একটি কুকুরের প্রতি
মানুষের বারান্দায় এসে
ঘুমানো কুকুর
আমার সম্মানে গড়া স্মৃতিসৌধটিকে
আজন্ম তোমার নামে লিখে দিয়ে যাবো
দুঃখ করো না।
বলে দাও
আমরা যেদিন জলের কাছে গিয়েছিলাম, জল ছিল ঘুমে। ঘুম ভাঙাতে মায়া হলো বলে স্নান করিনি। আমাদের ওষ্ঠলগ্ন অক্ষরদেরও স্নান দিইনি আমরা। দুঃখটাকে পারলাম না জলাঞ্জলি দিতে।
আমাদের হাতে কে তুলে দিয়েছে এই ত্রিতাপ। আমার শুদ্ধ নই। আমরা তাই কোনকিছু উৎসর্গ করতে অক্ষম এখনো। হে শালপ্রাংশু আকাশ, তোমার পায়ের তলে মরার ভাগ্য নিয়ে জন্মানো এই পোঁকাপিপড়ের জীবন নিয়ে আমার কী করবো, বলে দাও।
মমতার ছায়া
মমতার ছায়া! তোমার শীতলতায় চাওয়াগুলো জিরোক এবার। কণ্ঠাবিধ ঢেলে দিয়ো বিরহফুলের রং। এ দিনের হাতে আমি দিলাম মঞ্জিলা। তার তালে ভেসে থাক স্নিগ্ধ নীরবতা।
আকাশে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছো নিরুপায় তুমি হে সংবাদ। হৃদয় কি জানে ওই গোধুলিমিলিত অশ্রুধারার সংবাদ!
আমি আর যাব না উৎসবে, দেখব না ছিন্ন হয়ে থাকা সুন্দরতা।
কিছু নাও, কিছু রেখো আমার জন্যেও। আমি তো ঋণের দায়ে চলা এক নিদানপুরুষ, মনে নেই কারও কাছে পেয়েছি জীবনভর মায়া।
তৃষ্ণাকে পাঠালো দুরে আজকে সবাই। একটু জিরোক। আবার ফেরা পথে ডেকে নেব পৌঁছানোর দায়।
.
.
.
.
.
.
.
ধনঞ্জয় রাজকুমার আধুনিক বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী কবিতার জনক। জাতি, সংস্কৃতি, অতীত, ও শেকড়কে নিজের বিশাল কাব্যক্ষমতায় ধারন করেছেন। আশির দশক এবং তৎপরবর্তী কবিদের অধিকাংশ অনুসরন করেছেন তার পদাংক। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : "হপনর বাবুয়ানি", "ডিগল হাতহানল মোরে", "ভিক্ষা দেনে এর আহিগিতৌ", "হমাজি গাটর পানি", "বিরহী যক্ষর এলা" ইত্যাদি। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় অনুবাদ করেছেন "রুবাইয়াৎ-ই-ওমরখৈয়াম", কালিদাসের "মেঘদুত", জাপানী হাইকু কবিতার সংকলন "মিকুপর চেরীফুল" রবীন্দ্রনাথের কবিতার অনুবাদ "কুরৌ আহান রবীন্দ্রনাথ" এবং বিশ্বের প্রায় ৬০টি ভাষার কবিতার অনুবাদ সংকলন দুই খন্ডের "অনুবাদকল্প"।
--------------------------------------------------------------------
কুঙ্গ থাঙ
মন্তব্য
চমৎকার লাগলো। চালিয়ে যান।
মুজতবা আসিফ
"কণ্ঠাবিধ" কথাটি ঠিক বোধগম্য হলো না। হতে পারে শব্দটির অর্থ আমার জানা নেই। "মমতার ছায়া" কবিতাটি আরো একটু শাবলীল হতে পারতো। তবে সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
দারুণতো! পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল লাগল।
---------------------------
আশরাফ
* কণ্ঠাবিধ -> কন্ঠাবধি
* মঞ্জিলা -> মণিপুরী নৃত্যে ব্যবহৃত বাদ্য বিশেষ ...
তৃতীয়টির অনুবাদ সুবিধার হয়নি স্বীকার করছি। @juliansiddiqi
------------------------------------------------------------------------
কুঙ্গ থাঙ
তাহলে বর্ণবিভ্রাট? আমার বোঝা উচিত ছিলো। ভবিষ্যতে এমন কোনো অনুবাদে কঠিন মণিপুরী শব্দ থাকলে সেটার টীকা আশা করছি। ধন্যবাদ।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
চমৎকার আপনার অনুবাদ! আশা করি সামনে আরো পাবো!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আপনার অনুবাদ তো চমৎকার হয়েছে, আরো চাই সামনে। শিগগির শিগগরি পাঠান তো কিছু!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আমরা যেদিন জলের কাছে গিয়েছিলাম, জল ছিল ঘুমে।
চমৎকার।
কিন্তু
পোঁকাপিপড়ের জীবন নিয়ে আমার কী করবো-এ 'আমার' নয় 'আমরা' হবে।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনিই ঠিক। "পোঁকাপিপড়ের জীবন নিয়ে আমরা কী করবো" হবে। কিন্তু ঠিক করবো কিভাবে??? @মুজিব মেহদী
------------------------------------------------------------------------
কুঙ্গ থাঙ
অতিথিদের জন্য অনেক সমস্যা। Edit করার সুযোগ নেই। খুবই ভেজাল। আমার লেখাটাও কিছু করতে পারছি না। আমার মতে অতিথি লেখকদের লেখাও Edit করার অবাধ সুযোগ দেওয়া উচিত। নচেৎ ত্রুটিপূর্ণ লেখার কারণে পাঠকের কাছে লেখার মান ক্ষুন্ন হতে পারে। এ ব্যাপারে সচলায়তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
অতিথি লেখকদের সম্পাদনার সুযোগটি কিছু বিশেষ কারণে রহিত করা আছে।
সাধারণ টাইপোর জন্যে সচলায়তনের পাঠকরা একজন লেখককে লাঠি হাতে তাড়া করবেন না নিশ্চয়ই। নিশ্চিন্ত মনে লিখুন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
নতুন মন্তব্য করুন