সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে আসলাম। তার পর কাজ, কাজ, কাজ, কাজ... ঘড়িতে দেখি রাত শোয়া আটটা বাজে! সেদিন আবার মা দিবস। মা কে নিয়ে কিছু ব্লগে লিখবো ঠিক করেছিলাম। ব্যস্ততায় সে সুযোগ হয়নি। ব্যস্ততার কারণে আসলে মার জন্য তেমন কিছুই করা হয়না। তাই ভাবলাম আজ মার জন্য কিছু একটা নিয়ে যাই। কিন্তু কি নিব?
অফিস থেকে বের হয়ে গেলাম গিফট শপে। ততক্ষনে রাত হয়ে গেছে। ধানমন্ডির বেশির ভাগ দোকান-পাট বন্ধ করে দিচ্ছে। এর মধ্যে আবার কিছুই পছন্দ হচ্ছেনা। কার্ড টার্ড দিতে ইচ্ছা হয়না। বেশি মেকি মেকি লাগে। বড় কোন গিফট যেমন শাড়ি কেনা যায়। কিন্তু এত রাতে পাওয়া মুশকিল হবে। আর আসলে আমার কেন যেন মনে হয়। কোন গিফট কত বড় অথবা কত দামী সেটা কোন ব্যপার না। গিফটটা কতটা আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে কারো মনে, সেটাই বড়। হুঠ করে মাথায় আসলো ফুল কিনে নেই।
শাহবাগের মোড় দিয়ে যখন যাই তখন সসময়ই ফুলের দোকান গুলোর দিকে চোখ যায়। এত এত ফুল! কারা কেনে এসব? নিজের কখনও কেনার সুযোগ হয়নি। সেদিন ফুল কিনতে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি সব দোকানে লাইট বন্ধ। আটটার পর দোকান পাটে কারেন্ট বন্ধ করে দেবার নাকি নিয়ম। কুপি বাতির আলোয় দোকান গুলো কে অসাধারণ লাগছে! কিন্তু ফুল গুলো ঠিক মত দেখা যাচ্ছেনা।
আমি আর আমার ফ্রেণ্ড সানি গেছি এক সাথে। দোকানীরা তখন দোকান বন্ধ করে দিবে। আমাদের শেষ বেলার খদ্দের পেয়ে এক রকম টানা টানি করছে সবাই। অনেক গুলো বড় বড় তোড়া পড়ে আছে। কাল আর সেগুলো বিক্রি করা যাবেনা। তাই রীতিমত জলের দামে সাধছে সবাই। কিন্তু কেন যেন ফুলের তোড়া ভাল লাগেনা আমার কখনই। সেই কেমন যেন কৃত্রিম লাগে। আর ফুলের তোড়া পেলে সবাই যেটা করে সেটা হল সেটাকে একটা ভাল যায়গায় রেখে একটু পরেই ভুলে যায়। এর চেয়ে মাত্র একটা গোলাপ এর আবেদন অনেক বেশী!
কিন্তু বড় গোলাপ পাওয়া যাচ্ছেনা। কিছু দেশী জংলী টাইপ গোলাপ আছে। ছোট ছোট। এই গোলাপ তো শুনে ছিলাম এক্সটিঙ্কট হয়ে গেছে। এখানে এল কি করে! সে দিকে আগ্রহ বুঝতে পেরেই দোকানি আমার হাতে দিল একটা গোলাপের ডাটি গুজে! অমনি ক্যাক করে উঠলাম দুই তিন টা কাটা ফুটে গেছে!! শুনেছিলাম গোলাপে নাকি আজকালে আর কাটানাই। কিন্তু এই গোলাপে দেখি পাতার চেয়ে কাটা বেশী। তার পরও চার পাঁচ টা গোলাপ কিনলাম। বেশি কেনা যাবেনা। বেশি নিলেই ব্যপারটা তীব্রতা হারাবে। কিন্তু অন্ধকারে গোলাপ গুলো ঠিক মত দেখা যাচ্ছেনা। আর গোলাপে জমছেনা মনে হচ্ছে।
এখন আবার বেলীফুলের সিজন। কিছু বেলিফুলের মালাও দেখি আছে। দারুন সেন্ট! নিয়ে নিলাম কিছু। এর পর এইসব ‘ফুল আওর কাঁটে’ হাতে ভলভো লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম। যেতে হবে মিরপুর। মজার ব্যপার হল। আপনি যদি ফুল হাতে কোন পাবলিক প্লেসে দাঁড়ান তাহলে অবশ্যই আশে পাশের সবাই আপনার দিকে সন্দেহ প্রবন দৃষ্টীতে তাকাবেই। সেটাই ঘটছে। সবাই আমার ফুলের দিকে আর আমার মুখের দিকে তাকাচ্ছে। ‘রোমান্স’ জিনিসটা পাবলিক মোটেই সহ্য করতে পারেনা। তারা আমাকে কোন ধরনের রোমান্টীক চিড়িয়া ভেবে বসেছে মনে হয়। আমি নিজেও অবশ্য এইরকমই করি অন্য কারো হাতে ফুল দেখলে! ওদের আর কি দোষ!
ভলভো বাসে উঠেছি। বিশাল ভিড়। কিন্তু সিট একটা পেয়ে গেছি। সামনে মাঝারি চেহারার এক মেয়ে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কি বিপদ। নিজের মনের মধ্যে এখন বিভিন্ন রকম দোনো মনো টানাপোড়ন শুরু হয়ে গেছে। এইরকম কষ্ট করে সামনে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে ব্যপারটা পৌরুষত্বে আঘাত হানে। নিজের একটা সম্মান আছেনা?
সিট ছেড়ে তাকে বসতে দেই। কিন্তু নিজে দাঁড়িয়ে পড়ে যাই বিপদে। এক হাতে ব্যাগ আরেক হাতে ফুল নিয়ে ব্যালান্স করে বাসে দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল। মেয়েটাকে বলি, “এক্সকিউজ মি, আপনি কি ফুল গুলো একটু ধরবেন?” মেয়ে সন্দেহ জনক দৃষ্টিতে তাকায়। কিন্তু তার জন্য সিট ছেড়েছি একটা কৃতজ্ঞতা বোধ আছেনা? তাই ফুল হাতে নিতে রাজি হয়। সেই গোলাপ এর গোছাটা দিয়েছি। অমনি একটা কাঁটা ফুটে গেছে তার হাতে। সরি টরি বললাম। সে জিজ্ঞেস করলো ফুল কেন? বললাম মায়ের জন্য। শুনে সে বলল, “হাউ সুইট!” আমি ভাবলাম এইতো বড়শি ফুটাইয়া দিসি। দেখি এই সুযোগে কিছু ফিশিং করা যায় কিনা। টুকি টাকি আলাপ চলতে থাকে এর পর। বাস থেকে নামার সময় তার হাতে একটা ফুল দিয়ে আসি। বলি কাটা ফোটানোর জন্য জরিমানা। আর সাথে একটা ভিজিটিং কার্ড। তবে কার্ড আমার নিজের না। বন্ধুর। সেই ব্যাটা আবার গ্রামীনফোনের ইঞ্জিনিয়ার। আমি আছি একটা মামুলি সফটওয়ার ফার্মে এইখানে কোন কার্ড মার্ডের বালাই নাই। কিন্তু ভাব তো নিতে হবে নাকি?
যাই হোক। বাসায় ফিরে মাকে ফুল গুলো দিলাম। মা দারুণ খুশি! আসলেই গিফট এর রানী হল ফুল। আর সেটা যদি হয় বিখ্যাত বেলী ফুলের মালা। তাহলে তো কথাই নাই। মা হোক, বোন হোক, কিংবা প্রেয়সী। একটা মালাই হাজার টাকার হ্যালভেসিয়ার ডিনার এর চেয়ে সেরা।
বাসাটা বেলী ফুলের গন্ধে মৌ মৌ করছে। মা দেখি মালা পেয়ে বাচ্চা মেয়েদের মত হয়ে গেছে। এত রাতে আলমারি থেকে একটা ভাল শাড়ি বের করে পরে ফেলেছে। বেলী ফুলের মালাগুলো খোঁপায় গুজে কিশোরিদের মত এক ধরনের হাসি দিচ্ছে। ছোট বোনরা মা কে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছে। অনেক ছবি তুলছে। কিছুক্ষন পর পর ক্লিচ ক্লিচ শব্দ পাচ্ছি। শাটারের। মাঝে মাঝে নিজেরাও ফুলের মালা চুলে দিয়ে দেখছে আয়নায়।
এদিকে আমি বসে বসে ব্লগাচ্ছি! দারুণ ব্যস্ত একটা দিন গেল।
আহ্! জীবন...
===
স্পর্শ
মন্তব্য
যার সাথে ফিশিং করেছিলেন সে কি আর যোগাযোগ করেছিল?
লেখা ভালো লেগছে...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।
ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।
যোগাযোগ করবে কি করে?!!
কোন কন্টাক্ট ই তো দেইনাই। যে দোস্তের ভিজিটিং কার্ড নিজের বলে চালিয়ে দিয়েছি। সেই খানে যোগাযোগ করেছে কিনা জানিনা!
---
স্পর্শ
হাহাহা দারুন তো।
মা দিবসের আগের দিন আমি আম্মুকে নিয়ে সপিং এ গেলাম বললাম তোমার যা ইচ্ছা কিনে দিব, এটা না সেটা, সেটা না এটা করে ৩ ঘন্টা ঘুরে আম্মু শেষে জুয়েলারি কিনল। তারপর মা দিবসে আমি ভাবলাম রান্না করি, রান্না ঘরের অবস্থা খারাপ হবে ভেবে আম্মু বলল শুধু ডিমের তরকারি কর আর আম্মুর জন্য তার প্রিয় বেগুন ভর্তা। আমি ভাবলাম না এত সোজা রান্না না আমার কঠিন কিছু করতে হবে তাই আমি মেনুতে এড করলাম টুনা মাছের একটা ডিস আর কাবাব আর খিচুরি। পরে শেষমেষ যা হল তা হচ্ছে একমাত্র ডিমের তরকারিটাই খাওয়ার মত হল আর টুনাটা কেউ খেতে পারলনা শেষে ফেলেই দিতে হল। খিচুরি রাধার আর সময় পাইনি, কাবাব তো দুরের কথা। আর বেগুন ভর্তা আমি বেশি পুরে ফেলে মাঝখানে ছাই করে ফেললাম। টুনার দিকে খেয়াল দিতে গিয়ে বেগুনের কথা মনেই ছিল না। সেটা কেটে অল্প যেটুকু বাকি ছিল সেটাই ভর্তা করলাম। আর আম্মুর একটা ফ্রাইপ্যানও পুরে ফেললাম। আম্মু তবুও এতেই খুশি, ডিমের প্রশংসা করল। অন্য কোনও দিন হলে এই ফ্রাইপ্যানের জন্য যে কত বকা খেতাম।
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আরে আপনি রাধতে পারেনা দেখতেছি!!
মজার ব্যপার হল মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা আগে রান্না বান্না শিখে। কারন নরমালি তারা বাড়ির বাইরে যায় আগে আগে। যেমন আমি,
আমার তো রান্না বান্না রীতিমত প্রফেশনালী করা লেগেছে যখন একা একা প্রথম ঢাকায় আসি তখন। আর এইটা আমার একটা হবিও।
তখন মায়ের হাতের রান্না মিস করতাম। আর এখন খেতে বসে ভাব নেই আম্মুর কাছে। বলি - "অ্যা!! এইটা কি রাধসো! আমিই তো এর চেয়ে ভাল পারি"
আর আমি যে একটু আধটূ রান্না জানি সে কারনে আমার ছোট বোনদের ও ঝাড়ি দিতে পারি। তাদের অবস্থা আপনার মতই!
তবে বিয়ে হলে সব মেয়ে রান্না শিখে যায়। আর ছেলেরা ভুলে যায়! সো নো প্রব্লেম। আপনিও শিখে যাবেন সময় মত
সুন্দর কমেণ্টের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
---
স্পর্শ
হাহাহা আমার আব্বুও এমন মাতব্বরি করে আম্মুর সাথে মাঝে মাঝে রান্না নিয়ে। বাইরে পড়ার জন্য একটু আধটু রান্না শিখে মনে করে আম্মুর চেয়ে ভালো রাঁধে, আর রাঁধার সময় বলে "এটা আর একটু দাও, ওটা কম দিও", আম্মু রেগে গিয়ে বলে এতদিন পর তুমি আমাকে রান্না শিখাতে আসছো হিহিহি কিন্তু আব্বু অবশ্য আমার চেয়ে ভাল রাঁধে আমি তাই বলে একদম useless ও না, কেক, মিষ্টির কিছু জিনিস বানাতে পারি
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বন্ধুর ফোন নাম্বারই যখন দেবেন, তাহলে বড়শি ফেলার প্রয়োজন কি আদৌ ছিলো? নাকি পরোপকারই আপনার জীবনের ব্রত?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
না মানে কার্ড না দিলে তো ভাব থাকে না!!
আর আমার ঐ দোস্তও সেইরকম
আর বিনিময় প্রথা বলে একটা পদ্ধতি এযুগেও চালু আছে
হে হে হে!!!
---
স্পর্শ
- এমনই হোতা হ্যায়।
কষ্ট পাইয়েন না। আসেন বুকে আসেন, কোলাকুলি করি।
ভোগে নয়, বরশীর মাছ ছুটে গেলে তাতেই আছে স্বর্গসুখ- শাস্ত্রে আছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কি ভাই এতো কোলাকুলি!!
কেমুন জানি সন্দোহ সন্দোহ লাগতাসে!!
'দিক নির্দেশনা' ঠিক আছে তো?
আচ্ছা ওরিএন্টেশন এর বাংলা কি দিকনির্দেশনা? নাকি দিকমুখিতা??
- নারে ভাই,কানাওলায় এখনো ধরে নাই। তবে যেইহারে চাইরিকে ঘটনা ঘটতেছে তাতে ভিক্ষাফ্যানসমিতি, চিরকুমার-কামার-তাতী কোনো কিছুই আর কানাওলার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে বলে মনে হয় না।
আপাততঃ কোলাকুলিতে দিকনির্দেশনার কোনো নির্দেশনা না থাকলেও ভবিষ্যতে যে থাকবে না সেটা কইতে পারতেছিনা। আর এতো টেনশন করেন ক্যান মিয়া, আমাগো দুইজনের ললনাভাগ্য তো কাছাকাছিই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ তাই তো!! আচ্ছা এই ব্লগে বস কেউ নাই? মানে ললনা ভাগ্যে ভাগ্যবান লোকজোনের কি আসলে ব্লগানোর টাইম নাই? নাকি আমি নিজেই জানিনা যে তারাও ব্লগায়?
---
স্পর্শ
সাংঘাতিক পোষ্ট!!
ঐদিন আমি অফিস থেকে বের হয়ে সিএনজি নিয়ে উত্তরার একটা শপিং সেন্টারে ঢুকলাম এরপর কি কিনব এইটা চিন্তায় আমি মুষড়ে পড়লাম
কি যে কিনব, কি পেলে যে মায়ের মমতা ভরা চোখ দুটো খুশিতে চিকচিক করে উঠবে ঠিক ঠাহর করতে পারছিলাম না। এদিকে আমার স্থায়ী পরামর্শকদের (ভাই ও তিন বোন, বিশেষ করে মেজ বোন, যদিও আমার ছোট!) পরামর্শ নেব তাও পারবো না "পাছে আমার উপহার ওদেরটার চাইতে বেশী সুন্দর হয়ে যায়"!!
এদিকে আমার সাথে আছে আমার দোস্ত কিন্তু শালার মাথায় কোন ঘিলু আছে বইলা মনে হয় না (ভাগ্যিস অয় সচলায়তনে আসে না!!) অয় কয় কিছু একটা কিনে ফেললেই তো হয়!!! মনে মনে কইলাম শালায় কয় কি......
যাই হোক, সবশেষে সুন্দর দেইখা একটা শাড়ী কিনলাম। তারপর মিষ্টি, দই আর ফুল....বাসায় গিয়া দেখী বাকি গুলান (ছোট ভাই-বোনরা) তৈরী হ্ইয়া আছে আগে আমি কি আনলাম তা দেখবে! আরে বল্লেই হলো!! অবশেষে নিজেদের যুদ্ধ শেষে মা'কে যখন আমরা সবাই শুভেচ্ছা জানালাম আর উপহারগুলো দিলাম, মা'র চোখে কপট বিরক্তি (কেন যে তোরা টাকা গুলো নষ্ট করতে যাস ), কিন্তু সারাটি মুখ পরিতৃপ্ত "কি যে অপরুপ লাগছিল তখন" এর তুলনা কি কোন মুদ্রার সাথে হয়!!!
কল্পনা আক্তার
.....................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
অনেক ধন্যবাদ!
বাহ আপনিও গিফট নিয়েছেন!!
আপনার মা কে আমার সালাম দিবেন।
---
স্পর্শ
হাত মেলান।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
মেলালাম !
---
স্পর্শ
পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও
তার মত সুখ কোথাও কি আছে...?
কেইস কি এই রকম নাকি?
লেখা চমৎকার হয়েছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
না কেইস পুরাপুরি সেইরকম না। এইটা হল বিনিময় প্রথা টাইপের একটা ব্যপার। অনেক কম্পলেক্স এইখানে বলে বুঝানো যাবেনা
---
স্পর্শ
সারা জীবন কাটিয়ে দিলাম মায়ের আচলের তলেই। ঢাকার ছেলে তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও বাসা থেকেই ক্লাস করি, জীবনের অনেক বাস্তবতাই তাই হয়ত দেখি না। কখনো কি ভাবি একজন মানুষ দিনের পর দিন কি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে আমাদের সুখী রাখার জন্য ? নাহ কোন দিনই ভাবি না। আসলে সারাক্ষণ চোখের সামনে থাকায়, হয়ত মা যে কি অসাধারণ উপহার তা ভুলে যাই, তা না হলে কেন ভুলে গেলাম এই মা দিবসে মা এর জন্য কিছু কেনার কথা।
আমি অবশ্যই সেই দলে না যে মায়ের প্রতি ভালোবাসা শুধু মাত্র একটা দিনই থাকবে, কিন্তু বারোমাস তো আর খোঁজ নেই না, অন্তত একটা দিন তো মা র জন্য কিছু একটা উপহার নিতে পারতাম।
ভীষণ মন খারাপ হয়ে গেল লেখাটা পড়ে, তবে যথারীতি আপনার লেখা দারুন হচ্ছে। চালিয়ে যান।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
না না!!
মন খারাপের কি হল?!!
কালই কিছু নিয়ে যান মায়ের জন্য!
দারুণ হবে ব্যপার টা!!!
সত্যি বলছি!
---
স্পর্শ
আবজাব ভাই, আপনার মাকে আমার সালাম দেবেন, আপনার লেখা বরাবরের মতই ভাল লাগল ।
হুর মিয়া ওই 'হাউ সুইট' মেয়েটারে বন্ধুর কার্ড দিছেন ভাল কথা, নিজের নাম্বারটাতো দিয়া আসবেন
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আরে বন্ধুর কার্ড দিয়ে আবার নিজের নাম্বার দিবো কি করে!! তখন তো আমি গ্রামীন ফোনের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ভাব নিসিলাম!
আর এইটা ব্যপার না। অই বন্ধুরাও আমার জন্য এইরকম টুকি টাকি ফেভার করে কিনা !!
---
স্পর্শ
মা দিবসে এমন ভাল একটি কাজ করায় স্পর্শ ভাইকে অভিনন্দন!
আর বন্ধুর উপকার করে আপনি যে অসামান্য পরোপকারের স্বাক্ষর রেখেছেন তার জন্যও অভিনন্দন। (হায়রে! আমার জন্য যদি কেউ এই উপকারটা করতো!)
ফেরারী ফেরদৌস
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!!
করবে করবে! এইরকম উপকার আগে আপনিও করেন বন্ধুদের জন্য তার পরই করবে। মনে করেন এই বন্ধুরাও ত আমার জন্য এইরকম বিভিন্ন উপকার করে মাঝে মাঝে!!
---
স্পর্শ
পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আমিই গেছি মার জন্য ফুল কিনতে... খুব ভাল লিখেছেন।
নুশেরা তাজরীন
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
ভালো লাগল লেখাটা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
মাননীয় মডুবৃন্দ
শত ব্যস্ততার ভেতর দিয়েও প্রতিদিনই সচলায়তনে ঢু মারি। অফলাইনে পড়ে মন্তব্য না করেই চলে যাই। "স্পর্শ " নামক ব্লগারের ৩/৪ লেখা পড়লাম গত কিছুদিন ধরেই (মন্তব্য করিনি)। চমৎকার লিখেন তিনি।
আমি অতি ক্ষুদ্র সচল। আমার ব্যক্তিগত মতে কারও কিছুই আসে যায় না। তবুও আমি আমার ভোট দিলাম "স্পর্শ"কে সচল করার পক্ষে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
দ্রোহী বস! আপনারে অনেক অনেক (আসলে এক হাজার এক টা) ধন্যবাদ!!
সাথে আরো ৩/৪ টা ফ্রী!!
---
স্পর্শ
- আমার সমিতির অন্যতম সহযোগী হওয়া সত্ত্বেও আমি আপাততঃ 'ভেটো' দিলাম।
তাঁর কাছ থেকে অচলাবস্থায়, সচল হওয়ার দৌড়ের প্রত্যাশায় ঝাড়া 'সেইরম' আরও কিছু লেখা পড়ার প্রত্যাশি আমি।
লেখা চলুক, কমেন্ট চলুক, মুগ্ধতার রেশ আরেকটু দীর্ঘস্থায়ী হোক, তারপর যদি মোটারামরা 'স্পর্শ'কে সচল ছোঁয়া না দেয়, তাইলে শিমুলের কাছে তো দেয়াশলাইটা আছেই। দিমু নে গদিতে আগুন জ্বালাইয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অ্যাআ!! 'ভেটো'!!!!
এই রকম 'সমিতি হারামি'!!
এ্যাই চমৎকার লেখাটি পড়তে যেয়ে নিজের জীবনের একটি ছোট গল্প মনে পড়ে গেলো।
২০০৩ সালে আমি তখন ঢাকাতে গেছি ছুটিতে, কেনো যেনো একদিন সকালে অফিস যাওয়ার আগে আমার ভাই খুব রাগ করছিল আমার মায়ের সাথে, মা বেচারী বেশ অসহায় মুখ করে ছেলে রোয়ার দেখে যাচছিল। আমার আর সহ্য হলো না, আমি বল্লাম এই যে, ভদ্রমহিলা আমাদের জন্য জীবটা উৎসর্গ করে দিলো নিজের দিকে একদিনের তরে চাইলো না, কোনদিন সেটা ভেবেছিস, বলেছিস মা তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। বুর্জোয়াদের মতোতো সব টেকেন ফর গ্রান্টেড নিচছিস। আমার ভাইয়ের অনেক কিছুর সাথে বিরাট একটা হ্রদয় আছে। সে মাথা নীচু করে চলে গেছে।
তার কদিন পর আমার ভাইয়ের জন্মদিন ছিল। আমরা ঠিক করলাম, আমরা ভাইয়ের পছন্দের ডিস গুলো সবাই নিজের হাতে মিলেমিশে রান্না করব। সন্ধ্যায় আমার ভাই তার বন্ধুদেরকে নিয়ে খেতে বসেছে, আমরা সার্ভ করছি, হঠাৎ ভাই বলে উঠল তোমরা আমার জন্য এতো কষ্ট করে রান্না করেছো, আমার ঘর গুছিয়ে দাও, আমার কাপড় জামা ইস্ত্রি করে দাও, ধন্যবাদ তোমাদের সবাইকে। ওর বন্ধুরা সাডেন শকে বাক্যহারা, এ আবার কি ব্যাপার? সব্বাই সব্বাইকে চিনি, এক পাড়ায় বড় হয়েছি সব একসাথে, এক স্কুলে পড়ে। সবাই মুখ চাওয়া চাওয়ির পর হাসাহাসি হলো এক দফা এগুলো নিয়ে। কারন আমাদের দেশের জন্য ব্যাপারটা এক আনইউজুয়ালতো বটেই।
তবে বিদেশীদের অনেক অনেক আপাতদৃষ্টিতে দেখা খারাপ অভ্যাসের সাথে কিছু কিছু ভালো অভ্যাস যে আজকাল আমাদের দেশের অনেকেই অনুসরন করছে, দেখে ভালো লাগে। তবে আমিও এ পথেরই পথিক ছিলাম। যতদিন বিয়ে হয়নি, মা হইনি, ততোদিন বুঝতে পারিনি কি মমতা পায়ে ঠেলেছি একসময়।
আজ বলছি, মা অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। অনেক দিয়েছো তুমি আমাদের। অনেক অনেক কখনো না বলা সত্যি কথার মতো তোমাকে এটা বলা হয়নি কখনও।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অসাধারন একটা মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই অনেকেই বলে মা দিবস নাকি একটা মিডীয়ার ছল। নতুন মার্কেট স্রৃষ্টির জন্য! যে যাই বলুক এই উপলক্ষে আমাদের চিরাচারিত বাঙ্গালী জড়তা ভেঙ্গে মা কে বলা যায় 'ভালোবাসি'
শুভেচ্ছা!
---
স্পর্শ
আমিও চাই মুগ্ধতার রেশ আরেকটু দীর্ঘস্থায়ী হোক! সচল হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। মুগ্ধতাটুকু সবসময়ের।
কি মাঝি? ডরাইলা?
খাইসে!! ডর পাওয়াএ দিলেন তো!!
আমি তো যা মনে চায় লিখে ফেলাই। এখন আবার লেখার পরে মুগ্ধতা কতটুকু হল সেটা দেখতে হবে!! :-ss
---
স্পর্শ
ভাই আপনি তো দেখি সাংঘাতিক লোক। বড়শি ফেলার ব্যাপারে বেশ পটু। আপনারেই আমার দরকার।
ভালো কথা আপনার আম্মুকে আমার অশেষ শ্রদ্ধা জানাবেন........
তাইলে তাড়াতাড়ি আপনার একটা কার্ড দিয়ে দেন আমাকে! নেক্সট টাইমে আপনার কার্ডটাই দিয়ে দেব নাহয়!!
---
স্পর্শ
নতুন মন্তব্য করুন