শন ইয়েট ও একজন -০৩

ইমরুল কায়েস এর ছবি
লিখেছেন ইমরুল কায়েস (তারিখ: রবি, ১৩/০৪/২০০৮ - ৬:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(প্রথম পর্বের জন্য এখানে ক্লিক করুন)
(দ্বিতীয় পর্বের জন্য এখানে ক্লিক করুন)
শন ইয়েট ল্যাবরেটরীতে টানা চার ঘন্টা কাজ করার পর কিছুটা ক্লান্ত বোধ করলেন। তার আজ আরিজোনা রাজ্যের কৃষক সর্বশেষ বইয়ের প্রাপক টমাস ডালসনের সাথে দেখা করার কথা। কিন্তু WSO এর সিগন্যালের জন্যই তার মনটা সকাল থেকে খারাপ। একবার ভাবলেন লুমেনকে পাঠিয়ে দেবেন খবর নিয়ে আসার জন্য। পরে চিন্তা করলেন নাহ এদের পাঠিয়ে লাভ নেই, এরা নিজেদের শেখানোর বাহিরে কিছু করতে পারে না। সাত পাঁচ ভেবে প্রবীণ অধ্যাপক নিজেই সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

টমাস ডালসনের বাড়ীটাকে অনেকটা প্রাচীন যুগের গুহাও বলা চলে। আদিম দিনের অধিবাসীরা যে রকম গুহায় বাস করত ওনার বাড়ীটা অনেকটা সেই আদলেই গড়ে তোলা তবে স্থাপত্যশৈলী চমৎকার। বাড়ীর সামনে একচিলতে সবুজ লন, গাড়িবারান্দায় একটা কার্ট গাড়ি আরেকটা বিশালাকার ট্রাক্টর। সেখানে সম্ভবত একটি হিওটিটকেও কি যেন করতে দেখা যাচ্ছে। প্রফেসর বাড়ীর দরজার বাহিরের লিউবিট টিউবে১৬ হাত দিতেই একটা হিওটিট বের হয়ে এলো।
- কিভাবে সাহায্য করতে পারি?
হিওটিটদের নিয়ে হয়েছে এই এক জ্বালা। একজন অতিথি যখন বাড়ীর গেটে বাড়ীর কারো সাথে কথা বলে তখন সে এরকম ফরমাল ব্যবহার নিশ্চয়ই পাওয়ার আশা করে না। কিন্তু কতই আর ভদ্রতা এদের শেখানো যাবে। মনে মনে ভাবলেন প্রবীণ প্রফেসর।
“আমি প্রফেসর শন ইয়েট, WSO এজেন্ট। ডালসনের সাথে আমার অ্যাপোয়েন্টমেন্ট আছে।”
“ভালো, আপনি এখানে অপেক্ষা করুন।” হিওটিট শনকে বসার জায়গা দেখিয়ে দিলেন।

ডালসনের বাড়ীটার বাহিরের মতো তার বাড়ির ভিতরের অংশটাও বেশ ব্যতিক্রমী। বসার ঘরে শন যে আসনটায় বসলেন দেখা গেল সেখানকার সবগুলো আসনই সমান্তরালভাবে স্থাপিত একটা গাছের শাখায় বসানো। আবার ঘরের দেয়ালেও প্রাচীন গুহাবাসীদের ন্যায় বিভিন্ন প্রকার অপক্ক হাতের চিত্রকর্ম আঁকা। সম্ভবত ডালসনের কোন কারণে প্রাচীন গুহাবাসীদের প্রতি আকর্ষন আছে। শন যদি এখন দেখেন যে ডালসন মাংস পর্যন্ত সামান্য আগুনে ঝলসিয়ে খান তাহলেও আশ্চর্য হবেন না বলে মনস্ত করলেন।

- স্বাগতম প্রফেসর শন, আপনার উইরিয়াল সিগন্যালটি আমি পেয়েছি, সেই থেকে অপেক্ষায় ছিলাম কখন আপনার মত একজন মহান বিজ্ঞানী আমার এখানে আসবেন। অনিচ্ছা সত্বেও আপনাকে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলো সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

শন বুঝলেন এ লোকটা বেশ বিনয়ী এবং খানিকটা সম্ভবত বাঁচালও হবে। বাচালদের একটা লক্ষণ হল এরা কথা বেশ তাড়াতাড়ি বলে। ডালসনের টোটের ওঠানামাও সেরকমই মনে হচ্ছে।
-ডালসন আপনি সম্ভবত জানেন আপনি যে রকম বই পেয়েছেন সেইরকম বই নিয়ে আমি নিয়ে গত ঊনিশ বছর ধরে কাজ করে আসছি।
-সেটা ওয়ার্ল্ড সার্কেলের সকল লোকই জানে জানে।
-হ্যাঁ, সম্ভবত সাথে সাথে এটাও সবাই জানে যে আমার গবেষণাকর্মে আমি এখনও সফল হতে পারিনি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই বইগুলো অতি উচ্চস্তরের বুদ্ধিমান কোন প্রাণীর লেখা। এর রহস্য সমাধান করতে পারলে সম্ভবত মানব সভ্যতা আরো অনেক গূঢ় রহস্য সম্বন্ধে জানতে পারবে।
-সম্ভবত আপনিই ঠিক প্রফেসর শন। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে কথাটা বলল টমাস ডালসন।
-আমি এসেছি আপনার কাছে যে বইটি এসেছে সেটা নিয়ে একটু খোঁজ খবর নিতে।
“কিন্তু -------- ” কিছু একটা বলতে গিয়ে থেমে গেলেন টমাস ডালসন।
“হ্যাঁ আমি জানি বইটি আপনার কাছে নেই। কিন্তু একটা কথা টমাস ,বইটির খবর আপনি আমাকে প্রথমে দিলেই পারতেন।
-কিছু মনে করবেন না শন, আমি বইটি পাওয়ার পরপরই আমাকে WSO থেকে সিগন্যাল দেয়া হয়েছে বইটি যেন তাদের কাছেই দিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে আর কথা বাড়ালেন না প্রফেসর শন। মনস্তির করলেন ভবিষ্যতে তার কোন আবিষ্কারের ঘোষনা WSO এর মাধ্যমে না দিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাবেন।

কৃষক ডালসন বইটি পাওয়ার ঘটনা মোটামুটিভাবে শনের কাছে ব্যাখ্যা করলেন যা স্বাভাবিভাবেই পূর্বোক্ত ঘটনাগুলোর সাথে মিলে গেল। জানা গেল ডালসনের গাড়ির একটা একটা স্ক্রুর স্কাউল্যাব অংশ নষ্ট হওয়ায় তিনি গাড়িবান্দার একটি পরিত্যক্ত হিডটিটের প্রাইসম অংশ থেকে সেটা নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু প্রাইসমে কালো মোড়কে কি একটা দেখে হাতে তুলে নিয়ে দেখতে পেলেন বইটি। প্রফেসর শন গাড়িবারান্দায় পরিত্যক্ত হিওটিটটিও দেখলেন। এটা তেমন কিছু নয় শুধু একটা হিওটিটের ভিতরের অংশ ছাড়া ধাতব দেহ কনক্রীটের মেঝেতে পড়ে আছে। তবে উপরের অংশ রিসাইকেলএবল১৭ না হওয়ার দরুন ওটার পুরোটাই অক্ষত অবস্তায় আছে। সাথে সাথে এটাও শন খেয়াল করলেন এই বইটা পাওয়া গেছে প্রাইসম অংশের প্রথম প্রকোষ্ঠে এর আগেরটা পাওয়া গিয়েছিল দ্বিতীয় প্রকোষ্ঠে, তার আগেরটা তৃতীয় প্রকোষ্ঠে আর সবার প্রথমটা ষষ্ঠ প্রকোষ্ঠে। প্রাইসম অংশে আর কোন প্রকোষ্ঠ অবশিষ্ঠ নেই। তাহলে বইগুলো কি আর আসবে না? এ ধরনের একটা সম্ভাবনার কথা ভেবে নিয়ে টমাস ডালসনের বাড়ী হতে বিদায় নিলেন প্রবীন প্রফেসর।

বাড়ীতে ফিরে ল্যাবরেটরীতে বসতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। এরকম সময় সাধারণত শনের হাটা বা হালকা ব্যায়াম করার অভ্যাস। হালকা ব্যায়াম ঘরে বসে যন্ত্রের সাহায্যেও করে নেয়া গেলেও বাহিরের প্রাকৃতিক আবহাওয়া ঘরে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রফেসর সাধারণত সন্ধ্যার এই সময়টা বাহিরেই কাটান। কিন্তু আজ শন নতুন উদ্যমে গবেষণা আরম্ভ করলেন। ল্যাবরেটরীটা বেশ পুরনোই বলা চলে। এটি মূলত বানিয়েছিলেন তার প্রয়াত পিতা। বিজ্ঞানের প্রাথমিক জ্ঞানগুলো শন পেয়েছেন তার কাছ থেকেই। শৈশবেই পিতার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে এটি পেয়েছেন শন।মূলত শনের ষোল বছর থেকেই নিয়মিত এখানে কাজ করছেন তিনি। ল্যাবরেটরীতে তার হাতেই তৈরী নানারকম সায়েন্টিফিক জিনিসপত্র বিশৃঙ্খলভাবে ছড়িয়ে আছে। এদের মধ্যে কিছু কিছু যন্ত্রের কথা তিনি গবেষণার স্বার্থে এখনও প্রকাশ করেননি। এই যেমন ইয়েট প্লাস মাইক্রোস্কোপ। মূলবস্তুর কয়েশগুণ বিবর্ধন ক্ষমতা সম্পন্ন ইয়েট আবিষ্কার করেছিলেন রুকটাইল কালির আবিষ্কারের পরই। যে বইগুলো নিয়ে শন গবেষণা করছেন সেগুলো লেখা হয়েছে এই কালি দিয়েই। প্রাথমিক অবস্থায় অতিসূক্ষ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে শন চেষ্টা করে দেখেছেন কি একটা রহস্যময় কারণে মাইক্রোস্কোপগুলো রুক টাইল কালির লেখা বিবর্ধন করতে পারে না। এমনকি সামান্যতম বিবর্ধনও করতে পারছিলো না এগুলো। পরে গবেষণা করে জানতে পারেন রুকটাইল কালি হতে নির্গত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আলোক প্যাকেটগুচ্ছ মাইক্রোস্কোপের লেন্সের বিবর্ধন ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটাতে দিচ্ছে না। এরপরই মূলত তার ইয়েট নামক মাইক্রোসস্কোপ আবিষ্কার। এই ইয়েট যন্ত্রের সর্বাধুনিক আবিষ্কার তিনি বের করেছেন ইয়েট প্লাস যার বিবর্ধন ক্ষমতা কয়েক লক্ষ গুণ কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণার স্বার্থে এখনও তা প্রকাশ করেননি। এরকমই বেশকিছু যন্ত্র আছে তার ল্যাবে।
সোয়াশ চেয়ারে বসলেন শন। সাথে সাথে এক ধরনের বৈজ্ঞানিক ভাবাবেগের উদ্বেগ হল শনের। ইতিমধ্যে লুমেনের কণ্ঠস্বর শোনা গেল। কেউ মনে হল যেন ঘরে আসতে চাচ্ছে কিন্তু লুমেন তাকে বাধা দিচ্ছে। ব্যাপারটা দেখার জন্য ঘর থেকে বের হলেন শন। লক্ষ্য করে দেখলেন দরজার বাইরে একজন দাড়িয়ে আছে।
-মহামান্য শন, এই লোকটি নিজেকে WSO এর এজেন্ট পরিচয় দিয়ে আপনার সাথে দেখা করতে চাচ্ছে।অথচ সে আপনার উইরিয়াল সিগনালের কথা বলতে পারছেনা। বেশ একটু ক্রুব্ধ হয়েই যেন বলল লুমেন।
-আসতে দাও। অনুমতি দেয়ার ভঙ্গিতে বললেন প্রফেসর শন।

বেশ মোটাসোটা চুলহীন একজন লোক ঘরে ঢুকল ধীরপায়ে। অনেকটা নিজের বাড়ীর মতই ভাবলেশহীনভাবে বসে পড়ল সোফায়। এরকম নির্বিকার লোকদের মোটেই পছন্দ নয় শনের। কিন্তু একে কিছু বলতে পারলেন না শন। লোকটি সোফায় বসে পকেট থেকে কি যেন একটা বের করে ঠোটে ঘষে নিল।
-দুঃখিত শন, এতক্ষন কথা বলতে পারিনি। আমার ঠোটের স্নায়ুগুলো অবশ। কিছুক্ষণ পরপরই লেন্টালিন১৮ ঘষে এদের জাগিয়ে তুলতে হয়।
-এ ধরনের কথা আগে শুনিনি তো? এক ধরনের চাপা কৌতুহলভরে বললেন শন।
-হ্যাঁ তাও বটে! আসলে কি এ রোগটাও নতুন আর চিকিৎসা পদ্ধতিটাও আমারই আবিষ্কার। বেশ একটা গর্বভরেই যেন কথাটা বলল লোকটি। লেন্টালিনের শিশিটা আবার ঠোটে ঘষতে ঘষতে বলতে লাগল প্রফেসর শন প্রথমে আমার পরিচয়টা দিয়ে নেয়া যাক। আমি প্রফেসর সাইমনবেল WSO এজেন্ট এবং নিওলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক। আপনার সাথে সম্ভবত আমার WSO এর কোন এক সম্মেলনে আলাপ হয়ে থাকবে।
-সেটা খেয়াল করতে পারছি না বলে দুঃখিত। কিন্তু আপনার এখানে আসাটা ঠিক কি কারণে তা বুঝতে পারলাম না। সাইমন বেল কে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্যই কথাটা বললেন শন। আসলে কেউ একজন তার গবেষণার কোন অংশ নিয়ে কাজ করছে ব্যাপারটা তার মোটেই পছন্দ নয়। এটাকে তার দু একজন বন্ধু সাইকোলজিক্যাল সংকীর্নতা বললেও তিনি তা মানতে নারাজ। তার উপর এই লোকটি তার গবেষণার সর্বশেষ বইটি নিজের কাছে নিয়ে রেখেছে। তাই সাইমন বেলের প্রতি ক্ষোভের পরিমানটাও খানিকটা বেশি।

-না তেমন কিছু না, আসলে আপনি এই রকম একটা বিষয় নিয়ে এতদিন ধরে গবেষণা চালিয়েছেন ব্যাপারটা আমি জানি। এটা নিয়ে আমারও একটু চাপা কৌতুহল ছিল। তাই WSO বলে রেখেছিলাম সর্বশেষ এ গিয়ে যদি কোন বই পাওয়া য়ায় তবে তারা যেন আমাকে দেয়। আপনাকে বললে হয়ত আপনি রিফিউজ করতেন তাই এরকম ভাবতে হয়েছিল। একটানা কথাগুলো বলে খানিকটা লেন্টালিন ঠোটে ঘষে নিলেন বৃদ্ধ প্রফেসর।

কথাগুলো শুনে এই ওষ্ঠস্নায়ুহীন প্রফেসরের প্রতি ক্ষোভটা যেন একটু বেড়েই গেল শনের। তাকে খানিকটা খোঁচা মেরেই বললেন তো বলুন এখন আপনি আরো কি নিতে এসেছেন।

-আমাকে ভুল বুঝবেন না প্রফেসর শন। আমি বইটি নিয়ে দু চার দিন আপনার ইয়েট মাইক্রোস্কোপে দেখেছি কিন্তু যে বিবর্ধন দেখতে পেয়েছি সেটা দেখে মনে হল এই বইটি সম্ভবত ওজিওটিক ভাষায় লেখা। তবে এই বিবর্ধন যথেষ্ট নয় বলে আমি কোন অংশই পড়তে পারিনি।

-তাই! খানিকটা স্তম্ভিত হয়ে বেশ একটা চাপা স্বর কথাটা বললেন শন।
-আপনি ভাষাবিদও বটে। তাছাড়া এই ভাষার মূল কাজটি তো আপনি করেছেন তাই আমি আপনাকে বইটি দিচ্ছি। আশা করি এবার আপনার সফলতা আসবে। কথাটা বলে কালো কভারের একটা বই পকেট থেকে বের করলেন সাইমন বেল । রুদ্ধশ্বাসে সাইমনবেলের হাত থেকে বইটি নিলেন শন। তার বিশ্বাস করতে কষ্ট হল এটা তার ঊনিশ বছরের গবেষণার একটা অংশ। তিনি যেটা এখনই ইয়েট মাইক্রোস্কোপে পড়তে পারবেন। চিন্তায় তিনি এতটাই মগ্ন হলেন যে সাইমনবেলের চলে যাওয়াটা চোখে পড়ল না তার।
(চলবে)
---------------------------------------------------------- (পরিশিষ্ট)
১. ইয়েট মাইক্রোসকোপ : এক ধরনের বিবর্ধক যন্র যার সাহায্যে ছোট কোন জিনিসকে বড় করে দেখা যায়।
২. রুকটাইল কালি :এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ীত্বের কালি। (কল্পনা)
৩. হিওটিট : রোবটদের উন্নত সংস্করণ। (কল্পনা)
৪. প্রাইসম : রোবটদের মস্তিস্কের একটি অংশ। (কল্পনা)
৫. WSO : World scientific organization।
৬. ইন্টারনেট : তথ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়ের একটি মাধ্যম।
৭. উইরিয়াল সিগনাল : মানুষের মস্তিস্কের নিউরনের মাধ্যমে তথ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়ের একটি মাধ্যম। (কল্পনা)
৮. ফ্লাবিশ ষ্কিন : এক ধরনের পর্দা যা আপতিত আলোর উপযুক্ত প্রতিচ্ছবি সৃষ্টি করতে পারে। (কল্পনা)
৯. অটোমেটিক লিন্ডিকার: রিমোটের ন্যায় এক ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস। (কল্পনা)
১০. নিউরন : মানুষের মস্তিস্কের একটা অংশ যা সংবেদন পরিবহনের কাজ করে। মানুষের মস্তিস্ক কোটি কোটি নিউরন নির্মিত।
১১. ডাই অপিনাইল : এক ধরনের ট্যাবলেট যা মৃত স্নায়ু বা কোষকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাগিয়ে তুলে স্বল্প সময়ের জন্য জীবিত রাখতে পারে। (কল্পনা)
১২. ওথাল হোম : অজিওটিক ভাষায় সম্বোধনবাচক শব্দ। (কল্পনা)
১৩. থায়োডেজাট্রোব্লুটানেট : এক ধরনের যৌগ। (কল্পনা)
১৪. ওয়াল্ড্রল মাদার : ক্লোন শিশুদের যারা রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকে। (কল্পনা)
১৫. ব্লোনাড : ক্লোন শিশু। (কল্পনা)
১৬. লিওবিট টিউব : কলিংবেলের মত একধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস। (কল্পনা)
১৭. রিসাইকেলএবল : পূনরায় ব্যবহারযোগ্য করা যায় যা।
১৮. লেন্টালিন : এক ধরনের রাসায়নিক তরল যা অবশ স্নায়ুকে সংবেদন গ্রহনে সাহায্য করে। (কল্পনা)
১৯. ডুকাইল :ফ্লিজ জাতীয়। (কল্পনা)
২০. বিট্রিওল : এক ধরনের পিল। (কল্পনা)
২১. মিলকিওয়ে : পৃথিবী যে গ্যালাক্সীতে আছে তার নাম।
২২. গ্যালাক্সী : ছায়াপথ। প্রতিটি গ্যালাক্সীতে সূর্যের ন্যায় অসংখ্য নক্ষত্র থাকে।
২৩. নেবুলা : মহাকাশে ঘণীভূত হয়ে থাকা ভস্ম, গ্যাস, গলিত পদার্থ ইত্যাদি।
২৪. অক্টোবিট ভেইকল : এক ধরনের যানবাহন। (কল্পনা)
২৫. FSO: Federal Scientific organization
২৬. এলোবেশিয়ান : কুকুর ও বিড়ালের সংকর প্রজাতি। (কল্পনা)
eru

-------------------------------------------------
সুগন্ধ বিলোতে আপত্তি নেই আমার
বস্তুত সুগন্ধ মাত্রই ছড়াতে ভালবাসে।


মন্তব্য

শিক্ষানবিস এর ছবি

একসাথে পড়ে ভালই মজা পাচ্ছি। কল্পবিজ্ঞান লেখায় আপনার হাত আছে। থেমে যাবেন না যেন, পুরোটা পড়তে চাই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।