তিন লক্ষ হাফ পাকি ভোট কারা পাবে?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২১/০৫/২০০৮ - ১০:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তিন লক্ষ পাকিস্তান গমনেচ্ছুদের এমন কি তাদের সাথেও বিশদ আলোচনা না করে ভোটের আগে আগেই হঠৎভোটার বানানোর পেছনের উদ্দশ্য কি? এই তিন লক্ষ হাফ পাকি ভোট কারা পাবে? প্রো-পাকি দলগুলো নয় কি? সারা দেশে যে পাকি মত শক্তিশালীকরণ প্রক্রিয়া চলছে, এটি তারই আর এক ধাপ বলে কেউ মনে করেন কি না?

- অপ্রিয়


মন্তব্য

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍আপনার ধারণা ভুল ভাবার কোনও ভিত্তি তো দেখছি না!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

হাসান মোরশেদ এর ছবি

অপেক্ষা করেন,কয়দিন পর এর সাথে রোহিংগাদের ভোট ও যোগ হবে ।
নিজের দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নানাভাবে দেশছাড়া করে,দেশ্ছাড়া করতে না পরলে অন্ততঃ ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে পাকি আর রোহিংগাদের ভোটার/নাগরিক বানানোর তেলেসমাতি বেশ ফলপ্রসু
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দ্রোহী এর ছবি

আবার জিগায়।


কি মাঝি? ডরাইলা?

আলমগীর এর ছবি

অপ্রিয়
এ অপ্রিয় কথাটি তুলে আনার জন্য ধন্যবাদ। আমিও খবরটা দেখেছি, পাকি হাকের বক্তব্য দেখলাম; কিন্তু এভাবে ভাবিনি।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

মানুষকে পায়ের তলে পিষে ফেলার ক্লাসিক নিদর্শন চলতেছে - পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জেনেভা ক্যাম্প পর্যন্ত।

নেহায়েত কপাল ভালো আমার পরিবার সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙ্গালি মুসলমানের গুষ্টি। নাইলে অধুনা বাংলাদেশে কি অবস্থা দাঁড়াইতো কে জানে।

-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

সবজান্তা এর ছবি

কারা আবার! যারা চিন্তা চেতনায় ডবল পাকি, তারাই পাবে।

পাকিস্তান জিন্দাবাদ... চিন্তিত


অলমিতি বিস্তারেণ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট খেলার শেষে মিছিলটাও হালাল হইল।

শামীম এর ছবি

ধরে নিলাম তিন লক্ষ ভোটই ঐদিকে যাবে .... তাতে কয়টা এম.পি বাড়বে?

আমি ওদের নাগরিকত্ব পাওয়াতে খুশি হয়েছি। পাকিস্থান ওদের নিতে চাইলেই নিতে পারতো, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ওখানেও এরা আকাঙ্খিত নয়।

ওদের বানানো বেনারশি দিয়ে বাজার সয়লাব। বাংলাদেশি হলে সমস্যা কী?

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

দেখুন গোলাম আযম বা নিজামি আর আটকে পড়া পাকিস্তানীরা ভিন্ন জিনিস। নিজামিরা ভয়ঙ্কর প্রকৃতির মানুষ। ধূর্ত। বিহারীদের বাস্তবতা একান্তই আলাদা। পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলার মতো কিছু আর তাদের কাছে অবশিষ্ট আছে বলে আমি মনে করি না। যে পাকিস্তান তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অনেক আগেই। তারা কাকে ভোট দেবে সেটা রাজনৈতিক নেতারা জানেন। তারা কাকে নিজের দলে ভেড়াতে পারবেন সেটা নিয়ে রাজনীতিবিদরা চিন্তা করবেন। বাঙলাদেশে জন্মে এতদিন পর তাদের এদেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হল সেটাই দুঃখজনক। শিবির-জামাতের রাজনীতি করে যে বাঙলাদেশী তাকে তো আমরা এমন চোখে দেখি না। তাহলে তাদের কেন আলাদা করে দেখব। তাদের দিকে এধরনের বিশেষায়িত ইঙ্গিত না করাই বরং গণতান্ত্রিক হবে। সরকার কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেনা, আসুন আমরা সরকারকে আমাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাই। চারদলীয় জোট আবার ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। অর্থাৎ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অসম্ভব। কী হবে শেষ পর্যন্ত???

জিজ্ঞাসু

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইসব, দয়া করে আমার লেখাটির উদ্দেশ্য খুঁজুন। আমি কিন্তু বিহারীদের কথা বলিনি, পাকিস্তান গমনেচ্ছুদের কথা বলেছি। জেনেভা ক্যাম্পে যাদের জন্ম তাদের দুর্দশাও অস্বিকার করি না। বিষয়টির সর্বজনগ্রাহ্য সমাধান হোক তাই চাই। কিন্তু আমার লেখাটির বিষয় জেনেভা ক্যাম্পের সমস্যা নয়, সারা দেশে যে পাকি মত শক্তিশালীকরণ প্রক্রিয়া চলছে এই ঘটনা তারই নিদর্শন কিনা সেই প্রসংগে।

-অপ্রিয়

সবজান্তা এর ছবি

ব্যক্তিগতভাবে আমি কিছু বিহারীদের চিনি, যারা শিক্ষিত (অন্তত কাগজে কলমে) এবং তারা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের ব্যাপারে সে অর্থে চিন্তিত না, পাকিস্তান তাদের কাছে এখনো আলাদা কিছু এবং তাদের ঝোঁক জামাতের দিকে।

আমার ভয়টা এদের নিয়েই ......


অলমিতি বিস্তারেণ

আরিফ জেবতিক এর ছবি

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রসঙ্গ ।
প্রশ্নটা সহজ আর উত্তরটা সকলেরই জানা ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আচ্ছা, যারা বিহারীদের নাগরিকত্ব পাওয়াকে জেনেভা ক্যাম্পে তাদের মানবেতর জীবনযাপন,এই দেশে জন্ম বেড়ে উঠা এইসব দিয়ে যৌক্তিক প্রমান করতে চান-তারা কি আমাকে দয়া করে বলবেন নাগরিকত্বের যে মৌলিক শর্ত,রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য সেটা তাদের আছে কিনা?
প্রশ্নটা তুললাম এ কারনে-যতোটুকু জানি বাংলাদেশ হলো তাদের দ্বিতীয় অপশন । এই সেদিন পর্যন্ত তারা দেনদরবার করেছে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার জন্য,হারামী পাকিস্তান সরকার যদি তাদের এই অচ্যুত নাগরিক ও তাদের ছানাপোনাদের ফিরিয়ে নিতো তাহলে কি বাংলাদেশের নাগরিকত্বের থোড়াই কেয়ার করতো?

আর জেনেভা ক্যাম্পে তাদের মানবেতর জীবনযাপনের দায় কি বাংলাদেশের?
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

রাষ্ট্রের প্রতি কোন রকম আনুগত্য না থাকা সত্যেও নিজামী,মুজাহিদ এদেশে মন্ত্রী হয়েছে, গোলাম আজম হয়েছে দেশের সম্মানীত নাগরিক। স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশে দিব্যি সকল নাগরিক অধিকার ভোগ করে, নির্বাচনে অংশ নেয়। বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের মোট ভোট প্রায় ৫-৮ শতাংশ, অর্থাৎপ্রায় ৩৫ থেকে ৫০ লাখ। সেখানে বিহারীদের এই তিন লক্ষ ভোট এমন কোন প্রভাব ফেলবেনা। বাস্তবতা হচ্ছে পাকিস্তান কখনোই এদের ফিরিয়ে নেবেনা। এককালে মোঃপুরে কিছুদিন ছিলাম, যে কারনে জেনেভা ক্যাম্পবাসী অনেককেই চিনি। ৭১ পূর্ববর্তী প্রজন্মের পাকিস্তান প্রীতি থাকলেও তাদের বৃহত্তম অংশই বাস্তবতা বোঝে। আর নতুন প্রজন্মের পাকিস্তানের প্রতি আকর্ষন কম।এরা এখন নাগরিক অধিকার পেলে একটা বড় অংশই হয়ত মূলধারায় মিশে যাবে আর এদের পরের প্রজন্ম স্বাভাবিক বাংলাদেশী হিসাবে বড় হতে পারবে। জামাতের ভোট ও বিস্তার রুখতে হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে,কিছু লোককে মানববেতর জীবনযাপনে বাধ্য করে নয়।

মৃত্যুদূত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।