তখন গভীর রাত..........

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০৫/২০০৮ - ৮:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যখন লিখছি তখন ভোর হওয়ার জন্য কাকগুলো অপেক্ষা করছে।
আমিও তীর্থের কাঁকের মত অপেক্ষা করছি , ভোর হওয়ার আশায়।
আমার পাশে যে দরজাটি সেটি এখন খুলে রেখেছি। কিছুক্ষন আগেও প্রচণ্ড বায়ুপ্রবাহ
হচ্ছিল।কখন যে থেমে গেছে খেয়াল করিনি। কাঁকগুলোর চিৎকার কানে বেজে চলেছে।থামবার জো নেই।এরকম কোন এক সময় কাঁকেরা ডেকে চলত আর আমিও অপেক্ষা করতাম কখন ভোর হবে।
কাল সকালে পরীক্ষা, যদিও কাল না বলে আজ বলা ভাল।টার্ম ফাইনালের প্রথমটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম এর বেশ গুরুত্ব আছে বৈকি।পড়তে পড়তে যখন অশেষ বিরক্ত হয়ে উঠলাম তখন নেট এ বসা ছাড়া আর কিছু পেলাম না।
পরীক্ষার ভয়ে যতটুকু নয় তার চেয়েও অন্য এক কারনে ভাল লাগছেনা কিছুই।অনেক পুরনো না হলেও আগেকার কিছু সময় আমাকে বেশ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
যখন স্কুলে ছিলাম কিংবা কলেজে ছিলাম এরকম ... কিছু দিন আসত।যখন রাত জেগে এভাবেই পরীক্ষার...জন্য পড়তে বসতাম।ভয়ে আধমরা হয়ে যেতাম কাল কি হবে চিন্তা করে।
হঠাৎ বুঝতে পেতাম কেউ একজন ঠিক আমার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে।না তাকিয়েই বুঝতে পারতাম আমার মা। হেসে বলতেন"এই নাও।"
আমি খুব চা খেতাম ,এখনও খাই।আমি জানতাম রাতের কোন এক সময়ে তিনি ঠিকই হাজির হবেন চায়ের ফ্লাক্স নিয়ে।মাথায় হাত বুলিয়ে কোন কথা না বলে তিনি চলে যেতেন।
কিন্তু আমি জানতাম তিনি আর ঘুমাবেন না। যতক্ষন তিনি নিশ্চিত হচ্ছেন আমি ঘুমিয়ে পড়েছি।মাঝে মাঝে তিনি আবার আসতেন, আমাকে দেখতেন অথচ কিছু না বলে চলে যেতেন। আমি বুঝতে পারতাম ঠিকই।
হলে এসছি প্রায় বছর তিনেক হতে চলল। এখনও আমার পরীক্ষা হয়।রাত জেগে পড়ি।রুমের সবাই ঘুমে।শুধু আমি জেগে আছি আর জেগে আছে আমার মা।আমার পাশে হয়ত না। কিন্তু তিনি ঠিকই জানেন আমি এখনও ঘুমায়নি।তিনিও তাই ঘুমাবেননা।
ভাবছেন "আমি চা পাব কোথায়?"

অদ্ভুত আঁধার এক


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

লিখে যান

হিমু এর ছবি

কাঁক শব্দটা বারেবারে পীড়া দিচ্ছে চোখে। বোধহয় কাকের কথা বলতে চেয়েছেন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।