অসুন্দরবন নামে এক জঙ্গল ছিলো আর সেখানে বাস করতো দুটি হরিণ। আল্লাপাক তাদের উপর ট্যাবু আরোপ করায় জঙ্গলে বাঘ থাকার পারও এই হরিণদ্বয় পালাক্রমে জঙ্গল পরিচালনা করতো যদিও তাদের মধ্যে কথা তো দুরের কথা মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিলো। যদিও মাঝে মাঝে কিছু নাস্তিক বাঘ আল্লাপাকের ট্যাবু অস্বীকার করে জঙ্গল শাষনের চেষ্টা যে করেনি তা নয় কিন্তু জঙ্গলের বেশিরভাগ প্রানী আস্তিক হওয়ায় সে চেষ্টা খুব বেশি দিন সফল হয়নি। হরিন-১ এর ছেলেমেয়েরা জঙ্গলে থাকতে পছন্দ করে না তাই তাদেরকে লোকলয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে মা হরিণটা উদ্দেশ্য সভ্যতা শেখা ও রুটিরুজির নিশ্চয়তা। অন্যদিকে মা হরিণ-২, তার দুই ছেলেকে ঠিকমতো মানুষ স্যরি হরিন করতে পারেনি।
পালাক্রমে হরিণ-২ জঙ্গল শাষনের দায়িত্বে। এসময় এই হরিণের বড়ছেলে জঙ্গলের কিছু দুষ্টু ও নিচু জাতের হরিণ, শেয়ালের সাথে মিশে জঙ্গলের মধ্যে দুষ্টামি শুরু করলো। কোন কাঁঠবিড়ারি যদি জঙ্গলে নতুন গাছ লাগায় তবে বড় ছেলেকে ভাগ দিতে হয়, কোন বানর যদি গর্ভবতি হয় তাহলে কম করে হলেও একহালি কলা নজরানা দিতে হবে এমনকি ভাল্লুক যদি চুল বড় রাখতে চায় তাহলেও চাঁদা দিতে হবে।
অসুন্দরবনে ছিলো একদল হায়েনা যারা আবার দুই রঙে বিভক্ত হয়ে ঐ দুই মা হরিণের চামচামি করতো। যেমন, হরিণ-২ এর শাষন আমলে কালো কুমিরের সাথে ক্রসফায়ারে কোন পশু মারা গেলে তারা (গাড় কালো রং দল) বলতো মানবাধিকার স্যরি পশুঅধিকার লংঘন হয়েছে আবার হরিণ-১ এর শাষণ আমলে জেলহাজতে কোন বাদুর মারা গলে তার লজ্জাস্থান শুকে দেখতো তারে শারিরিক নির্যাতন করা হয়েছে কিনা, যদি সামন্য গন্ধ পাওয়া যায় তাহলেই সবাই নাম উল্লেখ করে (হালকা কালো রং) নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিতো যাতে দৈনিক পত্রিকায় নাম উঠে।
আসল কথা বলতেই ভুলে গেছি, ঐ জঙ্গলে আবার গুনাহতন্ত্র নামের অদ্ভুদ এক শাষণ ব্যবস্থা ছিলো, যে ব্যবস্থায় নির্ধারণ করা হতো সামনের ৫ বছর কোন মা হরিণ দেশ চালাবে। একবার ঐ দুই হরিণের মধ্যে মারাত্বক ঝগড়া শুরু হলো - কে সামনের বার কে দেশ চালাবে সেটা নিয়ে। অবস্থা খুবই বেগতিক- তোতা পালি পেঁচা কে, শালিক গুই সাপ কে, হরিন হারিণকে মারতে লাগলো আর এই সুযোগে বাঘ নিয়ে নিলো দেশ শাষণ করার ইজারা। মুখ থুবড়ে পড়লো গুনাহতন্ত্র।
মজার ব্যাপার হলো নাস্তিক বাঘ ক্ষমতা নিয়েই দুই মা হরিন ও তাদের বাচ্চা কাচ্চা দের জেলে ভরলো (লোকলয়ে থাকায় এক হরিণের বাচ্চারা বোঁচে গেলো)। এমন কি হরিণ-২ এর দুষ্টু বড় ছেলের মেরুদন্ডের একাধিক হাঁড় ভেঙ্গে দিলো, বাঁচা কি মরা অবস্থা তার এখন।
এতক্ষন পেনপেনাইলাম যে কারণে তা হলে ঐ হায়নার দল এখন চুপচাপ, একটা কথাও বলে না, মানবাধিকার স্যরি পশু অধিকার দুরের কথা এখন তারা বাঘের চামচামি করে দিন কাঁটায়। আল্লাপাকের দেওয়া ট্যাবু না মেনে নানা ধরণের জঙ্গল শাষনের ফরমুলা দেয়। তবে জঙ্গলের বেশির ভাগ পশুই জানে হারিণ- ১ কিংবা ২ আবার শাষনের দায়িত্ব পেলে তারা আবার দলে দলে এই দুই হরিণের আচল তলে ফিরে আসবে।
প্রিয় পাঠক সঠিক উত্তরটির পাশে টিক চিহ্ন দিন।
প্রশ্ন ১. কে বেশি খারাপ?-
(ক) হরিণদ্বয় (খ) বাঘ (গ) হরিণের বাচ্চা (ঘ) হায়েনা (ঙ) বানর
মামুন-উর-রশীদ
মন্তব্য
আমার মতে সবচেয়ে খারাপ হায়েনা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
কেউ কারো চাইতে কম যায়না।
-------------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমারও তাই মনে হয়, ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
নতুন মন্তব্য করুন