বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রতি মার্কিন ও পাকিদের আগ্রহ নিঃসন্দেহে সন্দেহ উদ্রেককারী।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৮/০৫/২০০৮ - ১:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মার্কিন আগ্রহ বাড়ছে : নির্বাচনের
আগে কর্মকর্তাদের ঘন ঘন সফর
৩ জুন ঢাকায় আসছেন ওআইসিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত
-দৈনিক সমকাল (মে ২৮ ২০০৮)

বাংলাদেশকে শক্তিশালী রাষ্ট্র দেখতে চায় পাকিস্তান:
ডিসেম্বরে নির্বাচনের ব্যাপারে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশাবাদ
-দৈনিক আমার দেশ (মে ২৮ ২০০৮)

বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রতি মার্কিন ও পাকিদের আগ্রহ নিঃসন্দেহে সন্দেহ উদ্রেককারী। এ দুটি দেশই ১৯৭১এ আমাদের বেদনাদায়ক পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিসিঞ্জার পাকিদের পাইকারী হারে বাঙালী নিধনকে সমর্থন দিয়েছিলো। যদিও দেশটি এখন গণতন্ত্র আর মানবতার ধূয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন করে নিজের কোলে ঝোল টানার অপতৎপরতায় লিপ্ত। যা বিশ্ববাসীর চুপচাপ অবলোকন করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। পাকিস্তান যখন আমাদের নির্বাচন নিয়ে কৌতুহল বা আগ্রহ প্রকাশ করে তখন নিশ্চিত বলা যায় যে, মুক্তিযুদ্ধের বা স্বাধীনতার পক্ষের কোনো শক্তিকে সে সমর্থন করবে না।

উপর্যুক্ত দেশ দুটির অতি আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে ফের বাংলাদেশের ক্ষমতায় রাজাকারপন্থী দল আসীন হতে যাচ্ছে। বলা যায় না এবার খোদ জামাতই ক্ষমতা হাতিয়ে নেয় কি না। প্রতিবারই দেখা যায় মার্কিন কর্মকর্তা যে দলের প্রধানের সঙ্গে গোপন বৈঠকে মিলিত হন, কোনো এক অদৃশ্য যাদু বলে সেই দলটিই ক্ষমতায় আসীন হয়। এখন শুধু প্রতীক্ষার পালা। মার্কিন কর্মকর্তা কোন দলীয় প্রধানের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন।

তবে আশার কথা- জামাতীরা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে বুঝতে হবে যে, বাংলাদেশ প্রকৃতই একটি মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত হবে। নতুন করে বোরখা বানানোর ধুম পড়বে চারদিকে। সেই সঙ্গে হাসপাতালের সার্জন এবং হাজামদের দুটো বারতি পয়সা আয়েরও সুযোগ আসবে। কারণ জামাতীদের ইসলামী দাওয়াতে সাড়া দিয়ে দলে দলে অমুসলিম মুসলমান হতে থাকবে এবং সাচ্চা মুসলিম হওয়ার জন্য বালক থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত (যারা আ-কাটা) সবাই খৎনা করাতে ছুটবে হাসপাতাল আর হাজামের কাছে।

এটি অবশ্য খুবই আশার কথা যে, আমাদের দেশে এখন অমুসলিমদের দৌরাত্ম্য যে হারে বাড়ছে, বুলতে গেলে সাচ্চা ঈমানদার মুসলিমরা খোয়াড়ের হাঁসমুরগির মতই জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছেন। দেশটি পরিপূর্নভাবে মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত হলে তাদের দুর্দিনের অবসান হবে সন্দেহ নাই। বিশেষ করে সেক্যুলার শাসনের ফলে, পহেলা বৈশাখে আর পহেলা ফাল্গুনে মুসলিম মাইয়াগুলাও বেশরমের মত হিন্দুদের সিন্দুর পরিধান করে। পোলারা পরে ধুতি। যা শরিয়ত মতে হারাম! হারাম!! হারাম!!!

এ দেশে পরিপূর্নভাবে শরীয়া আইন চালু হলে আরেকটি বিষয়ে আমরা আশাবাদী হতে পারি যে, ইরান এবং সুদানের মত খাঁটি ও সাচ্চা মুসলিম দেশে সমকামীতা বৈধ করা হয়েছে। যা আমাদের দেশেও আইন করে বৈধ করা প্রয়োজন। তবে তার আগে আমাদের দেশটিকেও সুদান ও ইরানের মত খাঁটি আর সাচ্চা মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। কিন্তু যতদিন সেক্যুলার শাসক অর্থাৎ আধা কাফের শাসন কায়েম থাকে, ততদিন ব্যাপারটি ঘটার বিষয়ে কোনো আশাবাদ দেখি না।
তার আগে আমাদেরকে ধৈর্য আর সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, বাংলাদেশের শাসনক্ষতায় কারা অধিষ্ঠীত হতে যাচ্ছেন।

-জুলিয়ান সিদ্দিকী
auto


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।