টিউশানী করি পুরাণ ঢাকায়। প্রতিদিন স্টুডেন্ট কে প্রচুর জ্ঞান দেই। যেদিনই বলবিদ্যার অংক গুলো একটু কঠিন মনে হয় সেদিনই লেকচার শুরু করে দেই। যে এসব পড়েটড়ে কিছু হবেনা। পড়াশুনা করতে হবে নিজের আগ্রহে যেটা মনে চায়। এরপর কি করে মহৎ হওয়া যায় সে বিষয়ে বিশাল জ্ঞানগর্ভ লেকচার দেই। আমি এলো মেলো চুলের চশমা পরা বুয়েট ছাত্র ভাবই আলাদা!! স্টুডেন্ট চোখ বড়বড় করে আমার এইসব ‘আলাপ’ শুনে। তারপর সে ও তার এক কাজিনের গল্প শুরু করে। সেই কাজিন নাকি পড়ে অক্সফোর্ডে! সে এতই বিখ্যাত যে সয়ং ল্যারি কিং নাকি তার সাক্ষাৎকার নিছে ল্যারি কিং’স লাইভ এ!! সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও দেখে নাকি তার দাদী আবার মাইন্ড করেছে। কারণ সেই কাজিন নাকি মিনিস্কার্ট পরে গেছিল সি,এন,এন এর ঐ অনুষ্ঠানে।
তো এই কাজিন এর প্রসংগ তুলেছে আমার স্টুডেন্ট কারণ তার মতে আমিও নাকি কম বস না!! তাই তার সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিবে!! তখন কেবল শীত শুরুর দিকে। আমি আমার সেই ছেড়া ফতুয়া গায়ে বসে আছি স্টুডেন্ট এর টেবিলে। এই গল্প শুনে আমার আরো শীত লাগা স্টার্ট করেছে। কিছুটা কাঁপছিও মনে হয়। দেখে স্টুডেন্ট এর মায়া হয়েছে। সে কোথা থেকে যেন একটা জ্যাকেট নিয়ে হাজির। দিলো আমাকে গিফট করে! আমি গাই গুই করি। সে বলে আরে নেন নেন বঙ্গ থেকে কেনা মাত্র ১৫০ টাকা নিসে দাম। দাম কম শুনে আস্বস্ত হই। আর আমার আসলে একটা হাফ সোয়েটার ছাড়া কোন শীতের পোশাকও ছিলনা।
এই স্টুডেন্টরা ভোজনরসিক পরিবার। প্রতিদিনই রঙ বেরং এর নাস্তা দেয়। হলে থেকে থেকে ওরস্যালাইন মার্কা ডাল আর পুইশাক ভাজি খেতে খেতে পেটে চর পড়ে গেছে। তাই টিউশনীতে এসে খাবার দিলে ভদ্রতা করেও কিছু পাতে রাখিনা। এমনকি স্টুডেন্ট এর প্লেটও মেরে দেই মাঝে মধ্যে। স্টুডেন্ট এর মনে হয় আমার উপর মায়া হয়। তাই বেশির ভাগ সময় সেও কিছু খায়না! আমাকেই দিয়ে দেয় সব। তো এইরকম একদিন প্রথম দফায় বেশি কিছু ফল ফ্রুট আর চিকেন স্যুপ দিলে খাইয়ে। সেসব খেয়ে পড়ানো শেষে যখন উঠতে যাবো তখনই আবার দেখি গরুর মাংস দিয়ে বানানো এক ধরণের স্যান্ডুইচ এসে হাজির। আমার পেট তখন ভরা। দুয়েকটা মুখে দিয়েছি। সব খাওয়ার যায়গা নেই। কিন্তু ছেড়ে যেতেও ইচ্ছা হচ্ছেনা। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে যেই বলতে যাব, “এক কাজ কর একটা প্যাকেটে দিয়ে দেও”। তার আগেই স্টুডেন্ট কি মনে করে যেন হেসে উঠলো। আমি বললাম হাসো কেন? উত্তর- “বুঝলেন স্যার, আপনার আগে যে পড়াতো আমাকে সে প্রতিদিন নাস্তার যতটুকু বাকি থাকতো সেটূকু একটা প্যাকেটে নিয়ে যেত। পরের দিকে তো টিফিন বাটিও নিয়ে আসতো!! হি হি হি”। আমি মনে মনে হাফ ছাড়ি। যাক, আল্লা বাচাইসে!! আর দুই সেকেন্ড পরেইতো আমিও এই কাম কইরা বসতাম। আগের স্যার এর জন্য মায়া লাগলো। আহারে বেচারা। তার কষ্টটা আমি বুঝবো না তো কে বুঝবে?
কিন্তু এর পরই তো মাথায় বিভিন্ন ক্যালকুলেশন শুরু হয়ে যায়। আচ্ছা আমি কি কি কাজ করেছি এত দিনে, যে গুলো নিয়ে এই স্টুডেন্ট পরের স্যারের কাছে হাসাহাসি করতে পারে? ফলাফল হতাশা ব্যাঞ্জক। এই সব চিন্তা করতে করতে বাসা থেকে বেরুতে গিয়ে খেলাম দরজার চৌকাঠে গুতা!! আমি নাহয় একটু লম্বা। কিন্তু আগে তো চৌকাঠে গুতা খাইনাই! ঘটনা কি? আমি স্টুডেন্ট এর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললাম, “ব্যপারটা কি বলতো? আমার মাথাটা কি উচু হয়ে যাচ্ছে নাকি দিনে দিনে?” এই সময় স্টুডেন্ট এর বান্দর ছোট ভাই বলে, “মনে হয় স্যান্ডেলের নিচে টায়ার লাগানোতে এমন হইসে!” হায়রে আমার টায়ার ওয়ালা স্যান্ডেল।
পরের দু সপ্তাহ শীতও পড়ে ছিল বেশ। আমার কাছে আবার এই স্টুডেন্ট এর দেওয়া টা ছাড়া আর কোন জ্যাকেট নাই। তার উপর তাদের বাসায় নাকি সেই কাজিন ও এসে হাজির হয়েছে। আমার সাথে মিট করতে চায়। এই সব বিভিদ অসস্তি কর এবং ভীতিকর কারণ হেতু আর পরের দুই সপ্তাহ টিউশনীতে যাইনি।
তবে মজার ব্যপারটা ঘটে ছিল আরো এক বছর পর। তত দিনে পাশ করে ফেলেছি। একটা নতুন স্যান্ডেলও কিনে ফেলেছি। কিন্তু কি ভাবে যেন সেই জ্যাকেটের ডান পকেটের কাছে বড় একটা ফূটা হয়ে গেছে। সেই ফুটা আবার সাদা সুতা দিয়ে শেলাই করা হয়েছে। একদিন চাকরী সুত্রে ধানমন্ডি তে গেছি। গায়ে সেই স্টুডেন্ট এর দেওয়া কালো জ্যাকেট। হঠাৎ করে দেখি সে এসে সামনে হাজির হাজির। আমার জ্যাকেটের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। এত বড় জ্যাকেটটা আমি সারবো কোথায়? শুধু সেই ছেড়া অংশটাই হাত দিয়ে কোণ রকমে ঢেকে ঢুকে সে যাত্রা কাটিয়ে দেই।
মজার ব্যপার হল এখনো আমার সেই জ্যাকেট ছাড়া আর কোণ জ্যাকেট নাই। দেখি, পরের শীতে একটা কিনবই।
===
স্পর্শ
মন্তব্য
এতো কষ্টের অনুভুতিগুলো এত রসালো বর্ণনা! কিন্তু কষ্টগুলোই বেশী বাজলো বুকে।
খুব, খুব স্বার্থক আর সুন্দর লেখা আপনার!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আসলে লিখেছিলাম তো রম্য করেই! এই ব্যপার গুলোতে যে কষ্টের একটা উপাদান আছে সেটা আসলেই খেয়াল থাকেনা। আমরা হলের পোলাপাইন নিজেদের এইসব গল্প বলে হাসা হাসি করি।
এখন দেখতেছি এইখানে সবাই কষ্ট পাইতেসে!!
লেখা ভাল লেগেছে জেনে আমার খুব ভাল লাগছে!
তবে রম্যের চেয়ে কষ্ট বেশি বেজে গেসে! দেখে আমি হতাশ
আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার গল্প গুলো পড়ি আর অবাক হই সব সময়। আপনি দারুণ লিখেন। আপনার প্রশংসা টা আসলেই আমার জন্য উৎসাহব্যাঞ্জক।
---
স্পর্শ
আসলেই আত্মজীবনী নাকি ভাইজান...অসাধারণ বর্ণনা দিয়েছেন।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।
ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।
আসলেই আত্মজীবনী!
অনেক ধন্যবাদ! বর্ণনা ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে!
একেবারে মহামতি লেনিনের সম পর্যায়ের লোক দেখছি
লেনিন যে ওভারকোটা পরে বিপ্লবের ডাক দিযেছিলেন ওটার একটা বোতাম ছিঁড়ে গিয়েছিল এবং ওই ছিদ্র দিয়ে ঠাণ্ডা ঢুকত বলে এক নারী কমরেড তার নিজের কোট থেকে খুলে ওই বোতামটা তার কোটে লাগিয়ে দিয়েছিল
পরে ওই কোটা পরেই তিনি বিপ্লবের ডাক দেন
তা জ্যাকেটের সেই ছিদ্রে কি কোনো ছাত্রীর ওড়নার দুয়েকটা টুকরা বসানো যেতো না?
অ্যাআ!!
কি যে বলেন কোথায় লেলিন আর কোথায় আমি!! লজ্জা দিলেন তো!
ছাত্রীর ওড়না!! খাইসে!! নারী সঙ্গের জন্য যতই ছোক ছোক করি না কেন। আসলে তাগোরে আমি ভয় পাই!!
এইকারণেইতো ওড়না নিয়ে টানাটানি করা হয়নাই! আর সেইটা টেনে ছিড়ে আমার জ্যাকেটের ফুটা বন্ধ করা তো!!
বাপরে বাপ!! অচিন্তনীয়!!
---
স্পর্শ
- ভাইরে, আসেন আপনে আমার কোলে আসেন।
আমারও আপনের মতোই অবস্থা। যতোই সাহসী ভাব ধরি না কেন, ঐ নারী প্রজাতি কাছে আসলেই মুখ আউলাইয়া যায়। কথা বাইর হয় না মুখ দিয়া।
তয় আপনের ছাত্রীর বেজায় মায়া আপনার প্রতি। তারে একটা কার্ডিগান কিইন্যা দিয়েনই এই শীতে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হে হে হে!!
'...' এ '...' এ মাসতুতো ভাই!! আসেন কোলাকুলিটা সাইরা ফালাই।
---
স্পর্শ
আসলেই নাকি? লেখাটা খুব জীবন্ত হয়েছে।
____________________
ওয়েব সাইট | ফেইসবুক | অরকুট |
_____________________________
টুইটার
আসলেই!!
টিউশনী করেই পড়াশুনা চালিয়েছি। বাসা থেকে টাকা নিতে ভাল লাগতোনা। আবার ১ টার বেশী টিউশনিও করতে ইচ্ছা হতনা। সব মিলিয়ে এই দারিদ্র!!
অনেক ধন্যবাদ।
---
স্পর্শ
এত মজা কইরা কষ্টের কথা লিখসেন, এইটা আসলেই অনেক বড় একটা 'পারা', লাল সালাম ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অনেক ধন্যবাদ!!
আপনাকে লাল ওয়ালাইকুমুসসালাম!
---
স্পর্শ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
লেখা অসাধারন লাগলো। আশা করছি নতুন জ্যাকেট পেয়ে যাবেন।
ভালো থাকুন।
(আর সচল হবার প্রস্তুতি নিন)
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
নতুন জ্যাকেটের দুয়া করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে এখন নিজে চাকরি বাকরি করি। জ্যাকেট কেনা ব্যপার না। কিন্তু আলসেমি আর হলের অভ্যাসটা এখনও যায়নি। মাত্র কয়েক মাস হল হল ছেড়েছি কিনা!!
আহারে সেই হলের দিন গুলো!!
"দিন গুলি মোর সোনার খাচায় রইলো না।
সেই যে আমার না না রঙের দিন গুলি....."
(খাইসে!! প্রস্তুতি নেওয়ার ব্যপারও আছে নাকি? )
---
স্পর্শ
ভাল লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ!
হায়!
হায় হায়!!
লিখছি হাসির গল্প!! সেইটা পইড়া সবাই হায় হায় করতেসে!!
কি যে বিপদে পড়লাম। পুরা হাতুড়ে লেখক হয়ে গেছি মনে হচ্ছে!! (
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ!!
হায় আপনার জন্য এত্ত মন খারাপ হয়ে গেলো যে বলে বোঝাতে পারবনা। আপনার ঠিকানাটা দিনত, আমি বোন হিসেবে আজকেই আপনার জন্য জ্যাকেট পাঠাচ্ছি
--------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
এখন তো আমার নিজেরই হায় হায় করতে ইচ্ছা হচ্ছে!! লিখলাম হাসির কাহিনী (হোক সে আত্মজীবনী) সেইটা পইড়া সবাই 'হায় হায়' করতেসে!!
জ্যাকেট অফার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
কিন্তু আপনার 'মন এত্তো খারাপ' হয়ে গেছে শুনে এখন আমারো মন খারাপ হচ্ছে!! পুরা হাতুড়ে লেখক হয়ে গেছি দেখতেসি!! চাইলাম একজিনিস বানাইলাম আরেক জিনিস!
----
স্পর্শ
না অনেক ভালো লিখেছেন। আমি কিন্তু সিরিয়াসলি বলেছি। এবার কিন্তু বড় বোন হয়ে ধমকও দিবো ঠিকানা না পাঠালে।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
খাইসে আমারে!!
ইয়ে... ই-মেইল আড্রেস টা দিয়ে দেই।
---
স্পর্শ
গল্প পড়ে হাসতে হাসতে শ্যাষ। তবে গল্পের নায়ক চরিত্রে অন্য কাউকে বসালে আরো মজার হতো। মানুষ নিজেকে নিয়ে লিখলে অবচেতনেই নিজের চরিত্রের ওপরে মায়া সৃষ্টি করে ফেলে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
যাক অন্তত একজন কে পাওয়া গেল যে 'হায় হায়' করে নাই।
হু আসলে একটু মায়া চলে এসেছে মনে হয়!!
অনেক ধন্যবাদ!!
---
স্পর্শ
সুন্দর লেখা। অনেকেরই ছাত্রজীবনের সাথে মিল আছে বলে মনকে ছুঁয়ে গেছে। এখানেই লেখকের সফলতা। মানুষের মনের কথা বলতে পেরেছেন।
জিজ্ঞাসু
আসলেই অনেকের ছাত্র জীবনই এইরকম!
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ!
স্পর্শ, খুব ভাল লাগল আপনার লেখা। কষ্টের দিনগুলোর এমন প্রাঞ্জল বর্ণনা দিয়েছেন যে মন ছুঁয়ে গেল।
তবে আপনি তো ভারি বোকা! এভাবে জ্যাকেট পাওয়ার হাতছানি অবলীলায় উপেক্ষা করলেন! নাহ, আপনাকে দিয়ে হবে না! অন্ততপক্ষে জ্যাকেটটা নিয়ে আমাকে তো দিয়ে দিতে পারতেন!
হ্যাঁ, সচল মনে হচ্ছে হয়েই যাবেন শীঘ্রই! পরের পর্ব লিখে ফেলেছেন তো? কালকেই পোস্ট করবেন
আমি আসলে লেখালেখি করি ব্যাচ মুডে। আগের দিনও এক বইঠকে বেশ কিছু লেখা লিখে ফেলেছি!
এখন একে একে পোস্ট দিচ্ছি।
আর এখন ত ভরা গরম কাল জ্যাকেট দিয়ে করব কি! :-/ সেটাই বুঝতেছিনা!!
সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ!
---
স্পর্শ
দারুণ লিখছেন ভাই। হাসির জন্য লিখেছেন তাই "হায় হায়" না লিখে "হা হা" লিখলাম। টিউশনি নিয়ে আমাদের সবার জীবনেই এত মজার মজার ঘটণা যে সেগুলো নিয়ে কেউ যদি একটা ই-বুক বের করে, আমি নিশ্চিত সেটা দম ফাটানো হাসির হবে।
বুয়েটে অল্পকিছুদিন আগ পর্যন্তও পোশাক নিয়ে কেউ বিশেষ চিন্তিত ছিলো না। আমি আমার শিক্ষাজীবন প্রায় শেষ করে ফেললাম, গ্যাভাডিনের প্যান্ট, নিত্য উপহারের/ নিউ মার্কেটের দোতলার গোল গলার টি শার্ট আর স্যান্ডেল জোড়া দিয়ে। তবে আজকাল সবকিছু পাল্টাচ্ছে। ক্যাম্পাসে জেল দেওয়া স্পাইক করা চুলের ছড়াছড়ি, পোশাকেও আধুনিকতার সুস্পষ্ট ছাপ। বুয়েটের আঁতেল এবং গাইয়া অপবাদ বোধহয় ঘুঁচবার পথে।
ভালো লাগলো আপনার লেখা।
পুনশ্চঃ আপত্তি না থাকলে বুয়েটের ব্যাচ এবং বিষয় জানাতে পারেন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আসলেই। আমিও কয়েকদিন আগে বুয়েটে গিয়ে কিছু জেল পরিহিত পোলাপাইন দেখলাম!! তবে আমার মতে বুয়েটের পোলাপাইন একটূ গাইয়া না হইলে জমেনা! ঐটারও একটা ভাব আছেনা??
সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
পুনশ্চঃ কোন আপত্তি নেই। আমি ব্যাচ ০২, সি এস ই।
আপনি?
---
স্পর্শ
আমি ০৩ ইইই
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
স্পর্শ - আপনার লেখার হাত তো বে এ এ শ? আর যেভাবে সবাইকে হায় হায় করতে না করছেন তাতে মনে হয় না আপনি নিজে সত্যিই খুব দুঃখে ছিলেন। তাহলে আর আমি কেন খামোখা আপনার 'নাই' দুঃখে দুঃখিত হই? তারচেয়ে শীগগিরই আবার এরকম মজার কিছু পড়ার অপেক্ষাতেই বরং থাকি......
আমার 'লেখার হাত' কেমন সেটা জানিনা। তবে 'হাতের লেখা' যে বিশ্রী সেটা জানি। দুঃখ পাবার আসলেই কোন কারণ নেই। এগূলো আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা সময়ের কিচু স্ম্রৃতি!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
---
স্পর্শ
আমি লিস্ট করতে বসলাম আমার অভাব সমূহের। একেক দিন একেক অভাব নিয়া গল্প লিখিব... যদি কোনও সহৃদয় মুমু দুজাহানের অশেষ নেকী হাছিল করিতে চাহেন তবে প্রস্তুত হউন...
তবে আবার ভয় হয়... ধূগোদা না আবার তার সবেধন নীলমনি একটা অভাবের কথাই আবার ব্যক্ত কইরা বসে...
স্পর্শকাতর লেখা... ______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- জনাব এই গরীবরে স্মরণ কইরা কিছু কইলেন মনে হয়!
ধুগো যদি নীলমনিটা চেয়ে একটা হায়হায় পোস্ট দিয়েই ফেলে তাইলে সহৃদয় এবং সুহৃদয় মুমু'র গোলগাল মুখটার কী হাল হবে, এটা ভেবেই ধুগো ডরাইছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাহাকার সমিতি বানাইলে আমারেও রাইখেন
আমার এতো অভাব যে তার এক পার্সেন্ট ছাড়লে পুরো সচলায়তন বন্যায় ভেসে যাবে
তবে নজরুলরে সেই সমিতিতে নিতে হলে ভালো করে খোঁজ খবর নিতে হবে। কারণ যতদূর জানি সে মোটেও প্রলেতারিয়েত শ্রেণীর লোক না
এখন প্রলেতারিয়েত সেজে না আবার স্যাবোটাজ করে
সাবধান
যারা ধনী হয়েও গরিরেবর অভিনয় করে তারা বড়োই ডেঞ্জারাস
হ্যা হ্যা! লিখে ফেলেন। বলা যায় না।
ধুগোদার কথা কি কইলেন বুঝিলাম না তো!
স্পর্শের লেখা তো স্পর্শকাতর হইবেই!
---
স্পর্শ
দারুণ লেখা হয়েছে। আমরা যারা বাপের পয়সার উপর ভরসা করতে না পেরে টিউশনির টাকায় ভার্সিটি জীবন কাটিয়েছি, তাদের অনেকেরই সাথে মিলে যায়। কিন্তু অনেকেই এত্তো সুন্দর করে লিখতে পারে না তাদের কথাগুলো। ভাল লিখেছেন
ফেরারী ফেরদৌস
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
লেখা ভাল লেগেছে জেনে আমারো খুব ভাল লাগছে।
---
স্পর্শ
বোধ করি, দিলে দয়া-মায়া-সহানুভূতি বলে কিছু নেই বলেই আমি খুব হাসতে পেরেছি! অন্যের দুঃখে হাসাটা রীতিমতো অশোভন, তা জানি। কিন্তু অতো রস দিয়া লেখতে কইসিলো কে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আরে "অন্যের দুঃখ" পাইলেন কৈ!! এইটা হল লাইফের একেবারেই সাধারণ ঘটনা। জাস্ট এক্টু রস দিয়ে লিখতে চাইছি।
হাসছেন দেখে এখন একটূ শান্তি পাইতেসি।
---
স্পর্শ
- দিলের দয়ামায়ায় বুঝি আমার এদিকেও মঙ্গা লাগছে। আমি হা হা কইরা না হাসলেও নৈশব্দবতী একটা হাসি ঝুলাইয়া রাখতে সক্ষম হইছি পুরা লেখাটা পড়ার সময়। অবশ্য ছাত্রীরে কল্পনায় আনি নাই এইটা বললে ভুল বলা হবে। কষ্ট যা পাইছি আমি শিক্ষকের জায়গায় না থাকার কারণে। ইট্টুর লাইগা মিস হইয়া গেলো, নাইলে বোধহয় আমার আর এতোকাল একা থাকা হতো না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এত কাল ও একা আছেন! হুম বুঝতারতাসি। আপনার মত (আমার মতও ) লোকের জন্যই তো 'অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ' প্রথাটা চালু আছে। নাইলে খবরই আসিল!!
---
স্পর্শ
জ্যাকেট কিনার স্বপ্ন দেহস ক্যা? ক্যান প্যান্ডা খুইল্যা ন্যান্টা হওয়ার স্বপ্ন দেহস না?
মু হা হা হা!!
মু হা হা হা!!
---
স্পর্শ
আচ্ছা গোধুদা ছাত্রী পাইলো কই!!! আমি তো দেখলাম "স্টুডেন্ট" লেখা, তো স্টুডেন্ট তো ছাত্র ও হইতে পারে .....
স্পর্শ, খুব ভালো হয়েছে আপনার লেখা, পরের কীর্তিগুলান তাড়াতাড়ী পোষ্টান...উই আর অপেক্ষা করতাছি।
কল্পনা আক্তার
কল্পনাআক্তার@হটমেইল.কম
.............................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আসলেই আমারো একই প্রশ্ন!!
---
স্পর্শ
- বুঝছি, আমি ছাত্রীরে স্মরণ করতে গিয়া
আরেকজনের নাম মনের ভুলে মুখে লইয়া লৈয়া লাইছি,
হায় হায় কামডা করছি কী!
- এইটা এট্টা কোবতে।
এরেঞ্জবিয়াও কপালে নাই গো হারাধন।
সেদিন এক দুস্তের লগে কথা হৈলো। দুস্ত কয়, দুস্ত বহুত পেরেশানিতে আছি। আমি কই ক্যা? কয়, বিয়া করবার নুইছিলাম মাগার পাত্রী-মাত্রী নাই। আমি কই ক্যা, ঢালা শহরে কি সব মিয়াছিলা পুলা হৈয়া গেলোগা?
দুস্ত কয়, খালি দুস্টু কতা কও! আগে থিকা জানপেহচান না থাকলে বিয়া অবোনা। বেবাকেই দিয়া বেড়ায়! আমি কই কী দিয়া বেড়ায়? কয়, ধুরু হালায়, প্রেম দিয়া বেড়ায়, আবার কী!
ঘটনাডা আমিও চিন্তা করবার নুইছি। আপনার (এবং আমার) মতো পুড়াকপাইল্যাগো কপালে আসলে কী আছে?
দ্রষ্টব্য হিসাবে কওন যায়, আপনের তো মিয়া ভাই একখান (কিংবা একাধিক) ছাত্রী আছে। দুর্দিনে কামে দিবো। আমার তো হালায় তাও নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে না না কি যে বলেন!!
শ্রদ্ধেও শিক্ষক হয়ে কি আর ছাত্রী দের দিকে সেই দৃষ্টিতে তাকানো যায়? তয় আপনার বায়োডাটা পাইলে আপনার জন্য ছাত্রী(ওরফে পাত্রী) দেখতে পারি।
---
স্পর্শ
আমাদের মানে বন্ধুদের মধ্যে একটা কোড ল্যাঙ্গুয়েজ চালু আছে।
- দোস্ত নতুন টিউশনি পেলাম।
- জোস ! কি ছাত্র নাকি স্টুডেন্ট ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হুম এইটা বুয়েটের খুবি প্রচলিত একটা কোড!! আমরাও ব্যবহার কিরেছি।
---
স্পর্শ
আমাদের মানে বন্ধুদের মধ্যে একটা কোড ল্যাঙ্গুয়েজ চালু আছে।
- দোস্ত নতুন টিউশনি পেলাম।
- জোস ! কি ছাত্র নাকি স্টুডেন্ট ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমাদের মানে বন্ধুদের মধ্যে একটা কোড ল্যাঙ্গুয়েজ চালু আছে।
- দোস্ত নতুন টিউশনি পেলাম।
- জোস ! কি ছাত্র নাকি স্টুডেন্ট ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বাঘটা আবার এ্যাহানে ডুইক্যা পড়ল কুহান থেইক্যা। খাইছেরে বাঘ আইতাসে। স্লামালেকুম বাঘ বাই। আফনে কহন আইলেন?.....
এইন্না আফনে কী কইলেন। অপ্রিয় সত্য কথা...
জিজ্ঞাসু
হা হা হা! আসলেই।
---
স্পর্শ
সত্যি?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সত্যি
---
স্পর্শ
হা হা হা
আমি কিন্তু পুরোপুরি মজাই পাইলাম।
বেশ সাবলীল লেখা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক ধন্যবাদ!!
যাক আরেকজন পাওয়া গেল!!
নতুন মন্তব্য করুন