এতক্ষন এক চিড়িয়ার জ্বালায় বাঁচা যাচ্ছিলনা, এখন আবার আরেক চিড়িয়া এসে হাজির। ব্যপার কি? দেশটা কি চিড়িয়াখানা হয়ে গেছে!! রাগে রেলের স্লিপার এ মাথা খুটতে ইচ্ছা হচ্ছে ডাঃ ইশতিয়াক আহমেদ এর। আবার ভয় ভয় ও করছে কিছুটা। রাত বাজে দুইটা। এরা ডাকাত মাকাত কিছু নয়তো? এই অজপাঁড়া গাঁয়ে এখন যদি গলা কেটে পাশের জংলার মধ্যে ফেলে রাখে, তাহলে? তার চেয়েও বড় বিপদ হবে যদি স্যুটকেস, জামা-কাপড় সব নিয়ে নাঙ্গা করে ছেড়ে যায়। ভাবলেই কেমন গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে!
কোন কুক্ষনে যে দেশসেবার এই মহান(!!) ব্রত মাথায় ঢুকেছিলো। বড় ভুল হয়ে গেছে। বিগ মিস্টেক! সব শালার ওই হারুনের কাজ। ভালইতো চলছিল ইংলান্ডে। নামকরা এক মেডিক্যাল স্কুলের শিক্ষকতা করছিলেন। এর মধ্যে হারুন একদিন এক রিইউনিয়নের আয়োজন করে বসল। তাদের মেডিকেলের যে কয়টাকে পেয়েছে সব গুলোকে ডাকা হল। ডাক্তাররা ব্যস্ত মানুষ। তাই হাতে গোনা কয়েক জন ছাড়া রিউনিয়নে আসেনি তেমন কেউ। এ পর্যন্ত সব ভালই ছিল। কিন্তু হুঠ করে হারুন এক জ্বালাময়ি বক্তৃতা দিয়ে ফেলল। কেন তাদের সবার উচিত দেশে ফিরে দরিদ্র লোকের চিকিৎসা সেবা দেওয়া, দেশের মানুষ কতটা অসয়াহ, এইসব ফিরিস্তি। দীর্ঘ্য প্রবাস জীবনের অপরাধবোধ থেকেই হোক আর সন্ধ্যা-পানীয়ের আলকোহলের পরিমানের কারনেই হোক। হারুনের কথা সবার মনে এমন ঝড় তুলল, যে কয়েকজন তো পারলে তখনই প্লেনের টিকেট বুকিং দেয়!
সকালে যথারীতি সবার মাথার ভুত নেমে গেলেও ইশতিয়াক আহমেদ এর আর নামেনি। ছেলেমেয়ে বড় হয়ে গেছে। আর কত? এখন ইচ্ছা করলে দেশে একটু আধটু ঢু মেরে আসা যায়। সাথে যদি কিছু দেশ সেবা হয়, মন্দ কি? তার স্ত্রী রেহানা অবশ্য একটু গাই গুই করেছিল। বন্ধুরা বলেছিল দেশের মশারা নাকি ইভল্ভ করেছে! এখন একেকটা মশা হামিং বার্ডের সাইজ!! তাদের পেট ভরা আবার ম্যালেরিয়ার আর ডেঙ্গুর জীবানু। সেইসব জীবানুও ইভল্ভড। কোন কুইনাইনেই এইসব জীবানুর বিরুদ্ধে কাজ হবেনা। তার উপর দেশে চরম অভাব। মানুষ-জনেরও গেছে নাকি স্বভাব নষ্ট হয়ে। অভাবে স্বভাব নষ্ট আর কি! একেকটা সব চোর বদমাশ। সবাই নাকি পকেটে ‘মলম’ নিয়ে ঘুরে। আর বিদেশ ফেরত কাউকে দেখলেই চোখে মলম দিয়ে সব লুটে পুটে নেয়! চারিদিকে এদেরই দৌরাত্ব। তারপরে কবে কার কোন আত্মীয় দেশে ফিরে মলম পার্টির খপ্পরে পড়েছে, কে বিমানবন্দর নেমে দেখে তার লাগেজ-পত্র সব হাওয়া তার এক বিশাল ফিরিস্তি!
ইশতিয়াক আহমেদ জেদী মানুষ। তাই এইসব বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ঠিকই হাজির হয়েছেন দেশে। সমস্যা হয়েছে গ্রামের বাড়ীতে যেতে গিয়ে। ট্রেন এই মাঝ রাতে কোন এক অচেনা স্টেশনে সবাইকে নামিয়ে দিয়ে গেছে! সামনে নাকি লাইন কাটা। একটু পর দেখা গেল সবাই যার যার মত ব্যবস্থা করে নিয়েছে। শুধু সে বসে আছে স্টেশনে। একা। স্টেশনের একমাত্র চায়ের দোকানটাও বন্ধ হয়ে গেছে। বুনো জংলা টাইপের যায়গা। কেমন যেন গা ছম ছম করা পরিবেশ। তার পরও খারাপ লাগছিলনা। কিন্তু এর মধ্যেও আপদ জোগাড় হয়েছে।
প্রথমে আসলো কিম্ভুত বেশভুষার এক লোক। অনেকটা সিনেমা নাটকে দেখা তান্ত্রিক-ওঝাদের মত পোশাক। গ্রাম্য চোর টোর হবার সম্ভাবনাই বেশি। হাতে একটা ছোট লাঠি মত কি যেন! সিধ-কাঠিই হবে। লোকটা তাকে দেখে কিছুটা অবাকই যেন হল। তার পর কাছে এসে দিল আলাপ জুড়ে। আলাপের এক পর্যায়ে বলে,
-ভাই জান করেন কী? মানে কী পেশা?
-শিক্ষকতা, আসলে শুধু শিক্ষক বললে ভুল হয়। আমি আসলে ডাক্তারী শিক্ষক। নতুন ডাক্তার দের ডাক্তারী পড়াই।
গ্রামের মানুষ বোঝে কি না বোঝে! তাই একটু সহজ করে বলে ইশতিয়াক সাহেব।
-এই যায়গাটা তো ভাল না। এখানে রাতে কেউ থাকে না। একা একা বসে আছেন যে। ভয় ডর করতেছে না?
-কেন চোর ডাকাতের উপদ্রপ নাকি খুব?”
-না অন্য সমস্যা আছে। রাত বিরাইতে এই দিকে চোর ডাকাইতও আসে না। দেখেন না স্টেশনের কোন গার্ড নাই। বলে এক ধরনের বিজ্ঞ হাসি দেওয়ার চেষ্টা করে লোকটা।
এইলোক যে ধান্দাবাজ, অনর্থক রহস্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই আর,
-তা আপনি কি করেন এখানে এত রাতে? আপনার ভয় করেনা
-হাঃ হাঃ হাঃ! আজব দুনিয়া লীলা! একের যেইটা ভয় অন্যের সেইটা খেলা!
-কেন আপনার পেশা কি?
-আমিও একরকম আপনার মতই। মানে চিকিৎসা করি। তবে আমি কাউরে কিছু শিখাই না। আমার বিদ্যা হল গুপ্ত বিদ্যা!
-কেন, শেখান না কেন?
-এইসব তো আর খালি ওষুধের চিকিৎসা না। সাথে তন্ত্র-মন্ত্র, ঝার-ফুকের ব্যপার আছে! শিখায়া দিলে এইসবের জোর কমে যায়। তখন আর কাজ হয়না। আপনি ভিনদেশী শিক্ষিত মানুষ এইসব আপনি বুঝবেন না।
স্টেশনের যে কোনায় চায়ের দোকানটা ছিল সেখানে একটা টিমটিমে বাতি জলছে। এই বাতি না থাকলেই মনে হয় ভাল হত! চাঁদের আলোয় আশে পাশে কিছু দেখা যেত। বাতি থাকাতে লাভের লাভ যা হয়েছে তা হল চাঁদের আলোর বাশ গেছে। আর চার দিকে আরো বেশী অ....
[এইটা একটা ভুতের গল্প হতে যাচ্ছিল। তয় বাকিটা লিখবনা। মন-মিজাজ খারাপ। মিজাজ ভাল হইলে লিখতেও পারি। তয় লিখলেও কমুনা। ‘গুপ্ত’ রাখুম। শ্রদ্ধেয় পাঠক, আপনে ইহানথে ফুটেন!!]
===
স্পর্শ
মন্তব্য
ফুটমুনা ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
না ফুটলে কি হইসে!! পুরা গল্প তো আর শুনতে পেলেন না!!
এইখানেই আমার মজা!!
হে হে হে
---
স্পর্শ
হায় হায়, গল্প শুরু কইরা শেষ না করলে নাকি, পেটের অসুখ হয় - এক চৈনিক দার্শনিক কইসিলো।
আপনি ঠিকাছেন তো?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
নারে ভাই ঠিক নাই! মিজাজ খারাপ!!
---
স্পর্শ
আরে কি আজিব...শেষ কর্লেন না ক্যান?
আগে কমেন্টসগুলা পড়ে নিলে আর দম খাইতাম না...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।
ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।
সমস্যা নাই। আরো দুই তিনটা গল্প রেডী আছে।
এখনই পোস্ট করবো নাকি পরে করবো বুঝতে ছিনা। এই গল্পটা লিখতে লিখতে কেন জানি মেজাজ হারাপ হয়ে গেল। আর একবার সুর কেটে গেলে সেইটা আমি আর কম্পলিট করতে পারিনা।
সরি, এবং কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ!
আমার আগের লেখা তোমার কমেন্ট পাই নাই
---
স্পর্শ
পড়ছিলাম। পরীক্ষার আগের রাত ছিল, তাই কমেন্ট না মেরেই দৌড় দিসিলাম।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।
ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।
আসলে তোমার কমেন্ট নিয়মিত পাই তো! তাই অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে।
হুঠাৎ করে না পেলে কি জানি মিসিং মনে হয়।
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার আব্জাব গল্প গুলা ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য।
---
স্পর্শ
যে খাওয়ায় হেও ভাই, যে খাওয়ায় না হেও ভাই, যে অর্ধেক খাওয়ায় হে হালার ভাই ! ওই মিয়া মস্করা কইরেন না শিগ্গির গল্প শেষ করেন !!
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মু হা হা হা!!
আসলে আটকায়া গেছি।
বাদদেন।
আরো মজার কিছু গল্প আছে! সেই গুলা দিতাসি
---
স্পর্শ
হোই মিয়া!!!!!!!!
এক্কেরে মাইরালামু। বাকি অংশ দ্যান!!!!!!!!!!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
অ্যাআ!! ডরাইসি তো!!
ওকে ঠিকাসে বাকি অংশও লিখে ফেলতেসি। তয় একটু হাফায় গেছি দম নিয়া নেই!
---
স্পর্শ
ভাই, এমন গল্প তো কেবল আমিই ভালবাসি! আপনি ভুল জায়গায় এ গল্প পেস্ট করছেন! এখানে সবাই ভাবগম্ভীর লেখা নিয়ে গবেষনা করেন। আমার মতন পাঠক এখানে পাবেন না।
নাফে মোহাম্মদ এনাম।
হা হা হা!! কি জানি!!
এইতো আপনাকে পেয়ে গেলাম।
সব রকম পাঠকই ভাল।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
---
স্পর্শ
হোই মিয়া ভালই তো লেখতে আছিলেন, থামলেন ক্যালা? লেখতে লেখতে কী খাইতে আছিলেন যে বাথরুমের সাথে ডাইরেক্ট লাইন অয়া গেল গা? কি ভাই ঠিক ধরছি না? এই জন্যই মনে অয় ভাইজানের মেজাজ খারাপ অইছে?
কেন মেজাজ খারাপ হয়েছিল মনে নেই। তবে এই গল্পটা শেষ করার কথা ভাবছি আজকাল। কিছু ইলাস্ট্রেশন সহ করব কাজটা। তাই দেরি হচ্ছে। আমি আবার আঁকিবুকি তে কাঁচা।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আরে শেষ কর্লেন না ক্যান?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন