হৃদয়ের কী'বা দোষ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২০/০৪/২০০৮ - ৫:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছ্যাঁকা খাওয়ার বিষয়টি ভুলেই গিয়েছিলাম। মাসুদ আবার মনে করিয়ে দিল। হঠাৎবুকের এক কোনে একটা ব্যথা উঠেই মিলিয়ে গেল। একজনের সাথে ভাব হয়েছিল। পরে মেয়েটি অন্যজনকে বিয়ে করে। তখনো আমার বিয়ে করার মতো যোগ্যতা হয়নি। মানে স্কুলের ওপরের ক্লাসে পড়ি আর কি। বাপের ঘাড়ে চড়ে খাই। তো সে সময়ে যে মেয়ে চলে গেছে তার জন্য আর কতো দিন বিরহের অনুভূতি বেঁচে থাকে। চিনচিনে ব্যথাটা তাই অনেকদিন থেকেই নাই। মাসুদ আবার সেই চিনচিনে ব্যথাটা ফিরিয়ে আনলো।

মাসুদ জীবনে নাকি একটাই প্রেম করেছে। তাও আবার ভার্সিটিতে এসে। অনেকটা সাবালক হয়ে, বুঝে শুনেই। সেই প্রেমও আর নাই। ইতি নাকি বলেছে, ফ্যামিলি রাজি নাই, তাই মাসুদকে বিয়ে করতে পারবে না। মাসুদ অবশ্য ইতির কথা বিশ্বাস করেনি। কারণ পাত্রের বাজারে ব্যাংকারের এখন বেশ দাম। ঢাকা ভার্সিটির ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে বিবিএ এমবিএ করে চাকরি করছে সিটি ব্যাংকে। এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে। বেতন ভাতা কম নয়। পঁচিশ হাজারের ওপরে। কাজেই এমন পাত্রকে ইতির ফ্যামিলি না করতে পারে এমনটা মাসুদ ভাবতে পারে না। আবার ইতির এখানকার পাত্র যে আহামরি চাকরি করে তেমনও নয়। তাই ইতির প্রত্যাখান মেনে নিতে পারে না মাসুদ। অন্য কারণ খুঁজতে চেষ্টা করে। সে কারণেই আমার কাছে আসা।

গ্রীষ্মের লু হাওয়া বয়ে যায়। আর তার তপ্ত তাপে জীবন ঝালাপালা। তবুও আমার পাঁচ তলার রুমে এক চিলতে বাতাস আসে। আর সে বাতাসের নিচে আমি মাসুদকে সান্ত্বনা দেই। আমার সান্ত্বনা বাণী শুনে মাসুদ আরও বিরক্ত হয়। বলে, তুই কী বুঝবি প্রেমিকা চলে গেলে। আমি স্মৃতি হাতড়াই।

স্মৃতির টানে রিনি ফিরে আসে। নখ দাঁত বের করে। অনেকদিন পর আবার রক্তাক্ত হই। বেদনার নীল মেঘ ছেয়ে ফেলে আমার পৃথিবী। ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে। রিনির কথা থাক। থাক বৃষ্টি ভেজা সেইসব দিনের কথা।

রিনির যেদিন বিয়ে সেদিনের কথা সব মনে আছে। রিনিই এসে দাওয়াত দিয়ে গিয়েছিল, বলেছিল, এলোমেলো কিছু না করে পারলে এসো একবার। উথাল পাথাল আবেগ ঝেড়ে ফেলে দিয়ে আমিও যাবো ভেবেছিলাম। কিছু বন্ধু অবশ্য প্যাঁচ ঢোকায় এর মাঝে। বলে, তুই প্রচন্ড ইমোশনাল, নিজেকে সামলাতে পারবি না। আসলে আমার ভেতরে স্থিরতা ছিল না। বন্ধুদের কথাই সই। এটা মেনে সে রাতে গাঁজা খেয়ে বমি করেছিলাম। রিনি অবশ্য পরে এটা শুনে বেশ রাগ করেছিল। আমি যাবো সে এ আশা নিয়ে বসেছিল।

গাঁজার বিশ্রী স্বাদের মতো জীবনটাও তেতো হয়ে যায়। সেই সময়টাকে আরও তেতোময় করে তোলে অদ্ভুত এক শপথ। রিনি চলে যাওয়ার পর বন্ধুদের কাছে শপথ করেছিলাম আর কোনো মেয়ের সাথে সম্পর্ক করবো না।

রবীন্দ্রনাথে পড়েছিলাম মানুষ পণ করে তা ভাঙ্গার জন্যই। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছিল। অনেকদিন আমি শপথ ভাঙ্গিনি। ভাঙ্গছিলাম না এটা ভেবে বেশ ভাল লাগতো। কিন্তু ভাল লাগতো ব্যাপারটা অবশ্য আর থাকেনি। ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েই টলে উঠে ধনু ভাঙ্গা সে পণ। উর্মি এসে কাঁপিয়ে দিয়ে যায় আমার ভিত। ঠিক সাইক্লোনের উর্মিমালার মতো। উর্মি অবশ্য কাঁপেনি। কেঁপে ভেঙ্গে গেছি যা আমিই।

সবক্ষেত্রে নিজের একটা প্রোফাইল আর পোর্টফোলিও লাগে। প্রোফাইল কিংবা পোর্টফোলিও শব্দ দুটিই শহরে এসে জানা। গ্রামে থাকার সময় কখনো শুনিনি। দুটোই প্রবলভাবেই ছিল উর্মির। ইন্টারমিডিয়েটে সে মেয়েদের মধ্যে দেশ সেরা হয়েছিল। আর আমি লো প্রোফাইলের। ফলে পাত্তা পাইনি। পাত্তা না পাইলেও অনেকদিন পিছু লেগেছিলাম। তবে কাজের কাজ কিচ্ছু হয়নি। পরে অবশ্য উর্মি রিফাতের সাথে জুটি বাধলে আমিও চলে আসি লাইন ছেড়ে।

তারপর আবার পুরনো শপথে ফিরে যাই। তারপরও আরও কিছুদিন উর্মির স্বপ্নে দিন গুজরান করি। এরপর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা এলে ক্যাম্পাসে যাই। প্রিয় ক্যাম্পাসে আড্ডা মারি। বন্ধুরা কেউ প্রিয়জন নিয়ে এসে বসে পড়ে। বুকের কোথাও যেন ব্যথা করে উঠে। ফাঁকা ফাঁকা লাগে। কিসের যেন হাহাকার। অনুভব করি কেউ পাশে নেই। এই ভরা পঁচিশে।

পান্থ রহমান রেজা


মন্তব্য

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

ভাগ্য তো আপনারই মিয়া ------ শুনছি প্রকৃতির এক বিধান আছে জীবন নিয়া --- জীবনটা দুই টুকরা করা ------ প্রথম থেকে মধ্যম আর মধ্যম থেকে শেষ ------- দুই অংশের প্রথম অংশে যখন গোলপোষ্ট ফাঁকা গেছে ----- বাকি জীবনটাতেতো জায়গা দেওনের পথ পাইবেন না ------ তৈরি হন বক্ষের আয়তন বাড়াইতে ------
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

স্বপ্নাহত এর ছবি

ওয়েলকাম টু লুজারস গ্রুপ দেঁতো হাসি

মিয়া হিসাব করে দেখলে দেখা যাবো আমাগো দলই ভারী চোখ টিপি

লেখা ভাল্লাগছে...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

রায়হান আবীর এর ছবি

আহারে!!!
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ধৈর্য
আপকা ভি নাম্বার আয়েগা...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্বপ্নাহত এর ছবি

কিন্তু রিনি তো আর আইবোনা মন খারাপ

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

না আসলে না আসলো
এমন কেউ আসুক যে বেদনায় বালি চাপা দিবো...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্বপ্নাহত এর ছবি

বালি চাপা দিতে গিয়ে না আবার গলা চিপা দিয়া ধরে...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বি পজিটিভ ইয়ার...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্বপ্নাহত এর ছবি

সেটাতো আমার রক্তে মিশে আছে।

আমার ব্লাড গ্রুপ বি পজিটিভ হো হো হো

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই স্বপ্নাহত, বুঝলাম আপনি না হয় স্বপ্ন নিয়ে আহত, কিন্তু তাই বলে যে রেজা তার বিগত প্রেম নিয়ে বিচলিত, কিন্তু আবার ভবিষ্যত নিয়ে যার পর নাই আশান্বিত, তার অনাগত স্বপ্নে কেন বাগড়া দিচ্ছেন ভাই? কোথাও জ্বলন হচ্ছে নাকি?

মৌরি নিষাদ

স্বপ্নাহত এর ছবি

জ্বী, জ্বলতেসে।

বার্নল আছে নাকি?? কিংবা বার্নল লাগিয়ে দেবার মত সহানুভূতিশীল দুটো হাতের খোঁজ? চোখ টিপি

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

গাছের পাতা নড়েচড়ে রিনি,উর্মির কথা মনে পরে।
আজকে একজন গেলে কালকে দুইজন আসবে...।আফসোস কইরেন না

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ভাল লাগল, জীবন কারো জন্য থেমে থাকেনা এবং আপনি আবারও প্রেমে পরবেন, এবার শুধু ভেবে চিন্তে পরেন খাইছে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

সুমন সুপান্থ এর ছবি

মন্তব্য তো করতে হয় , লেখা নিয়ে ! লেখকের নাম-ধাম-পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করলে তা আবার 'অর্ধ-অধিকার' চর্চা হয় কি -না , কে জানে !
পান্থ রহমান রেজা কি সিরাজগন্জের গ্রাম থেকে দুর্দান্ত সব লেখা নিয়ে হাজির হওয়া সেই পান্থ রেজা ?
সেই যে আমাদের দিন গেছে ! অনেক অনেক স্বপ্ন নিয়ে হাজির হওয়ার দিনগুলি.....রাতগুলি.......
---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

অতিথি লেখক এর ছবি

সুপান্থদা, সেদিনের সিরাজগঞ্জের সেই পান্থ রেজাই আজ ভাগ্যের ফেরে পান্থ রহমান রেজা হয়েছে। তা সুপান্থদা, আপনি কেমন আছেন।

ক্যামেলিয়া আলম, আমি ভাই ছোটখাট মানুষ। বুকটাও তাই ছোট। কেমনে বাড়াই বলুন। আপনি একটু দোয়া করুন না।

সুলতানা পারভিন শিমুল, তারপরও কি রিনির কথা ভুলে যাবো। মনে হয় না। প্রথম প্রেমের স্মৃতি যায় না সহজে ভোলা।

মৌরি নিষাদ, স্বপ্নাহত খারাপ কিছু বলেনি। হয়তো জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই বলেছে। উনার পেছনে লাগার আর কাম নাই।

মুশফিকা মুমু, জ্বি আচ্ছা, ভেবে চিন্তে পরবো। তো আপনার কাছে কি ভেবে চিন্তে পরার মতো কেউ আছে। থাকলে বইলেন।

পান্থ রহমান রেজা

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আহা!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

-

সৌরভ এর ছবি

আহা রে!


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সময় এবং নদীর স্রোত কাহারো জন্য অপেক্ষা করে না!

অতিথি লেখক এর ছবি

এক ঈংরেজ কবির কথা মনে পরে গেল......
OUR SWEETEST SONG ARE THOSE THAT TELL OF SADDEST THOUGHT.....
যাই হোক লেখা পরে আমি মুগ্ধ......।

..................................................................................
যদি এতদিন পর তার মনে হয়
দেরি হোক, যায়নি সময়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শেষ লাইনটা পড়ে আপনাকে "এই মধুমাসে, বধু এসো কাছে" গানটা রিকমেন্ড করতে ইচ্ছে হলো।

বাকি লেখায় মুগ্ধ। সুপান্থদা'র করা প্রশ্নটা আমিও করতে যাচ্ছিলাম বৈকি! নামটা ভীষন পরিচিত।

এবার-

আসল কথা বলি। আপনার চোখ অল্পতে বেঁচে গেছে। প্রেমিকা কিংবা বউ, যাবতীয় সমস্যার আধার। আপনি প্রেমে পড়তে গিয়েও প্রাণ নিয়ে বেঁচে এসেছেন, এর জন্য আপনার শুকর গুজার করা উচিৎ, ছ্যাঁকা খেয়েছেন এমনটা ভেবে মনের মধ্যে কয়েক টন কষ্ট খাবলা দিয়ে ধরে এনে ঢুকিয়ে দেয়ার দরকার নেই। সুযোগ থাকলে খবর নিয়ে দেখতে পারেন রিনির সেই গলা আর চিনির মতো নেই, ঊর্মী ও ঊষালগ্নে আর আগের মতো রাগ সাধনা করে না,করে কাউ কাউ-ঘ্যান ঘ্যান- পেনর পেনর। স্বামী গোবেচারার জীবন অতিষ্ট!

জগতের সকল রমনীর মাঝেই স্বামী পেটানো এক রুদ্রমূর্তির রৌদ্রেরমতো জ্বলজ্বল একটা মারমারকাটকাট রূপ বিদ্যমান। সেইটা থেকে বাঁচার আনন্দে গাঁজায় দুয়েকটা টান টোন দেওয়াতেও খারাপ কিছু নেই। আর বমি! ও সেটা হতেই পারে। গুণীজনেরা বলেন, খাদ্যের সঙ্গে গাঁজা ম্যাচ না করলে ওরকমটা হতেই পারে। অতএব, বেশি করে খাঁজা খান আর রমনী সঙ্গ (পার্মানেন্ট কোনো সম্পর্ক বুঝাতে) এড়িয়ে চলুন। এতে আখের এবং দুনিয়াবী- দুই ফলই হাতে পেরে দাঁতে খাবেন। হাসি

_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ধূ. গো. র এই এপ্রিল থিসিসের পর সবাই বলেন:

জয় ছ্যাঁকা! চোখ টিপি


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

বজলুর রহমান এর ছবি

আপনি জানেন না, আমি আপনাদের কতটুকু হিংসা করি। কিশোর বয়সে খেয়াল হলো ছ্যাঁক না খেলে সৃষ্টিশীলতা খোলে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে তাই ক্লাসের সব চেয়ে সুন্দরী মেয়েটিকে, যে আমার চেয়ে এক ইঞ্চি লম্বা ছিল, এবং যার সাথে জীবনেও বাক্যালাপ হয় নি, দুম করে একটা চিঠি লিখে ফেললাম এবং তার অবাক, অনিচ্ছুক বান্ধবীকে দিয়ে পাঠালাম। রাতে বার বার দিস্তা কাগজে "Our sweetest songs are those" লিখে লিখে বাবা-মা আর বোনদের মহাচিন্তায় ফেলে দিলাম। দু দিন বাদে সে বান্ধবীদের দিয়ে খবর দিল আমার সাথে কথা বলবে। আমার কি আনন্দ! হেঁ হেঁ, এবার সেই অভিজ্ঞতাটা আমার হবে। সে এসে আসলেই বলল ঃ কি, মাথাটা কি খারাপ নাকি ? বললাম ঠিক, ঠিক! এর পর এক মাস খুব দেবদাস সাজার চেষ্টা করলাম, দেখলাম আসলেই আরো ভালো লেখা পড়া হচ্ছে, ঝামেলা শেষ হয়ে যাওয়াতে। তার পরে এক দিন হঠাৎ বিনা মেঘে বজ্রপাত! মা হতভম্ব হয়ে এসে বললেন, একটা মেয়ে তোকে ফোন করেছে। বল্লঃ কি, মাথা ঠিক হয়ে গেছে? বল্লামঃ সরি ভুল হয়ে গেছে। আর কখনো লিখব না। বললঃ ফাজলামী নাকি! এটা কি একটা খেলা?

আমার আর নোবেল প্রাইজ পাওয়া হলো না।

হিমু এর ছবি

অভিনন্দন। সাহিত্য আর পদার্থবিজ্ঞানে বুঝলাম হাল ছেড়ে দিয়েছেন, শান্তিতে ছাড়বেন না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রেমে পড়ুন বারেবারে, তাতে লাভ?
স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।

(বিঃদ্রঃ আপনি একজনের প্রেমেই বারেবারে পড়তে পারেন, আবার কয়েকজনের প্রেমেও একসাথে পড়তে পারেন, আবার একেকবার একেকজনের প্রেমেও পড়তে পারেন। ঘটনা যাই ঘটুক, 'পড়া'টাই বড় কথা!)

ফেরারী ফেরদৌস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।