অফিসের দিনপঞ্জি : টেলিফোন বিভ্রাট
আমাদের হেড অফিসে আমরা প্রায় ৫০০ জন কর্মচারী কাাজ করি। তার ভেতর বেশ কজনের আবার রয়েছে একই নাম - যেমন ধরুন মাসুদ নামে আছেন ৫ জন, হুমায়ুন নামে আছেন ৩ জন, হারুন নামে আছেন ৪ জন, আমার নিজের নামেই আছেন আরো ২ জন। তো এমন অবস্থায় টেলিফোন বিভ্রাট একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। আর এসব ঘটনার কিছু কিছু আবার খুরই মজার। তার থেকে তিনটি ঘটনা এখানে তুলে দিলাম। স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনা সংশ্লিষ্ট পাত্র-পাত্রীদের নামগুলো বদলে দিলাম, নইলে কোন সচল হঠাৎ বলে বসবেন - “আরে ব্যাটা তুই এখানে আমার গল্প ফেঁদে বসেছিস!” (বলা তো যায় না আমার অফিসের দু একজন থাকলেও থাকতে পারেন এখানে)
টেলিফোন বিভ্রাট - ১ : চেয়ারম্যান বনাম কর্মচারী
আমাদের প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান একদিন আমাদের সহকর্মী কবিরকে ফোন করলেন ।
চেয়ারম্যান : হ্যালো কবির ? আমি চেয়ারম্যান বলছি।
কবির : (একটু থেমে) হে: হে: হে: আপনি কোন চেয়ারম্যান বলছেন ?
চেয়ারম্যান : কবির, আমি, আমি চেয়ারম্যান বলছি।
কবির : জি জি (নাঁকি সুরে) আমি বুঝতে পেরেছি। তা আপনি কোথাকার চেয়ারম্যান বলছেন ? হে: হে:
চেয়ারম্যান : (রাগি স্বরে) কবির তুমি কি বুঝতে পারছো আমি তোমাদের কম্পানির চেয়ারম্যান বলছি। তুমি একটু আমার রুমে আসো।
কবির : (বিরক্ত হয়ে) ধুত্তেরি! আপনে যেই চেয়ারম্যানই হন এখন আমার প্যাচাল পারার সময় নাই। বহুত কাজ আছে।
এই বলেই খটাস করে রিসিভার রেখে দিল।
তারপর যা হলো - চেয়ারম্যান ফোন করলেন কবিরের বসকে, “কি ব্যাপার, কবিরের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? ওকে ফোন করলাম, ও কি সব আবোল তাবোল বলে ফোন রেখে দিল। আপনি ওকে নিয়ে আমার রুমে আসুনতো।”
কবিরের বস ঝড়ের বেগে ছুটে গেলেন কবিরের কাছে - “কি হয়েছে কবির ? চেয়ারম্যান সারকে কি বলেছেন ফোনে ? চলুন তিনি ডাকছেন আপনাকে।” কবিরের তো তখন অজ্ঞান হবার দশা, এমনিতেই সে খুব দুর্বল চিত্তের মানুষ - “সার, আমি ? চেয়ারম্যান সার? আমি বলেছি ? হায় হায় চেয়ারম্যান সার!“
তারপর কবির দুরু দুরু বুকে বাঁশ পাতার মতো কাঁপতে কাঁপতে চেয়ারম্যানের রুমে গেল। গিয়ে সব খুলে বলল - আসলে হয়েছে কি, আমাদের অন্য দুই সহকর্মী প্রায়ই কবিরকে ফোন করে এটা ওটা বলে ্যাপাতো। ‘কবির আমি চেয়ারম্যান বলছি, একটু এটা করো তো’; ‘কবির আমি এমডি বলছি, একটু ওটা করো তো’। প্রথম দিকে কবির বুঝতে না পেরে যা বলা হতো তড়িঘরি করে তাই করে ফেলতো। পরে যখন সে বুঝতে শুরু করলো যে তার সাথে দুষ্টুমি করা হচ্ছে তখন সেও ওদের সাথে দুষ্টুমিতে যোগ দিত - ‘জি আপনি কোথাকার এমডি বলছেন? আপনি কি ঘোড়ার ঘাস কাটেন?’ এই সব হাবিজাবি। কিন্তুু সেদিন যে সত্তি সত্তি চেয়ারম্যান ফোন করেছেন তা সে বুঝতে পারেনি। আর এ জন্যই সে এমন আবোল তাবোল বকেছে চেয়ারম্যানের সাথে।
আমাদের চেয়ারম্যান খুর বিচণ মানুষ (নইলে কি আর চেয়ারম্যান !)। তিনি মুচকি হেসে কবিরকে বললেন - “এতো দিনেও তুমি আমার কন্ঠস্বর চিনতে পারলে না?”
টেলিফোন বিভ্রাট - ২ : ডিসট্রিবিউসন ম্যানেজার বনাম ডেলিভারি ম্যান
যখনকার কথা বলছি তখন আমাদের অফিসের ডিসট্রিবিউসন ম্যানেজার ছিলেন হাফিজ সাহেব আর ঢাকা ডিপোর ইনচার্জ ছিলেন হেমায়েত ভাই। হেমায়েত ভাই ছিলেন ডেলিভারি ম্যানদের বস আর হাফিজ সাহেব ছিলেন হেমায়েত ভাই’র বস। ডেলিভারি ম্যান মানে বুঝতেই পারছেন - এরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পন্ন্য কাস্টমারদের কাছে পৌছে দেয়। এদের বেশিরভাগই হচ্ছে অশিতি অথবা অর্ধ-শিতি। তো এই ডেলিভারি ম্যানদের ম্যানেজ করতে হেমায়েত ভাইকে প্রচুর বেগ পেতে হতো। সারাণ তাঁর মুখে গালির ফোয়ারা ছুটতো - সেসব গালির সবচেয়ে ভদ্রগুলোও শুরু হতো হয় চ দিয়ে নয় খ দিয়ে। আবার এদের কারো বিপদে সবার আগে তিনিই ছুটতেন, বুক দিয়ে আগলে রাখতেন সব ক’টাকে।
সেই হেমায়েত ভাইকে একদিন সকালে দেখা গেল প্রচন্ড েেপ আছেন। তাঁর এক ডেলিভারি ম্যান, যার নামও কিনা হাফিজ, দু’দিন ধরে অফিসে আসে না, কোন খবরও দিচ্ছে না। ডেলিভারি শিডিউল সব ওলোট-পালোট হয়ে গেছে। হেমায়েত ভাই পারলে হাফিজের মুন্ডু চিবিয়ে খান। এদিক ওদিক পায়চারি করছেন আর বলছেন - “হাফিজরে পাইয়া লই। ওর পু**তে বাঁশ হান্দাইয়া যদি ঘুটা না দিছি তাইলে আমার নাম হেমায়েত না।”
এর কিছুন পরে, হেমায়েত ভাই তখন তাঁর সিটে নেই। এমন সময় ডিসট্রিবিউসন ম্যনেজার হাফিজ সাহেব হেমায়েত ভাইকে ফোন করেছেন। স্বভাবতই হেমায়েত ভাই না থাকায় ফোন ধরেছে এক ডেলিভারি ম্যান, নাম তার হাসেম :
হাসেম : হ্যালো কারে চান?
হাফিজ সাহেব : আমি হাফিজ। হেমায়েত কোথায়?
হাসেম : আরে হাফিজ্জ্যা হারামজাদা! যতো শুদ্দ (শুদ্ধ) কতাই কসনা কেন, হেমায়েত আইজগো তোর পু** মারবোই মারবো। দুনিয়ার কেউ এইডা ঠেকাইতে পারবো না। হেয় কইছে তোর হো** ডান্ডা দিয়া ঘুডা দিব ঘুডা। হালারপো আবার শুদ্দ কতা কয়। অপিসে আয় খালি হারামজাদা!
হাফিজ সাহেব তো হতোভম্ব, একেবারে থ। শুধু বলতে পারলেন Ñ ‘হোয়াট ননসেন্স’। তারপর ফোন রেখে দিলেন খট করে।
ফোন রেখেই সাথে সাথে হেমায়েত ভাই’র মোবাইলে কল করলেন Ñ ‘হেমায়েত! আপনি এুণি গিয়ে দেখুন আপনার ওখানে একটু আগে ফোন ধরেছিলো কে। তার কানটা ধরে আমার কাছে নিয়ে আসুন। আর এসব কি আজেবাজে লোক রেখেছেন ডিপোতে?’
হেমায়েত ভাই থতোমতো খেয়ে বললেন Ñ ‘কি হয়েছে সার? আমি এুণি যাচ্ছি সার।’ তিনি ঝড়ের বেগে ডিপোতে গিয়ে পৌঁছলেন। আর পৌঁছেই হুঙ্কার Ñ ‘একটু আগে যে ফোনটা আসছিলো কে ধরছিলি তাড়াতাড়ি ক।’ হাসেম তখন আয়েস করে চা খাচ্ছিলো, সে বীর বেশে এগিয়ে এলো Ñ‘সার আমি ধরছি। হাফিজ্জ্যা ফোন করছিলো। দিছি হালারে ইচ্ছামতো। দুইদিন ধইরা অপিসে আসে না আবার শুদ্দ কতা কয়।’ ঠাস! হেমায়েত ভাই’র ডান হাতের চড় পড়লো হাসেমের গালে Ñ ‘হারামজাদা করছোস কি? তোর তো চাকরি নাই’ই, আমারো নাই।’ তারপর অন্যসবার কাছে জানতে চাইলেন হাসেম আর কি কি বলেছে। সব শুনে তো তাঁর মাথায় হাত। হাসেমকে ধরে নিয়ে গিয়ে অনেক করে হাফিজ সাহেবের হাত পা ধরিয়ে মাফ চাওয়ালেন, নিজেও খুব করে মা চাইলেন। হাফিজ সাহেব রগচটা মানুষ হলেও মা করে দিলেন হাসেমকে। আর যাই হোক সে তো এ কাজ জেনে করেনি।
তারপর হেমায়েত ভাই পরের এক সপ্তাহ আমাদের যাকেই কাছে পেলেন, অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে এই কাহিনী বলতে লাগলেন। আমরাও হাসলাম প্রান খুলে।
টেলিফোন বিভ্রাট - ৩ : আমি বনাম পরকীয়া প্রেমিকা
অফিসে আমার নামে আরো দুজন আছে, আগেই বলেছি। তো একদিন তাদেরই একজনের ফোন ভুলক্রমে আমার কাছে চলে এসেছিলো বোধহয়। ওপাশে এক নারীকন্ঠ :
আমি : হ্যালো
নারীকন্ঠ : কি খবর, জনাবের তো ইদানিং কোন খোঁজ নাই। সারান কি বউ’র আঁচল ধরে বসে থাকো?
আমি : জি কে বলছেন প্লিজ?
নারীকন্ঠ : ও এখন চিনতেও পারছো না? তা পারবে কেন? আমার তো খোঁজ পড়ে শুধু বউ বাপের বাড়ি গেলে।
আমি : এক্সকিউজ মি ! আপনি মনে হয়...
নারীকন্ঠ : হয়েছে হয়েছে আর ঢং করতে হবে না। সময় চাইলে সময় দাও না। মোবাইলে ফোন করলে কেটে দাও। বুঝিতো এখন আর আমাকে দরকার নেই। তোমরা পুরুষরা সব এক। সব এক গোয়ালের গরু।
খট করে লাইন কেটে গেল। হতভম্ব আমি বুঝতে পারছিলাম না হাসবো না কাঁদবো।
কির্তীনাশা
মন্তব্য
আপনি কি কির্তীনাশা নাকি কীর্তিনাশা?
হাঁটুপানির জলদস্যু
সিরাম!! শেষেরটা পড়ে হিভি মজা পেলাম...
---------------------------------
আসলে কীর্তিবান! ভালো আছেন তো? শেষেরটা খুবই মজাদার!
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
হিমু ভাই, আপনি যখন বললেন কীর্তিনাশাই তো হওয়া উচিত মনে হয়। এতদিন লেখা লেখি থেকে দূরে থেকে বাংলা বানানের কীর্তিও নাশ করে দিয়েছি মনে হচ্ছে।
দারুণ হয়েছে রে। সবগুলো পড়ে বেদম হাসলাম। আরো চাই।
ধন্যবাদ। লিখবো আরো। লেখার জন্যই তো আসা এখানে। অবশ্য যদি সচল হতে পারি তবেই।
রায়হান আবির আপনাকেও ধন্যবাদ।
কীর্তিনাশা
হুশিয়ার... এইখানে কিন্তু আগে থেকাই নজরুল নামের দখল নিছি... কীর্তিনাশা ছাড়া আর কোনও নাম বলা নিষেধ।
এই নজরুল কি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের নজরুল? কথায় বার্তায় কেরম জানি সেরম সেরম লাগে।
আইচ্ছা... টেলিফোন বৃত্তান্ত বলি তাইলে... কেন্দ্রেরই কাহিনী বলি... কেন্দ্র যখন ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি চালু করলো তার চার্জে বসানো হইলো শাহেদরে। তো অফিসিয়ালি তারে একটা মোবাইল ফোন দেওয়া হইলো... এবং কেন্দ্রের দোতলায় স্যারের বারান্দা টাইপ বসার জায়গাটায় একদিন বৈঠক চলতাছে... কেন্দ্রের ট্রাষ্টিরাও সেখানে উপস্থিত। শাহেদ তার সেলফোনটা সেন্টার টেবিলে রাইখাই একটু সুর[ন্জনায় গেলো কি এক কাগজ আনতে... আর এই সময়েই ফোন করলো আমাদেরই এক বন্ধু... কেন্দ্রের জনৈক ট্রাস্টি ভাবলেন এইটা তো অফিসেরই ফোন... তিনি রিসিভ করলেন... কিন্তু ঐপাশের জন রিসিভ হওনের পরে আর এক মূহুর্তও দেরি করলো না... শুরু করলো গালি... নানাবিধ গালির এক পর্যায়ে ট্রাস্টি ভদ্রলোক ফোন রাইখা দিলেন... এবং শাহেদ ফেরার পরে বললেন শাহেদ বোধহয় তোমার কোনও বন্ধু ফোন করেছিলো।
তবে আরেকটা ঘটনা দারুণই মজার। মিনহাজের কাছে ফোন করছে তার এক বন্ধু... মিনহাজ ফোন রিসিভ করার সাথে সাথে ঐ পাশ থেকে সহস্র গালি বৃষ্টি ঝড়তে লাগলো... মিনিট কয়েক অশ্রাব্য গালির পরে মিনহাজ গলাটা গম্ভীর কইরা বললো ইয়ে... তুমি বোধহয় মিনহাজকে চাইছো তাই না?
এই শুইনা ঐপাশে তো থ... জ্বী মানে আপনি কে বলছেন?
আমি মিনহাজের বাবা... ও তো একটু ফোনটা রেখে টয়লেটে গেছে... দাঁড়াও ডেকে দিচ্ছি...
ঐপাশে তখন কান্দো কান্দো দশা... স্যরির তুফান ছুটলো...
আর এইপাশে মিনহাজ গম্ভীর কণ্ঠেই ডাকলো... এই মিনহাজ... তোর ফোন...
তার একটু পরেই মিনহাজ স্বকণ্ঠে কথা শুরু করলো এবং এইবার উল্টা গালি... তুই আমার বাপেরে কি কইছস? হালার পো... (এইখানে মোটেও হালার পো বলে নাই... যা বলছে তা বলতারলাম না... মিনিটখানেক খালি গালিই চলছিলো.. আর ঐপাশে বিব্রত বন্ধু তখনও স্যরি দোস্তই বইলা যাইতেছিলো)।
উফ... কালকা থেকা কি য্যান হইছে আমার... মন্তব্য খালি বড় হইতেছে... টা টা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মিনহাজ ভাইয়ের কাহিনীটা জটিল লাগলো।
তিনটা ঘটনাই খুব মজা লাগল । আরো লিখেন
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
খুব মজার হয়েছে পোস্ট। আরো আরো বিভ্রাট লিখুন। না ঘটলেও লিখুন।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ আমার লেখা পড়ার জন্য।
আর নজরুল ভাইরে কই - শেষ পর্যন্ত চিনছেন তাইলে। আপনের কপালে নাইলে খারাবি ছিল। আর নিজের নামে যে লিখবার পারমু না এইডা আগেই জানি। এই পর্যন্ত কোন জায়গায় পারি নাই। আপনের ভয় নাই - নজরুল নামের স্বত্য আপনারে ছাইরা দিলাম।
কীর্তিনাশা
যাক... সচলায়তনে আইসা এত বছর পরে এই দুইটার দেখা পাওন গেলো... কেমন আছেন নজরুল... মোটা তাজা হইছেন কিছু? বিয়া করছেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, আমারে জিগান মোটা হইছি কিনা। আর নিজের দিকে খেয়াল আছে তো? মাশাল্লা ভালোই মোটা হইছেন। চেনার কোন উপায় নাই। খালি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কথা কইছিলেন দেইখা চিনবার পারলাম।
আপনার সব প্রশ্নের জবাব হইলো - ইয়েস।
আপনার কি খবর?
কীর্তিনাশা
লেখাটা পইড়া খুব মজা পাইলাম।ভাইজানের কিছু কিছু শব্দ থেকে 'খ' তারপর 'ক্ষ' এইসব অজানা কারনে উধাও হয়ে গেছে দেখলাম।নজরুল ভাইয়ার আপনি দেখি পূর্বপরিচিত।লিখতে থাকুন।মনে মনে পাঁচ দিয়া দিলাম আপনারে।
~~~টক্স~~~
নতুন মন্তব্য করুন