----------যান্ত্রিক--------------------
আসছিলাম বড়লোকদের পাড়া থেকে
বড়লোকদের ব্যালকনীতে বিদেশী ফুলের সাজানো টব থাকে
ফটকের শ্বেতপাথরে বড়লোকের নাম আর ধাম
ভেতরে ঘেউ ঘেউ করা বিদেশী কুকুরও থাকে দু-চারটা
খয়েরী পোষাকের স্বদেশী বেড়াও আটকে থাকে বড়লোকের দেয়ালে দেয়ালে
ভালই লাগে , বড়লোকেরা যেন একেকজন একেকটা রাজ্য
মানুষ আর কুত্তা দিয়ে পাহারা দিতে হয় প্রতিনিয়ত ।
বড়লোকদের ভেতরটা( ভেতর আছে নাকি আবার বড়লোকের!) মানে ওনাদের বাড়ীর ভেতরটা কেমন হয়
দেখা হয়নি কখমও
একবার দিতে পারে যদি কেউ খোঁজটা কৃতজ্ঞ থাকি-
তার আগে তাই বড়লোকদের পাড়ায় গেলে বহিরাংশটাই দেখতে হয়
খারাপ লাগে না , তেনাদের সাথে মিশছি , না মানে তেনাদের ঘরবাড়ীর সাথে মিশছি
নিজেকেও তাই বড়লোক মনে হয় ।
অদ্যও বড়লোকদের পাড়া থেকে আসতে তাই খারাপ লাগে নাই ।
তেনাদের একজনের বাড়িতে কয়েকটি বড়লোক গাড়ি দেখি
উপরে সিলিং ফ্যান -
বাতাস দিতেছে বোধহয় তেনাদের গাড়িদের
ফুলাহাতা শার্টে ঘামতে ঘামতে গাড়ি মহাশয়গনের
(যেসব গাড়িগন অবসরে বাতাস খান তারা তো মহাশয়ই নাকি!)
বাতাস খাওয়া দেখি , এনারা ভালই আছেন।
মন্তব্য
যথাযথ নামকরণ!
আবারো একটা সুন্দর কবিতা
চালিয়ে যান।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
নতুন মন্তব্য করুন