ষে কয়েক কোটি টাকা তেমন কোন ব্যপার না। শুনেছিলাম ব্যবসা করে যারা বড়লোক হয় তাদের নাকি অনেক দুই নম্বুরি, তিন নম্বুরি করতে হয়। কিন্তু শিবলীর পিতা একজন একনম্বর খাঁটি মানুষ। অবশ্য ব্যবসায়ী হবার আরেকটা বড় গুন নাকি সঠিক সময়ে সঠিক জিনিষের চাহিদা বুঝতে পারা, সে গুনটা হয়তো তার ছিলো। শিবলীর বাবার কোটিপতি হবার মূলে যে বস্তুটি সেটার নাম শুনে অবশ্য অনেকেই হোঁচট খায়। বস্তুটি হচ্ছে বদনা। তাও আবার পিতল বা অ্যালুমুনিয়ামের বদনা নয় প্লাষ্টিকের বদনা। বদনা বেঁচে যে কেউ কোটিপতি হতে পারে সেটা তাকে না দেখলে আমিও বিশ্বাষ করতাম না। দেশে যখন প্লাষ্টিকের ব্যবহার বহুলভাবে শুরু হতে যাচ্ছে তখনই তিনি হঠাৎ করে আইডিয়া পেয়ে যান। দেশে তখন পাটের ব্যাগ বদলে পলিথিন ব্যাগের চলন শুরু হচ্ছে, পানির ট্যাপ,ট্যাংক থেকে শুরু করে নিত্যব্যবহার্য থালা,গ্লাস ও প্লাষ্টিকে তৈরী শুরু হয়েছে। এসব দেখেই হয়তো তার মাথায় এ বুদ্ধি খেলে গেল্ সত্যিকার অর্থেই নিত্যপ্রয়োজনীয় এ দ্রব্যটির ব্যবসা খুলে ফেলার এবং রাতারাতি সাফল্য। এখন অবশ্য সেই ইন্ডাষ্ট্রি অনেক বড় হয়ে অনেক রকম প্লাষ্টিকের জিনিসই তৈরী হচ্ছে তবে মূল আকর্ষন এখনও বদনাই। যদিও তার নামানুসারে তার ইন্ডাষ্টির নাম দেয়া হয়েছে জামান ইন্ডাষ্ট্রিজ কিন্তু লোকে তাকে শিল্পপতি জামান না বলে আড়ালে ‘বদনা জামান‘ বলে ডাকে। পিতার ব্যবসার কারনে আমাদের ক্লাসেও শিবলীকে একই রকম নিক্ নেমে ডাকা হতো। তবে আমরা এতটা নিষ্ঠুর ছিলাম না যে শিবলীকে ‘বদনা শিবলী‘ বলে ডাকব বরং কিছুটা শর্ট করে আমরা ‘বদ-শিবলী‘ বলতাম।
শিবলীর চেঁচামেচিতে আমার ভাবনা বন্ধ হলো। ওর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা নাম দেয়ার জন্য শিবলী আমাকে তাগাদা দিতে লাগল। আমি বললাম,
: উত্তর, দক্ষিন, পূর্ব, পশ্চিম সব নামেই তো ইউনিভার্সিটি হয়ে গেছে। দিক্ তো আর কোনটা খালি নাই। তুই বরং দিক-বেদিক বিশ্ববিদ্যালয় নাম দে।
শিবলী ক্ষেপে গিয়ে বলল,
: ফাজলামি করিস না। সিরিয়াসলি বল।
: সিরিয়াসলিই তো বললাম। বেদিকরে সঠিক দিক নির্দেশনা দিবে এই বিশ্ববিদ্যালয়, তাই নাম দিক-বেদিক বিশ্ববিদ্যালয়।
আমার কথা শুনে শিবলী আরও ক্ষেপে যাচ্ছে দেখে আমি আবার বললাম,
: দিক্ অবশ্য সব শেষ হয় নাই। আসলটাই বাকী আছে, উপর-নীচ। তুই বরং আপ-ডাউন ইউনিভার্সিটি নাম দে। একই রকম ব্যপার, ডাউনকে আপে নিয়া যাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
আমি ফাজলামো করে বললেও শিবলীর মনে হয় নামটা বেশ মনে ধরল। আমি তাই আবার বুদ্ধি দিলাম,
: নামটা একটু হালকা হালকা লাগছে। নামের সাথে এশিয়া, ইউরোপ বা আমেরিকা কোন একটা মহাদেশের নাম জোড়া
দিতে পারলে আরও পোক্ত হতো। আরও ভালো হয় একেবারে ইন্টারন্যাশনাল কথাটা লাগিয়ে দিতে পারলে। নাম তাই ঠিক হলো “ আপ-ডাউন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি“।
নাম ঠিকের পর এবার অর্থনৈতিক ব্যপারে মন দেয়া। স্বভাবতই শিবলী ওর পিতাকে গিয়ে ধরল। পিতা সব শুনে বললেন,
: দেখ বাবা, আমার বয়স হইছে। আমার ব্যবসার হাল তোমারেই ধরতে হইব। কিন্তু তুমি তো মনে হয় তোমার বাপের মতো বদনা ব্যবসায়ী হইতে চাওনা। আমার ব্যবসা নিয়া লোকে নানান কথা কইছে। কিন্তু আমি আমার ব্যবসা নিয়া কখনো শরম পাই নাই। এইদেশে এরকম বড়বড় ডিগ্রীওয়ালা বেকার গ্র্যাজুয়েট বানানোর চাইতে বদনা বানানো বহুত ভালো। দরকারের সময় এইসব আকামের ডিগ্রী কোন কামে আইব না কিন্তু বদনা নাম শুইন্যা নাক সিটকাইলেও দরকারের সময় লোকজন এরেই বগলদাবা কইর্যা দৌড় দেয়।
: যত যাই বলেন আব্বাজান আমি বদনার ব্যবসা করুম না। আমার শিক্ষার একটা দাম আছে। আমি ইউনিভার্সিটি দিমু!
: বদনার ব্যবসা না কর অসুবিধা নাই, আমার মাথায় অন্য একটা ব্যবসা আছে। গরুর খামাড় দাও একটা। বড় কইর্যা একটা ডেয়ারী ফার্ম দাও আমি সব ব্যবস্থা করতেছি।
: এত পড়াশুনা কইর্যা আমি এখন গরু চড়ামু?
: গরুরে অবহেলা কইরো না বাবা। গরুরে আদর করবা গরু কখনও তোমারে ঠকাইব না। বাইচ্যা থাকলে দুধ দিবো আর
মইর্যা গেলে চামড়া দিবো। দেশের সব লোকজন ধইর্যা আকামের ডিগ্রী দিয়া লাভ কি? এগোরে চড়ানোর চেয়ে গরু চড়ানো বহুত ভালো।
শিবলীর পিতা ওকে আরও অনেকক্ষন বুঝালো। এবং আমি অবাক হযে দেখলাম প্রথমবারের মতো কোনরকম গোয়ার্তুমি
না করে শিবলী পিতার কথা মেনে নিল। আর তাই “আপ-ডাউন ইউনিভার্সিটি“ হয়ে গেল “আপ-ডাউন ডেয়ারী ফার্ম“।
সপ্তাহখানেক পরে এসে দেখি পাঁচ গরু নিয়ে শিবলীর ফার্ম চালু হয়ে গেছে। সাইনবোর্ড লাগিয়েছে, সেখানে দেখলাম নামটা সামান্য পরিবর্তন করে “ আপ-ডাউন ফ্রেশ ডেয়ারী ফার্ম“ করা হয়েছে। ফ্রেশ কথার মর্মার্থ জিজ্ঞেস করায় শিবলী বলল ওর ফার্মে নাকি সব একদম ফ্রেশ। গরুকে পর্যন্ত নাকি কোন বাসী ঘাস বা মাঠ থেকে কেটে আনা ঘাস খাওয়ানো হয়না। একদম মাঠে নিয়ে গিয়ে সরাসরি ঘাস খাওয়ানোর ব্যবস্থা। ভবিষ্যতে নাকি ফার্মের ভেতরেই একদম সেরা ঘাসের চাষ করা হবে। এখান থেকে বাড়ী বাড়ী দুধের সাপ্লাই দেয়া হবেনা, সেল্ফ সার্ভিস ব্যবস্থা। যারা দুধ নিতে চায় তারা নিজেরা এসে পছন্দ মতো গরুর কাছে গিয়ে দুধ দুইয়ে নিয়ে যাবে। সেল্ফ সার্ভিস মিল্ক এর ব্যপারটা বেশী বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে এটা বলতে যাচিছলাম। কিন্তু হঠাৎ মনে হলো মন্দ কি! বিশ্ববিদ্যালয় যদি ডেয়ারী ফার্ম হয় শিক্ষক তবে গরু আর
শিক্ষাটা তার দুধ। কোনকালে হয়তো শিক্ষাগুরু তার বিদ্যার্থীদের যাচাই বাছাইয়ের সুযোগ পেতেন, এখন বিদ্যার্থীরাই তার গুরু তথা গরুটিকে পছন্দ করে। আর এখানেও তো সেই সেল্ফ সার্ভিস মিল্ক। প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় আছে, এসো, পছন্দ করো, টাকা দাও আর প্রায়োজন মতো শিক্ষা দুইয়ে নিয়ে যাও! ভাল কথা, শিবলীর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেলেও এরই মধ্যে আরও একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় খুলে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানলাম আপাতত পাঁচ ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে তবে শিক্ষাব্যবস্থা সেল্ফ সার্ভিস কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি!
................................. উদাস
[গল্পটি বেশ কয়েক বছর আগে লেখা। তবে আগে কোথাও প্রকাশিত হয়নি। ]
মন্তব্য
ভাল লাগলো।
self help is the best help
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
- আরও কিছু দোহনে সেল্ফ সার্ভিসের ব্যবস্থা রাখা যায় না?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সরকারি ভার্সিটির দরকার নেই
আপনার বন্ধুকে বলেন একটা সংসদ আর সরকার বানাতে
ওটাই এখন থিওরিটিক্যালি- প্রাকটিক্যালি এবং কর্মাশিয়ালি অনেক জরুরি
চমৎকার!!!
অনেকদিন পরে কারো লেখা পড়ে হাসলাম। আজকাল হাসির লেখা কমে যাচ্ছে।
আপনার বক্তব্যের ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। এটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয বলে আমি আবিষ্কার করেছি।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। লেখার বক্তব্যে বেশী গুরুত্ব না দেয়াই ভালো। এমনি দুষ্টুমি করে লেখা। দেশে এখন কিছু ভালো প্রাইভেট ভার্সিটি বেশ ভালো করছে। আর মন্দগুলো অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছে।
ভাল্লাগছে....................
কি মাঝি? ডরাইলা?
এখনকার ভার্সিটিগুলোর নাম সত্যিই আজব
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
যার মানে করলে দাঁড়ায় বাংলাদেশের বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়
আর আরো কিছু আছে সেগুলোর নামের সাথে একেকটা বিদেশি জায়গার নাম জুড়ে দেয়
কে জানে আদৌ কোনো দেশে ওসব নামে কোনো জায়গা আছে কি না
অথবা থাকলেও ওসব জায়গায় কী হয়
- ক্যামেলিয়া আলম
চমত্কার লেগেছে লেখাটি। বিষয়বস্তু এবং লেখার ভংগী দুটোই ভারী সুন্দর।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ভাল লাগলো লেখাটা। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুটা খুব ধীরে ধীরে স্পর্শকাতর হয়ে গেছে। নিজের পরিমন্ডলের কেউ না কেউ পড়ছে। কিছু বললে স্রেফ ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করে দেবে।
ধন্যবাদ সবাইকে সুন্দর সব মন্তব্যের জন্য।
ভালো লেগেছে।
ভাল লেগেছে, আরো লিখবেন। ধন্যবাদ,
দারুণ লেখা..
নিয়মিত লিখুন.
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
নতুন মন্তব্য করুন