-নিরিবিলি
আমরা সবাই মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপনে মুগ্ধ।আহা এক মোবাইল সিমএ কত্ত সুবিধা।কেউ ৩০পয়সা তো কেউ ২৯ পয়সা আবার কেউ ২৫ পয়সা কল রেট করেছে।এমনিতেই কথার যন্ত্রনায় বাঁচি না তারপর উর্ধগতির বাজারে কথা বলার খরচ সবচেয়ে কম।কি মজা!সারা রাত ৩০ পয়সা নার্স ডাক্তারের সাথে কথা বলছে,রোগীর অবস্থা ভালো আপনি বাসায় বসে থাকেন।এমনিতেই হাসপাতালে ডাক্তার থাকতে চায় না আর এখন ত মোবাইল আছে!ফোনেই সমাধান হয়ে যাবে।পোলাপাইন বাবা মার সাথে কথা বলার দরকার হইলে ঘরের মধ্যেই এ রুম টু ওই রুম মোবাইলে কথা সারে।আধুনিক যুগে স্বাভাবিক একাটা দূরত্ব ছিল বাবা মায়ের সাথে এখন মোবাইলের সুবাদে সেটা অস্বাভাবিক হয়ে যাবে।ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেললেও অসুবিধা নাই নেটওয়ার্ক ভাল যদি বাবা মা প্রয়োজন মনে করে তাহলে খোঁজ নিবে আমাদের কি?এমনি নাচুনি বুড়ি তারউপরে ঢোলে বারি!
শুধু কি তাই তারা দিন বদলের চেষ্টাও করে।কত মহান!অথচ কৃষক এখনও না মাত্রেই ফসলের দাম পায়।জেলেদের মাছধরে সংসার আর চলে না।এক মহাজনের কাছ থেকে বাঁচলে আরেক মহাজন ঠিকই ধরবে।ওরা যে কত অসহায় শুধু ওরাই জানে।
ভাবুন তো ভাষা ছাড়া পৃথিবীর কথা......।কেন ভাই এর আগে যখন মবাইল ছিল না তখন কি মানুষ কথা বলে নাই?আর কমলাপুরের রেল স্টেশনের নর্তন কুর্দন আমাদের dil se এর কথা মনে করিয়ে দেয়।কি জাক জোমক ব্যাপার?বিলবোর্ডে দুইটা ছোট ছোট ছেলেমেয়ে কানে কানে কথা বলছে।আরে এইটা আবার কেমন এ্যাড?এটার মানে কি?শিশুদেরকে ত রেহাই দাও!এখন djuce এর কক্টেল ভাষা কি সুমধুর! এক মহিলা তার গলার চেইনটা একা পরতে পারছে
না,'প্রয়োজন কেউ কাছে থাকার।'ইহা কি বলিতে চায়?সবশেষে নিশিতে কল কইর আমার ফোনে,নিভাইয়া ঘরের ও বাতি জেগে রবো সারা নিশিগো......।সারা রাত কথা হবে সারা দিনও কথা হবে।
প্রচারেই প্রসার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের মোবাইল কোম্পানিগূলো।বিজ্ঞাপনের ঝড়ে টিভি দেখা দায়।বিজ্ঞাপন এমনভাবে নির্মান করা হয় যেন মধ্যবয়সী বা ছাত্র/ছাত্রীরা প্রাধান্য পায়।ব্যবসা চালানোর জন্য একটা culture গড়ে তুলেছে,রাতটা হলো শুধু কথা বলার...।তারপরও কৃতজ্ঞ সরকারের কাছে যে ২৫ পয়সা ধরে দিয়েছে নয়ত দেশে একটা জিনিস বিনা পয়সায় পাওয়া যেত।আমরা খুব গর্বিত স্বাধীনতার কত বছর পর আমরা কথা বলার স্বাধীনতা অর্জন করেছি!
মন্তব্য
হুম...
এই ব্যাপারে কখনো চিন্তা করে দেখি নাই।
লেখা ভালো হচ্ছে...
চলুক
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
চেষ্টা করে যাচ্ছি আর কি............।
-নিরিবিলি
আমার মোবাইল মারা গেছে। মোবাইল ছাড়া ভালই কাটছে দিন কাল...আপ্নেও আপনার মোবাইল ফেলে দেন...
লেখার জন্য জাঝা
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!
আপনার মোবাইল তো আত্নহত্যা করছে।আমারটা তো করে নাই তাইলে কেন ফালাবো?
-নিরিবিলি
কথা বলার স্বাধীনতা তাহলে পেয়ে গেছি আমরা?
তাই তো মনে হয়......বিজ্ঞাপন দেখেন না আজীবন স্বাধীনতা এতে আছে!!
-নিরিবিলি
খুব ভালো লিখেছেন।
।
"রাত একটা বাজে । স্বামী ফিরতে রাত হবে, পথে জ্যাম - কুয়াশা। উদ্বিগ্ন স্ত্রী ফোন করেছে - আর কতক্ষণ?
স্বামী বলছে - তুমি দারোয়ানকে বলো গেট লাগিয়ে রাখতে। চিন্তা করো না, ঘুমিয়ে পড়ো"
কথা হয় প্রয়োজনে। জিপি টু জিপি এখন রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা মাত্র ২৫ পয়সা মিনিট।
কী তামশা!
এরকম দরকারী কথাগুলো কি দীর্ঘ হয়? এ রকম জরুরী আলাপ তো ২/১ মিনিটেই শেষ হয়ে যায়। এটার জন্য বিল কমাতে হবে কেনো? সারাদিন মানুষ অনেক দরকারে কথা বলে - তখনকার জন্য বিল কমাও। উঁহু, সেটা করবে না।
মুখ ভর্তি বুলির - বিজ্ঞাপন ।
মনে রাখার মত লাইন...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
"তোরা যে যা বলিস ভাই", এই মোবাইল আমাকে দিয়েছে মনে রাখার মত অনেকগুলো নির্ঘুম রাত।
ফেরারী ফেরদৌস
নতুন মন্তব্য করুন