(মৌরি নিষাদ)
তোমার সাথে যদি আবার কখনও দেখা হয়,
তাহলে গাই ফকস নাইটে আমি তোমাকে ওয়েম্বলি পার্ক নিয়ে যাব...
প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝে, শুধু দুজনে যেন আকাশ জুড়ে আলোর খেলা দেখব...
দেখব ফানুস... তোমার হাত ধরে...
মন আর কল্পনাকে এক সুতোয় গেঁথে জুড়ে দেবো সেই ফানুসের গায়ে...
টিমটিম আলো জ্বালিয়ে ফানুস উড়ে যাবে... আর সাথে উড়ব আমরা...
কেমন হবে বলোতো?
ফায়ার ওয়ার্কের শো শেষে রেল স্টেশনের ধারের বাসস্টপটাতে
অপেক্ষা করব দুজন- বাসের জন্য
কিছুই না, শুধু অপেক্ষা আর মাঝে মাঝে কিছু অর্থহীন কথা বলা...
যদি আবার কখনও আমাদের দেখা হয়,
তাহলে তোমায় সঙ্গে নিয়ে মাইলএন্ড-এর সেই রেস্তরাতে যাব
দ্বিতীয়বারের মতো, ওভারকোট খুলে চেয়ারে রেখে খাবারের ওর্ডার দেবো... ল্যাম্ব ডোনার
তোমার ফেভরিট...
আমার পরনে থাকবে গাঢ় সবুজ সালোয়ার কামিজ আর তোমার দৃষ্টিতে
হতচকিত মুগ্ধতা...
সবুজে আমাকে খুব মানায়, তাই না?
থাক থাক... আমি জানি এ প্রশ্নের উত্তর তুমি দেবে না
খুব সূক্ষ্মভাবে চেপে যাবে তোমার অনুভূতি
আর আমিও এমনই বোকা, খাবারের অপেক্ষায় কিছুই লক্ষ করব না...
কখনও যদি তোমার বাড়িতে যাই,
তাহলে খুব ভোরে উঠে তোমারই বাথরুমে শাওয়ার নিতে যাব আমি...
ঝরনার ঝরাধারার সাথে সুর মিলিয়ে গুনগুনিয়ে গাইব রবি ঠাকুরের সেই গানটা...
‘একটুকু ছোঁয়া লাগে... একটুকু কথা শুনি...
তাই নিয়ে মনে মনে রচি মম ফাল্গুনি...
একটুকু ছোঁয়া লাগে... একটুকু কথা শুনি’
সেসময় তুমি হয়তো ঘুমের ভান করে থাকবে...
কিন্তু মশাই, চোখ বুঁজলে যে কান বন্ধ হয় না তা কিন্তু আমার অজানা নয়
তাই আমার গান যে তোমাকে ছুঁয়ে যাবে তা আমি শতভাগ নিশ্চিত...
আচ্ছা, তুমি আমার সাথে আরেকবার ব্রাইটন এর বীচে যাবে?
জানি, সে সুযোগ হয়তো কখনও হবে না, তবু যদি কখনও পাও?
সেই পেবল বীচ... পাশাপাশি শুয়ে থাকা...
আকাশের তারা গোনার মিথ্যা চেষ্টা করা...
ছেলে মানুষের মতো তোমার আর আমার জন্য
আলাদা করে আকাশের সীমানা নির্ধারণ করা...
আচ্ছা, সত্যি করে বলোতো নীল,
আমরা কি নিজেদের জন্য আদৌ কোনো সীমানা টানতে পেরেছি,
নাকি কখনও সীমানায় থাকতে চেয়েছি?
মনে পড়ে, শুয়ে শুয়ে তারা ভাগাভাগি করছি আমরা
আর অকারণেই হেসে কুটিকুটি হচ্ছি?...
কী যে রোম্যান্টিক সেই মুহূর্ত!!
পাশাপাশি শুয়ে আছি, কিন্তু কেউ কাউকে স্পর্শ করছি না...
তোমাকে মাঝে মাঝে খুব আদর করতে ইচ্ছে করছিল...
মন চাচ্ছিল ঠোঁট দিয়ে ঠোঁট ছুঁয়ে দেই... গভীর আবেশে... আলতো করে...
কিন্তু সামাজিকতা... লোকলজ্জা... সংস্কার...
কী যে কোথায় বাধ সাধল কে জানে!
আজ কিন্তু আমি আর কিছুই মানবো না...
লৌকিকতা, সংস্কার কিছুই জানব না...
জানব শুধু তোমাকে আর আমাকে... আমাদেরকে...
চলো কোথাও মুখোমুখি বসি...
ওরিয়েন্টাল সিটি... বেস্ট প্লেস
কিন্তু খবরদার! আগের মতো এখনও যদি আমাকে জ্বালাতে চারদিকে সুন্দরী খোঁজ করো,
তাহলে মজা বোঝাব আমি...
এমন কাণ্ড করব যে পুরো ফুড কোর্টে
তোমার কলিজা পোড়া গন্ধ ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না!
এই, শোনো না, তোমার মনে পড়ে, সেই যে ঈদের দাওয়াত খেতে যাওয়া...
লাল পাতলা সিল্কের শাড়ি পরে শীতে কাঁপতে কাঁপতে রাস্তা হারিয়ে ফেলা...
অন্ধকার, চিপা, একটা টানেলে...
মানুষ হাঁটলে গাড়ি যেতে পারে না, গাড়ি গেলে মানুষ যাবার জায়গা নেই...
কী ফানি...
ভেবে রেখেছি, যদি কখনও আবার আমাদের দেখা হয়,
তাহলে মামার কাছ থেকে যেচে দাওয়াত নেবো...
ডিসেম্বরের কনকনে ঠান্ডায় শাড়ি পরে তোমার সাথে বেরোব...
ইচ্ছে করে ভুলে ফেলে যাব ওভার কোট...
যখন পাশাপাশি হাঁটব, তখন তোমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলব...
উফ আমার হাতগুলো যেন বরফ... একদম বরফ...
তুমি কিন্তু তখন মুচকি হাসবে না,
আমার চালাকি বুঝতে পারলেও আমাকে বুঝতে দেবে না...
খুব সহজেই স্বাভাবিক ভঙ্গিতে তোমার জ্যাকেটের পকেটে আমার হাত ঢুকিয়ে নেবে
আর আমি, এতক্ষণ যে জড়তা ছিল তোমার হাত ধরার,
পকেটের আড়ালে তা কাটিয়ে পরম নির্ভরতায় তোমার হাতে হাত রাখব...
এ যেন হবে তোমার কাছে আমার সমর্পণ...
তোমার কাছ থেকে ‘ভালোবাসি’ কথাটা শোনার
খুব ইচ্ছে ছিল আমার...
কেন বললে না কখনও? সরাসরি না বলো, কোনো গান... কিংবা কবিতা...
আর হ্যাঁ, কবিতার কথায় মনে পড়ল,
এর পরেরবার দেখা হলে কিন্তু আমার সাথে ডিনার করতে হবে...
তুমি যেদিন আসবে, আমি সেদিন সবুজ-লাল কম্বিনেশনের একটা শাড়ি পরব...
কপালে লাল টিপ... চোখে কাজল...
ঘরের এক কোণে জ্বালিয়ে দেবো টেবিল ল্যাম্প...
বাতাসে ছড়িয়ে দেবো জেসমিনের সুবাস...
আর উইন্ড চাইম ঝুলিয়ে দেবো জানালার ধারে...
টুং... টাং... টিং... মিষ্টি করে বাজবে সে বাতাসের সাথে
রাতে কী খাবে বলোতো? চিকেন না বিফ? শসা আর চিংড়ি মাছের তরকারি?
তুমি খুব ভালোবাসতে!
খাওয়া শেষে জানালার ধারে কবিতার বই খুলে বসব...
তোমার কাছ থেকে শুনব অনেকগুলো কবিতা...
কখনও বিরহের... কখনও সুখের... কখনও তেজদীপ্ত কণ্ঠে আবৃত্তি করবে
সংগ্রামমুখর কবিতার কয়েক ছত্র... আবার কখনও আদর ভালোবাসা মিশিয়ে
শোনাবে রোমান্সের কবিতা...
আমি এই পুরোটা সময় থাকব তোমার বুকে... মাথা এলিয়ে দিয়ে...
চোখ বুঁজে অনুভব করব তোমার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ... প্রত্যেক ছত্র...
ইস...
আমার স্বপ্ন যদি সত্যি হতো!!
দিন তো পেরিয়ে গেছে... সময়ও চলে গেছে...
গাছে নতুন পাতা এসেছে...
একটা সময় ছিল যখন আমার একটা ‘উফ’ তোমাকে অস্থির করে তুলত...
কোথা থেকে সামনে এসে হাজির হতে... কোথায় ব্যথা... কী করে পেলাম...
কেন এতো কেয়ারলেস... আরো কত প্রশ্ন!
যেদিন আমার মন খারাপ, সেদিন কেমন কের যেন টের পেতে তুমি!
আমি অবাক হয়ে ভাবলাম...
আর আজ, একদম একা করে দিলে...
আজ রান্না ঘরে হাত কেটে ফেললেও কেউ একবার এসে দেখে যায় না...
ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনলাইনে বসে থাকলেও কেউ বলে না কেমন আছ?
ইদানীংতো আমি অনলাইনে থাকলেই তুমি সাথে সাথে অফলাইন হয়ে যাও...
কী জানি কেন...
তোমার সঙ্গে যদি কখনও আবার দেখা হয়,
তাহলে একটা কথা নিশ্চিত জিজ্ঞেস করব তোমাকে-
কাকে ভয় পাও তুমি নীল? তোমাকে না আমাকে? এতো কীসের ভয়?
তৈরি থেকো...
মন্তব্য
অদ্ভুত সুন্দর !
কিন্তু গল্প কেন ?
আমার তো এটাকে দুর্দান্ত একটা কবিতা মনে হলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
oshonkhyo dhonnobad Shimul. Sorry english e font gulor jonno. Goddyo na kobita eta janina. Amar kachhe eta chhilo nichhok shobder kichhu akibuki. Ei prothom amar lekha kothao prokashito holo. Apnader bhalo lagar opor nirbhor korbe ami ki prokashito hobo na nijeke araale rakhbo. eta janari opekkhay achhi.
ar ekta kotha, apni i kintu prothom amar lekhake formally appreciate korlen. tai akta special thanks apnake.
ingrejite likhte hashshokor lagchhe. kotha dichchi kaal thekei banglay montobbo likhbo ba jobab likhbo.
Nishad
you are specially welcome nishad
আপনার চমৎকার সব লেখা নিয়ে আরো প্রকাশিত হবার অপেক্ষায় থাকলাম ।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
যে ভয় পায় তার সে সবচেয়ে বেশি পায় ভয়ের ভয়
হয়তো ওখানে ভয় পেতে পারি এই ভয়েই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভীত মানুষেরা ভয়ের চর্চা করে
০২
লেখাটা প্রথম দিকে যতটুকু স্বপ্ন দেখায়
শেষে এসে তার থেকেও হাজার গুণ দুঃস্বপ্নে ডুবিয়ে দেয়
আর বলে- স্বপ্ন দেখা কি ঠিক রে বেক্বল মানুষ?
০৩
একটা দুর্দান্ত লেখা দিয়ে সচলায়তনে লেখালেখি শুরু করার জন্য অভিনন্দন মৌরি
ধনৎবাদ লীেলন ভাই।
বুকের ভেতর কেমন জানি ধাক্কা লাগল।
ধাক্কা দেবার কোন অভিপ্রায় ছিল না অনিন্দিতা। শুধু হৃদয় ছুঁতে চেয়েছিলাম। তাই আপাতত সামলে নেয়ার পরামর্শ দেয়া ছাড়া আর কিছু বলার নেই।
মৌরি নিষাদ
অসম্ভব ভালো লেগেছে......।
......আমার যদ্দুর মনে হয়,নীল নিজেকেই ভয় পায়, কার সাধ্যি এত সুন্দর একটা স্বপ্নকে এড়িয়ে যায়? যে স্বপ্নের মাদকতা নির্মম ভাবে ঘায়েল করে রাখে মস্তিষ্কের সবটুকু রক্ত চলাচল--পুরোটা সময়ের জন্যে......!! কার সখ হয়েছে এভাবে ঘায়েল হবার? তদুপরি স্বপ্ন যখন তাকে নিয়েই.........
কালবেলা
ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো।
নীলকে খুঁজতে কি খুব বেশি দূরে যেতে হবে? আমাদের সত্বার মাঝেই কি নীল নেই?আমরাও কি কখনও কখনও নিজেদেরকেই সবচে বেশি ভয় পাই না? আর স্বপ্ন? স্বপ্নের ইমারত তো তৈরীই হয় স্বপ্নভঙ্গের আশংকার ভিতের ওপরে। তাই ভয় কিসের?
মৌরি নিষাদ
সচলায়তনে স্বাগতম মৌরি।
লেখালেখির চর্চাটাও হোক নিয়মিত।
শুভেচ্ছা।
লেখাটা দারুণ। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া। যে লেখায় পাঠক সহজেই নিজেকে স্থাপন করতে পারে দৃশ্যকল্পের ভেতর, কোনো এক চরিত্রের মধ্যে, সে লেখা শেষ না করে উঠতে পারে না শেষ। আর শেষ হয়ে যাওয়ার পর-ও একটা রেশ থেকে যায় বুকের গভীরে।
নারীর লেথা, আর সব পুরুষের মত তুমি-চরিত্রটাই নিজের জন্য নিলাম আমি।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
নি:সন্দেহে আপনি একজন সাহসী পুরুষ।
মৌরি নিষাদ
-
বিলেতের ব্রাইটনীয় বাতাসে সবুজের চাইতে কলাপাতা রংটায় ভালো লাগে লেখিকাকে। পরেরবার দেখা হলে ঐ রঙের জামা পইরেন। আর এই ব্যাটা আপনারে দেখলে পালায় কেনো! এতো সুন্দর করে যে কাউকে ধরে রাখতে পারে মস্তিষ্কের ধুসর অংশে, তাকে দেখে যে পালায় তার কপালে উলু!
হালার নাম ঠিকানা দিয়েন, ধইরা রামশ্যামডলা না দিলে হালায় লাইনে আসবে না।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাম: নীল
ঠিকানা: আকাশ
ধরতে পারলে আওয়াজ দিয়েন ।
মৌরি নিষাদ
- ও.কে বস, নিশ্চিন্ত থাকেন।
কাইল বাদে পরশু পঙ্গু হাসপাতালে একটা খোঁজ নিয়েন। আমি আবার হাসপাতালের খাবার খাইতে পারি না।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একটু বেশীই ইংল্যান্ডময়।
তবুও খুব সুন্দর মৌরি।
বেশী বেশী লিখুন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
কি করবো ভাই, তখন সদ্য ইংল্যান্ড গিয়েছি কি না!
মৌরি নিষাদ
অতি সুন্দর। আমি প্রথম কয়েকটা লাইন পড়েই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। পুরাটা বারবার বারবার পড়লাম। খুব সুন্দর। আপনার পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম...
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!
জীবনের প্রথম লেখায় এভাবে সবার সাড়া পাবো ভাবিনি। ধন্যবাদ সবাইকে। আশা করি ভবিষ্যতে আরও লিখবো ।
মৌরি নিষাদ
বুঝতে পারছি। বেচারার কইলজাটা আপনি কেমন পোড়ান পোড়াইছিলেন। এই কারণেই-
রান্না ঘরে আসবো কোন সাহসে? আবার যে আপনি ওরে কাবাব বানাইবেন না তার কি নিশ্চয়তা?
দুঃ কইরেন না? কথায় আছে না- টিট ফর ট্যাট?
চাইপা যান। চাইপা যান
হুমমম.......
আপনার সাথে আমার লেখার নীল চরিত্রটির অনেক মিল!!
মৌরি নিষাদ
চমৎকার!
নিয়মিত লিখুন ।
ধন্যবাদ শিমুল।
অবশ্যই আরও লেখার চেষ্টা করবো।
মৌরি নিষাদ
এটা আপনার প্রথম লেখা? সত্যি?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আপনার মন্তব্য শুনে মনে হচ্ছ কেন যে লেখক সম্প্রদায় কিঞ্চিত্ মিথ্যা বলার দোষে দুষ্ট? যাক গে, আমি ভাই এ দুনিয়ায় একেবারে নতুন। এখনও গল্প আর কবিতা এক হয়ে যায় মাঝে মাঝেই। এমনকি এই লেখাটাও গল্প না কবিতা তা নিয়েও দ্বন্দ্বের শেষ নেই। কাজেই বুঝতেই পারছেন!
মৌরি নিষাদ
নিষাদ,
অদ্ভূত সুন্দর। আপনার নামটার মতই...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ধন্যবাদ। এই নামটা আমারও খুব পছন্দ। ভেবেছিলাম সচলায়তনে এই নামটা দিয়েই পরিচিত হবো। কিন্তু আপাতত পুরো নামটাই ব্যবহার করতে হচ্ছে ।
মৌরি নিষাদ
গল্প কী , কবিতাই ...এইসব স্বপ্ন-বিষাদ মাখামাখি , ভাল্লাগে আর ভুল লাগে ! দৃশ্যের ভেতরে আপন আসমানে শুধু শুধু নীল !
... জীবনের এই সকল গান-অভিমান ; দুর্দান্ত !
নাম ও রচনা দু'টোই মনে থাকবে ; যেহেতু এইগুলো মনে গাঁথাবার মতোই।
অভিবাদন ।
---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
তৈরি থেকো মানে কি?
বিবাহিত মানুষকে ব্ল্যাকমেল করার উদ্দেশ্য?
যা চলিয়া গেছে তাহাকে ফিরিয়া পাওয়া যায় না, ক্ষতই শুধু বাড়ে...
আপনার বর্ণনা খুব ই picturesque.
টানলো -- শেষ পর্যন্ত
সচলায়তনে আজকাল মন ছুঁয়ে যাবার মত লেখা খুব কম পাচ্ছিলাম। এটি নিঃসন্দেহে শুভ ব্যতিক্রম। রাইজ আ্যন্ড শাইন।
শুভাশীষ
ss
নতুন মন্তব্য করুন