বাংলাদেশে যখন প্রথম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি চালু হয়, তখন শুধু বড়লোকের ছেলে মেয়েরাই সেখানে যেত। আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোও ছাত্রছাত্রীর জন্য হা করে বসে থাকতো।
কিছু দিন পর বড়লোকের সন্তানদের সাথে দ্বিতীয় আরেক দল যুক্ত হল। পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স না পাওয়া পার্টি। তখন ও মানুষ প্রাইভেট ইউনিভারসিটি নিয়ে এত খাবলা খাবলি শুরু করে নি। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ও খুশি, কাস্টমার বাড়ছে।
এর ও কিছুদিন পর অবস্থা পুরোটাই পালটে গেল। আগের সব ক্যাটাগরীভুক্ত ছাত্র ছাত্রী তো যাচ্ছেই, অনেক ভালো ছাত্র ছাত্রীও যাচ্ছে, পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে প্রত্যাক্ষাত হয়ে না, স্বেচ্ছায়। পাবলিক ইউনিভার্সিটির সেশন জ্যামের কথা চিন্তা করে।
আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিও অলিতে গলিতে গজিয়ে উঠছে কোচিং সেন্টারের মত। তাই বাঘা বাঘা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির উপর এখন অনেক চাপ। তাদেরকে আর এখন ডেকে ডেকে ছাত্র যোগাড় করতে হয় না। বরং তারা এখন ভর্তি পরীক্ষা নেয়।
এখন অনেককে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ও টেনশনে ভুগতে দেখেছি, যেমনটা আমরা ভুগতাম পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে। অনেকে আবার ২/৩ টা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতেও ভর্তি পরীক্ষা দেয়! যদি বাই চান্স তার আকাংখিত ইউনিভার্সিটিতে চান্স না পায়!
গতকাল এক সচলের সাথে অনলাইনে গফ করছিলাম (নিঝুম না)। সে যথারীতি আমাকে আমার লেখা ভালো লাগে ইত্যাদি ইত্যাদি বলছে। আমি বলছি, ভালো লাগলে কি হবে? সচল কবে হব, তার ঠিক নেই। এর মধ্যে ১৭ টি লেখা প্রকাশ হয়ে গেছে, আর হিমু ভাই বলে, আরো কয়েক ওভার পিটান ভাই!
তো সেই সচল বলছে, তাদের সময় আইন কানুন এত কড়া ছিল না। মানুষ জন কম ছিল, তাই সহজেই অতিথি লেখক সচল হয়ে যেত। আমাকে সান্তনা দেয়ার জন্যই কিনা, সাথে এও যোগ করলেন, তিনি যদি এখন সচলে অতিথি লেখক হয়ে যোগ দিতেন, তবে হয়ত কোনদিন সচলই হতে পারতেন না!
হঠাত করে কেন জানি আমার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির কথা মনে পরে গেল।
(লেখাটি কোন ভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ বা তদবির নয়। যেখানে বেক্কল ছড়াকারের মতন ছড়াকারকে সচল হবার জন্য এতদিন অপেক্ষা করতে হয়, সেখানে আমাকে যে আরো বছর খানেক অতিথি লেখক হিসাবে লিখতে হবে, সেটা আমি নিজেই বুঝি। আর কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতা ও বুঝি।
অতিথি লেখক হিসাবে লিখতে আমার আপত্তি নেই।)
(রেনেট)