আমরা নটরডেম এর ছেলেরা এমনিতে বেশ ভদ্র হলেও কলেজে কোন নতুন স্যারের আগমন ঘটলে তার সাথে বিতলামী করতে মোটেও কার্পণ্য করি না। আমি যখন ছাত্র ছিলাম (৯৯-০১) তখনও নতুন স্যারদের আগমন খুব একটা হত না। বেশীর ভাগই পুরানো স্যার, কালে ভদ্রে আমাদের দুষ্ট মনকে খাচা ছাড়া করার জন্য নতুন স্যারদের আগমন ঘটতো।
আমি ছিলাম সায়েন্স গ্রুপ ২ তে। বাদ্রামীর জন্য মোটামুটি অদ্বিতীয় (যদিও গ্রুপ ৭ ও একি দাবি করবে)। যাহোক, আমাদের শায়েস্তা করার জন্য বেশির ভাগ ক্লাসেই বাঘা বাঘা স্যার থাকতো, আর আমরাও ওইসব ক্লাসে মোটামুটি বেশ শান্ত থাকতাম, আর অপেক্ষায় থাকতাম কবে নতুন কোন মোখলেসের আগমন ঘটবে।
তবে আজকে আর বাদ্রামির আলোচনায় যাচ্ছি না। অনেকদিন পর হঠাত টেরেন্স পিনেরু স্যারের কথা মনে পরে গেল। তাই লিখতে বসা।
টেরেন্স স্যার ছিলেন নটরডেম এর সবচেয়ে কড়া শিক্ষক । তার ভয়ে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। তুমি যত হাই প্রোফাইল (পরুন কানেকশনওয়ালা) ফ্যামিলি থেকেই আস না কেন, টেরেন্স স্যারের তাতে থোড়াই কেয়ার। যতখন তুমি ক্যাম্পাসে, ততখন তার কথাই আইন।
নিজের চোখে দেখা না, তবে শোনা কাহিনি হচ্ছে স্যারের বেল্ট খুলে পিটানোর কাহিনী, এক ছাত্রকে ২ তলা তার রুম থেকে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়ার কাহিনী ইত্যাদি আরো কত কাহিনী। তবে এসব কাহিনী শুনে আবার কেউ তাকে হৃদয়হীন ভাববেন না। তার গুন্ডামি ছিল বেয়ারা পোলাপান দের সাইজ করার জন্য। ভাল মানুষের সাথে তিনি ছিলেন খুব ভাল একটা মানুষ।
যাহোক, একদিনের কথা বলি...তখন সবে টেরেন্স স্যারের ক্লাস শেষ হয়েছে। নটরডেম এর একটা নিয়ম ছিল, নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিটের মধ্যে কোন টিচার না আসলে ক্লাস অটোমেটিকলি ক্যান্সেল। তো, টেরেন্স স্যার চলে যাবার পর ৭/৮ মিনিট চলে গেছে, পরের টিচারের আসার খবর নেই। আমাদের মাথায় বুদ্ধি চাপলো এবার কাউন্ট ডাউন করা দরকার। মাইক্রোফোন হাতে একজন পজিশনে চলে গেল, শুরু হল কউন্ট ডাউন। ৫৯,৫৮,৫৭... সবাই মিলে কাউন্ট ডাউন করছি, আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসাবে হৈ হৈ তো আছেই।
তো আমরা কাউন্ট ডাউনে এত মশগুল হয়েছিলাম, যে আশেপাশে কি ঘটছে তা খেয়াল করি নাই। (এখানে বলা ভাল, পুরো ক্লাস এই কাজ করছে)। তো একজন বোধহয় টয়লেটে গিয়েছিল, সে এসে খবর দিল, টেরেন্স স্যার এ ক্লাসের দিকে আসছে। মুহুর্তের মধ্যে সবাই চুপ, কয়েকজন খাতা বই বের করে হোম ওয়ার্ক করা শুরু করে দিল।
টেরেন্স স্যার আসলেন, থম্থমে মুখ। আমরা সবাই উঠে দাড়ালাম। স্যার ইশারা দিল বসতে, বসলাম। সবার এমন একটা ভাব, এখন টেরেন্স স্যারেরই আসার কথা ছিল, আর গত ৫ মিনিটে ভুলেও এখানে কোন চিতকার চেচামেচি হয়নি।
স্যার মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন...কে গন্ডগোল করছিল? কার মুখে কোন কথা নেই। স্যার জিজ্ঞেস করলেন ক্যাপ্টেন কে? ক্যাপ্টেন সামনে গেল। স্যার ক্যাপ্টেনকে জিজ্ঞেস করলেন, কে গন্ডগোল করছিল? ক্যাপ্টেন ইয়ে মানে করতে লাগলো। স্যার তাকে জায়গায় গিয়ে বসতে বললেন। তারপর শুরু করলেন ১ম রো থেকে জিজ্ঞাসাবাদ...কে গন্ডগোল করছিল? উত্তর---স্যার পিছন থেকে (আমাদের ক্লাস ছিল নতুন বিল্ডিং এর অডিটোরিয়াম রুম গুলতে)
তো এক সারি শেষ করে পাশের সারিতে চলে এসেছেন। এখনো একি প্রশ্ন চলছে, উত্তরও একি। স্যার এখনও শান্ত। একি প্রশ্ন করে চলেছেন...সবার একি উত্তর, স্যার পিছন থেকে। আর সবার শেষের সারিতে চলে গেলে... স্যার বাম থেকে বা ডান থেকে (অবস্থা অনুযায়ী)। তো এই করতে করতে আমাদের রো তে চলে আসলেন। আমি তখন বসতাম ২য় লাস্ট সারিতে। স্যার প্রথম সারিতে জিজ্ঞেস করে একি উত্তর পেয়ে সরাসরি শেষের সারিতে চলে আসলেন। আমার পিছনের সারিতে বসতো চিকা (ডাকনাম), বদমায়েশির জন্য বিখ্যাত, এবং স্যারের রেগুলার কাস্টমার। তো এবার আর জিজ্ঞাসাবাদের ধার ধারলেন না। সরাসরি চুল ধরে অক্রমন এবং সপাটে থাপ্পড়। বল কে গন্ডগোল করছিল? তুই কি বলবি? ডানে না বামে? এই বলে আরও কয়েকটা থাপ্পড়, আর চিকাও ও বাবা ও মা করতে লাগলো। আমি ভয়ে নিশ্বাস বন্ধ করে বসে আছি, মার খাবার তেমন অভিজ্ঞতা নেই, টেরেন্স স্যার এর একটা থাপ্পড় খেলে আর দেখতে হবে না। আমরা ভয়ে ঘাড় ও ঘুরাচ্ছি না। যাহোক, চিকাকে মেরে স্যার ক্ষান্ত দিলেন, ওকে টানতে টানতে সামনে নিয়ে গেলেন। এরপর সবাইকে নির্দেশ দিলেন ক্লাস থেকে বের হবার। লাইন ধরে সবাইকে বারান্দায় দাড় করানো হল, কানে ধরিয়ে। পিরিয়ড শেষ না হওয়া পর্যন্ত শাস্তির সময় ঘোষণা করে চলে গেলেন। এরপর আমরা কানে ধরে দাঁড়িয়ে থাকলাম বেশ কিছুক্ষণ। টয়লেটে অন্য ক্লাসের পোলাপান যায় আশে, আর আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে, বা হাসে, আমারা ও অন্য দিকে তাকিয়ে থাকি। কিছুক্ষণ পর মনরঞ্জন স্যার (দীপু নাম্বার ২ এর বাবা...দীপু (অরুন) আমাদের ক্লাসমেট ছিল) যাচ্ছিলেন বারান্দা দিয়ে। তিনিও জিজ্ঞেশ করলেন আমারা কি করেছি, কি সমাচার, তারপর চলে গেলেন এরপর টেরেন্স স্যারের দপ্তরী এসে আমাদের জানিয়ে দিলো, আজকের মত মাফ, কিন্তু শর্ত হল, ক্লাসের বাকিটা সময় কোন টু শব্দ করা যাবে না।
আমরাও বাধ্য ছেলের মত বাকিটা ক্লাস টিচার বিহীন ক্লাসে চুপচাপ বসে রইলাম।
(অন্যান্য স্যারদের কাহিনী আসবে সামনে)
(রেনেট)
মন্তব্য
ক্যামনে কি!
আমার বড় ভাই পড়তেন নটরডেমে। তার আর তার ক্লাসমেটদের কাছে শুনেছি টেরেন্স স্যারের টেররিজমের কথা। তার নাম ওরা দিয়েছিল টেরর স্যার!
মৃদুল আহমেদ
গল্পগুলো একই রকম, মনে হয় কেবল বছরটা এদিক ওদিক।![চলুক চলুক](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/yes.gif)
অসাধারণ এক লোক।
খুব সম্মান করতাম।
আমার নটরডেমিয়ান সিরিজে তাঁর কথা লেখার ইচ্ছে।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
- টেরেন্স স্যারের চোখের তাকানি দেখলেই ডরে আত্মা শুকায়ে খরখরা হয়ে যেতো।
একবার তাঁর রুমে ডেকে নিয়ে গেলেন। কী জানি জিজ্ঞেস করলেন, আমি খুব স্বাভাবিক ভাবে বললাম। স্যার আবারও জিজ্ঞেস করলেন একই প্রশ্ন, আমিও আবার উত্তর দিলাম স্বাভাবিকভাবে।
এবার স্যার বিরক্ত হয়ে ধমকে বলে উঠলেন, "এই যে তোমাকে জিজ্ঞেস করছি, শুনতে পাচ্ছো?"![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
আমি তখন জীবনে প্রথমবারের মতো খেয়াল করলাম, আমি কথা বলছি ঠিকই কিন্তু আমার মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। স্যার সেজন্যই আমার আগের উত্তর শুনতে পান নি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হেহেহে.... মজা পাইছি
ফেরারী ফেরদৌস
ব্রাকেটের কথাটার জন্য বাইচা গেলেন![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
----------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমার মনে হয়, বাদ্রামির সাথে ৪র্থ সাব্জেক্টের একটা সম্পর্ক আছে। বায়োলজীর পোলাপান মনে হয় ব্যাং কাটাকুটি নিয়া বেশি ব্যস্ত থাকে, তাই শয়তানি বেশী করে না। গ্রুপ ২ এখন বাদ্রামিতে আগাইয়া যায়তেছে কারন তাদের ৪র্থ সাব্জেক্ট কম্পিউটার সায়েন্স, আর আগে যখন গ্রুপ ৭ বিখ্যাত ছিল, তখন তাদের ৪র্থ সাব্জেক্ট ছিল পরিসঙ্খান।
~রেনেট
আপ্নেরা সব দেখি প্রাগৈতিহাসিক...বাদ্রামির জন্য গ্রুপ ২ এর উপ্রে কিছু আছে নাকি?![খাইছে খাইছে](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/10.gif)
আমাদের ২০০০-২০০২ ব্যাচের গ্রুপ ৭ 'কী' জিনিস ছিল সেটা আমাকে আর ইশতিয়াককে জিগেস করলে ভাল উত্তর পাবেন![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
এ গল্প আমাকে থ করে দিল, আমার কলেজের শিক্ষকরা এত খারাপ, নিষ্ঠুর হয়েছেন পরে! আমার ক্লাসে আমি সবচেয়ে অবাধ্য ছেলে ছিলাম মনে হয়, কারণ আর কাউকে (বোরিং) ক্লাসে কথা বলার জন্য দুবার বের করে দেওয়া হয় নি, এবং যথারীতি ৫০ পয়সা ফাইন দিয়ে পরের ক্লাসে আসতে হয়েছিল। এটাই ছিল সর্বোচ্চ দন্ড।
অবশ্য তিন/চার বার আরো অনেক গর্হিত অপরাধ করেছিলাম। এবং সেখানেও ধরা পরে শাস্তি পেয়েছিলাম। দু হপ্তা পর পর পরীক্ষা, কোন কোন বন্ধু প্রস্তুত না থাকলে মাঝে মাঝে অনেক অনুরোধে আমি নিজের অংক শেষ করে হাতের লেখা বদলে তাদের শীটও লিখে ভীড়ের মধ্যে জমা দিতাম। তবে সন্দেহের জন্ম না দিতে কাউকে ১০০ করে দিতাম না। তবে এক পরীক্ষায় ৪ জনেরটা করে দিয়েছিলাম। এদের একজন এখন এতো ক্ষমতাবান, তার নাম শুনলে সবাই চমকে উঠবেন। তখন এ্যাডভেঞ্চার মনে হতো, এখন এ সব মনে পড়লে খুব পজ্জা পাই। যেবার ধরা পড়ি পেছনের ছেলেকে আমারটা দেখাতে গিয়ে, সেবার আমাকে ৯৫/২ = ৪৮ দেওয়া হয়েছিল, অর্থাৎ অর্ধেক নম্বর। আমি বুকে সাহস নিয়ে ফাদারকে বললামঃ আমাকে আপনি ৫০ বা ০ দিলে বেশী খুশী হতাম, কারন আপনি প্রথমে যে ৯৫ দিয়েছেন তা ভুল, আমার অংক সব ঠিক, প্যারাবোলাতে আসলেই xy টার্ম থাকতে পারে, যদি অক্ষ ঘোরানো হয় (যা তিনি ক্লাসে পড়ান নি)। কিছু সময় নিয়ে শেষে তা স্বীকার করে নিলেও আমাকে ৫০ বা ০ কোনোটাই দিলেন না, ঐ ৪৮ই রাখলেন।
হায়, সেই নটর ডেম-এ এখন বেল্ট চলে!
টেরেন্স স্যারকে নিয়ে চালু গল্প গুলো বেশির ভাগই কেবলই গল্প। বেল্ট খুলে পেটানোর কাহিনী সবাই কেবল শুনেছেই, দেখেনি। আরো গল্প চালু আছে। যেমন একটা - দোতলার বারান্দা থেকে কলার ধরে ঝুলিয়ে স্বীকারোক্তি বের করা। চড়-থাপ্পড় যে মারতেন না তা নয়। তবে আমি আমার দুই বছরের নটরডেম জীবনে টেরেন্সকে একবারই কারো গায়ে হাত তুলতে দেখেছি।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
আমার সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য বলতে পারবো না, আমি যেবার কলেজে ঢুকি তার আগেই স্যার কলেজ থেকে চলে যান। যতদূর শুনেছি স্যারের সাথে কলেজ কতৃপক্ষের স্পর্শকাতর বিষয়ে বনিবনা হয়নি। আমরা ঢোকার আগেই আরেকজন বিখ্যাত শিক্ষক চলে গিয়েছিলেন, তিনি হচ্ছেন অংকের নিমাই স্যার। শুনেছিলাম, স্যারকেও একই কারনে কলেজ ছাড়তে হয়েছিল।
সম্প্রতি কয়েক মাস আগে শুনলাম, নটরডেমের বিখ্যাত রসায়ণ শিক্ষক বিদ্যাসাগর মল্লিক স্যার মারা গিয়েছেন, আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্যারকেও কলেজ ছাড়তে হয়েছিলো।
অনেকেই বলেন অত্যাধিক চাপের কারনে নটরডেমে তাদের ভালো সময় কাটেনি। অবশ্য আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা পুরোই উলটো। অসম্ভব চাপের মধ্যে থেকেও গ্রুপ সেভেন এর ছাত্র হওয়ার কারনে সীমাহীন বাঁদরামির মধ্যে দিন গুজরান করেছি।
"দোজ অয়ার দ্য সুইট ডেজ ... ... "
-----------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
চিমটি![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
- ভয় পাবার কারণ নেই বজলুর রহমান। লেখক যে সময়ের কথা বলছেন তারও কয়েক বছর আগে আমরা একই কাহিনী শুনেছি। কিছুটা লোকমুখে, কিছুটা টেরেন্স স্যারের মুখে। কিন্তু বোধ করি স্যারকে আমরাই যখন পেয়েছি তখন তিনি যৌবনের সেই ক্ষুরধার সময় পার করে এসেছেন। বয়সের ভার একটু একটু করে পড়ছে শরীরে। সারা কলেজ জীবনে স্যারকে কয়েকবার কেবল ফ্রী-হ্যান্ড এ্যাটাকে যেতে দেখেছি, বেল্ট কিংবা বাহ্য অস্ত্রসহ নয়।
আর মজার কথা হলো, স্যার এখন নেই। কলেজ অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছেন কিংবা উলটোটা, খুব সম্ভবত জীবনকেও টাটা জানিয়েছেন (যতটুকু শুনেছি)। এখনকার সময়টা, যতোটুকু আপডেট পেয়েছিলাম, মনে হয়েছে স্যাররা গুরগুর ডাকলেও প্রবল বেগে বর্ষেন না এখন আর। মানে, নটর ডেম এখন তার প্রথম দিককার সময়েই ফিরে যাচ্ছে ধীরপায়ে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ্যা, টেরেন্স স্যার মারা গেছেন গত বছর, হার্ট আটাক করে। তার সাথে ব্যাক্তিগত রেষারেষি কারো থাকতেই পারে, কিন্তু আমি বলব, নটরডেম এর মেরুদন্ড ছিলেন তিনি।
~রেনেট
নটরডেম এর মেরুদণ্ড বলতে টেরেন্স পিনেরোই ছিলেন। নিমাই স্যার চলে যাবার পর খূব কষ্ট পেয়েছি আমরা সবাই। টেরেন্স স্যার আর নিমাই স্যারের মৃত্যুর খবর শুনে খুবই খারাপ লেগেছে।
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আমাদের সময় বিদেশী বেশি ছিলেন না। ফাদার পিশাতো (Peixotto), ফাদার বেনাসকে (Benus) নিয়মিত পেতাম। ফাদার প্রেইরা (Pereira) ছিলেন। ফাদার টিম (Timm) ইন্ডিয়ানা থেকে মাঝে মাঝে এসে পড়াতেন। তাঁর সম্পদের নাকি লেখা-জোখা নেই। নিজের প্লেনে করে আসতেন। সত্যি না মিথ্যা জানা নেই। আর কারো কথা মনে পড়ছে না। আর আমাদের ক্লাবে যারা অ্যাক্টিভ ছিলেন তাদের হয়তো নটরডেমের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্ল্যাকার্ড বা অন্য কিছু আনতে যাওয়া হয়েছে। মাঠের ডান পাশে গাছে ঘেরা জায়গাটা। সেখানে বিদেশি সিস্টারদেরকে দেখেছি। তবে তাঁরা সব সময় ওখানে থাকেন। নাকি মাঝে মাঝে, তা জানি না।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
ফাদার টিম আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী, তবে সম্পদের ব্যাপার যেটা বললেন কোথায় পেয়েছেন জানি না, এ ধরণের কোনকিছু কোনদিন শুনিনি। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে কারিতাসের ডিরেক্টর ছিলেন, এখনো আছেন কিনা বলতে পারবো না। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ডিবেটিং ক্লাব আর সর্বপ্রথম সায়েন্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মডারেটর ছিলেন।
ফাদার টিমের অসাধারণ একটা আত্মজীবনী আছে, "ফরটি ইয়ারস ইন বাংলাদেশ"। দুর্ভাগ্য যে শিক্ষক হিসেবে ওনাকে পাইনি।
ফাদার বেনাসের নামের বানানটা যতদূর মনে পড়ে Banas, James T. টিভিতে প্রচারিত বড়দিনের অনুষ্ঠানের ক্লিপিং দেখলে গিটার বাজাতে দেখতে পারেন, সুন্দর গান করেন ফাদার।
আমি নটরডেমে পড়িনি তবে এস এস সি'র পর বাবা-মায়ের চাপে পড়ে 'দি রয়েল একাডেমি' তে স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করতে গিয়ে স্যারকে পেয়েছিলাম। যতদূর মনে পড়ে উনিই ওখানকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ছিলেন। আমার কাছে অতটা কড়া মনে হয়নি যতটা বন্ধুদের কাছে শুনেছি।
ইংরেজিতে অসাধারণ জ্ঞান আর মজার সব গল্পের স্টক - স্যারের কল্যানে সময়টা মন্দ কাটেনি।
ফাদার টিম সম্পর্কে অমিতের মন্তব্যে দুঃখ পেলাম। আমি ভর্তি হওয়ার সময়ে চতুর্থ বিষয় হিসাবে ভূগোল দিয়েছিলাম ফর্মে, কিন্তু তখনকার প্রিন্সিপাল ফাদার গ্রাহাম (রসায়নের) আমাকে জীববিদ্যা নিতে বলেন ফাদার টিমের কারণে। এতে আমার কষ্ট হয়েছে, কারণ ভূগোল নিলে হয়তো কিছুই পড়তে হতো না, জীববিদ্যার সবকিছুই ছিল নতুন। তবে ফাদার টিম (তিনিই একমাত্র পি, এইচ,ডি ছিলেন এবং বহু বছর চালু ভুঞা এন্ড টিম বইটির অন্যতম লেখক) অসাধারন ভালো শিক্ষক ছিলেন, জীববিদ্যাকেও অংকের মত লজিকালী পড়াতেন। পরে তিনি কারিতাসে যোগ দেন শুনেছি , এবং সমাজ সেবার জন্য ম্যাগসেসে পুরস্কার পান। তিনি আমাদের ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটরও ছিলেন।
ফাদার টিম অন্য ফাদারদের মতো ডর্মে শুতেন না। ছাত্রদের ল্যাবের পাশেই তাঁর রিসার্চ ল্যাব-কাম ৪ফুট বাই ১০ফুট শোবার ঘর ছিল। সেখানে তিনি প্রায় ২৫০ বাংলাদেশী প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন।
আমাদের সময় বাংলা ছাড়া আর সব বিষয়ে মূল শিক্ষক ছিলেন আমেরিকান ক্যাথলিক মিশনের ফাদার। সবার কাছে সব চেয়ে পছন্দের শিক্ষক ছিলেন সদাহাস্যময় তরুণ ফাদার বেনাস ( Banas), যিনি মনে হয় বাংলাদেশের প্রেমে পড়ে রয়ে গেছেন।
- ফাদার টিমকে পাইনি শিক্ষক হিসেবে। তখন তিনি নটরডেম পরিবারে সরাসরি নেই। একবার কী যেনো একটা অনুষ্ঠানে (খুব সম্ভবত কসমস এর মোড়ক উন্মোচনে) এসেছিলেন প্রধান অতিথি হয়ে। টিয়া রঙের উপর কালো ব্লকের অসাধারণ কারুকাজ সম্বলিত ফতুয়া পরে তিনি দাড়িয়ে কথা বলেছিলেন। সে-ই দেখা। তাঁর নাম জানতাম কলেজ নির্দেশিকার ডিবেটিং ক্লাবের পাতায়।
আপনার সময়কার তরুণ ফাদার বেনাসকে আমি দেখেছি বৃদ্ধ জবুথবু একজনকে। ফাদার স্টিফেন (সমাজকল্যানের) যেদিন সাতরাস্তার মোড়ে অ্যাকসিডেন্ট করে মারা গেলেন সেদিন কলেজের সামনে তাল গাছের গুঁড়িটা দিয়ে ব্যারিকেড বানিয়ে পুরো রাস্তা ব্লক করে থাকা আমাদেরকে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে তিনিও এসেছিলেন। "যাও যাও বাড়ি যাও"- তাঁর এই কথাকে কেউ পাত্তাই দিলো না!
শেষমেশ ঐ, মেরুদন্ড পিনেরু। ফাদার বকুল একদিকে, আরেক দিকে টেরেন্স স্যার। আরও কয়েকজন সিনিয়র স্যার ছিলেন, মনে নেই।
ফাদার পিশোতো ধুমকেতুর মতো ছুটছিলেন এদিক সেদিক। রাস্তা উল্টাপাশেই মতিঝিল থানা। সেখান থেকে ঠোলারা এসে তাঁর ছেলেপেলেদের গায়ে হাত তুললে সেটা শোভন হয় না মোটেও! সেদিন কোনো একটা কারণে স্যারেরা আমাদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেয়া পর্যন্ত পুলিশ কিছুই বলেনি। একটা টু শব্দও না।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমরাও ফাদার বেনাসকে পাত্তা দিতাম না, এবং তিনিও তা চাইতেন না, সেজন্যই তিনি প্রিয় ছিলেন।
একবার বললেনঃ তোমরা কিসে এতো সময় নষ্ট কর যে লেখাপড়া করার সময় পাও না। বলে নিজেই বোর্ডে জরুরী কাজের তালিকা লেখা শুরু করলেন ঃ ব্রেকফাস্ট - ১ ঘন্টা। গোসল ১ ঘন্টা, শেভ করা ১/২ ঘন্টা (আমাদের ১০% তখন শেভ করবার মত গোঁফ দাড়ির অধিকারী) পারিবারিক কথাবার্তা - ২ ঘন্টা,... এভাবে শেষে দেখা গেল, লেখাপড়া ছাড়াই দিনে ২৫ ঘন্টা দরকার। তিনি বোকার মত হাসতে থাকলেন , আমরা তুমুল হাততালি দিয়ে সমুর্থন জানালাম।
তিনি এত সুদর্শন ছিলেন যে অনেকে ইচ্ছে করে তাঁর নামের Banas বানান বদলে লিখত Venus.
দুঃখ পাবার মত কি বললাম সেটা বুঝলাম না! ফাদার টিমকে অসম্মান করে কি কিছু বলেছি? তাঁকে অসম্মান করার কল্পনাও তো আমার মাথায় আসবে না!
আমরা যখন ছিলাম তিনি নটরডেম এর সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন না। ইন্ডিয়ানাতে তাঁর বাস। কিন্তু নটরডেম ডাকলে সেই ইন্ডিয়ানা থেকে ছুটে আসতেন। এসে কিছু ক্লাসও নিতেন।
আমাদের সময়ে তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তির গল্প নটরডেমে অনেকেই করতো (এবং আমি জানিয়েছি এটা অসমর্থিত)। এবং এত টাকা ছেড়ে তিনি যে বাংলাদেশে কাজ করেছেন সেটা নিয়েও সবার মাঝে একটা শ্রদ্ধাও কাজ করতো।
নটরডেম নিয়ে আমার সিরিজের চারটি লেখা এক দুই তিন চার। এর পরে আর লেখা হয়নি। এ পোস্টে আগ্রহে একটু হাওয়া লেগেছে।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
আপ্নেও গ্রপ সেভেন !!![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
আমিও। আমার রোল ছিল ১০৩৭১১০। খামোশ ( যদিও আমাদের নিতেন চার্লস ফিলিপ সরকার ), এসি ডিসি, মনোরঞ্জন স্যার, মল্লিক স্যার, গুহ স্যার, আরো কত নাম !
জানেন কিনা জানি না, মনোরঞ্জন স্যার এবং মল্লিক স্যার দ জনেই মারা গিয়েছেন![মন খারাপ মন খারাপ](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/2.gif)
-----------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বিদ্যাসাগর স্যার ও মারা গেলেন? হায় হায়। বড় মজার মানুষ ছিলেন...কলেজে লেকচারে কেমন মজা করতেন জানি না, কিন্তু স্যারের কাছে প্রাইভেট পরতাম, সে কি গল্প! আর ক্লাসে পড়াতেন এসি দাস...ব্যাঙ্গের কন্ঠস্বরে...কোন জঙ্গল থেকে আইছ?
~রেনেট
বিদ্যাসাগর স্যার আমাদের গ্রুপ ১ এ দ্বিতীয় বর্ষে ক্লাস নিতেন। তো একবার রসায়ন ২য় পত্রের কোনো একটা ক্লাসে পড়াতে যেয়ে একটা টপিক সম্পর্কে মজা করে বলেছিলেন--"এইসব পড়বা না-- পড়লেও আইবো না--- আইলেও লেখবা না--লেখলেও নাম্বার পাইবা না" ।
শ্রোডিংগার ইকুয়েশন নিয়ে ... আমাদের গ্রুপ টুতেও একই ডায়লগ দিসিলেন![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
বিদ্যাসাগর মল্লিক মারা গেছেন শুনে খারাপ লাগলো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- কী!!!???
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নটরডেম নিয়ে আমার ও অঅঅনেক স্মৃতি![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
মজার একটা ভর্তি পরীক্ষা দিছিলাম। আব্বা আম্মার প্রতিবাদের মুখে জোর করে ভর্তিও হইছিলাম। ঢাকায় থাকবার জায়গা নাই, মেস এ থাকতে হবে... তো আব্বারে নিয়ে একদিন আরামবাগ, কমলাপুর চষে ফেললাম মেসের খোঁজে। ঘোরাঘুরির ফলে বুঝতে পারলাম সুখে থাকতে ভুতের কিল খাওয়ার কোন মানে হয় না। কলেজিয়েট স্কুলের আমার অনেক বন্ধুদের ও সেম কাহিনী। শেষমেষ গ্রুপ বেঁধে স্বনগর প্রত্যাবর্তন এবং চট্টগ্রাম কলেজ এ বান্দরামির এইচএসসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
গ্রুপ সেভেন-এ ছিলাম। যথারীতি গ্রুপ সেভেন স্ব-বৈশিষ্টে উজ্জ্বল ছিল (৯২ ব্যাচ - ৯২৭০০৪)।
তখন নতুন ভবনটা ছিল না। আমাদের ক্লাস হত ২০১-এ, রসায়ন ল্যাবের পাশে। টেরেন্স স্যারের রূম ছিল বারান্দার অন্য মাথায়, বায়োলজি ল্যাবের পাশে।
কী একটা উপলক্ষে একবার সবাই জিন্স, পাঞ্জাবী আর সানগ্লাস পড়ে ক্লাসে গিয়েছিলাম। বাঘা মকবুল স্যারের ক্লাসে একজন এলো সাধারন প্যান্ট আর টি শার্ট পরে। স্যার ওকে বললেন: কী ব্যাপার, ইউনিফর্ম পড়ে আসোনি কেন?
সেদিনই, পরের মারলিন ক্লারা পিনেরু ম্যাডামের ক্লাসে বাঁদরামী হচ্ছিল। কোথা থেকে টেরেন্স স্যার এসে ক্লাসশুদ্ধ সবাইকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেল। পুরা ক্লাস, সদ্য যোগ দেয়া ক্লারা ম্যাডামের সামনে জিন্স, পাঞ্জাবী, সানগ্লাস পড়ে কান ধরে দাঁড়িয়ে ....
টেরেন্স স্যার গ্রুপ-২ তে ইংরেজি ক্লাস নিতেন। আমার জিগর দোস্ত মাসুদ ঐ গ্রুপে। প্রতি সপ্তাহে ওদের হোমওয়র্ক ছিল অবজারভারের সম্পাদকীয় বাংলা অনুবাদ করে জমা দেয়া। কিছুদিনের মধ্যেই ওরা টের পেয়ে গেল যে স্যার ওসব দেখেন না .... এর পর থেকে মাসুদ ওখানে মাসুদ রানা থেকে কয়েক পাতা কপি করে দিত
... ...
একবার টেরেন্স স্যার আমাদের ক্লাসে ইংরেজি ক্লাস নিতে এলেন। নিজের পরিচয়ে বললেন: আমাকে চেনোনা ... আমি হচ্ছি এই কলেজের ডগ DOG অর্থাৎ ডিরেক্ট অব গাইডেন্স।
শুনেছি গ্রুপ-২তে (মাসুদ ছিল যেখানে) এক ছাত্রকে কোন কারণে শাস্তি হিসেবে নিজের (ঐ ছেলের) থুথু চাটিয়েছিলেন উনি।
আর আমাদের ক্লাসের একজন অপরজনের নামে নালিশ করায়, অভিযুক্তের পিঠে হাতবুলিয়ে দিতে দেখেছি। পরে শুনলাম হাত বুলানোর ফাকে ফাকে রাম-চিমটি চলছিল।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ভাই সকল, আপনারা গ্রুপ সেভেনে দিন কাটান নাই দেখে মনে করেন আপনারা বহুত বাঁদরামো করেছেন। হাত নিশপিশ করছে। সময় করে লিখেও ফেলতে পারি। বাঁদরামো শুধু না, দুঃসাহসিক অনেক কিছুই করেছিলাম আমরা গ্রুপ সেভেন থেকে। অধম ক্লাস ক্যাপ্টেনের কাছ থেকেই জেনে নিলেন নাহয়।![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
আমার রোল# টা আরো মজার... ১০২ ৭ ১০২ পারফেক্ট সিমেট্রি!
টেরেন্সের মার দেখেছি, নিমাই-গুহ-মুখতারের লেকচার শুনেছি। জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনগুলো... সেই "স্পর্শকাতর ঘটনা" নিয়েও জানা দরকার সবার। টেরেন্স ও নিমাই কে আমি শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে শ্রদ্ধা করি। চেপে রাখা অনেক ঘটনা মনে হয় সবার জানা উচিত।
হ্যা। বাদ্রামির সব গল্প মাগনা মাগনা ফাস করে দেই আর কি! (এখনও ইন্টারের সার্টিফিকেট তুলি নাই...)
~রেনেট
ধন্যবাদ সবাইকে আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য। আসলে নটরডেম কে ঘিরে এত স্মৃতি, বলে শেষ করা যাবে না। একমাত্র নটরডেমই বুঝি পারে ২ বছরে এত স্মৃতি উপহার দিতে।
~রেনেট
ঠিক কথা।
আরেকটা পর্ব লিখলাম, সময় পেলে পড়বেন। নটরডেমের অনেককেই দেখা যাচ্ছে...সময় পেলে আপনারাও কিছুটা শেয়ার করেন আপনাদের বাদ্রামি...
আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় পার করেছি নটরডেমে। জহরলাল স্যার মজা করে বলতেন...আমরা ডেম কলেজের ছাত্র এবং ভবিষ্যত ছাতার ইঞ্জিনিয়ার।
~রেনেট
রেনেট তুই নটরডেম নিয়া লিখলি...রেসিডেন্সিয়াল মডেল নিয়া লিখবি কবে?
লেখা ভালো হইসে।
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
আশ্চর্য ব্যাপার। সবার লেখাতে এত কথা উঠে এল, কেউ একবারও মুখতার আহমেদের নাম করলো না !
ঘটণা কি !!
মুখতার স্যারকে নিয়ে লেখার চিন্তা ভাবনা করছি...কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, মুখতার স্যারের গল্প মুখতার স্যার ছাড়া অন্য কেউ ঠিক মত করতে পারে না!
~রেনেট
আচ্ছা, মুখতার খারাপ, নাকি মুখ তার খারাপ?![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আবার জিগায় !
তাড়াতাড়ি লিখে ফেলো ।
আহ্ নটরডেম !
সবকথার এক কথা - টেরেন্স স্যার বড় ভালো লোক ছিলেন।
আরেকটা ব্যাপার অবাক লাগলো - সচলায়তনে এত্তো নটরডেমিয়ান!!!
ফেরারী ফেরদৌস
ভাই আমিও নটরডেমিয়ান। টেরেন্স স্যার কে আমরা যমের মত ভয়পেতাম। একদিন আমরা ক্যান্টিনে গুলতানি মারতাছি দেখি টেরেন্স পিনারু আসছে। আসাই করলকি ক্যান্টিনের দরজা দিল সব বন্ধ করে।তার পর একে একে সবাইকে জেরা ।কোন মতে পার পেয়েছিলাম সেই বার। একবার ফাইনাল পরীক্ষায় উইথহেল্ড পেলাম , খুবই আশ্চর্য লাগলো কারণ কোন বিষয়ে তো ফেল করি নাই তবে উইথহেল্ড কেন?? ডাক পড়ল টেরেন্সের রুমে এবং যাওয়ার পর দেখি ক্লাশে উপস্থিতির ৮২% যা কিনা ৮৫% দরকার। স্যার জিগাসা করলেন কি ব্যপার বললাম স্যার অসুখ ছিল আসতে পারিনাই। মাপ করে দিলেন । আমিই ছিলাম লাইনের প্রথমে। পরে যারা গেল তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়েছিল। অনেকে কলেজ থেকে পরীক্ষা পযন্ত দেয়া হয়নি। তবে টেরেন্স স্যার সত্যিই খুব ভাল মানুষ ছিলেন। তার করণে নটরডেম কলেজে আইন কানুন সঠিক ভাবে মানতো ছাত্ররা। আমার মনে হয় টেরেন্স স্যার নটরডেমের কিংবদন্তী হয়ে গেছেন । আজও নতুন ছাত্ররা তার নাম জানতে পারে পড়তে গিয়ে।
রবিন
রেনেট তোমার এই লেখা আগে চোখে পড়েনাই। টেরেন্স স্যার আমার জীবনে পাওয়া অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। যাই হোক তুমি যেই ঘটনার কথা বললে, ঐদিন আমি টোপাজ আর আরো কয়েকজন মিলে কাউন্টডাউন না করে টিটি খেলতে গেছিলাম, পরে যখন শুনলাম পুরো ক্লাস কান ধরে দাঁড়িয়েছিল, আমাদের আনন্দ আর দেখে কে![খাইছে খাইছে](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/10.gif)
ঢাকা কলেজে পড়েও টেরেন্স পিনেরুর তাড়া খেয়েছি নটরডেমের কি একটা মেলাতে। নটরডেমের ছেলেরা যমের মত ভয় করত উনাকে।
উনি মারা গেছেন, আমার যত নটরডেমের বন্ধু আছে সবাই শ্রদ্ধা করত উনাকে।
অনেকেই জানে না, উনি বুয়েটে ফার্স্ট ইয়ারে বিজনেস ইংলিশ পড়িয়েছেন কয়েক সেমেস্টার সাবস্টিটিউট টিচার হয়ে, ১৯৮৫/৮৬ সালে মনে হয় (আমরা বুয়েটে ভর্তির আগে)।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই এতদিনে একজন ঢাকা কলেজের লোক পাওয়া গেল।
ভাই আপনি কত সালের এইচ এস সি?
'মুখ তার' কবেকার অন্ধকার বিদিশার ইয়ে...
আর ইয়ে... গ্রুপ ওয়ানের কেউ নাই?
ভাল ছেলেরা ঘরে বসে নেকাপড়া কচ্ছে। সচলে আসার সময় নেই ।
বান্দা হাজির । হাজির যখন হলামই তখন মুখতার স্যারকে নিয়ে একটু স্মৃতিচারণ করেই ফেলি। মুখতার স্যার প্রথম যেদিন ক্লাস নিতে এলেন সেদিন আমার মনে হয়েছিল হাসতে হাসতে মনে হয় মরেই যাবো স্যারের কথা শুনে। স্যার যে কথাগুলো বলছিলেন ক্লাসে কোনো স্যার এ কথা বলতে পারে তা ভাবনার অতীত ছিল।
আমরা দুইজন খুবই ভালো শিক্ষকের ইংরেজি ক্লাস পেয়েছিলাম। সুশীল স্যার তো ছিলেন রীতিমত অসাধারণ। সুন্দর জিনিসের প্রতি ছাত্রদের আগ্রহকে কিভাবে জাগিয়ে তুলতে হয় সেটা স্যার খুব ভালো করে জানতেন। সেই সময় আবার মনিকার সাথে ক্লিনটনের সম্পর্ক নিয়ে দুনিয়াজুড়া পচুর গিয়ানজাম চলতেছিল। তো মাঝে মাঝে আমরা সেই বিষয় নিয়াও স্যারের সাথে আলাপ করতাম।আর পেয়েছিলাম টেরেন্স স্যারের ক্লাস। অসম্ভব ভালো ক্লাস নিতেন স্যার আর ক্লাসে একটা কথাও বাংলায় বলতেন না। মাঝে মাঝে পড়ার বাইরের অনেক বিষয় নিয়েও কথা বলতেন যেগুলো অনেক ইন্সপায়ারিং ছিল। এই লোকটাকে আমার অনেক ভালো লাগত।
নটরডেম নিয়ে আমার স্মৃতিগুলো লিখতেই হবে লিখতেই হবে!
টেরেন্স পিনেরোর হাতে নিগৃহিত হবার ইতিহাস বুকের মধ্যে পুষে রাখলে পোষাবে না।
ভয় লাগে যদিও ঐসব দিনে ফিরে যেতে, এই বেশ ভালো আছি...
কলেজ জীবনের প্রথম দুই মাস নটরডেমে ছিলাম। গ্রুপ ৭, ৯৩ এইচ এস সি।
শুরুতেই পিনেরো নিজের পরিচয় দিলেন জলদস্যু বংশোদ্ভূত DOGবলে। খুব মজা পেয়েছিলাম। তার হাতের টিপ বেশ ভাল ছিল, বোর্ডের কাছ থেকেই চকের টুকরো উদ্দিষ্ট লোকের মাথায় ফেলতে পারতেন। স্কুলের সব ইয়ার-দোস্ত ঢাকা কলেজে যাওয়ায় পরে সেখানে চলে যাই। তবে ঢাকা কলেজে ক্লাসরুমের কোন উল্লেখযোগ্য স্মৃতি নেই, এমনকি ঢাকা কলেজের শিক্ষকের নাম-ছবিও মেলাতে পারবো না।
নটরডেমের আপনারা সবাই তাই বেশ ভাগ্যবান।
০০-০২ ব্যাচ, গ্রুপ ১, গ্রুপ ৭ আমাদের সময় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল মানি, কিন্তু তার পরে বোধ হয় ছিলাম আমরা।
টেরেন্স পিনেরুকে দিয়েই শুরু করি, কলেজ লাইফের প্রথম অল্প কয়েকটা ইংরেজী ক্লাস পেয়েছিলাম, কবিতা কিছুই বুঝিনা বলে বেশি উচ্চমার্গের কবিতা পড়তে গেলে ঘুমায়ে যাই, সেই আমি দেখি মন দিয়ে পিনেরু স্যারের গমগমে গলায় কবিতা আবৃত্তি শুনছি। এরপর ফাদার বেনাসকে ছাড়া ইংরেজির আর কাউকে ভাল লাগেনি। স্যারের মারের কথা শুনেছি, দেখিনি, কিন্তু এটুক জানতাম যে ক্লাসটাইমে কাউকে ক্যান্টিনে পিনেরু পেলে তার খবর আছে।
আপনাদের পুরা ক্লাস কান ধরায়ে দাঁড় করায়ে রাখা কোন বছর ছিল? আমি মনে হয় দেখসিলাম![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
অংকের জহরলালের "কি বুঝি?" আর নিমাইয়ের "উপলব্ধি" দুইটাই শুনেছি। ক্লাসে তাদের মূল্য দিতে না পারলেও বের হয়ে খুব ভালভাবেই বুঝেছি।
সুশান্ত আমার দেখা বেস্ট ফিজিক্সের টিচার। তাকে মিস করি।
বাংলার মোক্তার বা আবু বকর সিদ্দিকীকে ভাল লাগেনি। সবাই মোক্তারকে অনেক পছন্দ করে দেখেছি, কিন্তু আমার কেন জানি তার জোকগুলা খুব সস্তা লাগত, তার পদ্মানদীর মাঝি পড়ানটা একটুও ভাল লাগেনি।
বায়োলজিতে গাজী আজমলকে পেয়েছি, ক্লাস করতে কঠিন মজা লাগত।
বিদ্যাসাগর স্যারের ভুড়ি নাচাতে নাচাতে "এইসব পড়বা না-- পড়লেও আইবো না--- আইলেও লেখবা না--লেখলেও নাম্বার পাইবা না" শুনতে ভালই মজা লাগত। তার পড়ানোর এন্থুসিয়াজম দেখতে ভাল্লাগত।
কত মজাতেই না ছিলাম তখন! সেকেন্ড ইয়ারে কুইজের সময় আমার সামনের রোল খালি থাকায় এক স্যার (সম্ভবত মনোরঞ্জন গুহ) খালি আমার সামনে বসে থাকতেন। দেখাদেখি না করি, পরীক্ষার সময় সামনে বসে তাকায়ে তাকায়ে খাতা দেখতে থাকলে কাহাতক সহ্য করা যায়? একদিন দিলাম পানি ঢেলে, আমার এক বন্ধু উৎসাহ পেয়ে কিছুক্ষণ পাড়াল। স্যার এসে বসতে গিয়ে পানি দেখে আমাকে জিগেস করেন, "এটা কেমনে হল?" আমি বললাম, "স্যার, আমরা এসে এমন পেয়েছি। আগের ব্যাচের ছেলেরা হয়ত..."। স্যার কিছুক্ষণ ছাদের দিকে তাকিয়ে আনমনে, "উপর থেকে কি লিক করছে?"![শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/19.gif)
এইসব আকাইম্যা, পুরান কথা মনে করায়া দেওয়া পুস্টে কইষ্যা মাইনাস! মন খারাপ করায়ে দিলেন![মন খারাপ মন খারাপ](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/2.gif)
থেঙ্কু!![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
--- আশাহত
আমরা বলতাম মনোরঞ্জন মালো, কারণ ওই নামে একটা ক্যারেক্টার ছিল বাংলা বইয়ে...![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
সৌদামিনী মালোর বাবা না স্বামী ছিল? মনে নাই। সৌদামিনী মালো গল্পটা পড়ে খুব খারাপ লাগসিল এইটা মনে আছে।
=======
আশাহত
We shall never disturb any class should the teacher be late -- টেরেন্স এর নির্দেশে ১০হাজার বার লিখতে হয়েছিল। সেটা নিয়ে একটা কাহিনী আছে, কোন একদিন বলা যাবে।
পিপিদা, কাহিনীটা লিখেই ফেলেন।
আমারও প্রায় একইরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। টেরেন্স আমাকে নির্দেশ দিয়েছিল - 'I will never be late again' কথাটি পাঁচ হাজার বার লিখে পরদিনই তার অফিসে জমা দেওয়ার জন্য!! চিন্তা করেন অবস্থা?
বাসায় ফিরে আমি, আমার ভাই-বোন, নিচের তালার ভাবী, উপরের তলার দুলাভাই সবাই মিলে লেখা শুরু করে দিয়েছিলাম। পাঁচ হাজার শুনতে অত বেশী মনে হয় না, কিন্তু লিখতে গেলে বুঝা যায় কি সাংঘাতিক ব্যাপার ছিল সেটা!!![চিন্তিত চিন্তিত](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/39.gif)
![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
যাই হোক, পরদিন জমা দিতে পেরেছিলাম, কিন্তু বাড়ীর সবাইকে হাত মালিশ করতে হয়েছিল দুদিন ধরে!
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
নটরডেমের লাইফের উপর একটা ই-বইয়ের দাবী জানাই। কিংবা কলেজ লাইফের উপরও হতে পারে, তাহলে সবাই অংশ নিতে পারবে। কনট্যাক্ট এ্যাট সচলে -এ একটা মেইল দিলাম।
দাবীর সাথে সহমত পিপিদা!
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
- আমি নাই, আগেই হাত তুললাম। কারণ এই টেরেন্স ব্যাটা আমারে তাঁর অফিসের দরজার সামনে কান ধরে দাঁড়া করায়ে রাখছিলেন! কলেজের কাহিনী বলতে গেলে আমাকে এইটা বলতে হবে। কিন্তু আমি এইটা সর্মসন্মুখে বলতে চাই না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঠিকাসে। এই কমেন্টটা এক্সপাঞ্জ করা হইলো। আমরা ও কেউ পড়িনাই।
টেরেন্স একবার আমারে সহ আরও তিনজনরে তাঁর রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে, প্রথম জনকে রুমে ঢুকাইলো। এরপর দেখি ব্যাটা আর বাইর ই হয়না। ভয়ের চোটে আমি ক্যান্টিনে যেয়ে একটা খাসি প্যাটিস মাইরা দিলাম। পরে শুনসিলাম যারে রুমে ঢুকাইসিল তার সামনে বিড়ি খাইতে খাইতে তারে রাজসাক্ষী হবার অফার দিতেসিলো
হাহাহাহা, হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেল ধুগোদা
![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
বাকি রাখলেন কি?
=))
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
হুমম, তাইতো (চিন্তিত)। তার মানে ধূগো'র কাছে আরো এরকম কাহিনী আছে যেগুলো আমজনতার জানা প্রয়োজন।
দাবীর পক্ষে জোরালো সমর্থন জানালাম।
টুইটার
লেখাটা পড়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আমিও ৯৯-০১ ব্যাচের ছাত্র (১০১৬০৬৭)। কলেজ জীবনের প্রথম দিকের ঘটনা। একদিন স্যার আমাকে ডাকলেন তাঁর রুমে। গিয়ে দেখি এক দল ছাত্রকে চরম উত্তমমধ্যম দিচ্ছেন। হঠাৎ এক ছেলেকে জিজ্ঞেস করেন, "তোমার পিঠে কি আমি এই চেয়ার টা ভাঙ্গবো?" বেচারার চেহারা ছিল তখন দেখার মত। নিজের চোখে স্যারকে মারতে যে কয়বার দেখেছি সেটা ছিল তার মধ্যে অন্যতম।
তবে স্যার ছিলেন আমার খুব প্রিয় শিক্ষকদের অন্যতম। আজও তাঁর স্মৃতিতে শ্রদ্ধায় নত হই আমি।
টুইটার
জেকে'কে পান নাই কেউ? ইংলিশের?
হ, সে এক চীজ![গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/24.gif)
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আররে! জাহাঙ্গীর কবিররে তো ভুইল্লাই গেসিলাম!
চিজ ছিল একখান! ancient mariner পড়ানর সময় হাওয়া পড়ে গিয়ে পাল চুপসে জাহাজ থেমে যাওয়া নিয়ে বলসিল, "there was no air, which means there was no oxygen, still the sailors lived! This is not natural, this is not unnatural, this is supernatural!" ![গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/24.gif)
mother in manville পড়াইতে গিয়ে isolated আর carolina mountain কইতে কইতে মুখে ফেনা তুইলা ফালাইত - "the writer wanted to be isolated, the boy was isolated, the cabin was isolated, carolina mountain was isolated!"
ক্লাসের মধ্যে গড়াগড়ি দিয়া হাসা বাকি থাকত এর পড়া শুইনা। আজিব পাবলিক!
---আশাহত
জাইঙ্গা জাইঙ্গা শুনতে শুনতে তো ব্যাটার আসল নামই ভুইলা গেসিলাম![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
জাইঙ্গা নামটা কি আমরাই দিসিলাম? কি জানি! আগের কোন ব্যাচে এইটা শুনিনাই। সচলায়তন ভদ্র জায়গা বলে নামটা বলতে ইতস্তত করতেসিলাম![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
---আশাহত
৯২-৯৩ অর্থবছরেও এই নামে তাকে ডাকতে শুনেছি
আপনারা কি এরও আগের?
নাহ, আমি অনেক পরের। তার মানে তার কপালে এই নামটা বসে গেছে, যে জন্য তারে যেই ব্যাচ দেখে, সেই ব্যাচেই এই নাম চালু হয়ে যায়![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
---আশাহত
কিন্তুক মানুষ ভাল, একটু ফাগলা আর কি![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
জেকের কতগুলো "হাই ফ্রিকোয়েন্সি ওয়ার্ড লিস্ট" ছিলো, দিনে একশ টা মুখস্থ করতে বলতো। একদিন নিজেই সেই হাই ফ্রিকোয়েন্সি ওয়ার্ড বলতে গিয়ে সামনের বাঁধানো দাঁত ছুটে বেরিয়ে গিয়েছিলো, সে এক দৃশ্য![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
নতুন মন্তব্য করুন