আমাদের এই সমাজেই একসময় মেয়ে শিশু জন্ম নিলে নানী-দাদী এমনকি মা পর্যন্ত কান্নায় ভেঙে পড়তো, বাবা মুখ বেজার করে বসে থাকতো। মেয়ে শিশু মানে সম্ভাবনাহীনতা, আর ছেলে শিশু অপার সম্ভাবনার আধার। এই জায়গাটিতে হয়তবা ধারণার কিছুটা পরিবর্তণ হয়েছে, কিন্তু এখনও বিপুল সংখ্যক মানুষ মেয়ে শিশুর জন্মকে অনাহুত মনে করে। পেছনে যৌক্তিক কারণ না থাকলেও এটা তাদের আকাঙ্ক্ষা। সম্ভবত এই দৃষ্টিভঙ্গীকে বাঁচিয়ে রাখছে অনেককালের সামাজিক অভ্যাস বা পুরনো ধ্যান-ধারণাকে লালন করার প্রবণতা ও নারীর স্বাধীন মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার প্রতি সমাজের প্রতিকূল অবস্থান। অনেক মা-ই চায় না, সে যেসব আচরণের সম্মুখীন হয়েছে তার সন্তানও সেসব আচরণের স্বীকার হোক। আপাত দৃষ্টিতে এই ধারণাকে যৌক্তিক মনে হলেও এটি অনেকগুলো অন্যায় ও অসম আচরণের জন্ম দেয়। যেমন, লিঙ্গনির্দিষ্ট গর্ভপাত (জন্মের পূর্বেই ভ্রূণ অবস্থায় আধুনিক প্রকৌশলের মাধ্যমে লিঙ্গ নির্ণয় করে মেয়ে ভ্রূণের গর্ভপাত ঘটানো) যা চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিনপূর্ব এশীয় কয়েকটি দেশ ও ভারতের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলের রাজ্যগুলোতে ব্যাপকতা লাভ করেছে। আবার জন্মের সময় যে মুখ ভারের শুরু, ওই মেয়েটিকে তার জের টানতে হয় সারা জীবন। তার প্রতি বিরূপ ও বৈষম্যমূলক আচরণেরও শুরু এখান থেকেই। এরপর বাইরের বৈরি আচরণগুলো তো আছেই; যেসব অন্যায় আচরণে অতীষ্ঠ হয়ে অনেককে আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে দেখা যায়।
অমর্ত্য সেন দেখিয়েছেন, যেসব সমাজে খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ দেখা যায় না সেখানে নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেড়ে যায়। জীববৈজ্ঞানিক নিয়ম অনুসারেই এটি ঘটে। কারণ, নারীর তুলনায় পুরুষের বয়সভিত্তিক মৃত্যুহার বেশি। যদিও পৃথিবীর সবখানেই মেয়ে শিশুর থেকে ছেলে শিশু বেশি জন্ম নেয়, তবু সমান সুযোগ-সুবিধাগুলো ভোগ করলে বিভিন্ন বয়স-বর্গে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে, ফলে মোট জনসংখ্যায় নারীর সংখ্যাধিক্য তৈরি হয়। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় নারী-পুরুষের অনুপাত ১০৫:১০০; কারণ, সেখানে এধরণের কোনো বৈষম্য নেই। আবার যেসকল স্থানে এই বৈষম্য প্রকট সেখানে এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়। যেমন, আমাদের এই উপমহাদেশ বা চীন, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, ইত্যাদি। বাংলাদেশে এই হার ১০০:১০৬। এদেশে মেয়ে শিশু এবং নারী উভয়েই খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিচর্যা সবক্ষেত্রেই বৈষম্যের স্বীকার হয়। ফলে মোট জনসংখ্যায় নারীর ঘাটতি দেখা যায়। উপরোক্ত বৈষম্যমূলক আচরণ প্রতিটি বয়স-বর্গে নারীর মৃত্যুহার বাড়িয়ে দেয়। এইভাবে নারীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পেছনে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার ভূমিকা নেই, রয়েছে সামাজিক আচরণ ও দৃষ্টভঙ্গীর দৈন্যতার ভূমিকা। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ আফ্রিকার নিম্ন সাহারা অঞ্চল। সেখানকার মানুষ প্রচন্ড দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করলেও এই বৈষম্যগুলো না থাকায় নারীর সংখ্যাধিক্য রয়েছে, যার অনুপাত ১০২:১০০।
বৈষম্যপূর্ণ জনগোষ্ঠীতে নারীর আপেক্ষিক ঘাটতিকে অমর্ত্য সেন নিখোঁজ নারী তত্ত্ব হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। এই ঘাটতির প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করার জন্য তিনি একটি সূত্রও দিয়েছেন। এই সূত্র অনুযায়ি নিম্ন সাহারা অঞ্চলের সংখ্যানুপাতকে (১০২:১০০) মানদন্ড ধরে যেসব অঞ্চলে খাদ্য, পুষ্টি, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে সেসব অঞ্চলের অনুপাতের পার্থক্যসূচক সংখ্যাটিকে নির্ণয় করা হয়। এটির মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের নিখোঁজ নারীর সংখ্যা নির্ণয় করতে পারি। বাংলাদেশে ১০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৯৪.৩ জন নারী রয়েছে। যার অর্থ হলো বাংলাদেশে পুরুষদের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ নারীর আপেক্ষিক ঘাটতি রয়েছে। এই হিসেবে ২০০১ সালে এদেশে নিখোঁজ নারীর সংখ্যা ছিলো ৩১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪ শত ৪৮ জন। আর ১৯৮৬ সালেই ভারতে নিখোঁজ নারীর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৭০ লক্ষ, চীনে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ, সারা পৃথিবীতে প্রায় ১০ কোটি। এ সংখ্যা প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীরা নানা ধরণের বৈষম্যের স্বীকার হয়। তাদেরকে মেরুদন্ডহীন করার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি প্রানে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে বৈষম্য বিভিন্ন দেশে মারাত্মক আকার লাভ করেছে, তা ওপরের নিখোঁজ নারীর সংখ্যা থেকেই অনুমান করা যায়। বহুল প্রচলিত ও আলোচিত খাদ্য, পুষ্টি, পরিচর্যা ও চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে বৈষম্যের সাথে নতুন এক মাত্রা যুক্ত হয়েছে, তার নাম লিঙ্গ নির্দিষ্ট গর্ভপাত। যেসব স্থানে এই নব্য সামাজিক অসুখটি বাসা বাঁধেনি, সেখানে প্রতি ১০০ ছেলে পিছু ৯৫ জনের মত মেয়ে জন্ম নেয়ার কথা। যেমন, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় এই ধরনের প্রবণতা খুব একটা নেই বলে জন্মহারের অনুপাত এরকমই আছে। জীববৈজ্ঞানিক নিয়ম অনুসারেই গর্ভধারণের ক্ষেত্রে স্ত্রী ভ্রূণের চেয়ে পুরুষ ভ্রূণ ধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু সেটি কখনই মাত্রাহীন হয় না, অর্থাৎ ১০০ ছেলে পিছু ৯৫ বা এর খুব কাছাকাছি থাকে । চীনে ১০০ জন ছেলে পিছু মেয়ে জন্ম নেয় ৮৬ জন, দক্ষিন কোরিয়ায় ৮৮, তাইওয়ান ও সিঙ্গাপুরে ৯২ জন। আর ভারতে ১৯৯১ সালে ৬ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে ৯৪.৫ জন (যা ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার কাছাকাছি) হলেও ২০০১ সালে এটি ৯২.৭ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। একে লিঙ্গ নির্দিষ্ট গর্ভপাত বা শিশু জন্ম সংক্রান্ত বৈষম্যের ফল হিসেবে ধরা যায়।
যেসব দেশে লিঙ্গ-নির্ভর গর্ভপাতের প্রচলন নেই ও সেইসাথে শিল্পোন্নত; যেমন ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা, এদের অনুপাতগুলোর সাথে অন্যান্যদের তুলনামূলক বিচার করা যায়। শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে ১০০ জন ছেলে পিছু মেয়ের সংখ্যা জার্মানিতে ৯৪.৮, যুক্তরাজ্যে ৯৫ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৯৫.৭ জন। অমর্ত্য সেন জার্মানির ৯৪.৮ কে মান্যবিন্দু ধরে অন্যান্যদের তুলনামূলক বিচার করেছেন। মেয়ে শিশুর সংখ্যা এর কম হলে লিঙ্গনির্দিষ্ট গর্ভপাত বা অন্যান্য বৈষম্যমূলক উপাদানগুলো যথেষ্ট কার্যকর আছে বলে ধরে নেয়া যায়।
এক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের অবস্থানকে বিশ্লেষণ করতে পারি। এদেশে শূন্য থেকে ৪ বছর বয়সীদের ভেতর ১০০ জন ছেলে শিশুর বিপরীতে ১৯৮১ সালে যেখানে ৯৮.৫ জন মেয়ে ছিল, ২০০১ সালে সেটি ৯২.২ জনে এসে দাঁড়ায় এবং এই ২০ বছরে অনুপাতটির ক্রমাবনতি লক্ষ্য করা যায়। এটি জার্মানির মান্যবিন্দুর (৯৪.৮) থেকে যথেষ্টই কম, এমনকি ভারতের চেয়েও কম। যদিও জন্মের ক্ষেত্রে ১৯৯০ সালের ১০০ জন ছেলে পিছু ৯৪.৬ জনের স্থলে ১৯৯৬ সালে ৯৮.৪ জন মেয়ে শিশু জন্ম নেয়। কিন্তু পরবর্তী বছরগুলোর লিঙ্গভিত্তিক তথ্য না পাবার কারণে এটি বিশ্লেষণ করা কিছুটা দূরুহ। তবে এই বছরগুলোতে শহরাঞ্চলে অনুপাতের ক্রমাবনতি সন্দেহকে বাড়িয়ে দেয়, ১৯৯১ সালে যেটি ৯৪.৬ ছিলো, ১৯৯৬ সালে সেটি ৯০.৪ এ এসে দাঁড়ায়, যা মান্যবিন্দুর অনেক নিচে, সেইসাথে শূন্য থেকে ৪ বছর বয়সীদের ক্রমাবনতি তো রয়েছেই। বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, এই বৈষম্য বাংলাদেশে প্রবল ও প্রকট হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে আশংকাজনক পর্যায়ে চলে গেছে।
বাংলাদেশে মেয়েদের গড় আয়ু পুরুষদের তুলনায় বেড়ে গেলেও মোট জনসংখ্যায় তাদের বিরাট ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। শূন্য থেকে ৪ বছর বয়সীদের মধ্যে মেয়ে শিশুর সংখ্যার ক্রমাবনতি, শহরাঞ্চলে মেয়ে শিশুর জন্মহারে আনুপাতিক হ্রাস ও শিশুদের মধ্যে মেয়েদের মৃত্যুহার বেশি থাকা নারীর প্রতি জন্মসংক্রান্ত ও বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে বৈষম্যের প্রমান হিসেবেই হাজির হয়। অন্যান্য বৈষম্যের পাশাপাশি বেঁচে থাকার বৈষম্যের (খাদ্য, পুষ্টি, পরিচর্যা, চিকিৎসা, ইত্যাদি) সাথে যুক্ত আধুনিক এই জন্মসংক্রান্ত বৈষম্য (লিঙ্গনির্দিষ্ট ভ্রূন হত্যা) সামাজিক এক নতুন ব্যাধির নাম। এই ব্যাধি যাতে বাসা বাঁধতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরী, সেইসাথে পুরনো ব্যাধির বাসাগুলোও ধ্বংস করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
খালিদ
মন্তব্য
আসলেই অসাধারণ পর্যবেক্ষণ। ডিটেইলে যাবার সামর্থ্য নেই আমার, তবে একটা কথা শেয়ার করতে পারি : এই কোটি কোটি অনুপস্থিত নারীরা কি এক নিরব রক্তপাতহীন গণহত্যার শিকার নয়?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
অবশ্যই গণহত্যার শিকার। আমাদের জরাগ্রস্ত মানসিকতার ফসল এসব। এটি কেবল ব্যাক্তিগত ব্যাধি নয়, সামাজিক। সব ধরনের ভ্রূণ হত্যা যদি বন্ধ করা না যায়, তবে লিঙ্গনির্দিষ্ট ভ্রূণ হত্যাও ঠেকানো যাবে না। কারণ, এই ক্ষেত্রে এতটাই গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়, কোনো ধরণের উপাত্ত সংগ্রহ করা ভীষণ মুশকিলের ব্যাপার।
লেখাটি ভালো লাগলো।
-----------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এইভাবে তো কখনো দেখা হয় নি। সত্যি এই ভয়ানক ব্যাধির নিরাময় জরুরি।
এই লেখাটার তথ্যসূত্র উল্লেখসহ একটা বিজয় ফন্টে লেখা ভার্সন আমাকে দিতে পারেন?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
অবশ্যই দেয়া সম্ভব, আশা করি আগামীকাল পেয়ে যাবেন।
উঁচুমানের লেখা।
তথ্যসূত্র লেখাটিকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
---
দৃষ্টি আকর্ষণ: শিরোনামে 'প্রেক্ষিত' কথাটি ভুল। বাংলা ভাষায় প্রেক্ষিত বলে কোনো কথা নেই। এটি সম্ভবত 'পরিপ্রেক্ষিত' হবে।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
না বিপ্লব ভাই, প্রেক্ষিত সঠিক শব্দ। এর সঙ্গে পরিউপসর্গ যুক্ত হয়েছে। যেমন সীমা-পরিসীমা, জন-পরিজন ইত্যাদি। মূল শব্দটা এখানে প্রেক্ষিত, সীমা, জন...
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ইংরেজি Perspective -এর বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে আমরা প্রেক্ষিত ব্যবহার করি। Perspective Plan -কে বাংলায় বলা হয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা।
কিন্তু বিপ্লব অন্য একটা ভুলের কথা এখানে বলেছেন। কোনো বিষয়ে, বা সম্পর্কে বুঝাতে আমরা যে পরিপ্রেক্ষিতে - শব্দ ব্যবহার করি সেটা অনেকেই ভুলে প্রেক্ষিতে লেখেন। যেমন অনেকে ভুল করে বলেন আপনার দরখাস্তের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে...। আসলে হবে দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে।
এই লেখার ক্ষেত্রে প্রেক্ষিত শব্দটির প্রয়োগ ঠিক আছে। পোস্টটিও ভালো। তবে ব্লগে এরকম লেখার হয়তো পাঠক কম।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ভাল লেখা । ধন্যবাদ।
উপাত্ত সংগ্রহ কঠিন বলে ভ্রূণহত্যা বন্ধ করলে কিন্তু মেয়েদের এ্যাবর্শন রাইটের ব্যাপারটিও ব্যাহত হবে। সেটার চাইতে সামগ্রিকভাবে মেয়েদের ব্যাপারে সামাজিক প্রেক্ষণ বদল করার যে চেষ্টা করা হয়, সেটিই বোধ হয় দূরদর্শী পরিকল্পনা।
স্নিগ্ধার সাথে একমত।
ভ্রূণহত্যা বন্ধ করবার জন্যে আসলে কোনো আইনের দরকারই নেই, যদি মেয়েদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিটা বদল করা সম্ভব হয়। সমাজ যদি নারীকে সমান চোখে দেখে, ঊনমানুষ মনে না করে, বৈষম্য-বঞ্চনার দিকে ঠেলে না দেয়, তাহলে মেয়েভ্রূণ হত্যার প্রয়োজন বোধ করবে না কেউ। তাতে নিখোঁজ নারীর সংখ্যাটি এমনিতেই কমে আসবে।
................................................................
সবকিছু নষ্টদের অধিকারে গেছে
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
অসাধারন লেখা খালিদ ভাই ।
ধন্যবাদ @স্নিগ্ধা এবং @মুজিব মেহেদী সঠিক জায়গাটি ধরিয়ে দেবার জন্য। নৈতিক জায়গা থেকে বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু কম্প্লেক্সিটি ছিলো। এই লিংকে ভালো ব্যাখ্যা পেয়েছি।
ধন্যবাদ আবারো।
খালিদ ভাই,
বিশ্লেষণ চমতকার। লেখার হাত পাকছে। আরো লেখা চাই।
We need to question ourselves- do we treat our wife in the same manner? The wife is the mother of your son – who is learning from his father. So, for any change we have to start from home. Te child observe that when his mother comes from office she starts another job – looking after the child, preparing food and other house hold work but the father relax with a cup of tea in front of TV. The child will follow the same. So, we should change ourselves sincerely in our every small action.
নতুন মন্তব্য করুন