কৈশোর থেকেই নিজকে নিয়ে খুব অস্বস্তিতে কাল কাটাচ্ছে কুলসুম। মানুষের সামনে বিশেষ করে কোনো পুরুষের সামনেই স্বাচ্ছ্বন্দ্য বোধ করে না সে। মনে হয় তার প্রতি নিক্ষেপ করা দৃষ্টি থেকে এখনই লকলক করে উঠবে কোনো কেউটের ছোবল। কিংবা ওই হাসি হাসি প্রশান্ত মুখটির আড়ালেই কোথাও লুকিয়ে আছে ধূর্ত শিয়ালের সূচালো মুখ।
পুরুষ সম্পর্কে যে মানুষটি তার কঁচি মনের ভেতর বিষাক্ত বীজটি প্রথম বুনে দিয়েছিলো, সম্পর্কের দিক দিয়ে লোকটি তার খালু। সৎ মায়ের দুলাভাই। যন্ত্রণাবিদ্ধ অসুস্থ শরীরে ঘটনার কথা মাকে জানিয়ে আরো বেশি যন্ত্রণার শিকার হয়েছিলো সে। একটানা তিন দিন তাকে রান্না ঘরে শুকনো খড়কুটো আর লতাপাতার উপর ঘুমুতে বাধ্য করেছিলো তার মা অহিদা। আর সেই সঙ্গে ক্ষুধা জরজর অবস্থায় খেতে বাধ্য করেছিলো লবন মরিচ ছাড়া পঁচা পান্তাভাত।
সৎ মেয়ের কথা তার বিশ্বাস হয়নি। বিশ্বাস হয়নি ভগ্নীপতি ইয়াকুব মুন্সির মত পরহেজগার আর সম্মানী মানুষ এমন জঘন্য কাজ করতে পারে। তাই ইশ্বরের সনদপ্রাপ্ত এমন নিষ্কলূষ মানুষটির চরিত্র হননের অপচেষ্টার কারণে অহিদার যাবতীয় আক্রোশ গিয়ে পড়েছিলো কুলসুমের উপরই। কিন্তু সে যতই অনুনয় বিনয় করে বোঝাতে চায়, অহিদা কিছুতেই বুঝতে চায় না। উল্টো তার চরিত্র নিয়ে কত না কথা। শেষটায় তার জন্মদাতা আজগর আলিও তার প্রতি কেমন ঘৃণার চোখে তাকাতো। কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলো। যে বাবা তাকে ছাড়া কখনো একা খেতে বসে না। সেই মানুষটি হঠাৎ যেন কেমন হয়ে গিয়েছিলো।
অন্যদিকে আজগর আলির ভাবনা হলো মেয়ে যখন নষ্ট হতেই চলেছে, কী আর করা! বয়স না হলেও তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। অকাজ-কু-কাজ যাই করুক সেই দায় অন্তত তার কাঁধে বর্তাবে না।
দুরন্ত আর ফুল থাকতেই পঁচে যাওয়া কুমড়ার মত মেয়ের প্রতি সতর্ক চোখ রাখতে গিয়ে আর পাত্র সন্ধানে দ্রুত নিঃশেষ হতে থাকে আজগর আলির সময়। বিভিন্ন ঘটকের কাছেও কথাটা তুলে ধরে সে। আর সেই সূত্র ধরেই গ্রামের বয়োবৃদ্ধ আরশেদ প্রধান প্রস্তাব পাঠায় কুলসুমের জন্য। প্রথমটায় বিস্মিত হলেও অনেক ভেবে-চিন্তে সেও মেয়ের বিয়ে ঠিক করে বিপত্নীক আরশেদ প্রধানের সঙ্গে।
আরশেদ প্রধান বিত্তশালী লোক। কুলসুমের খাওয়া পরা গয়নাগাটি কোনোটারই অভাব রাখবে না। সময় অসময়ে সে নিজেও বিপদ আপদে হাতে পাবে মানুষটাকে। তা ছাড়া শ্বশুর হিসেবে দু-চার বিঘা জমিও কি সে করে খেতে পারবে না? মেয়েকে বিয়ে দিয়ে আপদমুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মনের ভেতর স্বার্থ চিন্তাটিও লকলক করে উঠেছিলো।
কিন্তু যে মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। বিয়ে কি জিনিস বুঝতেই পারে না। সে কী করে অমন একটি উৎসবে নিজকে জড়াতে পারে? তা ছাড়া আরশেদ প্রধান যে ইয়াকুব মুন্সির চেয়ে ভালো স্বভাবের হবে তা বিশ্বাস করতে পারলো না কুলসুম। নির্ভর করতে পারলো না অবিবেচক জন্মদাতার কথার উপর। তাই নিজের উপর অবিচল আস্থা রেখে ভোর হওয়ার আগেই বাইরে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে এসেছিলো সে। সঙ্গে সম্বল বলতে, আরশেদ প্রধান কনে দেখতে এসে দর্শনী হিসেবে যে পঞ্চাশটি টাকা তার হাতের মুঠোতে গুঁজে দিয়েছিলো সেটাই। আর সেই বলেই আধো অন্ধকারে সে শিশির স্নাত ক্ষেতের আল ধরে দ্রুত পায়ে উঠে এসেছিলো বড় রাস্তায়।
২
নানা ঘাটের নানা রঙের পানি খেতে খেতে শেষটায় কুলসুম ঠাঁই পেয়েছে গুলশানের এই বাড়িতে। বাড়ির সবগুলো মানুষই কেন জানি খুবই ভালো। মেয়েরা যখন বেড়াতে আসে, তারাও খুব নরমভাবে কথা বলে। নিরহঙ্কারী। মনেই হয় না যে তারা এমন বড় ঘরের মেয়ে।
সাহেবের বড় মেয়ে নুশা। কিছুদিন পর তার বাচ্চা হবে। ডাক্তার বলেছে মেয়ে বাচ্চা। সে খুবই খুশি। বলেছে, আমার যেদিন বাবু হবে তার আগের দিন কিন্তু তুই আমার সঙ্গে যাবি। হাসপাতাল থেকে সোজা আমার বাড়িতে। এ বাড়িতে আর কাজ করতে হবে না।
নুশার কথা শুনে কুলসুমও খুশি হয়েছিলো। বাচ্চাদের সে খুবই পছন্দ করে। অমন নরম-গরম জীবন্ত পুতুলের মত বাচ্চাগুলোকে কোলে নিলেই বুকের ভেতরটা কেমন শিরশির করতে থাকে। মনে হয় এর চেয়ে সুন্দর আর ভালোলাগার বস্তু পৃথিবীতে কিছু নেই।
বাড়িঅলা রিফাত সাহেব তার মাথায় যখন হাত বুলিয়ে কথা বলেন তখন তার বাবার আদরের কথাই মনে পড়ে। শেষটায় তো তার বাবা আজগর আলি তাকে দুচোখেই দেখতে পারতো না। তাই একদিন সে বললো, সাব, আপনেরে আমার আব্বা ডাকতে ইচ্ছা অয়। আইজ থাইক্যা আপনে আমার ধর্মবাপ।
রিফাত সাহেব অবসরপ্রাপ্ত মেজর। সামরিক আওয়াজে ঘর ফাটিয়ে হাহা করে হেসে বললেন, যে তোকে জন্ম দিয়েছে সে ছাড়া ওয়র্ল্ডের আর কেউ তোর বাপ হতে পারে না।
তাও আপনেরে আমি আব্বা ডাকমু। নাছোড়বান্দার মত বলে উঠেছিলো কুলসুম।
রিফাত সাহেব কিছুক্ষণ কুলসুমের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে কিছু ভাবলেন যেন। তারপর চুপসানো মুখে দৃষ্টি ফিরিয়ে বলেছিলেন, ডাকিস। তোর এতই যখন ইচ্ছে।
তা ছাড়া রিফাত সাহেবের বউও তাকে মা মা করেই প্রায় পাগল বানিয়ে রাখে সারাক্ষণ। মা কুলসুম এটা করতো! মারে এই কাজটা করার আগে কাপড় দুটো ধূয়ে দিতে পারবি? রাত তো অনেক হলো, তোর ঘুমানোর সময়। কিন্তু আমার বাতের ব্যাথাটা বেশ বেড়েছে। একটু বাম লাগিয়ে সেক দিতে পারবি না মা?
এভাবেই তার কাল কাটছিলো কেমন স্বপ্নাচ্ছন্নের মতন।
আগে যে বাড়িটাতে ছিলো, সেই বাড়ির বাপটা যেমন খচ্চর, স্কুল পড়–য়া ছেলেটাও ছিলো তেমনি। বাপ যেমন বন্ধুকে নিয়ে স্ফুর্তিতে মাতে, ছেলেও একদিন এসে বায়না ধরলো, বুয়া আমার বন্ধুরা তোমাকে দেখতে চায়।
কুলসুম অবাক হয়ে বলেছিলো, বন্ধুরা আমারে দেখনের কি হইলো? হ্যারা সব সময়ইত্ত আমারে আইতে যাইতে দ্যাখতাছে।
যে ছেলের নাক টিপলে দুধ বোরোবে সেই ছেলে বলে কি না, বুয়া তুমি বুঝতে পারছো না। এরা অন্যভাবে দেখতে চায়।
সন্দিহান চোখে তাকিয়ে ছিলো কুলসুম। ক্ষণকালের জন্য হলেও যেন ছেলেটির মুখে ইয়াকুব মুন্সির মুখটিই ঝলকে উঠতে দেখেছিলো। আর তখনই রাসেল নামের ছেলেটি বললো, আমরা সামনা সামনি কোনো ন্যুড মেয়ে দেখিনি।
লেখাপড়া জানা না থাকলেও কুলসুম দীর্ঘদিন ধরে বাসাবাড়িতে কাজ করছে। কাজের ফাঁকে কিংবা আড়ালে থেকে অনেক কথাবার্তা শুনেছে। সিনেমা নাটক দেখে দেখে অনেক কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দও তার জানা হয়ে গেছে এতদিনে। তাই রাসেলের কথা শুনে অকস্মাৎ তার কী যে হয়ে গেল, এগিয়ে গিয়ে ধা করে এক থাপ্পড় বসিয়ে দিলো ছেলেটির গালে। আর সঙ্গে সঙ্গেই ইঁচড়েপাকা ছেলেগুলো পঙ্গপালের মত ছুটে এসে হামলে পড়েছিলো তার উপর। একই সঙ্গে আঁচড়ে খামচে, কিলঘুষি আর লাথিতে তাকে মেঝের উপর ফেলে দিয়ে ছিড়ে ফেড়ে শরীর থেকে খুলে নিয়েছিলো যাবতীয় আবরণ।
তারপর যে কি হলো। দীর্ঘ ঘুমের পর যখন চোখ মেললো, হঠাৎ নিজকে হাসপাতালের বিছানায় আবিষ্কার করে অবাক হয়ে গিয়েছিলো সে। বাথরুমের আয়নায় নিজেকে দেখে বুঝতে পেরেছিলো যে, ভাদ্র-আশ্বিন মাসে একটি কুত্তির উপর যেমন চড়াও হয় আট-দশটা কুকুর, তেমনি সেদিনও এক দঙ্গল উম্মত্ত কুকুরই বুঝি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো তার উপর। তারই চিহ্ন রেখে গেছে শরীরের যত্রতত্র। কিন্তু পুরো সুস্থ হওয়ার আগেই তাকে বের হয়ে আসতে হয়েছিলো হাসপাতাল ছেড়ে। দুদিন ভিক্ষেও করেছে। ভিক্ষে কি আর সহজে পাওয়া যায়?
রিকশাঅলারা তার দিকে তাকিয়ে বিশ্রীভাবে হেসে বলে, আমার লগে আয়। খাওন খোরাক ফিরি। ত্যাল-সাবান কাপুড় সব পাবি। মজাও পাবি আর ট্যাকাও পাবি।
কেউ কেউ বিনা কারণেই বলে, এক-শ ট্যাকা দিমু! কিন্তু কোনো কথাই তার বোধগম্য হয় না। আরো যে কত রকম কথা! শেষটায় এ বাড়িতেই তার ঠাঁই হয়েছে। মনে মনে সে ঠিক করেছে যে, যতদিন বাঁচে কিংবা এরা তাড়িয়ে না দেয়, ততদিন আর কোথাও যাবে না। সারা বাড়িতে তার অবাধ বিচরণ। খাওয়া শোওয়া নিয়ে কোনো কথা শুনতে হয় না তাকে। কোন জিনিসটা খাবে তার জন্য আগাম অনুমতি নিতে হয় না কারো কাছ থেকে। এমন বাড়ি তো বলতে গেলে ভেস্তখানা। কোন বেকুব এমন জায়গা ছেড়ে নড়ে?
৩
কুলসুম, ড্রাইভারকে বলতো মা গাড়িটা বের করতে!
কই যাইবেন আম্মা?
নুশার ওখানে। মেয়েটার শরীর নাকি ভালো না। আল্লাই জানে কি হয়েছে! কেউ তো সত্যি কথা বলে না!
কুলসুম সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামে। গাড়ির পাশেই একটি লম্বা টুলের উপর চিত হয়ে শুয়েছিলো ড্রাইভার কাদের। কুলসুম বললো, কাদের ভাই, আম্মায় নাকি নুশা আফার বাইত্যে যাইবো। তোমারে কইছে গাড়ি বাইর করতে।
তারপরই কুলসুম ফিরে আসতে লাগলে পেছন থেকে কাদের বললো, যাও কই? বও না ইট্টু!
কুলসুম ফিরে তাকিয়ে বলে, বইলে অইবো কি?
কাদের পান খাওয়া রঙিলা দাঁত বের করে হাসে। বলে, ইট্টু সুখ-দুখের কথা কইতাম!
আমি নিজের দুঃখেই বাঁচি না! বলে, ফিরে এসেছিলো কুলসুম। কারো সঙ্গে খাজুরে কথা বলা সে পছন্দ করে না। এমনি এমনি দুটো মানুষ বসে কথা বললে কী আরাম বুঝতে পারে না সে। তার তো বরং কথা বলতেই বিরক্ত লাগে। তাই যতটা সম্ভব চুপ থাকতেই পছন্দ করে সে। এমন কি যতক্ষণ কথা বলার প্রয়োজন না হয়, ততক্ষণ কোনো কথাই বলে না।
সন্ধ্যার আগে আগে সে হাতমুখ ধূয়ে রান্নাঘরে গিয়ে ঢুকলো। কিন্তু রান্না করবে কি? সাহেব রাতের বেলা কী খাবেন কথাটা একবার জিজ্ঞেস করে এসেই কাজে হাত দিলে ভালো হবে। তাই সে আস্তে আস্তে ড্রয়িংরুমে যায়। কেউ নেই।
তারপর বেডরুমের দরজায় উঁকি দিয়ে দেখতে পেলো তিনি বিছানায় শুয়ে শুয়ে বই পড়ছেন।
কুলসুম সেখানে দাঁড়িয়েই বললো, রাইতের বেলা আম্মায় নাও আইতে পারে। আফনে কি খাইবেন আব্বা? কি রানমু?
কুলসুমের কথা শুনে রিফাত সাহেব মুখ ফিরিয়ে কেমন অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন। কিন্তু সেই দৃষ্টির সামনে কুলসুম ভেতরে ভেতরে কেমন সংকুচিত হয়ে পড়ে। সাহেব তো এমন দৃষ্টিতে কখনো তার দিকে তাকান না! কিন্তু আজ হলো কি? নারীর সহজাত প্রবৃত্তির বশেই সে ওড়নাটা একবার টানে। যেন আরো কিছু দিয়ে পারলে নিজকে আড়াল করে রাখে ওই দৃষ্টির সামনে থেকে।
রিফাত সাহেব বইটা রেখে উঠে বললেন, কি খাবো?
তারপরই কেমন বিশ্রী একটি হাসি ফুটে উঠে তার সাদা গোঁফের আড়ালে। তিনি আরো এগিয়ে এসে বললেন, আমি কি খাবো এ নিয়ে এত ভাবছিস কেন?
রাইতের কি ব্যবস্থা করমু বুইজ্যা পাইতাছি না।
রিফাত সাহেব আনমনে কিছু একটা ভেবে বললেন, এ নিয়ে পরে ভাবলেও চলবে।
তারপরই বললেন, আচ্ছা দেখ তো অ্যারোসলটা কোথায়?
কুলসুম ঘরের ভেতর ঢুকে কোণার দিকে গিয়ে হয়তো অ্যারোসলের সন্ধান করে। আর তখনই খুব সন্তর্পণে দরজাটা বন্ধকরে ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকে দিলেন রিফাত সাহেব। কিন্তু প্রাকৃতিক আর জন্মগত ভাবেই সংবেদনশীলতা সংযুক্ত মেয়েদের শরীর আগেভাগেই বিপদের আভাস টের পায়। আর তাই দরজা বন্ধ করার শব্দ শুনতে না পেলেও চট করে দৃষ্টি ফেরায় কুলসুম। বিস্মিত কন্ঠে কেঁপে উঠে বলে, আব্বা, দরজা লাগাইলেন যে?
রিফাত সাহেব চকচকে চোখে এগিয়ে যান কুলসুমের দিকে। বলছিলি না কি খাবো? তিনি বিশ্রী ভঙ্গীতে হাহা করে হেসে উঠেন। আজ ঠিক করেছি তোকে খাবো!
দেয়ালের কোণায় আটকা পড়া ইঁদুরের মত কাঁপতে থাকে কুলসুম। তবুও শংকিত কন্ঠে বলে, এইডা কি কইতাছেন আব্বা? আফনেরে না আমি ধর্মবাপ ডাকছি!
তোর ধর্মের গুল্লি মারি! বলেই তিনি শকুনের থাবা বিস্তার করেন কুলসুমের উপর।
কুলসুম তার ধর্মপিতা রিফাত সাহেবের দু পা জড়িয়ে ধরে ডুকরে উঠে বলে, আব্বা, আপনেরে আমি আব্বা ডাকছি। নুশা আপাও তো আপনের মাইয়া! আপনে কি...
কুলসুম কোনো কথা বলতে পারে না। সামরিক যন্ত্র ব্যবহারে কঠিন একটি হাত তার মুখ চেপে ধরে। আর সাঁড়াশীর মত অন্য হাতটি ব্যস্ত হয়ে পড়ে তাকে বেআব্রু করতে।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
মন্তব্য
দারুণ উপমা। কঠিন বাস্তব গল্প।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতা আরো কঠিন। কঠিনতর বলাই সমীচীন। যা লেখনীতে তুলে আনতে লেখকের বিবেকও স্থবির হয়ে পড়ে।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
উপন্যাসকে গল্পাকার দিয়েছেন, মনে হলো...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ধরনটাই এমন। ইচ্ছে করলে উপন্যাসে রূপান্তর করা যায়। কিন্তু পরিণামে পাঠকের ক্ষত বেড়ে যাবে। লেখকও বিক্ষত হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
দুঃখজনক গল্প, বেশ সুলিখিত। ভাল লাগলো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
হুম... খুবই দুঃখজনক। তবে একটা কথা বলব? তাকে আমার একটা দুর্ভাগা মেয়ে মনে হয়েছে... সে ঠিক অ্যাভারেজ নয়, আক্রমণ এবং অত্যাচারের পাল্লা কোনো মেয়ের জীবনে এতটা বেশি হওয়া খুব বেশি ক্ষেত্রে সম্ভব নয়...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মৃদুল, আপনার সঙ্গে আমিও একমত। তবে আমরা যারা খুবই সাধারণ, তারা কখনো গল্পের চরিত্র হই না। কিংবা সংবাদেরও শিরোনাম হই না। আর এই যে মেয়েগুলো এভাবে দিনরাত বলি হচ্ছে, তারাও খুব সাধারণ নয়। নিয়তিকে জয় করার জন্য অবিরাম যুদ্ধ করে যাচ্ছে। বিক্ষত হচ্ছে। কেউ হেরে গিয়ে বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ।
সবাই তো তসলিমার মত কলম ধরতে পারছে না বা নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারছে না। তসলিমা নাসরিনের ভাষ্য অনুযায়ী তার শরাফত মামাই তাকে প্রথম নষ্ট করে।
তা ছাড়া গড়পরতা মেয়েগুলো বেশিরভাগই নিয়তি বলেই সবকিছু মেনে নিয়ে চুপ করে থাকে। তাদের কথা আমাদের গোচরে আসে না।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
নতুন মন্তব্য করুন