বিদেশে প্রবাসী বাঙ্গালিদের অনেক মজার কাহিনী আছে। এখান থেকেই কয়েকটি আজকে সচলায়তনের সাথে শেয়ার করছি।
এক
এক বাঙ্গালি পরিবার আমেরিকায় নতুন এসেছে। পরিবারের কারোরই পড়াশোনা বেশিদূর না। তাই প্রাথমিক অবস্থাতে আমেরিকান ইংলিশের সাথে মানিয়ে নিতে একটু কষ্ট হচ্ছে। বড় ছেলেটি বাংলাদেশে মেট্রিক ফেল করে এসেছে। এখন কাজ করছে গ্যাস স্টেশনে। তো সেখানে মাঝে মাঝে ফোন কল আসে, ছেলেটি মনে মনে দোয়া পড়তে থাকে যেন তাকে ফোনটি রিসিভ করতে না হয়। কারণ, সামনাসামনি মানুষের ইংলিশ কথা একটু আধটু আন্দাজে বোঝা গেলেও ফোনে বেশীরভাগ কথাই সে বুঝতে পারে না।
তো একদিনের ঘটনা, দোকানে ফোন বাজছে, ফোনের আশে পাশে ছেলেটি ছাড়া কেউ নেই। ছেলেটি উপায় অন্তর না দেখে চেঁচিয়ে দোকানের ম্যানেজারকে ডাকলো, Miss Linda, catch the phone!! (মিস লিন্ডা, ফোনটি ধরুন এর তাতক্ষনিক অনুবাদ)
দুই
আমার মামাতো ভাইএর মামা নতুন আমেরিকায় আসছেন। নিউইয়র্কে নামবেন। দেশ থেকে বোঝাই করে মশলা পাতি, আচার ইত্যাদি নিয়ে এসেছেন। তিনি ডিগ্রী পাশ, কিন্তু তার ইংরেজি হচ্ছে সব আক্ষরিক অনুবাদ। তো কাস্টমসে তার ব্যাগ খোলা হল। বিভিন্ন মশলা বের হল। তদন্তকারী মহিলা আগে এরকম মশলা কোন দিন দেখেন নি। তিনি মামাকে একে একে জিজ্ঞেস করছেন, এটা কি? উত্তর this is round pepper powder (গুল মরিচের গুড়া)। এটা কি? Rotten fish smash ( শুটকি মাছের ভর্তা)।
তিন
এক উঠতি বয়সের বাঙ্গালি ছেলে নতুন গাড়ি কিনেছে। মনের আনন্দে হাই স্পীডে গাড়ি চালাচ্ছে। অতঃপর পুলিশ তার গাড়ি থামালো। টিকেট দিবে। ছেলেটি দেখলো পুলিশটি কম বয়সী তরুণী। পুলিশ মামী জিজ্ঞেস করল, এখানকার স্পীড লিমিট জান? তুমি স্পীড লিমিটের চেয়ে ২৫ মাইল বেশী স্পীডে চালাচ্ছিলে। তোমাকে ১২০ ডলার জরিমানা করা হল। ছেলেটি ভাবলো, মেয়ে পুলিশ, নিশ্চয়ই এতটা কড়া হবে না, তাই সে একটু তেল মারার চেষ্টা করল। পুলিশ মামীকে বলল, "You are looking very sexy today"। অতঃপর পুলিশ মামীটি টিকেটে খস খস করে কি জানি লিখল। যখন টিকেটটি তার হাতে ধরিয়ে দিল, তখন দেখা গেল, জরিমানা ১২০ ডলার না, ১৭০ ডলার, ৫০ ডলার অতিরিক্ত মামীকে sexyবলার অপরাধে!
চার
এক ভদ্রলোক তার জীবনের প্রথম টিকেট খেয়েছেন। কোথায় গিয়ে টিকেট পে করতে হয় জানেন না। বিভিন্ন মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করে বের করলেন জায়গাটি। অতঃপর টিকেট পরিশোধ করলেন, তারপর দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়ে সবে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে আসছেন, হয়তোবা মনের উত্তেজনায় একটু জোরেই টান দিয়ে ফেলেছিলেন, পার্কিং লট থেকে বেরুতে না বেরুতেই পুলিশ আটকাল। অতঃপর ২য় টিকিট।
পাঁচ
এক অল্প শিক্ষিত বাঙ্গালি কাজ করেন এক গ্রোসারী স্টোরে। তার কাজ তেমন কিছু না, জিনিস পত্র শেলফে তুলে রাখা, ঝাড়ু টাড়ু দেয়া ইত্যাদি। তো তিনি একদিন দোকানে জিনিস সাজাচ্ছেন, এক কাস্টমার এসে তাকে কিছু একটা ভিতরের স্টক থেকে ভালো দেখে একটা কিছু এনে দিতে বললেন। ভদ্রলোক জবাব দিলেন এভাবে, "Ask my supervisor, if he tell me, আমি আইন্যা দিমু"।
ছয়
এক বাঙ্গালি ছেলে কাজ করে ডিপার্ট্মেন্টাল স্টোরে। তার বস (মহিলা) তার উপর বড়ই ক্ষ্যাপা। কথায় কথায় গালি গালাজ করেন। তো একদিন মহিলাটি গালি গালাজের এক পর্যায়ে বললেন, f**k you। ছেলেটি পিত্তি জ্বালানো একটি হাসি দিয়ে বলল, anytime you want to, baby.
(রেনেট)
মন্তব্য
খিক্...খিক্
............
কালবেলা
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!
এরকম আরো লিখুন।
eru
-------------------------------------------------
সুগন্ধ বিলোতে আপত্তি নেই আমার
বস্তুত সুগন্ধ মাত্রই ছড়াতে ভালবাসে।
হে হে হে পুলিশ মামায় ডিউটি করে, বোঝে জেলের জ্বালা।
-------------
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা
anything you want to, baby!! অসাধারণ উপস্থিত বুদ্ধি।
রেনেট রে।বহুত হাসাইলি।সবগুলাই হাসির হইসে।সচাইতে মজার হইসে লাস্টের টা।
ছেলেটি পিত্তি জ্বালানো একটি হাসি দিয়ে বলল, anytime you want to, baby.
--------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
ওরে!
---
আরে! এতো সুন্দর প্রোট্টেট সরিয়ে আবারও ! কেম্নে কী ?
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হে হে...এই পোড়া মুখ...আর কত?
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
আমার নিচের তলায় এক ইতালিয়ান বৃদ্ধ থাকতো। সত্তর ভাগ আলাপ হতো ইশারা ইংগিতে।
হঠাৎ রাস্তায় কুকুর বেড়ে যাবার পর, সে একদিন বলছিলো - 'some dog only speaks, some dog eat you'.
বলতে চেয়েছিল - 'কিছু কুকুর শুধু ঘেউঘেউ করে, আর কিছু কুকুর কামড় দেয়।'
হা হা। মজার।
~রেনেট
চমৎকার !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেকক্ষণ ধরে হেসেছি গল্পগুলো পড়ে। ভারী চমত্কার।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
কেউ জানাবেন কি এই বহুল প্রচলিত গল্পটি সত্যি ঘটনা কি না? এদেশী ছাত্র ওখানে ভর্তি হয়ে প্রথম বিভাগীয় পার্টিতে গিয়ে আমন্ত্রণদাত্রী সুন্দরী মহিলা প্রফেসরকে বিদায়ের সময় ধন্যবাদ জানাবার পরে "ইউ আর ওয়েলকাম" শুনে গভীর রাতে তার বাড়ীতে উপস্থিত হয়েছিল এবং মহিলাকে পুলিশ ডাকতে হয়েছিল ?
ছয় নম্বরটা হাসতেই আছি।
হিহি..
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
নতুন মন্তব্য করুন