বাংলাদেশে “ইসলামী ব্যাংকিং” ব্যাপারটির আগমন প্রায় ত্রিশ বৎসর আগে “ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড”-এর মাধ্যমে। শুরুর দিকে এক্ষেত্রে এই ইসলামী ব্যাংক একা থাকলেও পরবর্তীতে আস্তে আস্তে নতুন নতুন ইসলামী ব্যাংক বাজারে আসে। এমনকি মূলধারার কিছু ব্যাংক (যেমন এক্সিম ব্যাংক) রাতারাতি ভোল পালটে পুরোমাত্রায় ইসলামী ব্যাংক হয়ে যায়। আবার মূলধারার কিছু ব্যাংক (যেমন প্রাইম ব্যাংক) তাদের “ইসলামী শাখা” খোলে। এসমস্ত ইসলামী ব্যাংকগুলোর দাবী হচ্ছেঃ (১) তাদের কার্যক্রম শরীয়ত মোতাবেক পরিচালিত (২) তাদের ব্যাংকিং সম্পূর্ন সূদ মুক্ত। মূলধারার ব্যাংকিং-এর সাথে এদুটোই তাদের প্রধাণ পার্থক্য।
“ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড”-এর আগমনের আগে এদেশে ধর্ম-নির্বিশেষে কারো কাছে সূদ যুক্ত নাকি সূদ মুক্ত ব্যাংকিং, এধরনের প্রশ্ন ছিলনা। তারাই প্রথম এদেশের সাধারন মানুষের কাছে (বিশেষতঃ এদেশের মুসলিমদের কাছে) এই প্রশ্নটি দাঁড় করায়। ফলে অশিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত বা স্বল্প ইসলাম জ্ঞানসম্পন্ন মানুষের কাছে এই ধারনাটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমানে “ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড” বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারী ব্যাংকে পরিনত হয়েছে। টাকার অঙ্ক, সূদের হার ইত্যাদি সংখ্যা দিয়ে এই লেখাটিকে ভারাক্রান্ত করার ইচ্ছে লেখকের নেই। জ্ঞানী পাঠক মাত্র সত্যগুলো জানেন। যে কেউ চাইলে ব্যাংকগুলোর ওয়েবসাইটগুলো থেকেও তথ্য জানতে পারেন।
মূলধারার ব্যাংকিং-এর সাথে ইসলামী ব্যাংকিং-এর প্রধাণ পার্থক্য দুটোর দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক। ‘খ’ যদি ‘ক’-এর কাছ থেকে কিছু টাকা এই শর্তে ধার করেন যে, যতদিন পর্যন্ত না ‘খ’ ‘ক’ কে ধার করা সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত ‘খ’ ‘ক’ কে অতিক্রান্ত সময়ের উপর একটি নির্দিষ্ট হারে অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য থাকবেন। বস্তুতঃ অতিক্রান্ত সময়ের উপর নির্দিষ্ট হারে প্রদেয় এই অতিরিক্ত টাকাই সূদ। কিন্তু ‘খ’ এবং ‘ক’ -এর মধ্যকার শর্তটা যদি এমন হতো যে, ধার করা টাকা ব্যবসাতে বিনিয়োগ করে ‘খ’ যে পরিমান মুনাফা করবেন তার একটি অংশ ‘ক’ কে দিতে বাধ্য থাকবেন, তাহলেই তাকে আর সূদ বলা যেত না। কারন, এই মুনাফার হার নির্দিষ্ট নয়। এটি শূন্য থেকে যে কোন সংখ্যা হতে পারে। আর ‘ক’ যদি ‘খ’-এর ব্যবসায়ের সম্ভাব্য ক্ষতির ভাগও নেন তাহলে তিনি ব্যবসায়ের অংশীদার হিসেবে বিবাচিত হবেন।
কেঊ যখন কোন ইসলামী ব্যাংকে টাকা আমানত (Deposit) রাখেন, তখন উক্ত ইসলামী ব্যাংক আমানতকারীকে বৎসরান্তে নির্দিষ্ট হারে ‘লাভ’ দেবার প্রতিশ্রুতিই দেয়। এক জন মুসলিম একথা বিশ্বাস করতে বাধ্য যে, বৎসরান্তে ব্যবসায়ে কি পরিমান ‘লাভ’ হতে পারে, অথবা আদৌ ‘লাভ’ হবে কিনা তা কেবল আল্লাহ-ই জানেন। কারন, ঈমানে মুফাসসালে বলা আছে, “তকদীরের ভালো-মন্দ একমাত্র আল্লাহর হাতে”। সুতরাং, ইসলামী ব্যাংক যদি আমানতকারীকে বৎসরান্তে নির্দিষ্ট হারে ‘লাভ’-এর নিশ্চয়তা দেয় তবে তা ঈমানে মুফাসসালের পরিপন্থী বা ‘কুফরী’ বলে গন্য হবার কথা। একই ভাবে বৎসরান্তে পূর্ব প্রতিশ্রুত হারে প্রদেয় টাকা সূদ ভিন্ন কিছু না।
আবার কেউ যখন কোন ইসলামী ব্যাংক হতে টাকা ধার করেন, তখন উক্ত ইসলামী ব্যাংক ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে বৎসরান্তে নির্দিষ্ট হারে ‘লাভ’ পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতিই আদায় করেন। এক্ষেত্রেও, যেহেতু ঋণ গ্রহীতা একথা আদৌ জানেন না যে বৎসরান্তে তিনি কোন প্রকার মুনাফা করতে পারবেন কিনা, সুতরাং ইসলামী ব্যাংককে তার দেয়া বৎসরান্তে নির্দিষ্ট হারে ‘লাভ’ পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি বস্তুতঃ সূদ পরিশোধেরই প্রতিশ্রুতি। এবং বৎসরান্তে ইসলামী ব্যাংককে তিনি মূল ঋণকৃত টাকার পরিমানের বাইরে যা পরিশোধ করেন তা বিশুদ্ধ সূদ বই অন্য কিছুনা।
ঋণ গ্রহীতা ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্থ হলে কোন ইসলামী ব্যাংক-ই তার লোকসানের ভাগ বহন করে না। বরং মেয়াদান্তে ঋণ গ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ‘Compensation’-এর নামে চক্রবৃদ্ধি হারে সূদও আদায় করে। অনাদায়ী সূদ আদায়ের জন্য মামলা করাও ইসলামী ব্যাংকগুলোর নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।
“Money Market” -এ ইসলামী ব্যাংকগুলো যে “Call Money” ধার করে বা ধার দেয় তা সূদ দেবার বা নেবার ভিত্তিতেই করে থাকে। দেশে বা দেশের বাইরে আন্তঃব্যাংক যে লেন-দেন হয় তাও সম্পূর্ণরূপে সূদ দেবার বা নেবার ভিত্তিতেই হয়ে থাকে। সুতরাং “সম্পূর্ন সূদ মুক্ত ব্যাংকিং” সোনার পাথর-বাটি ছাড়া অন্য কিছুনা।
অনাগত সময়ের উপর নির্দিষ্ট হারে ‘লাভ’ আদায় করা বা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি নিঃসন্দেহে ঈমান-আকীদার পরিপন্থী। একই ভাবে এব্যাপারে সাধারণ মানুষকে ভুল ধারনা দেয়াও ইসলাম পরিপন্থী। শরীয়ত বিরোধী ব্যবসাতে বিনিয়োগ, পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের নিয়োগ প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রমও ইসলাম পরিপন্থী। এসমস্ত ইসলাম পরিপন্থী কাজ প্রত্যেকটি ইসলামী ব্যাংকই করে থাকে। ইসলামী ব্যাংকগুলোর শরীয়ত মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালনা করার দাবীও তাই সবৈর্ব মিথ্যা।
সাম্প্রতিককালে কিছু কিছু আলেম এই বলে সাফাই গান যে অন্যান্য মূলধারার ব্যাংকের তুলনায় ইসলামী ব্যাংকগুলো অধিক ইসলাম-সম্মত। অথচ তারা এই সত্যটি চেপে যান যে, ইসলামে আধা-আধি বা আংশিক বিধান পালনের কোন সুযোগ নেই। মিথ্যা বলা, চুরি করা, নেশা করা, জ্বেনা করা, পরের সম্পদ লুন্ঠন করা, নামাজ-রোজা-যাকাত অনাদায়ী রাখা ইত্যাদি ইসলামী বিধান অনুযায়ী নিষিদ্ধ। এর কোনটাই আংশিকভাবেও করা যাবে না। করলে তার জন্য পরকালে কঠিন আযাবের সম্মূখীন হতে হবে। সূদও ইসলাম বিরোধী। কণামাত্র সূদের সংস্রব থাকাও তাই ইসলাম বিরোধী।
যে সত্যটি এসমস্ত ইসলামী ব্যাংক বা ঐ সমস্ত আলেমগণ বলেননা তা হচ্ছে, সূদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থা হয় না। তাই রাসুল (সাঃ) বা খোলাফায়ে রাশেদীনদের সময় রাষ্ট্রিয় কোষাগার ছাড়া অন্য কোন ব্যাংক ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমানে ইসলামী পরিভাষা ব্যবহার করে সূদী কারবারকে “ইসলামী” রূপ দেবার চেষ্টা ধর্মকে ব্যবহার করে ব্যবসা করার এক ফন্দি ছাড়া অন্য কিছু না। এতে সাধারণ আমানতকারী বা ঋণ গ্রহীতাদের ঈমান নষ্ট হয় কিনা বলতে পারবোনা, তবে ইসলামী ব্যাংকগুলো আর তাদের ভাড়াটে মোল্লাদের যে পকেট ভারী হয় সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
মন্তব্য
অনুগ্রহ করে লেখার শেষে ইমেইল ঠিকানা যোগ করবেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমি লেখকের সাথে একমত। কাঠমোল্লাদের মনোভাবের পরিপন্থী কোনো কিছু হলেই তারা দেশ গেল জাত গেলো ধুয়া তুলে। আমি মনে করি এই ব্যাঙ্কিং ব্যাবস্থাও এর ব্যাতিক্রম কিছু নয়। শুধু এতটুকুই বলবো যে কাঠমোল্লারা যে কী প্রকৃতির তা একটা উদাহরণ দিলেই বুঝা যাবে- বায়তুল মোকাররামের জায়নামাজ পুড়িয়ে পুলিশের সাথে যুদ্ধ করা। ইসলামে কোথায় বলা আছে এমন ব্যবহারের?
অনিমেষ
আপনার উদাহরণ এর ব্যাপারে আমার সংশয় আছে। আমার মনে হয়, এটা কোন অনুরবর মস্তিষ্কের উগ্রতার ফসল । হয়তবা তার কাছে মনে হয়েছে some thing is better than nothing hahahaha. ব্যাপার হচ্ছে পোড়ানোর দরকারটা পরল কেন? যেমন পুলিশ তেমন জনগণ। যদিও মদনের মত কাজ তবু দুঃখজনক ।
ইসলামী ব্যাংকিং মানে হলো আল্লাহর নাম নিলে সবকিছুই জায়েজ।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
আপনার "আল্লাহর নাম নিলে সবকিছুই জায়েজ" কথাটি বেঙ্গাত্তক কিনা কে জানে? any way, আল্লাহর নাম নিয়ে crime করলে তা উত্তম কর্ম গণ্য হবেনা। উঃ- চোর চুরি করতে গিয়ে বিসমিল্লাহ্ বলল। বিসমিল্লাহ্ সঠিক, তবে চুরি বেঠিক। তেমনি আল্লাহ্ সোবহানাহু ওয়া তা'আলা সুদ, ঘুষ, মদ, নিজ স্ত্রী ব্যাতিত অন্য নারী এর দিকে বিশেষ আগ্রহ নিয়ে দৃষ্টি দিতে নিষেধ করেছেন। কেউ বিসমিল্লাহ্ বলে এগুলে করলে তা মোটেই affirmative হবে না।
আপনি যদি ব্যাঙ্গ করে থাকেন, তাও করা উচিত নয় তার কারন, মানুষকে ব্যাঙ্গ করলে এটা আল্লাহ্ সোবহানাহু ওয়া তা'আলা করবেন তা হয়ত নয়। প্রভু আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন।
কিছুটা দ্বিমত। বাংলাদেশের কাঠমোল্লাদের মাপকাঠিতে সবাইকে বিচার করার কোন কারন দেখি না। এই বিষয়ে পূর্ব ও পাশ্চাত্যের অনেক লোকই কাজ করছেন, যারা সিরিয়াস, মেধাবী এবং হিপোক্রিট নন। বর্তমান বিশ্ব পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামিক ব্যাংকিং-কে কি করে খাপ খাওয়ানো যায় তা নিয়ে তারা চিন্তা করেন এবং যেখানে খাপ খায় না, তা নিয়েও বেশ অকপট। বিশ্বব্যাপী সেক্টর বাড়ছে ব্যাপক হারে - বড় বড় ফিনানশিয়াল পেপার পত্রিকায় তার প্রমাণ মেলে। বৃটিশ সরকার সম্প্রতি সুকুক বন্ড ইস্যু করেছে - পশ্চিমা বিশ্বে প্রথম। এইসবের তুলনায় বাংলাদেশের সেক্টর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র। সেক্টরে বেগ আসছে অন্য দিক থেকে - আরবের পেট্রোডলার, মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়ার উন্নয়ন, ফিনান্সের কেন্দ্র হিসাবে দুবাই আবুধাবীর উত্থান, মুসলিম অভিবাসীদের পশ্চিমে বসতি, ইত্যাদি। গতানুগতিক পুঁজিবাদের পাশাপাশি অন্যান্য সিস্টেম নিয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা করায় অসুবিধা দেখি না।
একাডেমিকদের মধ্যে ইসলামিক ব্যাংকিং-এর সবচেয়ে বড় সমালোচক সম্ভবত তিমুর কুরান। এই বিষয়ে তার লেখা রিসার্চ পেপারগুলা বেশ ইন্টারেস্টিং। কিন্তু তার ব্যাপক সমালোচনা সত্ত্বেও কিছু থেমে থাকছে না।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
অন্যান্য সিস্টেম নিয়ে গবেষণাটা বিজ্ঞানসম্মত হলে নিঃসন্দেহে ভাল। কিন্তু ধর্মে বলা আছে তাই .. এরকম হলে কিভাবে হয়? তাহলে তো সেই সাধারণ মানুষের অন্ধ ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে ঠকানো হয়ে গেল। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে একটা অন্যটার চেয়ে ভাল কিছু তো দেখি না।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমার মনে হয়, ধর্মে বলা আছে এ কথাটা বলে আমরা যারা ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন ছিলাম তাদের মধ্যে জানার একটা ইচ্ছা তৈরি হয়েছে। হাঁ এটা বলে কোন অন্যায় হয়নাই। বরঞ্চ thirst of knowledge বেড়েছে।
পুনশ্ছঃ মানুষ হাতি, ঘোড়া , মশা কোনটাই নয়। মানুষ হচ্ছে মানুষ।
পশ্চিম থেকে খুব সামান্য টাকাই আসে। তার কারণ তাদের কামাই আর খরচ সমান সমান। যারা মধ্যপ্রাচ্চে আছেন তারাই principal support দিয়ে থাকেন দেশকে, অথছ সবাই পশ্ছিম বলতে অজ্ঞান। আর মধ্যপ্রাচ্চের ব্যাপারে অনেকেই নাক সিটকান। দয়া করে foreign currency remittance এর ব্যাপারে Bangladesh bank এ একটু খোজ নিয়ে দেখবেন।
ইসলামের কথা যদি বলেন, আই মিন, আল্লাহ যে ইসলাম দিছে, তাইলে শরীয়া জিনিসটাও বেসিক্যালী অনৈসলামিক এবং ইসলামের বিকৃতি।
ইসলামি ব্যাঙ্কের কাজকর্ম সম্পর্কে ডিটেলস জানি না। আপনার পোস্টের কথাগুলো সত্য হলে বলা যায়, তাদের এ প্রকল্প ইসলামের নামে ব্যবসায়ের অতিরিক্ত কিছুই না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সে ক্ষেত্রে " অছ্যুৎ " মশাই, জেনে মন্তব্য করাটাই কি উচিৎ ছিল না?
বাক স্বাধীনতা সীমা লঙ্ঘন কখন করে জানেন? যখন তা interpersonal মন্তব্য থেকে worldly মন্তব্যতে উন্নীত হয়। ইসলামের ব্যাপারে আপনার attack টা worldly মন্তব্যতে উন্নীত হয়েছে।
ভাই ছাগুরাম, পুরাটা পেইজ জুড়ে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করে কি পোস্টের মেরিট নষ্ট না করলে চলতই না? বুঝলাম, ইসলামী ব্যাংকের ভন্ডামি নিয়ে কথা বললে আপনার ইয়ে জ্বলে যায়, কিন্তু পরের বার থেকে পোস্ট প্রকাশের পরপরই এসে ছাগলামী করার চেষ্টা করে যেয়েন, চার বছর পরে এসে ফাঁকা মাঠে না।
মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
ইসলামী ব্যাংক নিয়ে আলাদা করে চিন্তার কিছু নেই । উদ্যোক্তারা স্মার্ট । তারা নিজে এসব বিশ্বাস করেন বলে মনে হয় না ।
তারা জানেন যে ইসলাম শব্দের বিক্রীমূল্য বেশ ভালো ।
এটা উনারা আমার আপনার আগে আবিষ্কার করেছেন , এটা তাদের ক্রেডিট ।
মদ কারখানার মালিক বাবুল " এরোমেটিক হালাল সাবান " তৈরী করে যখন লাক্সকে শুইয়ে দিল , তখন এখানে বাবুলের ইসলাম প্রিয়তা কাজে লাগে নি , এটা হচ্ছে তার ব্যবসা কৌশল ।
সম্প্রতি দেখে হালাল ফ্রিজ নামের একটা ফ্রিজের বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম , মজা লেগেছে ।
এই কৌশল আগেও হয়েছে । কাজী নজরুল ইসলাম - আব্বাসউদ্দীন মিলে " তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে " মার্কা যা গান তৈরী করেছেন , সেটাও এই মার্কেটকে টার্গেট করে । মুসলিমরা এলপি রেকর্ড কিনলে একটা বিরাট মার্কেট হয় , এই চিন্তাতেই অনেক গান/গজল তৈরী করেছেন এই জুটি ।
ভোদাই পাবলিক ধর্মের আফিম খায় ।
তাকে সেটা বিক্রী করে কেউ যদি দুটো টাকা রোজগার করতে পারে , করুক না ।
-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।
ঠিক যেমন উন্নয়নের নাম নিলে অনেক বিনিয়োগের ধ্বংসাত্মক দিক ঢাকা যায়। ঠিক যেমন দারিদ্র্যমুক্তির কথা বলে সবচে চড়া সুদের গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক পুঁজিবাদের প্রফেট হয়ে যায়। ঠিক যে কারণে বুশ ক্রুসেডের কথা বলে।
দেখার বিষয় এটা যে, ইসলামের এই এলিট অংশ কিভাবে পুঁজিবাদের সঙ্গে ফিট করে যাচ্ছে। এটা ইসলামের একটা পোটেনশিয়াল। আরেকটা দিক পুঁজির একটা দিকের সঙ্গে লড়তে চাইছে। এটাও একটা পোটেনশিয়াল।
লেখাটা বেশ ভাল লেগেছে বিশ্লেষণের স্বচ্ছতার জন্য।
সুবিনয়কে ধন্যবাদ লিংকটা এগিয়ে দেয়ার জন্য।
আরেকটা বিষয়; নজরুল ও আব্বাস উদ্দীনকে গ্রামোফোন কোম্পানি নিয়েছিল ব্যবসার জন্য। কিন্তু তারা পূর্ব বাংলার মুসলমানদের নিজস্ব আধুনিকতার পথে নিয়ে যাওয়ার একটা চেষ্টা করেছিলেন আবার পশ্চিম বাংলার হিন্দুদের মধ্যে তাদের দেশের কৃষক সুষমার স্বাদ দিয়েছিলেন। তাঁরা নানান কারণে আমাদের আলোকায়নের কৃতি পুরুষ।
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ইসলামী ব্যাংক সম্বন্ধে এ কথাগুলো এতদিন শুনেছি, প্রমাণ পেয়েছি।
এত গুছিয়ে ব্যাপারগুলো প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
(ক্লান্ত পথিক)
................................................................................
জিহবায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্ত শব্দ কবিতা
কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা
বা! অনেক কিছু পরিষ্কার হলো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ইসলামী ব্যাংক বলে আসলে কোন কিছু নাই। সবই ইসলামী আইনের ধারা-উপধারাগুলোকে নিয়ে টেক্সাস হোল্ডেম পোকার খেলা।
আবার কেউ যখন কোন ইসলামী ব্যাংক হতে টাকা ধার করেন, তখন উক্ত ইসলামী ব্যাংক ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে বৎসরান্তে নির্দিষ্ট হারে ‘লাভ’ পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতিই আদায় করেন। এক্ষেত্রেও, যেহেতু ঋণ গ্রহীতা একথা আদৌ জানেন না যে বৎসরান্তে তিনি কোন প্রকার মুনাফা করতে পারবেন কিনা, সুতরাং ইসলামী ব্যাংককে তার দেয়া বৎসরান্তে নির্দিষ্ট হারে ‘লাভ’ পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি বস্তুতঃ সূদ পরিশোধেরই প্রতিশ্রুতি। এবং বৎসরান্তে ইসলামী ব্যাংককে তিনি মূল ঋণকৃত টাকার পরিমানের বাইরে যা পরিশোধ করেন তা বিশুদ্ধ সূদ বই অন্য কিছুনা।
**********আপনার এই উক্তির সঙ্গে নম্নলখিত উক্তির অসামঞ্জস্য আছে।***********
Qard hassan/ Qardul hassan (good loan/benevolent loan)
This is a loan extended on a goodwill basis, and the debtor is only required to repay the amount borrowed. However, the debtor may, at his or her discretion, pay an extra amount beyond the principal amount of the loan (without promising it) as a token of appreciation to the creditor. In the case that the debtor does not pay an extra amount to the creditor, this transaction is a true interest-free loan. Some Muslims consider this to be the only type of loan that does not violate the prohibition on riba, since it is the one type of loan that truly does not compensate the creditor for the time value of money.
http://en.wikipedia.org/wiki/Islamic_banking#Qard_hassan.2F_Qardul_hassan_.28good_loan.2Fbenevolent_loan.29
জনাব/জনাবা মহিবা, আপনি Qard hassan/ Qardul hassan (good loan/benevolent loan) এর যেই উক্তি দিয়েছেন ইসলামি ব্যাংকিং এর - তা ঠিক আছে (আমি একমত)। কিন্তু, বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংক / বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংকগুলো ইসলামি ব্যাংকিং এর নীতিমালা অনুসারে পরিচালিত হয় কিনা -আমরা কিভাবে নিশ্চিত হব। কেউ যদি ইসলামি ব্যাংক (বাংলাদেশ) থেকে টাকা ধার নেন, তাকে কিভাবে টাকা পরিশোধ করতে হয় ? সে যদি কোন লাভ না করতে পারে, তাহলে কি তাকে শুধু ধার করা টাকা ফেরত দিতে হয়? কিভাবে দিতে হয়? যদি কেউ মুলধন হারিয়ে ফেলে, ইসলামি ব্যাংক (বাংলাদেশ) টা কিভাবে আদায় করে? ইসলামি ব্যাংক (বাংলাদেশ) আমানতকারীদের লাভ আগে ঘোষনা করে না, কিন্তু ঋণগ্রহৃতাদের থেকে প্রাপ্য লাভ কিভাবে ঠিক করে ? এই প্রশ্নগুলোর উওর পর্যালোচনা করলে, বলা যেতে পারে, ইসলামি ব্যাংক (বাংলাদেশ)/ বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংকগুলো ইসলামি ব্যাংকিং এর নীতিমালা মেনে চলে কিনা ? নাকি ইসলামি ব্যাংক (বাংলাদেশ)/বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংকগুলো সুদ দেয় না, কিন্তু সুদ গ্রহন করে ??
হঠাৎ করেই তোমার এই পুরানো লেখাটি চোখে পড়লো। ভালো লেগেছে অবশ্যই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন