রাজনীতি করে মন্ত্রীমিনিস্টার হওয়া যায়। রাজনীতির ক্রিমটুকু খাওয়ার জন্য রাজনীতির ব্যবসা ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছে জানিনা। কিন্তু আজ শেখ হাসিনা কাঠগড়ায় দাঁড়ান না, নিজামী কাঠগড়ায় দাঁড়ান না। আদালতে রাজনৈতিক বক্তব্য (মিথ্যা এবং চাতুর্যপূর্ণ বক্তব্যকে ভদ্রতার মোড়কে রাজনৈতিক বক্তব্য বলা হয়, যা মানুষের কল্যাণের নয়, মানুষকে শোষণের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার) দেয়া চলে অবাধে (আদালতের অনুমতি নিয়ে)। নিজামী, মোজাহিদরা বলছে কমিটিতে থাকলে যদি মামলা হয় তাহলে দেশ চালানো যাবে না। দেশের মানুষকে দেশ চালানো শিখতে হবে রাজাকারদের কাছে! চারদলীয় জোটের শরীক হয়ে মন্ত্রীমিনিস্টার হয়ে রাজনীতির ক্রিম খাবে আর বলবে সব দোষ বিএনপির। বাহ্ কি চমৎকার। নৈতিক দায়দায়িত্ব যারা বোঝেনা কিংবা যারা তা এড়িয়ে যেতে চায় তারাই কিন্তু আবার ভোটে নির্বাচিত হতে যাচ্ছে।
কী উদ্দেশ্যে জনগণ চলতি সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল এর সাথে সরকার কী উদ্দেশ্যে ক্ষমতা হাতে নিয়েছিল তার মনে হয় মিল ছিল না। যা হোক, এ সরকার যদি এমন চেয়েছিল যে রাজনীতির শঠতা ও স্বার্থপরতা দূর হয়ে জনকল্যাণে রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতাদের বৈশিষ্ঠ্যগত পরিবর্তন আসা দরকার - তা কিন্তু তারা হাসিল করতে পারেনি। যে লাউ সে কদু রয়ে গেছে। চরম অভদ্র ও অগণতান্ত্রিক এসব রাজনীতিবিদেরা আগের মতোই 'রাজনৈতিক' বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি।
এখন সংলাপ চলছে। প্রশ্ন উঠেছে সংলাপ ব্যর্থ হলে দায় কার। বর্তমান সংজ্ঞাবিহীন সরকারের, না কি রাজনৈতিক দলগুলোর? কোন ভণিতা না করেই বলতে চাই সংলাপ ব্যর্থ হলে সকল দায়দায়িত্ব হবে রাজনৈতিক দলগুলোর। (তারা আবারও একই কথা বলতে চাইছেন- সকল ক্ষমতা যেহেতু জনগণের, দোষও জনগণের! সম্ভবত, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে ব্যবহৃত সবচেয়ে শঠতাপূর্ণ বক্তব্য)
আবারও রাজনীতিবিদেরা তাদের ব্যক্তিগত দুর্নীতি, লুণ্ঠন, অসাধুতার অপরাধগুলোকে মোকাবেলা করবে রাজনৈতিকভাবে, অর্থাৎ আইনবহির্ভূত কোন উপায়ে। এজন্য সবাই ঘাপটি মেরে বসে আছে। আল্লা আল্লা করছে কোনমতে ভোট বৈতরণী পার হতে পারলে হয়। যদি তারা দায়িত্বশীল হত তাহলে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর প্রবণতা দেখা যেত না। প্রধান দুই নেত্রীসহ অনেকের মামলা বিচারধীন থাকা অবস্থায় তাদের মুক্তি দাবি করা দায়িত্বশীলতা নয় বরং রাজনৈতিক কপটতা ও গণতান্ত্রিক আনাড়িপনার প্রকাশ।
জিজ্ঞাসু
মন্তব্য
আপনার সাথে সহমত। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা ভন্ড প্রতারক। তারা প্রত্যকেই কোন না কোন দুর্নীতির সাথে জড়িত কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা করলে তারা সবসময় বলে বেড়ান এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা । আজকে দলগুলো বলে বেড়াচ্ছে তাদের নেত্রীকে ছাড়া কোন প্রকার সংলাপে তারা যাবেন না, এটা কেমন কথা? দেশ কি খালেদা হাসিনা ছাড়া চলবে না?আসলে এরা একটু্ও বদলায়নি । খোদার কাছে প্রতিদিন প্রার্থনা করি - হে খোদা এইসব ভন্ড প্রতারক রাজনৈতিক নেতাদের হায়াৎ কম কর এবং তাড়াতাড়ি বেহেশতে নিয়ে যাও। এছাড়া তো আর কোন উপায় দেখতাছি না!
রবিন
এভাবেই চলছে , চলবেও বোধহয় !
eru
-------------------------------------
pause 4 exam
আমাদের দেশে প্রকৃত রাজনীতি বলতে কিছুই নেই। যে যেখানেই বা যে পদেই আছে- সবার চোখই ঝোলার দিকে। লকলকে লোল-জিভে চকচকে দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে- কখন ঝোলা হস্তগত হবে। অন্য দিকে দৃষ্টি দেবার অবসর নেই তাদের। যাঁরা সত্যিকার অর্থেই সৎ, তাঁরা পদে পদে লাঞ্ছিত, নিপিড়ীত, বিক্ষত। তারা নির্বোধ শ্রেণীর বলে পরিগণিত। অসৎ লোকেরাই মূলতঃ চালাক। কাজেই আমাদের পুণরায় ভাবতে হবে যে, আসলে বাংলাদেশের রাজনীতি কি? এ দেশের রাজনীতি কাহাকে বলে? তা ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন দেওয়ার আগে আরো দশবার ভাবা উচিত বলে মনে করি।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
"রাজনীতিজীবী'দের" চোখ যে ঝোলার দিকে থাকবে এটাই স্বাভাবিক
এদের হাতে ঝোলা কিন্তু আমরাই তুলে দেই । ১৮২৫ দিনে একবার ভোট দিয়ে ১৮২৪ দিনের ভাগ্য গড়ে নেই ।
যতদিন আমরা প্রার্থীকে ভোট না দিচ্ছি, যতদিন মার্কা দেখে ভোট দিচ্ছি, যতদিন দল দেখে ভোট দিচ্ছি ততদিন এর জন্য আমরাই দায়ী থাকবো ।
কড়িকাঠুরে
নতুন মন্তব্য করুন