হিডেন ক্যাম : কিছু প্রশ্ন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২১/০৩/২০০৮ - ১২:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পরিবর্তনশীল এর নষ্ট মেয়ে পড়ে এটা লেখলাম । হিডেন ক্যাম পর্নোগ্রাফীর বাজার এখন রমরমা । বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল বোধহয় পিন্টু সুমন নামক কিছু পশুর দ্বারাই । এরপর ব্যাপারটি আর থেমে থাকেনি , নানা জায়গায় নানা ভার্সিটির অথবা চাকরিজীবী মেয়েদের নিয়ে বেরুতে থাকে একের পর এক পৈশাচিক একেকটা ক্লিপ । ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রদের পি.সি. থেকে আস্তে আস্তে ব্যাপারটা ব্যাপ্তি পায় খোলা বাজারে । মুভি ভাড়া দেয়া দোকান গুলো তে চলে আসে রাইট করা সিডি । ব্যাপার গুলো মনে হয় সবাই জানে । যদ্দুর দেখেছি ভিডিও গুলোতে থাকে একটা ছেলে যে নানা ভাবে একটা মেয়ের সাথে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হয়, কখনো প্ররোচিত করে, কখনো দেখা যায় মেয়েটি ওকে ভালবেসেই করছে । কিছুদিন পরে বের হয় বাজার কাপানো এক একেকটা ক্লিপ, সবাই দালালের মত হাসি দিয়ে শেয়ার করে তাদের সংগ্রহ, ব্যাপারটা চলে আসে মোবাইলের ক্লিপে, 3gp ফরম্যাটে দেখা হতে থাকে সবকিছু। এরপর আর পিছন ফিরে দেখতে হয় না, কিছু কিছু গোষ্ঠি আবার পতিতাদের নিয়েও ক্লিপ তৈরী করে ছাড়ে বাজারে । এসব কাহিনী সবার জানা, আমি এসব বলছি কেন ?

আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, কতজন এই ব্যাপারটা উপভোগ করে, কিভাবে করে ? একটা মেয়েকে এভাবে ধ্বংস করে, সেই বর্বরতাটা আবার উপভোগ করতে কয়জনের ভাল লাগে ? অনেকে বলে " আরে মেয়েগুলিই তো এরকম, ওরা করতে পারলে আমরা দেখে মজা নিতে দোষ কোথায় ? " কি নির্মম কথা ! সবাই যেন খুবই পরিচিত প্রতিটি মেয়েদের সাথে ! আসলে পরিচতই তো, এরা আমাদেরই কারো বোন, কারো হতভাগী প্রেমিকা । একটা মেয়ে যেরকমই হোক, তাঁকে এই পৈশাচিক ভাবে বাজারে নিয়ে গণধর্ষণের অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে ?

- খেকশিয়াল


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভালো লিখেছেন। কিন্তু একটা অপ্রিয় প্রশ্ন মাথায় উঠে এলো জানি না কিভাবে নেবেন।
আপনি এরকম ক'টা ভিডিও দেখেছেন ইতোমধ্যে। ক'টা দেখার সুযোগ হওয়ার পর বন্ধুদের এই কথা গুলো বলেছেন, ক'জনকে বলেছেন কাজটা নেয়াহেৎই অপরের ব্যাপারে নির্লজ্জ নাক গলানো!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, প্রশ্নটি আসা স্বাভাবিক, একরকম ধরে নিয়েছিলাম যে প্রশ্নটি করা হবে, বেশ কটি ভিডিও ই দেখেছি এবং তাতে যতটুকু দেখার দরকার ছিল, যা বুঝে নেবার ছিল, তা বুঝতে আর বেশি দেখার দরকার হয়নি , এই ব্যাপারে একটা সম্যক ধারনা হয়ত আমার নেই, তবে যা বুঝেছি নিজের কাছে মনে হয়েছে ঠিকই বুঝেছি । গুনার মানসিকতা হয়নি, সম্পূর্ণ কোনগুলি দেখেনি, দেখতে পারিনি । যেহেতু আমাকে প্রশ্ন করেছেন তাই বলি, পুরো ব্যাপারটাই আমার কাছে জঘন্য লেগেছিল, এই ব্যাপারটায় প্রথম থেকেই আমি এই কথা গুলিই বলে আসছি, ব্যাপারটা কথাবার্তায় উঠে আসলে সব সময়ই এই কথা গুলিই বলি ।

- খেকশিয়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এরকম একটা জঘণ্য ব্যাপারও 'বেশ ক'টি' দেখে ফেলেছেন! প্রথমটা দেখে বুঝতে পারেন নি যে ব্যাপারটা আনএথিক্যাল, আমার অংশগ্রহন উচিৎ না!

আপনার অকপট কথা ভালো লাগলো। প্রশ্নগুলো করার সময়ও মাথায় ছিলো না প্রশ্নগুলো করতে যাচ্ছি। কিন্তু করেই ফেললাম। এখানে নিজের কথাটুকু না বললে বোধহয় খানিকটা ফাঁকা বুলির মতো শোনায়।

আমি ও দেখেছি। তবে একটাই। আমার কাছে উচিৎ-অনুচিতের আগে যে জিনিষটা খারাপ লেগেছে সেটা হলো অশৈল্পিকতা।

তবে এরকম ঘটনা, ব্যাপ্তির জন্য ঘৃণাটা সবসময়েই কাজ করেছে। সবার ব্যক্তিগত একটা স্ফীয়ার থাকা উচিৎ, সেটা একজন পতিতারই হোক আর ড. ইউনূসের মেয়ের ই হোক।

লেখাটা প্রশংসার দাবী রাখে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতিথি লেখক এর ছবি

এরকম একটা জঘণ্য ব্যাপারও 'বেশ ক'টি' দেখে ফেলেছেন! প্রথমটা দেখে বুঝতে পারেন নি যে ব্যাপারটা আনএথিক্যাল, আমার অংশগ্রহন উচিৎ না!

শুধু আনএথিক্যাল ?? পৈশাচিক ! অংশগ্রহন করে উপভোগ করার মানসিকতায় দেখে থাকলে এই কথাগুলো লেখতাম না , প্রথম খানি দেখার পর মনের ভিতর কাজ করেছিল, একি জিনিস এর পুনরাবৃত্তি হয় কিনা, কিভাবে হয়, কেন হয়, শুধুমাত্র ব্যাপারটি বুঝার জন্যই দেখা, একবার তো বললাম ই পুরোপুরি দেখা সম্ভব হয়নি আমার দ্বারা, দয়া করে ভুল বুঝবেন না, ধন্যবাদ ।

- খেকশিয়াল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হুম
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ভালো লিখেছেন।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

এথিক্স এর মতোন গুরুতর বিষয়ে নাক গলাবো না।

সহজভাবে বলবো, ২ জন মানুষের কিছু বিষয় এমন হতে পারে যে সেগুলো শুধুই ঐ ২ জনের, তাকে রাষ্ট্র করার কাজটা যে বা যারা করছে তারা শুধুই অবয়বগতভাবে মানুষ, এর বেশী কিছু না!!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটি পড়ে মনে হলো নিজের এথিক্স বোধ থেকেই লিখেছেন।অশৈল্পিকতা বা পৈশাচিক যাই বলেন না কেন এখন বলছেন কিন্তু যখন দেখেছেন উপভোগের জন্যই দেখেছেন।আপনার মতো যেন সবার বোধোদয় হয়।
-নিরিবিলি

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্যের আগে ভালভাবে লেখাটা পড়ে নিলে খুশি হব, শিল্প অশিল্প খুঁজছিলেন ধূসর গোধুলি আমি না ।

কিন্তু যখন দেখেছেন উপভোগের জন্যই দেখেছেন।আপনার মতো যেন সবার বোধোদয় হয়

যার মনে যা, ফাল দিয়া উঠে তা । নিজের মত সবাইকে ভাবা বোধহয় ঠিক না । আর উপভোগ করে বোধদয় কিভাবে হয় বুঝলাম না ! ব্যাপারটা 'কেমনে কি' হইয়া গেল না?

- খেকশিয়াল

অয়ন এর ছবি

আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, কতজন এই ব্যাপারটা উপভোগ করে, কিভাবে করে ? একটা মেয়েকে এভাবে ধ্বংস করে, সেই বর্বরতাটা আবার উপভোগ করতে কয়জনের ভাল লাগে ? অনেকে বলে " আরে মেয়েগুলিই তো এরকম, ওরা করতে পারলে আমরা দেখে মজা নিতে দোষ কোথায় ? "

আমি নতুন কোন ক্লিপ পাইলে উত্সাহ নিয়া দেখি। ধারণা করি এই উত্সাহ নিয়া দেখাটারে উপভোগ বলা যায়। কিভাবে উপভোগ করি ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করা কঠিন। বেশীরভাগ ক্লিপ দেখার পর একটা দীর্ঘশ্বাস বাইর হয়।
কিন্তু আপনার পরের কথায় আমার আপত্তি আছে। আপনি কেন মনে করতাছেন যে নিজের যৌনদৃশ্য লুকানো ক্যামেরায় ভিডিও হইলে একজনের জীবন ধ্বংস হইয়া যায় সেইটা আমি বুঝতে অক্ষম। আর এইখানে আপনি "মেয়ে" বলছেন, ছেলে বলেন নাই। তার মানে আপনার মতে হিডেন ক্যামে দেখা গেলে শুধুমাত্র মেয়েদেরই জীবন ধ্বংস হয়, ছেলেদের হয় না। একটা মেয়ে বিবাহপূর্ব যৌনসঙ্গম করতেই পারে এবং সেটা ভিডিও হইতেই পারে। সমস্যা সেইটা না,সমস্যা হইলো ওই ভিডিও জনগণ দেখার পর যে প্রতিক্রিয়াটা হয়। এই প্রতিক্রিয়া পুরাটাই সামাজিক এবং অনেকক্ষেত্রে অর্থনৈতিক। যেই সমাজে প্রিম্যারিটাল সেক্সরে স্বাভাবিক ধইরা নেয়া হয় সেইখানে এইটা কোন ব্যাপার না। কিন্তু আমাদের সমাজে যেইখানে হাত ধরাধরি কইরা হাটাই অনেকের দৃষ্টিতে নষ্টামী, সেইখানে এইসব হিডেন ক্লিপের প্রতিক্রিয়া কিছুটা মাত্রাছাড়াই হবে, তাতে কোন অস্বাভাবিকত্ব নাই। পুরাটাই নির্ভর করে আপনার পারসেপশনের উপর।

এরা আমাদেরই কারো বোন, কারো হতভাগী প্রেমিকা । একটা মেয়ে যেরকমই হোক, তাঁকে এই পৈশাচিক ভাবে বাজারে নিয়ে গণধর্ষণের অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে ?

জী তারা আমাদেরই কারো বোন বা প্রেমিক। এখন কথা হচ্ছে হিডেন ক্লিপে তাদের ভূমিকার পর তাদের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গির কোন পরিবর্তন হবে কিনা। না, হবে না। সে যদি আমার বোন হয়, তাইলে বোনের মতোই দেখবো, যদি আমার প্রেমিকা হয়, তাইলে হয়তো জিজ্ঞেস করবো সম্পর্ক টিকায়া রাখতে চায় কিনা, সম্পর্ক টিকায়া রাখতে চাইলে সম্পর্ক থাকবে, হিডেন ক্লিপ কোন ব্যাপার না।

আর পৈশাচিকভাবে গণধর্ষণের ব্যাপারটা বুঝলাম না।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অয়নের অবস্থান বেশ যৌক্তিক মনে হলো।

পুরা ব্যাপারটিকে একরকম ট্রানজিশন পিরিয়ড বলা যায়। প্রশ্ন হলো - বন্ধু অথবা প্রেমিকযুগলের শারীরিক সম্পর্ককে সমাজ কীভাবে গ্রহণ করছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে যে ব্যাপারটি নিষিদ্ধ ছিলো, আছে এখনো - সেখানে প্রকাশ্যে ছি:ছি: করা, আর গোপনে উপভোগের দ্বৈত মনন হাস্যকর। সমাজ যেখানে আচরণ বিধি চাপাতে পারছে না (হায়রে সমাজ, নূরজাহানকে পাথর ছোড়া হয়, আর শহরের পাঁচ তারায় নাগরিক ফুল-পাখি ঝলমলে মখমল মঞ্চে পরিবেশিত হয় হরদম) - সেখানে পারিবারিক কিংবা ব্যক্তিক পছন্দ-রুচিবোধের উপর ছেড়ে দেয়া যায় নি:সন্দেহে। ফ্রিডম টু চুজ অ্যান্ড লিভ।

তবে সমস্যা হলো - ব্যাপারগুলো ব্যক্তির মাঝে থাকছে না, সিক্রেসি অব লাইফের মোড়ক পেরিয়ে নিষিদ্ধ বিনোদন হয়ে উঠছে। এর মূল কারণ, সময়।

প্রথমত: ঘটনার পেছনে ভালোবাসা ছিলো (কিংবা ভালোবাসার অভিনয়), বিশ্বাস ভঙ্গের জন্য - ছেলেটি কিংবা মেয়েটি যে-ই দায়ী হোক না কেনো, ভারটুকু দু'জনকেই নিতে হবে। মানুষ চেনা যা দায়!

দ্বিতীয়ত: কোন বাঁকা চোখ বা করুণা নয়, এরা আমাদের আশেপাশের মানুষ (এবং অবশ্যই সবাই মিলেই আমরা)। তাই - ভুল-ভ্রান্তি পেরিয়ে সবাই বেঁচে থাক। মানুষের জয় হোক।

এবং, এটা নিয়ে খুব হতাশার কিংবা দূর্ভাবনার কিছু নেই। ওয়েবক্যাম-মোবিক্যাম প্রযুক্তির আগমনের প্রথম দিকে অস্থির কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী এর অসৎ/অপ্রত্যাশিত ব্যবহার করতেই পারে। প্রথম দিকের ধাক্কাটা হয়তো অনেক বড়ো, তবে মানুষ সচেতন হবে। ভালোবাসার গভীরে যাওয়ার আগে - মানুষ যাচাইটা আরেকটু গাঢ় হবে। এবং ক্রমশ: এইসব গোপন কথা-গোপন ছবি, চমক হারাবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, হিহি, কি যে আপনি বললেন আমিও বুঝলাম না , আপনি এই আলোচনার খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটা ব্যাপার ভুলে গেছেন, যেটা হল, হিডেন , মেয়েটাকে না জানিয়ে ব্যাপারটা করা, জনগণের কথা বাদ দেন, আপনি নিজেই তো অনেক উত্সাহ নিয়ে দেখেন । আর ধর্ষণ কি শুধুই দৈহিক ব্যাপার ?

- খেকশিয়াল

অয়ন এর ছবি

কোন জায়গাটা বুঝেন নাই একটু বললে সুবিধা হয়। আবার বুঝানোর চেষ্টা কইরা দেখতে পারি।

শামীম এর ছবি

সেক্স একটা স্বাভাবিক বিষয়। মানুষ সহ অন্য প্রাণীকূলও প্রতিনিয়ত জৈবিক প্রয়োজনে সেক্স করে। কিন্তু সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে একই সাথে ব্যক্তিগত বিষয়ও।

কিন্তু কারো অজান্তে তার সেক্স করার দৃশ্য ধারণ এবং প্রচার করাটা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘন বলে মনে করি। একই ধরণের গোপনীয়তা ভঙ্গ হবে কেউ যদি আমার টয়লেট করার দৃশ্য ধারণ ও প্রচার করে; আমার নাকের ময়লা পরিষ্কারে দৃশ্য ধারণ ও প্রচার করে; আমার কাপড়হীন ছবি/দৃশ্য ধারণ করে ও প্রচার করে।

তবে সেক্সের গোপনীয়তা ভঙ্গের ইমপ্যাক্ট বা প্রতিক্রিয়াটা আরো বেশি গভীর - ধর্মীয় ও সামাজিক গড়নের কারণে।

মূলত: সমস্যাটা বেশি হয় সমাজের লোকদের প্রতিক্রিয়ার কারণে। কারো গোপন (অথচ স্বাভাবিক) একটা ব্যাপার জেনে আমাদের রিয়্যাকশন কেমন হয় সেটাই এখানে মূখ্য। যৌনলিপ্সু মানুষ সেটা কল্পনা করে মনে মনে ধর্ষন করতে থাকবে - এটা সেই মানুষের দোষ (নাকি মানুষের জৈবিক সীমাবদ্ধতা?)।

শুধুমাত্র ব্যক্তিগত মতামত।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

দৃশা এর ছবি

শুধুমাত্র লেখাটাতে কমেন্ট করার জন্যই লগইন করলাম। যে জায়গায় পিন্টু ভাই নামক পোস্ট ছাড়া হয় সেখানে এরকম একটা পোস্ট দেখে কমেন্ট না করে উপায় আছে? লেখাটা যখন লিখেছেন তখন ধরে নেওয়া যায় নানারকম মানুষের পজেটিভ নেগেটিভ সব ধরনের কমেন্ট পাবেন ধরে নিয়েই লিখেছেন। আমারটা পাঁচ মিশালী কমেন্ট।

যাক দেরীতে হোক আর যাই হোক কেউতো অন্তত হাওয়ার বিপরীতে একটা জিনিস তুলে ধরল(এর আগে এখানে কেউ এ বিষয়ে লিখেছে কিনা জানা নেই...লিখে থাকলে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য দুঃখিত)। বৈপিরীত্য সবসময় কিছু অবাঞ্ছিত প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসে। যেমন ধরেন, ধূসর গোধুলী জিজ্ঞেস করল ‘আপনি এরকম ক'টা ভিডিও দেখেছেন ইতোমধ্যে’? কিংবা ‘এরকম একটা জঘণ্য ব্যাপারও 'বেশ ক'টি' দেখে ফেলেছেন! প্রথমটা দেখে বুঝতে পারেন নি যে ব্যাপারটা আনএথিক্যাল, আমার অংশগ্রহন উচিৎ না!’
এমন একটা লেখা লিখেছেন বলেই হয়তো এমন একটা প্রশ্ন করা হল, যদি পিন্টু ভাই কিংবা সুমন ভাই নিয়ে কোন লেখা লিখতেন যেখানে হাসি-ঠাট্টার যথেষ্ট উপকরণ থাকত, আড্ডার খোড়াক পাওয়া যেত, পিন্টু ভাই সুমন ভাইকে নিয়ে স্মৃতিচারন করা যেত, এমনকি যেখানে ডায়লগগুলো পর্যন্ত সঠিকভাবে আলাপচারিতার মাধ্যমে সংশোধিত হয়ে যেত...তাহলে আর এধরনের প্রশ্নের সম্মুখিন হোয়া লাগতো না। আপনেও ভাই বেকুব কম না... বাতাস যেদিকে বয় সেদিকে বইলেইতো আর কাউরে এধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া লাগে না। আপনেরে বুঝতে হবে আমরা পিন্টু ভাইরে নিয়া বানান পোস্ট থেকে যেখানে ‘ব্যাপক মজা পাই’ সেখানে ভিক্টিমদেরকে নিয়া লেখা কোন পোস্ট পইড়া আপনেরে কোলে তুইলা নাচব, আপনে এটা ভাবলেন কি করে? আপনে কলার ধইরা টান দিবেনতো এধরনের কথা শুনাই লাগবে। পিন্টু ভাইয়ের পোস্টে প্রতিবাদ করা হারাম কারন আমরা ওইখান থেইকা মজা পাইতাছি... কিন্তু আপনারটাতো আর হারাম না...উদ্ভট জিনিস লইয়া লিখবেন তাহলেতো কথা শুনবেনই।
ধূসর বসের একটা কথা খুব পছন্দ হইছে সেটা হইল ‘সবার ব্যক্তিগত একটা স্ফীয়ার থাকা উচিৎ, সেটা একজন পতিতারই হোক আর ড. ইউনূসের মেয়ের ই হোক।‘ অকাট সত্য। বস একখান প্রশ্ন আছে আপনার কাছে।
আনএথিক্যাল কিংবা একটা পৈশাচিক জিনিস দেখার পর ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ওই ‘অশৈল্পিক’ কাজটার বিরুদ্ধে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করার মাধ্যমে একধরনের প্রতিবাদ করা, নাকি পিন্টু ভাই সুমন ভাইদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টামূলক খোলা আলাপচারিতাকে এক্সপ্রেসলি না হোক ইম্পলাইডলি একধরনের সমর্থন দেওয়া - এই দুইটার মাঝে কোনটাতে বেশী হিপোক্রেসির গন্ধ পান?
পরিবর্তনশীল ভাইয়ের মনে একটা আফসোস আছে...পিন্টু ভাই হইতে না পারার আফসোস। আল্লাহ সবার মনের আফসোস পূরন করুক। ভাই আমি আপনার লাইগা খাস দিলে দোয়া করলাম।
আরেফীন ভাইয়ের দুই লাইন অনেক কথা কয়... কিন্তু আফসোস অবয়বগত মানুষরা তা বুঝে না। যেদিন বুঝবো সেদিন হয়তো পিন্টু ভাই নান্টু ভাই কিংবা হিডেনক্যাম টাইপ পোস্ট ছারার প্রয়োজন ফুরাইব আর আমার মত হাভাইত্তা কমেন্টারেরও কমেন্ট করার দিন ফুরাইব।
আচ্ছা নিরিবিলি ভাইয়া, উপভোগ করার পর বোধদয় কেমনে জাগ্রত হয় কইবেন? আমিতো জানতাম বোধ জিনিসটা বিবেক ঘটিত একটা ব্যাপার... যার বিবেক নামক জিনিসটা সক্রিয় আছে তারতো এমন ‘অশৈল্পিক’ জিনিস দেখার পর উপভোগ করার কথা না কিছুতেই ...আর যে একবার উপভোগ কইরাই ফেলাইসে তার বোধদয়ের বেইল কি? ভাইয়া এই ব্যাপারটা নিয়া একটা কনফিউশন আছে...একটু দূর কইরা দিয়েন...ঠিক আছে না ভাইয়া?
অয়ন আমিও আপনার মত একটা জিনিস বুঝতে অক্ষম...যে কেন কোন ভিক্টিমকেই সবসময় সাফার করতে হয়? কেন সুমন পিন্টু দ্বারা প্রতারিত মেয়েটি তার কর্মক্ষেত্র ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, যেখানে সুমন পিন্টু অবাধে অবৈধ কর্মকান্ড অবয়বগত মানুষের উপভোগের জন্য প্রচার করেও ঘুরে বেড়িয়েছিল যতদিন না প্রতারিত মেয়েটি সমাজের বৃহৎ কল্যানে পিন্টু আর সুমনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাড়িয়েছিল। এজন্য হয়ত তাকে মূল্যও দিতে হয়েছিল কিছু যা হয়ত আমরা কখনই জানব না। জানবে হয়তো শুধু মেয়েটির ভাই, সে যার বোন, যে কিনা চেষ্টা করবে তার বোনকে সমাজের সমস্ত বৈরিতা থেকে আড়াল করে রাখতে...বাঁচাতে। কিন্তু তার ভাই ছাড়া আর অন্য কেউ কি তার ভাইয়ের ভূমিকা নিয়েছিল? তার ভাই না হয় তার বোনের প্রতারিত হওয়ার ক্লিপগূলো না দেখল কিন্তু বাকীরা? তারাতো দেখছে... তথাকথিত ভাষায় উপভোগও করছে। তারা কি মেয়েটাকে সমস্ত বৈরিতা থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে? যদি এগিয়েই আসত তাহলে কেন মেয়েটাকে প্রতারিত হোয়ার শাস্তিস্বরুপ চাকরি ছাড়তে হয়? কেন সুমন পিন্টুরা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরও মুখরোচক আড্ডার বিষয়?
শামীম ভাইয়ের উদাহারনস্বরুপ বক্তব্য বেশ ভাল লাগল। আপনার ব্যক্তিগত মতামতটা এভারেজ সংখ্যক মানুষের হলেই অনেক।
যাইহোক, আমি একটা ভ্যান্দা টাইপ মানুষ, সচরাচর কোন আলোচনায় যোগ দেই না, হোক তা বিতর্কিত,অবিতর্কিত কিংবা শিক্ষনীয়। আজকে হঠাৎ মাথা খানিকটা আউলাইছে। আর কিছু জিনিস খুব জানতেও ইচ্ছা করছিল তাই আতকা এন্ট্রি মারলাম।কাউরে আঘাত দিয়া থাকলে দুঃখিত।

দৃশা

রায়হান আবীর এর ছবি

আজকে হঠাৎ মাথা খানিকটা আউলাইছে

ঠিক আছে...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

সবজান্তা এর ছবি

সচলায়তনের কথা তো জানি না, কিন্তু আমি নিজের জীবনে এমন কিছু বড়ভাই স্থানীয় লোককে চিনি, যারা আদর্শের কথা বেড়ান, পর্নের নামে বিষম খান ( মানে ঐগুলা মানুষ কত বিকৃত হলে দেখতে পারে , এমন ভাব ) , আর তারাই পাড়ার ভিডিও ক্লাব থেকে কি নেন, সেইটা আমি ভালো মতই জানি। আমার দুঃখ এইটাই, চারপাশে অনেকেই আলাদা একটা আবরণে নিজেদের ঢেকে রেখেছেন।

দৃশা আপা, আপনার লেখাটা ভালো লাগ্লো !
-------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আনএথিক্যাল কিংবা একটা পৈশাচিক জিনিস দেখার পর ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ওই ‘অশৈল্পিক’ কাজটার বিরুদ্ধে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করার মাধ্যমে একধরনের প্রতিবাদ করা, নাকি পিন্টু ভাই সুমন ভাইদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টামূলক খোলা আলাপচারিতাকে এক্সপ্রেসলি না হোক ইম্পলাইডলি একধরনের সমর্থন দেওয়া - এই দুইটার মাঝে কোনটাতে বেশী হিপোক্রেসির গন্ধ পান?

দৃশার এই প্রশ্নটায় যাবার আগে সামান্য কিছু বলার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি।

আমি ব্যক্তিগতভাবে লোক হিসাবে খারাপ। একটা সময় টিভিতে সামান্য আদরের দৃশ্যতেই চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে থেকেছি। আর সঙ্গের দৃশ্য দেখার হাতেখড়ির প্রথম দিকে যাই পাই তাই খাই অবস্থা। ততোদিনে পিন্টু ভাই-সুমনরা আসেনি। যখন এসেছে ততোদিনে সর্বভুক পরিস্থিতির বদল হয়েছে। আমি জানি না আপনার নিজস্ব অভিজ্ঞতা এ ব্যাপারে কতোটুকু, কিন্তু আমি যেটা বুঝেছি কামাসূত্রা থেকে শুরু করে বিখ্যাত পর্ণমুভিগুলো যে জিনিষটাতে বেশি জোর দেয় তা হলো উপস্থাপন কৌশল, যাকে একশব্দে শৈল্পিকতা বলা যায়। এখন যদি আপনি বলেন শৈল্পিকতা শব্দাটা চারুকলা আর ললিতকলা একাডেমিগুলোর একচ্ছত্র সম্পত্তি তাহলে এখান থেকেই ফেরৎ যেতে পারেন। বাকিটা পড়া আপনাকে কিংবা সমমনাকে মানাবে না।

আমি যখন পর্ণম্যুভি দেখেছি বিনোদনের জন্যই দেখেছি। এখনকার বানিজ্যিক বাংলা সিনেমা দেখলেও পর্ণতা দেখার ক্ষুধা মিটে, কিন্তু ঐ জিনিষ আমি খাই না। খাইনা কারণ, সেখানে আমি যা চাই সে উপাদান থাকে না। অথচ পর্ণে পর্ণে সয়লাব থাকে সেগুলো।

এবার আপনার প্রশ্নে ফেরা যাক। আমি দুইটার একটাতেও হিপোক্রেসীর গন্ধ খুঁজে পেলাম না। আমি পিন্টু সুমনকে নিয়ে পোস্টে হাসি ঠাট্টার মাধ্যমে যেমন তাদের করা কাজটাকে হেয় করি, আবার তেমনি বন্ধুরা দেখার জন্য পীড়াপিড়ি করার সময় তাদেরকে "ধুরো কোন বাল কারে লাগাইলো ঐ চেট দেহার কোনো ইন্টারেস্ট নাই"- বলে আস্তে করে পাশ কাটিয়ে যাই।

সমাজের হায়ারার্কী হিসাবে আমার অবস্থান খুবই নীচে। ওখান থেকে আমার এর চেয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব না। আমি ঐ জিনিষের প্রতি অনাসক্তি প্রকাশ করতে পারি। এতে অন্তত একটা কাজ হয়েছে, কোনো বন্ধু সার্কেলে আমি থাকার সময় এধরনের কিছু দেখা হয় নি। আর আমার বন্ধুদের মধ্যে পরে এমন কয়েকজনকে পেয়েছিও যারা ওরকম হিডেন ক্যাম প্রোডাক্ট বর্জন করেছে সমূলে।

পোস্টদাতার প্রতি আমার ছোঁড়া প্রশ্নের দিকটা ছিলো সেদিকেই নিবদ্ধ। তাকে হেয় করার জন্য না, তার প্রতি যথেষ্ট পরিমান শ্রদ্ধা রেখেই প্রশ্নগুলো ছিলো। এমন একটি বিষয় সচলদের গোচরে আনার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ তাঁকে। এই লেখাটি লেখার পর যেনো তিনি আর ওরকম ভিডিও না দেখেন, সেটাই হয়তো মনে করিয়ে দিতে চেয়েছি। আমার মতো, তাঁর মতো এবং আপনার মতো যদি একে একে সবাই পিন্টু-সুমনদের ফিল্মিং বর্জন করি তাহলে তারা বানাবে কাদের জন্য?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

মাহবুবুল হক এর ছবি

সবাই চুপে চুপে মজা লয়, বক্তৃতা দেয়ার সময় মক্কার খাদেম।
আমি অয়নের কথার সাথে অনেকটা একমত। এথিকাল আনএথিকাল ব্যাপারটা পারসেপশনের উপর ডিপেন্ড করে অনেক ক্ষেত্রে। যেখানে ক্লিপটির ব্যাপারে মাইয়া কিছু জানে না সেইটা আরো বেশি খারাপ। যেই পোলা ছবি বা ক্লিপ বাজারে ছাড়ছে হেই পোলা তো কুলাঙ্গারই কোনো সন্দেহ নাই - তয় হে না দেখাইলে আমরা দেখতাম কেমনে আর এত লেকচারই বা মারতাম কেমনে ?
কিন্তু আমি এমন ক্লিপও দেখছি যেখানে মাইয়া ভালো কইরাই জানে ভিডিওর কথা । ইফ দে ইনজয় ফিল্মিং , হোয়াট ইজ রং উইথ ওয়াচিং দ্যাট ?

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

তারেক এর ছবি

সবকিছুর পরও হিডেন ক্যাম অবশ্যই প্রাইভেসির লংঘন, তা সে মেয়ে ভাল খারাপ যাই হোক না কেন সে প্রশ্ন অবান্তর।
আর নীলছবি দেখাটা অবশ্যই একধরণের রুচিবিকৃতি... আমি বা আমরা এটা উপভোগ করি বলেই সেটাকে লাইসেন্স টু ওয়াচ হিসেবে চালানোটা উচিত বলে মনে করি না।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

তারেক এর ছবি

হাসান ভাই, যে কোন টাইপের হতে পারে। হোক সেইটা পেশাদার অভিনয় শিল্পীদের করা কিংবা একান্তই দুইজনের ব্যাপারস্যাপার স্বামী-স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ডের... আমি নিজে ধোয়া তুলসীপাতা না। বলব না যে দেখি নাই বা সুযোগ পেলে আর কখনও দেখব না। তবু সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি উপভোগের ব্যাপারটাকে আমার নিজের কাছে এক ধরণের রুচি বিকৃতিই মনে হয়। সেই অর্থে আমি নিজেও বিকৃত! এই তো... রুচিবিকৃতিটারে বোল্ড করছেন, হয়ত প্রমাণও করে দিতে পারবেন যে আমার ধারণা ঠিক না। তবে আমার সেই যুক্তি মানতে ভাল্লাগবে না। সেই ক্ষেত্রে অনুরোধ এইটা আমার নিতান্তই ব্যক্তিগত অভিরুচি বা চিন্তা ধরে নেন। সেই চিন্তা যদি কুয়োর বাইরেও না যায় ক্ষতি নাই, মেনে নেব। মোটা দাগে সবাইরে আমিও বিচার করতে চাই না।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

রায়হান আবীর এর ছবি

ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি মেয়েদের এই দিক থেকে একটু সাবধান থাকা উচিত। তোমারে একজন আইসা পটাইল, ভাল ভাল রেস্তোরায় দুইদিন ডিনার করাইল...তারপর তুমি বিছানায় উঠে গেলা। এইটা তো ঠিক না। বিশ্বাস সৃষ্টি হবার আগে সেক্স আসবে কেন। আসতে পারে। সেটা পশ্চিমা দেশে। আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে না। এখন কেউ যদি এই ভুল করে তাহলে এটা তার ভুলের মাশুল।
---------------------------------
বাঁচতে হলে জানতে হবে...

সবজান্তা এর ছবি

একটা একান্তই ব্যক্তিগত মত বলি, একান্তই ব্যক্তিগত মত।

"মেয়েরা ছেলেদের আস্কারা দেইখাইতো মাইয়াগো ধর্ষণ করে পোলারা, মাইয়াগো আরো ঢাইকা ঢুইকা চলা উচিত" ----- এ ধরণের মন্তব্য আর এই মন্তব্যের মধ্যে নীতিগত কোন তফাত আমি খুঁজে পাইনি। হয়ত আমারই দেখার ভুল, বোঝার ব্যর্থতা।

আমার হিসেবে এ ধরণের মন্তব্যগুলি মেল শোভিনিজম এর চূড়ান্ত।

ভালো থাকবেন।

-------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

প্রথমেই কনফেস করি, এই টাইপ ক্লিপ হলে থাকতে আমিও বেশ অনেকগুলিই দেখছি, এবং এখন যদি পাই তাহলেও দেখার সম্ভাবনাই বেশি ...

কেন দেখছি এবং দেখে উপভোগ করছি কেন, সেটার জবাব আপনার নিচের কমেন্টেই খুব ভালোভাবে দেয়া আছে, আমি আর না বলি ...

সেই সাথে এটাও বলি, যে আপনার মতোই আমিও টের পাই জিনিসটা ঠিক না, কাজেই এটার বিপক্ষে যদি কিছু করার থাকে তাহলে অবশ্যই করবো ...

অয়ন কিংবা শিমুল ভাইয়ের কথাও ঠিক, আস্তে আস্তে মানুষ যখন সচেতন হবে, এসব ভিডিওর প্রসার আপনা আপনিই কমবে ...

কিন্তু তার আগে পর্যন্ত, শুনতে যতই খারাপ লাগুক, ভিকটিমদেরই সচেতন হতে হবে আগে ...

একটা উদাহরণ দেই, আমি ঢাকায় যখন রাত নয়টা-দশটার পরে বাসা থেকে বের হতাম, আমি সাথে দামি মোবাইল রাখতাম না ... একেবারেই প্রাগৈতিহাসিক একটা সেট নিয়ে বের হতাম ...

এখন আমিতো প্রশ্ন করতেই পারি যে যারা হাইজ্যাক করে দোষটা তাদের, তাদের কারণে আমি কেন আমার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করব?

উত্তরটা সহজ, ক্ষতি হলে সেটা আমারই হবে ... দেশের অবস্থা এখনো সেই পর্যায়ে যায় নাই যে ঠ্যাক খাওয়ার পর থানা-পুলিশ করে আমি আমার জিনিসটা ফেরত পাবো ...

এটাই আমার মনে হয় বাস্তবতা ... আমি জানি দোষ কোনভাবেই আমার না, আর এই ক্রাইম বন্ধ করার উদ্যোগও আমাদের সবাইকে নিতে হবে, কিন্তু যতদিন পর্যন্ত সেটা বন্ধ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত বাড়তি সাবধানতা আমাকেই নিতে হবে ... কারণ ভিকটিম আমি ...

""মেয়েরা ছেলেদের আস্কারা দেইখাইতো মাইয়াগো ধর্ষণ করে পোলারা, মাইয়াগো আরো ঢাইকা ঢুইকা চলা উচিত" ----- এ ধরণের মন্তব্য আর এই মন্তব্যের মধ্যে নীতিগত কোন তফাত আমি খুঁজে পাইনি।" একটু মোটাদাগে ভাবলে, ঠ্যাক খাওয়ার ভয়ে রাতে বাড়ি থেকে না বের হওয়া বা বের হলেও দামী জিনিসপত্র না নিয়ে বের হওয়ার সাথেও নীতিগতভাবে এর খুব বেশি পার্থক্য আছে কি?

প্রিয় সবজান্তা, আমার মনে হয় রায়হান এই কথাটাই বলতে চেয়েছিল, এখানে মেল শোভিনিজম খোঁজাটা একটু বেশি হয়ে যায় ... তবে এটা আমারও একান্তই ব্যাক্তিগত মত ...

অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, যে আমাদের দেশে এখনো এই ব্যাপারগুলিতে মেয়েরাই সাফার করে ... ছেলেগুলির কিছুই হয় না ... তাদের নিয়ে বড়জোর ফান করা হয় ... কাজেই সাবধানতাটা মেয়েদের তরফ থেকেই আসতে হবে ...

হিডেন ক্লিপ যেহেতু দেখেছেন সেহেতু খেয়াল করবেন, এগুলি দুই টাইপ হয় ... এক টাইপের গুলিতে ছেলেটা মেয়েটাকে বোকা বানায় ... মেয়েটা সরল বিশ্বাসে প্রতারিত হয় ... এইগুলিতে আসলে কি করা যায় আমি জানি না ... কারণ শারীরিক সম্পর্ক আসবে কিনা, বা আসলেও সেটা কখন, এটা সম্পূর্ণরূপে দুই জনের নিজেদের বোঝাপড়ার ব্যাপার, আমার আপ্নার কিছু বলার নাই ... রায়হানের মত শুধু বলতে পারি, আরেকটু সচেতন হোন ... বিশ্বাস করার আগে আরেকবার ভাবুন ...

কিন্তু আরেক ধরণের ক্লিপে দেখা যায় মেয়েটাও জানে কি ঘটছে ... জাস্ট বয়ফ্রেন্ডের “আব্দার” রাখতে গিয়ে মেয়েটা সাড়া দেয় ... এই জায়গাটায় আমি মনে করি সাবধান হওয়ার দরকার আছে ... বুঝলাম তুমি তোমার বয়ফ্রেন্ডকে অনেক বিশ্বাস কর, কিন্তু মোবাইলটাতো ভুল করেও অন্য কারো হাতে পড়তে পারে, নাকি? কাজেই মেয়ে, সাবধান হও ... ক্ষতিটা তোমার ...

অনেক হাবিজাবি বল্লাম, জানিনা কিছু বোঝাতে পারলাম কিনা ...
...................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

সবজান্তা এর ছবি

বেশ বুঝলাম, আপনি বলতে চেয়েছেন যে দোষটা ছেলেদেরই, কিন্তু যেহেতু সমাজে তাদের কোন শাস্তি হবে না, তাই সাবধান হতে হবে মেয়েদেরই। ঠিক বললাম ?

হয়ত এমনটা আমিও ভাবতাম, কিন্তু ভাবতে পারি নি, এই কথাটির জন্য।

এখন কেউ যদি এই ভুল করে তাহলে এটা তার ভুলের মাশুল।

ভুল ? কিসের ভুল ? মানুষ চেনা কি এতই সোজা ? কোন মেয়ে যদি একটা ছেলেকে ভালোবেসে, দৈহিক ভালোবাসাতে রাজি হয়, আর সেই ছেলে সেটাকে ফ্রেমে বন্দী করে, বাজারে ছেড়ে দেয়, তাহলে কি মেয়েটারই দোষ ? মন্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে, সব দায়িত্ব মেয়েটারই আর সে জন্য তাকেই দাম চুকাতে হবে। সম্পূর্ন ব্যাপারটিতে আমি যতটা না সাবধানতার ছোঁয়া পেয়েছি তার চেয়েও বেশি পেয়েছি এক ধরণের ফতোয়ার গন্ধ।

মেইল শোভিনিজম এ জন্যই বললাম, এখনো , আমাদের মানে ছেলেদের নিজেদের দোষ স্বীকার করার মনোবৃত্তি হয়নি। সম্পূর্ন ব্যাপারটিতে দোষ ছেলেদেরই, আর তার জন্য শাস্তি কিংবা মাশুল যাই বলি না কেন আমাদেরই ভোগ করা উচিত। কিন্তু তার কিছুই আমরা ভোগ করি না। আমাদের এই নীতি কিন্তু মেইল ডমিন্যান্ট সোসাইটিরই ফল।

রায়হান আবীর বলেছেন যে, দুদিন ভালো রেস্তোরাতে খাওয়ালেই বিছানায় যাওয়া যাবে না। কথা সত্য। তবে যুক্তিগত এবং নীতিগতভাবে আরো সঠিক হত, যদি তিনি বলতেন যে মেয়ে দেখলেই তাকে বিছানায় নিতে হবে, ছলে বলে কৌশলে ধর্ষণ করতে হবে এমন ধারণা থেকে ছেলেদেরও বের হয়ে আসা উচিত। দুঃখজনকভাবে, আমাদের সমাজে একটা ছেলে যখন শুধুমাত্র হিডেন ক্যামই না, কোন মেয়ের যে কোন ধরণের প্রাইভেসি নষ্ট করে, তাদের পেছনে ছোঁকছোঁক করে তখন সেটা ফান, আর এর থেকে সাবধান থাকতে হবে মেয়েদেরই।

তাই আমার মতে আমরা অন্যকে যত টিপস-ই দেই না কেন, তার আগে একটু আত্মসচেতনাতা আর শুদ্ধতার প্র্যাকটিস করা উচিত আমাদের। কোন মতেই আমাদের নীচুতার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে, তার মাশুল তাদের গুনতে বলাকে আমি সমর্থন করতে পারলাম না।

মতামত আমার একান্তই ব্যক্তিগত। কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

----------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

রায়হান আবীর এর ছবি

যা বোঝাতে চাই তা অনেক সময়ই বোঝাতে পারিনা। হয়ত আমার লেখার ব্যর্থতা।
যাই হোক আমি আসলে সার্বিক একটা সমাধানের কথা বলেছি। মেয়েরা একটু সাবধান হলেই হয়। কারণ যদি কোন ঝামেলা হয়ে যায় তাদেরই হবে। যে ছেলেটি জড়িত তার কিছু হবেনা। আমি পিন্টু কিংবা সুমন কারও মতোই নই। এই ধরণের কাজ করার কোন ইচ্ছাও আমার নেই। তাই এই লেখা থেকে আমি কোন শিক্ষা নিতে পারলাম না। আবারো সকল বঙ্গ ললনার উদ্দেশ্যে বলি একটু রয়েসয়ে...(ফতোয়া না...অনুরোধ)

জানিনা আবার কি উলটা পালটা বলে ফেললাম...
---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...

অতিথি লেখক এর ছবি

টাইম নাই.. আজাইরা কামের। হুদাই পকপক

দৃশা এর ছবি

ভিন্ন মানুষের ভিন্ন মতামত থাকবে এটা খুবই সাধারন কথা। এটা তর্কবিতর্কের উর্দ্ধে। কিন্তু নিজের মতামতটা জানাতে গিয়ে যদি আমি অন্য একজনকে এধরনের পোস্ট লেখার কারনেই উদ্ভট প্রশ্ন করে বিব্রত করি তাহলে ওটা আর একান্ত নিজের মতামত থাকে না...সেখানে আরো একজন যুক্ত হয়ে পরে।

যদি ভুল না হয়ে থাকে আপনে আগে অতিথি লেখক হিসাবে লিখতেন সচলে... নীচে নাম লিখতেন পরিবর্তনশীল।
যদি আপনেই সেই অতিথি লেখক হয়ে থাকেন তাহলে দ্রোহী ভাইয়ের লেখা “পিন্টু ভাই” পোস্টে এই মন্তব্যটি আপনারই হওয়ার কথা...
অতিথি লেখক | মঙ্গল, ২০০৮-০২-০৫ ২০:৩১
ইস! যদি 'পিন্টু ভাই' হইতে পারতাম!
-পরিবর্তনশীল
আমার জানামতে একজন পরিবর্তনশীল নামেরই সচল এখানে রয়েছে। যদি আপনে সেই পরিবর্তনশীল অতিথি লেখক হয়ে না থাকেন ...তাহলে আমি আমার করা মন্তব্যের জন্য বিশেষভাবে লজ্জিত এবং প্রয়োজন হলে আমি আলাদা পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেব। কারন আপনে যদি সেই ব্যক্তি না হয়ে থাকেন তাহলে প্রকৃত অর্থেই আমি অপরাধী এবং অপরাধের জন্য ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে কোন লজ্জা নেই। আশা করি আপনে সে অতিথি লেখক না হোন এবং আমি ভুল প্রমানিত হই। কারন আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় না যে কারো মজা করার ছলেও পিন্টু ভাইয়ের মত হওয়ার ইচ্ছা থাকতে পারে।
আপনার দোয়ায় আমার মাথা আউলা থেকে সুলঝাইছে। আশা করি আপনেও অপিরবর্তনশীল অবস্থায় থেকেন সবসময়।

দৃশা

রাসেল এর ছবি

যেকোনো কারো যৌন সঙ্গমের দৃশ্য দেখবার ভেতরে উত্তেজনা আছে- ইনভার্টেড কমার ভেতরে নিষিদ্ধ শব্দটাকেও রাখা যেতো তবে যৌন সংগমের দৃশ্য দেখে আনন্দ পাওয়াটা নিষিদ্ধ আনন্দ কি না এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে আমার।
মানুষ সংগম দৃশ্য দেখছে, মানুষের চাহিদা আছে বলেই এটা কোটি টাকার ব্যবসা।
ব্যবসার কারণে যখন কেউ এই দৃশ্য দেখছে তখন তাকে কেউ অভিযুক্ত করতে যাচ্ছে না। কিন্তু হিডেন ক্যাম ভিডিও নিয়ে একটা কথা উঠছে- হিডেন ক্যাম ভিডিও কি আলাদা কোনো ঘটনা ঘটায়- শুধুমাত্র একটা ঘটনাই ঘটতে পারে সেটা হলো পরচিত লোকালয়ে সে মেয়েকে খোঁজা- তার গোপন খাঁজ ভাঁজ দেখে ফেলেছি তাই তার কিছুই আমার অপরিচিত না।
এই চাওয়াটা কিংবা মানুষের সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসির পুরোটাই বাতিল হতে বাধ্য নৈতিকতা বিচারে-
যারা লুকিয়ে ভিডিও করছে তাদের কাজটা আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয়, এটা ব্যক্তিগত বিবেচনা। কারো অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত বিষয়াদি চিত্রায়ন গ্রহনযোগ্য হতে পারে না, এখানে দায়টা যে ভিডিও করছে তার- আর কিছু আছে নিজেদের বোকামি। এক জন তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গমের দৃশ্যের ভিডও ডিজিট্যালি কনভার্ট করতে দিয়েছিলো- সে ভিডিও বাজারে এসেছে- এখন এতে দায়টা কার? যে নিজের বিষয়টাকে পাবলিক করবার উস্কানি দিচ্ছে সে না কি যে কাজটা করলো?
আমার সামনে যদি সুযোগ আসে আমি দেখবো এইসব হিডেন ক্যাম ভিডিও। হয়তো কিছু কিছু দৃশ্য দেখে উত্তেজিত হবো- তবে হিডেম ক্যাম ভিডিওর নিয়মিত ভোক্তা হতে পারবো না- সেখানের একমাত্রিক চিত্রায়ন আমার সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি জাগাতে পারে না- তবে মাংনায় ফেলে এসব ভাববো না- দেখেই ফেলবো আর বলবো-

ছি ছি ছি ওরা এত খারাপ। মেয়েটাকে এইরকম করে নাকাল করলো- পোলাটা কামটা ঠিক করে নাই-

-------------------------------------------------------
বাংলায় হাগি, মুতি, বাঁচি

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

জনসমক্ষে প্রকাশ এর ছবি

জনাব খেকশিয়াল, আপনি একটা মহা অন্যায় কইরা লাইছেন এই পোস্টটা কইরা। আপনে ভুল হইছে এইটা শিকার কইরা লন। আপনাকে শিখতে হবে চিন্তাশীল সচল একটি চক্রের সাথে কি করে নিজেকে সচল করে তুলবেন তা। বড় হয়ে উঠুন ভাই...এখন না হইলে আর কবে হবেন? রস্ময় গুপ্তের চটি পড়ে বেড়ে ওঠা চক্ররে ভাই, এতো সহজে এইরকম পোস্ট ছাইড়া পার পাইবেন না
হুনেন আগে আছিল দুই রকমের আতেল...।হুদা আতেল আর বেহুদা আতেল। নতুন ব্রিড হইতাছে ফাপর আতেল।

আপনে কোনটা ঠিক কইরা কন।
আপনে কি দেশের বাইরে থাকেন? দেশের জন্য আপনার অনেক জ্বালাপড়া থাকা সত্তেও আপনি জিবীকার সন্ধানে দেশান্তরী?
বিদেশে থেকে থেকে সাদা চামড়ার মেয়েগুলার কাছে বেইল না পেয়ে কালা মেয়ে নিয়া অসন্তুষ্ট আছেন?
জৌবনঞ্জ্বালা ওয়েবসাইটে কি আপনার ইউজার একাউন্ট আছে? দেশের বাইরে থাইকা দেশের লাইগা কি আপনার অন্তর অনেক ছটফট করে?
আপনে কি ব্লগিং করেন যৌন কাতরতাপূর্বক ঘন সান্ধ্য তরল উদ্বগীরন করার কোন উপায় নাই দেখে? অথবা নিজের বোনের কোন অবৈধ চিত্র কোন শপিং সেন্টারের ট্রায়াল রুমে অথবা কোন গোপন জায়গায় পাতা জালে অর্থাৎ হিডেন ক্যামে দরা পড়ে অনন্য শৈল্পিক অভিব্যক্তি সৃষ্টি করে তবে কি তাকে আপনে দোষনীয় মনে করবেন? কিংবা আপনার প্রতারক প্রেমিকা তার লম্পট প্রেমিকের প্রতারক চক্রের কাছে প্রতারিত হয়ে পিন্টু ভাই টাইপ চলচিত্র উপহার দেয়, তাতে কি আপনার লিপ্সা কিংবা আক্রোশ কমবে?
যদি আপনার উত্তর না হয়ে থাকে...তাহলে আপনে একটা ইয়ে......
আর উত্তর যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে আপনে একজন ফাপর আতেল।
তয় পিন্টু ভাই পোস্টখান আমার বড় প্রিয়।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

প্রিয় দৃশা,

একটা মানুষ এত সিরিয়াস হতে পারে আমার জানা ছিল না।
সচলে আমরা সবাই আনন্দ ধরে রাখার জন্য... মজার মন্তব্য করেই থাকি।
এটাকে এত সিরিয়াসলি নিলে হয় না।
আর এই মন্তব্যের কথা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম... এখন মনে পড়তে হাসি পেতে লাগল। ব্যাপারটা বুঝেও কেন যে এমন করছেন????

আপনাকে খুশি করার জন্য আমি ঐ মন্তব্য সরিয়ে নিব।
আপনার সিরিয়াসনেস সত্যিই আমাকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছে...
আমি সচলায়তনের সব মানুষকে নিয়ে সুখে থাকতে চাই।
আমি মানুষ হিসেবেও সুখী থাকতে চাই।
এবার একটু হাসবেন? দয়া করে...
নাকি আমি যাতে পিন্টু ভাই হতে পারি সেই দোয়া করতে থাকবেন...
আমাকে কেউ বাঁচান...
সচলে আসার পর এইরকম উদ্ভট পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি কখনো।
মনটাই খারাপ হয়ে গেল...
এই ব্লগে আমার আগের মন্তব্য আমি মুছে দিচ্ছি।
আমার মাথাও আউলায় গিয়েছিল।
দয়া করে সব ভুলে যাবেন...
দয়া করে বন্ধু হবেন।

বারবার একটা কথাই মাথায় ঘুরছে...
কেম্নে কী?

ক্ষমা চাই...

এই প্রথমবারের মত আমার সচল থেকে প্রস্থান করতে ইচ্ছে হচ্ছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গুরু, নেভার মাইন্ড।

আপনে পিন্টু ভাই হইলে আমারে কাইন্ডলী মেহেরবানি কইরা সুমনের পারট্টটা দিয়েন। চোখ টিপি
কাউরে ধরাধরি করোন লাগে করুম, ঘুষটুশ কোনো ব্যাপার না। সাইজ ডাজন্ট ম্যাটার ফর চপিং উড!

তাইলে আপনে সচল থুইয়া গেলেগা কেমনে কি?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতিথি লেখক এর ছবি

দৃশা আপনার এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । সবই তো আপনি বলে দিলেন !

- খেকশিয়াল

সবজান্তা এর ছবি

হা হা ... ... ... ...

লেখাটা গতকালই পড়েছিলাম। মন্তব্য করতে যেয়েও কেন যেন করিনি, ভাবছিলাম দেখি কে কি বলে। সবার মন্তব্য পড়েতো নিজেকে সেই রকম অশ্লীল, ছোটলোক, এথিকসবিহীন, বর্বর মনে হচ্ছে।

কারণ, আমি নিজে মোটামুটি অনেকগুলি ক্লিপই দেখেছি ( সত্যি কথা স্বীকার করলাম )। আমি জানতাম, এই ক্লিপগুলি দেখা ভীষণভাবেই অনুচিত। কিন্তু হিডেন ক্যাম ক্লিপগুলির অন্য এক রকমের আবেদন আছে। সচরাচর প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্রগুলি হচ্ছে, পাত্র পাত্রীর অনুমতি নিয়ে, অনেক ঘটা করে শুটিং করা, অপরদিকে হিডেন ক্যাম এর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনেক বেশি ন্যাচারাল।যাই হোক, এই ধরণের ব্যাপার নিয়ে বেশি বলতে চাই না। মোদ্দা কথা হচ্ছে, আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি, এই প্রলোভন আটকানো।

প্রশ্ন হচ্ছে আমি যেহেতু দেখেছি, তার মানে কি আমি হিডেন ক্যাম পর্নের পক্ষে ? আমি খুব দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমি এর বিপক্ষে। আমি কোন মতেই সমর্থন করিনা, এহেন কাজকে। হয়তো ভাবছেন, যার পক্ষে দেখার প্রলোভন সামলানোই সম্ভব হয়না, সে নিজেও যে সুযোগ পেলে এমন কিছু করবে না, তার নিশ্চয়তা কি ?

উত্তরে আমার শুধু সেই পদ্মা নদীর মাঝি র সেই কথাটাই মনে পড়ছে, যার সারমর্ম ছিল এমন, দু পয়সা চুরি করতে যাদের বাঁধে না, দু টাকা চুরি করতে তাদেরই হাত আর উঠে না। আমি এবং আমার মত অনেকেই ( যদি কেউ লজ্জার মাথা খেয়ে নিজেদের কথা স্বীকার করেন ) শুধু মাত্রই হয়ত দেখেন, কিন্তু সে সাথে এটাও অনুভব করেন, এটা কতখানি নীচ একখানি কাজ। সোজা কথায়, আমি ছোট এই প্রবৃত্তির কাছে পরাজিত, কিন্তু একই সাথে আমি এটাও অনুভব করি কাজটা কতখানি নীচু। যদি আমার সাধ্যে কিছু থাকে এটাকে ঠেকাতে, আমি নিশ্চয়ই সেটা করবো।

কিছু মন্তব্য পড়ে মনে হল, এই কলিযুগে সত্যের দাম একটু কম। লেখক বেচারা সত্যি বলে ধরা খেয়ে গিয়েছেন। তিনি যদি গম্ভীর মুখে বলতেন, " হিডেন ক্যাম ! নৈবচ !! নৈবচ !!! " তাহলে হয়ত কেউ কিছুই বলতেন না। মন্তব্য পড়ে বিবেকের তাড়না অনুভব করলাম, মনে হল নীরব থেকে বাহবা না নিয়ে, নিজের নীচতাকে একটু প্রকাশ করি।

ধন্যবাদ সবাইকে
---------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

স্বপ্নাহত এর ছবি

গুরু আপ্নেরে সালাম।
আমার অবস্থাও সেম সেম।
তাই একটু আওয়াজ দিয়া গেলাম।

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
LoVe is like heaven but it hurts like HeLL

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আইইউটি-তে আইসা পিডার ডিউটি দিমু মিয়া।
অলওয়েজ চেঞ্জিং গুরুরে ডাক দ্যান দেহি। এখন মোরা কমেন্ট কমেন্ট খেলুম। ঘুম টুম দিয়া পুরা ফুরফুরা গুরু, লন করি এইবার শুরু!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

রায়হান আবীর এর ছবি

গোধূদা কবে আইবেন আইইউটি? আপ্নারে লইয়া তুরাগের পাড়ে একটা পার্টি দেওনের ইচ্ছা আছে... দেঁতো হাসি
---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...

সৌরভ এর ছবি

[সচল না হইলে এই কমেন্ট পড়োন যাইবোনা]



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হিমু এর ছবি

পোস্ট আর কমেন্টগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।

লক্ষ্য করলাম, দ্রোহীর একটি গল্পের রেফারেন্স এসেছে এখানে। সেখানে পিন্টু ভাইকে পর্নস্টার বানিয়ে একটা গল্প ফাঁদা হয়েছে। সেই গল্পের লেজ ধরে কিছু মন্তব্য বিনিময়ও হয়েছে।

দৃশা, আপনি যেভাবে সেই পোস্টের রেফারেন্স দিলেন, তাতে মনে হতে পারে, সচলায়তনে "পিন্টু ভাই" আর "সুমন" নামের দুই চরিত্র রীতিমতো হিরো। আপনার এই ধারণা হওয়ার কারণ কী?

"জনসমক্ষে প্রকাশ" এর মন্তব্য পড়ে বিষম খেলাম। তিনি এমনভাবে সচলায়তনের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করলেন, পড়ে মনে হলো এখানে লোকজনের কাজই হচ্ছে চটি পড়া আর পর্ন দেখা। দুনিয়ার আর কিছুর প্রতিই সচলায়তনের সদস্যদের কোন আকর্ষণ নেই, তাদের অস্তিত্বই ঘূর্ণায়মান যৌনসঙ্গম সম্পর্কে পাঠ ও অবলোকনকে ঘিরে। দেশের বাইরে বসে এরা শুধু হাত মারেন অথবা দেশকে নিয়ে "জ্বালাপোড়াময়" ব্লগিং করেন। এরা কেউ সাদা মেয়ের সাথে সঙ্গমে সমর্থ নন, তাই কালো মেয়েদের ওপর সেই ঝাল ঝাড়েন। ভাই "জনসমক্ষে প্রকাশ", আপনিও বড় হয়ে উঠুন। সচলায়তন আপনার কোন ক্ষতি করেছে, যতদূর বুঝতে পারছি, সেই ক্ষতি সামলে ওঠার সামর্থ্য আপনার হোক, এই কামনা করি।

খেকশিয়াল, হিডেন ক্যামের ব্যাপারটা আপত্তিকর মনে হয় এই কারণে, সেখানে যৌনতা ব্যাপারটা একটা অসুস্থ ক্রীড়া হয়ে যায়। "এই দ্যাখ আমি কোপাই" মনোভাব নিয়ে কোন ছেলে বা মেয়ে নিজের সঙ্গমদৃশ্য উন্মুক্ত করছে লোকজনের জন্য, এটা ভাবতে অস্বস্তি লাগে। হিডেন ক্যামে ধারণকৃত কয়েকটা ভিডিও আমি দেখেছি, ভালো লাগেনি। রোমান্টিক একটা অডিও একবার হাতে এসেছিলো, প্রেমিকা অনলাইনে অনেক কিছু বলে যাচ্ছে তার প্রেমিককে, আর সেই হতচ্ছাড়া সেটা রেকর্ড করে চলেছে। আমি বেশ মনোযোগ দিয়ে পুরো অডিও শুনেছি, শুনে মনে হয়েছে, মেয়েটা খুব ভুল লোককে খুব বেশি করে ভালোবাসে। আরও মনে হয়েছিলো, এই অডিও না শুনলেই ভালো হতো, কিন্তু কৌতূহলটুকু দমন করিনি। এই কৌতূহলটুকুর সুস্থতা নিয়ে যদি প্রশ্ন তোলেন, তাহলে বলবো, আমার বিচারে এই কৌতূহল অসুস্থ। কিন্তু কেন অসুস্থ, তা অনুভব করেছি অডিওটা পুরোটা শোনার পর। এর পর যেমন আর কখনোই দু'জন মানুষের ব্যক্তিগত, নিবিড় আলাপের সাক্ষী হবো না বলে ঠিক করেছি।

হিডেন ক্যাম বা হিডেন রেকর্ডারে ধারণকৃত ব্যাপারগুলি যারা উপভোগ করে, তারা উপভোগ করে আড়ি পেতে একটা কিছু দেখার আনন্দ। আমার মধ্যে এটা কাজ করে না। তবে এই জিনিসগুলো হাত বদল হয় বেশ দ্রুত, এটা দেখেছি। এর একটা কারণ হতে পারে, আমাদের সমাজে যৌনতা নিয়ে ধারণার কারণে। নিষিদ্ধ কোন কিছুর গোপন সাক্ষী হওয়ার উত্তেজনা কাজ করে হয়তো দর্শকদের মধ্যে।

তবে যেটা বিরক্ত লাগে, সেটা হচ্ছে যখন কেউ Hollier than thou মানসিকতা নিয়ে একটা কিছু উপস্থাপন করেন। ধরা যাক, ক-এর যৌন চর্চা বিষয়ে খ অবগত, খ যদি ক-এর সবকিছুকেই সেই যৌন চর্চার মাপকাঠিতে বিচার করে, তাহলে খ বরং যৌন চর্চা নিয়ে আচ্ছন্ন। যেটা দেখতে পাচ্ছি "জনসমক্ষে প্রকাশ" এর মধ্যে। এনার চোখে রসময় গুপ্তের সব পাঠকই নারকী। আমি আগ্রহী, বিবাহিত নন, এমন দু'জন পুরুষ ও নারীর একত্রে বসবাসকে ইনি কী চোখে দেখেন তা জানার জন্যে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

উদাস এর ছবি

শুয়োর হতে সাবধান

সবার মতামত পড়লাম। সবজান্তা, আপনার কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। নতুন করে শুধু একটা কথাই বলবো, মতের সামান্য কিছু তফাত থাকলেও সবাই নিশ্চই এ কথা মানেন পিন্টু, সুমন, শাহীন, অভি সহ আরো যে সকল শুয়োর কে আমরা মজার ছলে অনেকে হিরো, বস্ বলেছি তারা অবশ্যই এদের মন থেকে ঘৃণা করি। যতদূর জানি এদের কারোই কোন বিচার হয়নি। পিন্টু গ্রেফতার হয়েছিলো সেটা খবরে দেখেছিলাম কিন্তু বোধহয় পরে ছাড়া পেয়ে গেছে। আমরা কি একটা কাজ করতে পারিনা?? সচলায়তনে শুয়োর হতে সাবধান এই শিরোনাম দিয়ে এই শুয়োরদের নামগুলো এবং সম্ভব হলে এরা কে এখন কোথায় আছে সেই খবরটুকু যোগ করে একটা ব্যনার প্রথম পাতায় ঝুলিয়ে রাখতে পারিনা?? যতদূর জানি অভি এবং সুমন কানাডায় আছে, কেউ কি পারবেন এদের বা অন্য শুয়োরগুলোর বর্তমান কর্মস্থল অথবা অবস্থান সম্পর্কে আরো বেশী তথ্য দিতে?? জানিনা এতে তাদের মোটা চামড়ায় কতটুকু দাগ কাটবে। কিন্তু শুধু বসে বসে দোষটা বেশী মেয়েদের না ছেলেদের, যে দেখেছে না যে বিতরন করেছে সেটা নিয়ে তর্কের পাশাপাশি আমরা কি এই সামাজিক দায়িত্বটুকু পালন করতে পারি??

হিমু এর ছবি

ভালো আইডিয়া। উদাস, আপনিও শুরু করতে পারেন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পক্ষ কিংবা বিপক্ষ নয়
যার যেখানে দাঁড়াতে ইচ্ছে করে দাঁড়ান
আমার আপত্তি নেই
তবে মোবইলে যে সকল ছবি আসে সবগুলো কিন্তু হিডেন নয়
ডিরেক্ট শুট করাও আছে অনেকগুলো
ক্লিপ দেখলেই বোঝা যায় পাত্রপাত্রীরা ক্যামেরার কথা জানে

০২

শুধু ছেলেরা মেয়েদের ট্রাপে ফেলে তা কিন্তু হিডেন ক্লিপের সব ক্ষেত্রে সত্য নয়
মাঝে মাঝে ছেলেমেয়ে দুজনই ভিকটিম হয়ে যায় হিডেন ক্যামের
কারণ এসব ক্ষেত্রে ডেটিং সাধারণত হয় কোনো বন্ধুর বাসায় কিংবা পরিচিত কারো বাসায়

ওরাই ক্যামেরা সেট করে রাখে

০৩

আবার কিছু কিছু হোটেলে ডুয়েল মিরর বসানো থাকে। ডুয়েল মিররের উল্টো পাশ থেকে আয়নার এপাশের সব কিছুই পরিষ্কার দেখায় যায় সাধারণ কাচের মতো। কিন্তু এপাশ থেকে দেখলে এটাকে একটা সাধারণ আয়না ছাড়া কিছুই মনে হবে না

অনেক গেস্ট হাউসে এই ডুয়েল মিররের উল্টোপাশে ক্যামেরা বাসিয়ে কাপলদের ক্লিপ রেকর্ড করা হয়

০৪

হিডেন ক্যাম হিসেবে এখন মোবাইল ক্যামেরার ব্যবহারই কিন্তু বেশি

০৫

কোনো বন্ধুবান্ধবের বাসায় গেলে ছিদ্রছাদ্রাগুলো একটু দেখে নেন
দেখে নেন আলমারি কিংবা বুক সেলফের ভেতর থেকে কিছু উঁকি দিয়ে আছে কি না

০৬

হোটেল কিংবা গেস্ট হাউসে গেলে ছিদ্রছাদ্রাগুলো দেখার সাথে সাথে আয়নাগুলো পরীক্ষা করে নিন ডুয়েল মিরর কি না
পরীক্ষা করা একেবারে সোজা

আয়নার উপর একটা আঙ্গুল রাখুন
আপনর আঙ্গুল আর আয়নায় আঙ্গুলের প্রতিবিম্বের মাঝখানে যদি কোনো ফাঁক না থাকে (মানে দুটো আঙ্গুলের মাথা যদি একেবারে একটার সাথে আরেকটা লেগে থাকে) তাহলে বুঝবেন এটা ডুয়েল মিরর। আর যদি মূল আঙ্গুল এবং আয়নার আঙ্গুলের মাঝে একটু ফাঁক থাকে (মূলত আয়নার থিকনেসের সমান) তাহলে বুঝবেন একটা সাধারণ আয়না

০৭

তারপরেও আয়নাগুলো ঢেকে রাখুন অথবা আয়না থেকে সরে থাকুন

সবজান্তা এর ছবি

অনেক অনেক দিন পরের কথা...... তখন আর বাঙ্গালী ভাত খায় না, জিডিপি বাড়সে, বাঙ্গালী তিনবেলাই ম্যাকডোনাল্ডসের বার্গার খায়া কাটায়। ওই রকমই কোন এক সময়ে এক পিচ্চি পোলা, তার স্কুলের বই পড়তে থাকবে জোরে জোরে, আমরা কান পাতলে শুনবো এমন কিছু......

"...... উনার পূর্বের নাম ছিল মাহবুব লীলেন, কিন্তু হিডেন ক্যাম কিংবা ডুয়াল মিরর সনাক্তকরার একাধিক অসাধারণ পদ্ধতি আবিষ্কারের পর ইতিহাসে উনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে যায়। সে থেকে উনাকে সম্মানসূচক "হিডেন লীলেন" নামেও ডাকা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ পদ্ধতি আবিষ্কারের পর উনাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। আজও সমস্ত প্রেমিক প্রেমিকা যুগল নানাবিধ আকাম কুকাম করার পূর্বে হিডেন লীলেনের নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকেন "

-----------------------------------------------------
লীলেন ভাই, আপনার এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে জাঝা।
-----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

স্বপ্নাহত এর ছবি

প্রতিমন্তব্যের জন্য আপনাকে জাঝা

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
LoVe is like heaven but it hurts like HeLL

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বাপ রে বাপ !
কমেন্ট্গুলো পড়তে পড়তে মাথা গরম হয়ে গেলো।
এইটা নিয়া আমারে আবার কেউ কিছু কইয়েন না।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

@হিমু ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
@মাহবুব লীলেন, ' দ্য মেকিং লাভ কশন্স বাই হিডেন লীলেন ফর কপল ' হিহিহিহি

যাই হোক পোলাপান ! অনেক কিছু বুঝলাম, অনেক কিছু বুঝলাম না, পোস্টখানা কইরা দৃশার কথা মত বেকুবি করলাম নাকি তাও বুঝলাম না, মনে হয় করসি, যাউকগা । হগলরে আমার নমস্কার, সালাম ।

- খেকশিয়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অন্য কারো কথা না বরং আপনার নিজের কী মনে হলো সেটাই আসল কথা। সৎসাহস সবার থাকে না, আপনি সেটা দেখিয়েছেন এবং অবশ্যই ধন্যবাদ পাওনা আপনার সেজন্য।

তবে আপনার এই পোস্টের কল্যানে যে আমার নিজের হাঁড়ি ফেঁটে গেলো ভরা মজলিশে। এখন কি আর কেউ তার শ্যালিকা আমার হাতে দিতে রাজী হবে বস! মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

থার্ড আই এর ছবি

অপেক্ষায় ছিলাম , আমার কথা গুলো কারো মাধ্যমে বলা হয়ে যাক, দুই দিন অপেক্ষার পর অপূর্ণতার আকাঙ্খা কাটলো না তাই এই মন্তব্য পোস্ট।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সেক্স বিষয়ে: আপনার আমার কোনো ক্ষতি না করে একটা ছেলে-একটা মেয়ে মিলে যদি নিজেদের সিদ্ধান্তে নিজেদেরকে নিয়ে মেতে থাকে, তাতে আপনার-আমার বলার কিছু আছে বলে মনে হয় না। ব্যাপারটা গে বা লেসবিয়ান সেক্সের ক্ষেত্রেও একই রকম।

পর্ন মুভি দেখা বিষয়ে: কেউ যদি পর্ন মুভি দেখে উত্তেজিত হয়ে অন্যের দরজার ধাক্কা না দেয়, তাহলে দোষের কিছু দেখি না। পর্ন মুভিও বিনোদনের অংশ, এতে কেউ মজা পেলে অন্যের সমস্যা কি? রূচি বিকৃত ইত্যাদি বলার অধিকার আমার আপনার নেই বলেই মনে করি। যার যার রূচির স্বাধীনতা তার তার কাছে থাকবে। আপনার আমার ওপর তার রূচি চাপিয়ে আমাদেরকে বিপদে ফেলার চেষ্টা না করলেই এনাফ।

হিডেন ক্যাম বিষয়ে: এক পক্ষকে না জানিয়ে তার অগোচরে তার গোপনীয়তাকে জনসমক্ষে প্রকাশ করাটা অন্যায়। ফুল স্টপ।

হিডেন ক্যাম উপভোগে নৈতিকতা ইত্যাদি: পর্নমুভির সোর্স নিয়ে মাথা ঘামিয়ে তেমন লাভ দেখি না। এটা যদি জাস্ট এনাদার পর্ন হিসেবে দেখা যায়, কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এটা দেখে যদি অন্য কারো ব্যক্তিজীবনের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলা হয়, যেমন, পর্নমুভির মেয়েটা বা ছেলেটা চেনা হলে এবং এটা দেখে তার ওপর বিরূপ ধারণা হলে ব্যাপারটা অ্যাভয়েড করাই হয়তো ভালো। কিন্তু দেখার আগে কেউ বুঝবেই বা কিভাবে এটা তার পরিচিত কারো কীর্তি?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

বলাইদার সাথে একমত
হিডেন ক্যাম উপভোগে নৈতিকতা বিষয়ে ,,, যেহেতু নৈতিকতা শব্দটি আসছেই, তাহলে এটা ভাবার অবকাশ ছে যে ব্যাপারটাকে প্রমোট করা উচিত কিনা ,,,, কারণ যত দেখবেন যত কিনবেন, ব্যাপারটা তত জনপ্রিয় হবে ,,, যেমন সফটওয়ার পাইরেসী
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অমিত আহমেদ এর ছবি

অছ্যুৎ বলাই'দার সব বিষয়ে একমত হলাম। আমিও এভাবেই মন্তব্য দেবার ধান্দায় ছিলাম, আপনি সময় বাঁচিয়ে দিলেন।

তবে হিডেন ক্যাম ভিডিও-এর ব্যাপারে একটু দ্বিমত পোষণ করবো। এসব ভিডিওকে জাস্ট অ্যানাদার পর্ন মুভি হিসেবে দেখার অবকাশ নেই, যেহেতু এতে ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। কখনো শুধু মেয়েটার, কখনো দু'জনেরই। কমেন্টেই কে জানি বললেন স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ভিডিও ডিজিটাল করার সময় সেটা বাজারে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এটা দু'জনেরই অধিকার খর্ব করেছে, দু'জনকে আমি কোনো দোষ দেবো না। স্বামী-স্ত্রী যা ইচ্ছে করুক না। দোষ হবে যে বাজারে ছেড়ে দিলো তার। আবার প্রেমিক যদি প্রেমিকার ভিডিও ছেড়ে দেয় সেটাও প্রেমিকার অধিকার খর্ব করবে। একটা বেআইনি জিনিস বেআইনিই থাকবে, নীতিগত ভাবেই, আইনি ভাবেও, সেটা যেভাবেই দেখা হোক না কেন।

এসব ভিডিও ছড়ায় হিডেন ক্যাম ভিডিও হিসেবেই। তাই অ্যাভয়েড করাটা কঠিন না। আর আগে থেকে নবা জানলেও ভিডিও ছাড়লেই বুঝে ফেলার কথা।

আমি সবাইকে অনুরোধ করবো হিডেন ক্যাম ভিডিও বর্জন করতে। ডিমান্ড না থাকলে এসব ভিডিও বেইল পাবে না।

উদাস-এর প্রস্তাবনার সাথে একমত হতে পারলাম না। যেমনটা বলেছি মাঝে মাঝে ছেলে-মেয়ে দুজনেই ভিক্টিম হয়ে যায় (স্বামী-স্ত্রীর উদাহরণ আবারো)। কিভাবে বোঝা যাবে যে ছেলেটাও ভিক্টিম না?

দৃশা আবেগ নিয়ে ব্যাপারটা দেখেছেন। তাঁর আবেগ আমি বুঝতে পেরেছি। যিনি জিনিসটা মনে প্রানেই ঘৃণা করেন তাঁর সে বিষয়ে ঠাট্টা-মস্করাও ভালো লাগার কথা না। একটা উদাহরণ দেই, আমি পাকিস্তানিদেরকে দেখতে পারি না। এখন মজা করেও কেউ যদি পাকির হাতে বাঙালির নাজেহাল হবার গল্প করে আমার মাথায় রক্ত উঠে যাবে। তাঁর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমন হয়েছে। আসলে আমরা পুরুষরা এসব ক্ষেত্রে ভিক্টিম হইনা। তাই আমাদের হয়তো এটা নিয়ে মজা করতেও বাঁধে না, যে মেয়েটার জীবন নষ্ট হয়ে গেল এজন্য সেটা তখন মাথাতেও আসে না। এটা আমাদের পুরুষতান্ত্রীক সমাজের সমস্যা। সব সমস্যা হচ্ছে মেয়েদের, খারাপ হচ্ছে মেয়েটা, সমাজচুত্য হচ্ছে মেয়েরা, আবার পুরুষেরা সাবধান থাকার কথাও বলছে সেই মেয়েদেরকেই - যেন দোষটা তাদেরই। দৃশার কমেন্টের পর এই ব্যাপারটা আমি যেভাবে ফীল করেছি স্বীকার করি আগে সেভাবে করিনি। ধিক আমাদের পুরুষতান্ত্রীক একচোখা সমার, আর ধন্যবাদ দৃশাকে।

আমি খেকশিয়ালকে অনেক ধন্যবাদ দেবো এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেবার জন্য। আপনাকে পূর্ণ রেটিং।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

মণিকা রশিদ এর ছবি

বলাইদার মন্তব্যে সম্পূর্ণ সহমত!

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

আলোচনা ঋদ্ধ হয়ে উঠছিলো, তখনই ছুটির ঘণ্টা বেজে গেলো কেন যে!

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।