উনিশ শতকে একজন বন্ধু ছিল আমাদের
আজন্ম ক্ষয়রোগ ছিল তার
হৃদয়ক্ষয়ের রোগ।
চেষ্টার কমতি ছিল না আমাদের
আমরা ভালবাসার তেজপাতা বেটে খাওয়াতে চেষ্টা করেছি
মুখ ভরে দিতে চেয়েছি স্নেহের মিষ্ট পনির
কিন্তু দুভার্গ্য আমাদের
সেসব একেবারেই গ্রহনের সামর্থ্য ছিল না তার।
অদৃশ্য আয়নায় আমরা দেখতাম তার হৃদয়
অসংখ্য অবিশ্বাসের কীট ছিল সেখানে
ছিল পঁচে যাওয়া হৃদয়ের গ্লাস গ্লাস নিকোটিন ।
আমাদের বন্ধু প্রেমকে ভাবতো কাম
অনুরাগকে আত্নসিদ্ধির কৌশল
যে সকল মেয়ের গলা থেকে শুরু হয় স্তন
তারাই বড় প্রিয় ছিল তার
প্রিয় ছিল অন্ধকারে হামা দেয়া নারীরাও।
আমাদের বন্ধুটি ছিল বড় একরোখা
রক্ত ও পানিকে সে কখনও আলাদা করে দেখে নি
শিশু আর বৃদ্ধও নাকি এক ছিল তার কাছে ।
আমরা চেষ্টা করেছিলাম অনেক
কিন্তু আফসোস
হৃদয়ক্ষরনের রোগ কখনও সারানো যায় না ।
---------------------------------
যান্ত্রিক
মন্তব্য
হৃদয় ক্ষরণের একমাত্র ওষুধ আরেকটা হৃদয়ে ক্ষরণ তোলা...
জড়িবাড়ি পাতায় কি সে রোগ ছাড়ে?
০২
অন্যপ্রসঙ্গ:
ভাইজান নিজের নামটা দয়া করে কবিতার উপরে দেবেন
আমরা বাঙালরা কবিদের নাম লেখার উপরে আর কেরানিদের নাম লেখার নিচে দেখে অভ্যস্থ
খুব সুন্দর, খুব অন্যরকম!!
ভাল লেগেছে...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
বাহ, ভালো লাগলো খুব! পুরোপুরি ভিন্ন স্বাদের।
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
নতুন মন্তব্য করুন