[আমি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ।
পেশাগত কারনেই আসল নাম উহ্য থাকল । এলেখায় কোন দাপ্তরিক তথ্য কিংবা মতামত থাকবেনা। এটি একান্তভাবেই আমার ব্যক্তিগত দিনলিপি ]
----------------------------------------------------
সম্ভবতঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের কাছেই লাইবেরিয়া নামের দেশটি তেমন পরিচিত নয় । কিন্তু এই প্রায় অচেনা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান
থেকে শুরু করে রাস্তায় দাঁড়ানো তিন বছরের শিশুটি পর্যন্ত বাংলাদেশকে চেনে । শুধু চিনে বলবো কেনো, তারা বাংলায় কথা বলতে ও জানে!
বিশ্বাস করুন আপনি যদি লাইবেরিয়ার রাস্তা দিয়ে হাঁটেন আর লোকজন জেনে যায় আপনি বাংলাদেশের মানুষ তাহলে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ'
শ্লোগানে আপনার কানে তালা লাগার জোগাড় হবে ।
না , আমি লাইবেরিয়া দেশটি নিয়ে তেমন কিছু লিখতে যাচ্ছিনা । চাইলে যে কেউ গুগলে সার্চ মেরে আমার থেকে বেশী জেনে নিতে পারেন।
আমি শুধু লিখতে চাইছি দেশ থেক বহুদূরে নির্বাসিত একজন সৈনিকের অনুভূতি,তার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া অনেক টুকরো টুকরো ঘটনা ।
এই প্রথম আমার দেশের বাইরে আসা । শুধু কি তাই? এই প্রথম আমার বিমানে চড়া( প্রশিক্ষনকালীন যুদ্ধ বিমান ছাড়া) । এই সুযোগে এক চাল্লু বন্ধু আমাকে উপদেশ দিতেও কার্পণ্য করেনি যেনো বিমানে বসে জানালা দিয়ে বাইরে হাত বের না করি ।
এই লেখাটা যখন লিখছি তখন খবর পেলাম আজ সকালে আমাদের একজন সৈনিক মারা গেছেন এখানকার হাসপাতালে ।
একজন সৈনিক একজন মানুষ, একজন মানুষকে ঘিরে একটি পরিবার-তার মা,বাবা,ভাই,বোন, স্ত্রী,পুত্র-কন্যা । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর একটা
লেখার কথা মনে পড়ে- মানুষের মৃত্যু অনেকটা পুকুরে ছোড়া ঢিলের মতো । ঢিল ছুঁড়লে যেমন কেঁপে উঠে জল,ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে
তেমনি একজন মানুষ মারা গেলে তাকে জড়িয়ে থাকা অন্য মানুষেরা কেঁপে উঠে,শোক ছড়িয়ে পড়ে '
আমার মনে আছে আমাদের আসার দিন এই সৈনিককে বিদায় জানাতে এসেছিলেন তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী । সৈনিকটি নিশ্চয় তার স্ত্রীর হাত ধরে
আশ্বাস দিয়েছিলেন- মাত্র তো একটা বছর!
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আনন্দ তিনি শেয়ার করেছিলেন আমাদের সবার সাথে । হায়, স্ত্রীর কাছে তার ফেরা হলোনা, হলোনা সন্তানের মুখ দর্শন
প্রচন্ড জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঈদের দিন । আজ চলে গেলেন ।
হয়তো আগামী কাল বাংলাদেশে পত্রিকার এক কলামে ছাপা হবে খবর- লাইবেরিয়ার শান্তিমিশনে বাংলাদেশের সৈনিকের মৃত্যু ।
মন্তব্য
ভাই, পরের পর্বের জন্য অধীর অপেক্ষায় রইলাম।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার মনে আছে আমাদের আসার দিন এই সৈনিককে বিদায় জানাতে এসেছিলেন তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী । সৈনিকটি নিশ্চয় তার স্ত্রীর হাত ধরে
আশ্বাস দিয়েছিলেন- মাত্র তো একটা বছর
কি বলি ? কি বলার থাকতে পারে ??
সেনাবাহিনীর এই কঠিন জীবনের পরেও আপনি ব্লগিং করছেন দেখে আনন্দিত হলাম । আশা করি লেখা চালিয়ে যাবেন ।
--------------------------------------------------------
কারা যেন চলে গেছে দূরে...বহুদূরে..আর ফিরবে না জানি । কোন কারন ছাড়াই , কোন যুক্তি ছাড়াই চুপচাপ হয়ে গেছে সারিবদ্ধ প্রাণ গুলো । জানি , আমাকেও আসতে হবে এই বিষন্ন নগরীতে..একদিন.. কোনদিন --মলাগোফরুমা
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
সৈনিকের শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্যে গভীর সমবেদনা জানাই।
আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
হাঁটুপানির জলদস্যু
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। শুধু "অতিথি" না থেকে একটা ছদ্মনাম নিয়ে নিন। সেক্ষেত্রে আপনার লেখাগুলো অনুসরণ করা সহজতর হবে।
লেখকের নাম উল্লেখ করাটা সঙ্গত কারনেই যেহেতু সম্ভব হচ্ছে না , তাই একটি ছদ্মনাম নিতে পারেন পছন্দ মতো ।
শুভ কামনা ।
লেখার স্মার্ট ভঙ্গিটি ভালো লাগলো। আপনার সহকর্মী-বন্ধুটির মৃত্যুর খবরটিতে বিষণ্ণ বোধ করছি। সুনীলের উদ্ধৃতিটি জানান দিচ্ছে আপনি গড় সৈনিক নন।সচলায়তনে আপনার আরো লেখা পড়ার জন্যে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করবো।
লাইবেরিয়ার মানুষজন বাংলাদেশকে এতো ভালোবাসে জেনে খুবই খুশি হলাম।আপনাদের জন্যে শুভকামনা।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
হৃদয়স্পর্শী লেখা। অনেক ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা ।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
ব্লগিং জগতে স্বাগতম...
আপনার সদ্যপ্রয়াত সহকর্মীর প্রতি শ্রদ্ধা রইল...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
http://biprodhar.com
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
অফেনসিভ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন
মন্তব্যের কনটেন্ট অপ্রকাশিত করা হল
__________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ
_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ
আপনার পরবর্তি লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার সহকর্মীর জন্য গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি...
কল্পনা
.............................................................................................
সব মানুষ নিচের জন্য বাঁচেনা
আপনাকে স্বাগতম।
তবে শুরুতেই পরিচয়ের কোন প্রয়োজন ছিলো বলে আমার মনে হয়না, লেখার মাধ্যমেই ধীরে ধীরে লেখক সত্বা খুঁজে পাবার মজাই আলাদা। এই বিষয়টা হয়তো প্রোফাইলে থাকলে ভালো লাগবে। যাই হোক আপনি নতুন , সেকারনে হয়তো এমনটা হয়েছে।
আমারও একই অনুরোধ একটা ছদ্ম নাম নিয়ে লিখুন।
আপনার পেশার বৈচিত্রময় অভিজ্ঞতা জানার আগ্রহও আছে। শুনেছি লাইবেরিয়ায়রা বাংলায় গানও গাইতে জানে, এক টিভি রিপোর্টে দেখেছি এক সেণা ক্যাম্পে লাইবেরিয়ান সৈণিকরা বাংলা গান পরিবেশন করছে।
পরবর্তী দিনলিপির অপেক্ষায় থাকলাম।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
বেনামীটাও একটা নাম হতে পারে
অভিনন্দন সচলে
০২
আপনাকে এখানে পেয়ে ভালো লাগছে
অনেকগুলো বিষয়ে নতুন নতুন লেখা পাওয়া যাবে
লেখার বিষয়বস্তু পড়ে মনে হলো, শুরুতে লেখকের নিজের পরিচয় দেয়াটা অপ্রয়োজনীয় হয়নি। ঠিকই আছে।
লেখককে অনুরোধ করি, একটা ছদ্মনাম নিয়ে লিখে যান আপনার দিনলিপি। স্বাগতম আপনাকে সচলায়তনে।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
নিহত সৈনিকের প্রতি শ্রদ্ধা।
ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
আপনাদের সবার মন্তব্য আমাকে আরো লেখার প্রেরণা জুগিয়েছে।আমি লিখবো আমার দিনলিপি,আপনাদের ভাল লাগা, একজন নতুন লেখক হিসাবে আমার জন্য সব চেয়ে বড়ো প্রাপ্তি।আমাকে এই ছদ্ধনামেই দেখতে পাবেন,আবারো ধন্যবাদ সবাইকে।
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
যুবরাজ, আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করি। সচলে দিনে একটির বেশি লেখা দেবেন না। আপনার লেখাগুলি সঞ্চিত থাকুক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ব্লগিং জগতে স্বাগতম।
আমার অনেক বন্ধুকেই দেখেছি একসময় দারুণ লিখতো কিন্তু সৈনিক জীবনের ব্যস্ততা কিংবা পেশাগত কারনে লেখা ছেড়ে দিয়েছে। ঢাকা কলেজে থাকতে আমরা একটা হাতে লেখা সাহিত্য পত্রিকা বের করেছিলাম, তার সম্পাদক মহাশয়ও সৈনিক জীবন বেছে নেবার পর আর লেখে নি। সবাই লেখা ছেড়ে দেয়, কখনো উল্টোটা হতে দেখেনি।
আপনাকে অভিনন্দন, আপনি লেখা ছাড়েন নি।
** লিখতে থাকুন। আপনার লেখা ব্লগকে সমৃদ্ধ করবে, সন্দেহ নেই। অন্য কোনো কারণ নেই, কেবল আপনার লেখা পড়েই আমার এ ধারণার জন্ম হয়েছে।
নিকের জন্য আপনাকে জাঝা
হিমু ভাই,বুঝতে পেরেছি।
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
আমাদের একজন তরুণ গল্পকার রাশিদা সুলতানা আছেন দারফুরে, একটি শান্তিরক্ষা মিশনে। ওখানে থেকেও তিনি নিয়মিত লিখছেন, গল্প এবং রোমহর্ষক সব অভিজ্ঞতা। আপনিও লিখতে থাকুন। লেখার শক্তিতে সচলায়তনের যুবরাজ হয়ে উঠুন।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
চালু।
অপেক্ষায় থাকিলাম।।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আপনার অনুভুতি কখনো কখনো আমাদেরও। সচলায়তনে স্বাগতম।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
হৃদয়স্পর্শী লেখা। অনুভুতিকে অতি গাঢ় ভাবেই ছুঁয়ে যায়।
আপনাকে স্বাগতম!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আমি মনে হয় চিনতে পারছি আপনাকে। সচলে স্বাগতম।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
সৈনিক এর পরিবারের প্রতি সমবেদনা।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
আপনাকে স্বাগতম।
আপনার অভিজ্ঞতাগুলো জানার অপেক্ষায় আছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রায়হান,আমি খুশী হবো যদি না চেনেন আমাকে...!!
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
- জহির রায়হানের সময়ের প্রয়োজনে মনে পড়ে গেলো তাও সময় কিংবা লেখার প্রয়োজনেই!
লেখার গতি-প্রকৃতি ভালো লেগেছে। আপনার কাছ থেকে আরও অনেক "লাইবেরিয়া থেকে পত্র" পাওয়ার প্রতীক্ষায় থাকলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রায়হান আবীর এর মত প্রথম ধাক্কায় আমারও মনে হয়েছিল আমি আপনাকে চিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ভুল করছি কোথাও। হয়তোবা
চেনাই হন আর অচেনাই হন, সচলে স্বাগতম।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
"আমি যুবরাজ , মম রাজবেশ ম্লান গৈরীক"
এত খাকির মধ্যেও গৈরীকের উকিঁ ......
অভিনন্দন স্যার।
কী সুন্দর,সহজ করে লেখা... আম্মো যদি পারতাম!!! লাইবেরিয়ার কথা কিছু জানি, সেখানে বাংলাদেশ স্কয়ার নামে একটা জায়গা আছে; অন্যদেশে নিজ ভূমি! আপনি লিখতে থাকুন, আমরা ভীনদেশী বাংলাদেশের কথা শুনতে চাই..
শুভ কামনা
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
শাবাশ যুবরাজ। ব্লগিং এ স্বাগতম। লেখায় (বিপ্লব)
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বাংলা ব্লগিং শুরুর প্রথমদিকে আমরা অনেক আলোচনা করতাম ব্লগ অন্যান্য ধরনের লেখা থেকে নিজেকে আলাদা করতে পারে কি করে - এই বিষয় নিয়ে।যেহেতু ব্লগ মূলত: ওয়েবে লেখা দিনপঞ্জি সেহেতু আমরা ধারণা করতাম যে সাধারণ নয় এরকম যার দিনযাপন, অন্যরকম পরিবেশ-প্রতিবেশের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকা মানুষের দিনপঞ্জি হলে ব্লগ নিশ্চই বিপুল সাড়া জাগাতে পারবে পাঠকের মনে।
তখন উদাহরণ হিসেবে এসেছে শান্তি মিশনে থাকা সৈনিকদের কথা।
সুতরাং আপনার এক বিরাট সুযোগ আছে আপনার জীবন-বৈচিত্রের কথা দিয়ে অসংখ্য পাঠকের কাছে পেৌঁছে যাওয়ার। লিখতে শুরু করেন ঝাঁপিয়ে পড়ে।
সচলায়তনে স্বাগতম।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
লেখালেখি নিয়ে যুথবদ্ধ হওয়ার সময়ে আমাদের সাথে এক ছোট ভাই ছিলো । তখন সবে মাত্র স্কুল পেরিয়ে কলেজে উঠেছে । ওর আর সব বন্ধুদের মধ্যে ও ছিলো কমনীয় । লেখালেখিতে তার স্বপ্ন ছিল, সম্ভাবনা ও ছিল নিশ্চিত ।
এই ছেলেটা পরে আর্মির কমিশন র্যাংকে চলে গেলো । শুনেছিলাম জাতিসংঘ মিশনে আফ্রিকার কোন দেশে গিয়েছে ।
আপনার এই লেখাটা পড়ে, সেই ছোট ভাইটার কথা মনে পড়ে গেলো ।
লিখতে থাকুন ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
যুবরাজ,
এক্সেলেন্ট,,,,,,,,,,
চালিয়ে যান।
হাত বাড়ালেই বন্ধু------আমি আছি।
আমার পথ চেয়ে থাকা শুরু হল আপনার লেখার জন্য।
[b]খুবই ভাল লাগলো এত সুন্দর একটা লেখা পড়ে।
আরমী অফিসার ও যে এত ভাল লিখতে পারে ভেবে ভাল অনুভব করছি।
চালিয়ে যান।
সচলে স্বাগতম যুবরাজ।
আপনি লিখুন।
আমরা অন্য একটা জগতের গল্প শুনি।
বাংলাদেশ বিষয়ে লাইবেরিয়াবাসীর উচ্ছাস শুনে ভালো লাগলো।
কিন্তু উচ্ছাসের কারণ পুরোপুরি বুঝতে পারলামনা।
একটু ভেঙে বলবেন কি?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আপনাদের সবার মন্তব্য পড়ে নিজেকে চরম ভাগ্যবান মনে করছি। অভিষেকটা আমার রাজকীয় হয়ে গেল মনে হয়...।
@ রানা মেহেরঃ লাইবেরিয়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনপ্রিয় হওয়ার কিছু কারন আছে।আমার লেখায় ধারাবাহিক ভাবে উত্তর টা পেয়ে যাবেন।আমি নিয়মিত লিখব আপনাদের ক্ষুধা মেটাতে।আবারো কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ।
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
জ্বী ভাই, আপনি এক লেখা দিয়েই ব্লগের বাঘা বাঘা লেখকদের মন্তব্য কেড়েছেন। যদি নিয়মিত সচল পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতেই পারছেন কারা তাঁরা। সো, আপনার উপর অনেক ডিমান্ড এখন। নিয়মিত লেখা দিতেই হবে।
সচলে স্বাগতম যুবরাজ ভাই। আপনার ভিন্ন স্বাদের লেখার প্রত্যাশায় রইলাম।
নিহত সৈনিক ভাইয়ের জন্য শ্রদ্ধা।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এইতো ঝামেলা করে ফেললেন!
আমাদের(আমার)ক্ষুধা নিবারণের দায়িত্ব আপনাকে না নিতে অনুরোধ করি।মাথা গরম না করে আপনি বরং মনের আনন্দে লিখুন।
পাঠক তার মনের আনন্দেই পড়বে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
সচলের সম্মানিত সকল সদস্যদের বলছি,
আপনাদের সবার মন্তব্য পড়ে আমার মনে হচ্ছে আর্মি মানেই হলো চিড়িয়াখানায় বন্দি কোন জন্তু,যা কিনা আপনাদের মনোরঞ্জনের খোরাকি............এইখানে ভালো কিছু হয় না.।.।.।।...।।...
রিটন ভাইকে বলছি,ভাই আপনি কয়জন আর্মির সাথে মিশেছেন জানি না,তবে গড় পড়তার হিসেব করায় আপনি খুওব সিদ্ধহস্ত,একজন লেখক কে আর্মি হিসেবে না দেখে লেখক হিসেবেই দেখুন।
সংস্কৃতির মাহাত্ম্য হলো..........মানুষকে মানসিক দাস বৃত্তি থেকে মুক্তি দেয়,পৃথিবির সব গোত্রের মানুষ কে এক করে নেয় মনন মেধা আর ধীশক্তির আশ্চর্য স্পর্শে,মিলনে মালিন্য নাশে এইটাই সংস্কৃতির ধর্ম হওয়া চাই.।।.।।.।।.।।.।।...
আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের সংস্কৃতি আমদেরকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর সহন শীলতার শিক্ষা দেয়নি,তারপরও আমরা সংস্কৃতি চর্চা করি চাএর কাপে চুমুক দিয়ে অলস নিরর্থকভাবে অন্যের সমালোচনায় মুখর থেকে নিজেকে জাহির করার জন্য।আমাদের অপসংস্কৃতি আমাদেরকে শিখিয়েছে পরশ্রীকাতরতা,চাপাবাজি,ভাওতাবাজি,উচ্চাভিলাষীতার নাম করে ঠকবাজি,আর কোন নিজের মধ্যে মিথ্যে অহংবোধ লালন,আর অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের অভাব।এক্টা মানুষ কে না চিনে না বুঝে,আমরা চায়ে চুমুক দিয়ে কিংবা সিগারেটে ফুক দিয়ে মণোজগত বিশারদের মত তার সম্প র্কে অনেক কিছু বলে দিতে পারি,আমাদের রক্তে মিশে গেছে...আপনারা স্বিকার করুন বা নাই করুন...আমি ভাই ভাববাদ কি বুঝি না,আমি নিছক বাস্তবমুখী একজন মানুষ।
আপনার অন্য মন্তব্যটির (সম্ভবত ৭নং চিঠিতে) সবিস্তারে জবাব দিয়েছি। এটার জবাব নাহয় আর কারো জন্য থাক।
গড়পরতা হিসেবে সামরিক বাহিনীর ব্যাপারে মানুষ এখন কিছুটা স্কেপটিক। এর কারণ একটাই, আমরা অনেক বার এদের বিশ্বাস করে ঠকেছি। এই দূরত্ব কমে আসতে কিছুটা সময় তো লাগবেই।
আর, ভিন্নতার মিথষ্ক্রিয়া শেষ পর্যন্তে মিলনে পর্যবসিত হলেও তার শুরু তো কিছুটা ঢিসুম-ঢিসুম টাইপ হবেই। একে ব্যক্তিগত ভাবে নিয়েন না, তাহলেই হবে। আমরা সবাইই একটা গড়/ছাঁচের মধ্যে বসবাস করি। এটাই জগতের রীতি।
নতুন মন্তব্য করুন