বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিকেরা গাঁজা খেয়ে রিপোর্ট করেন, আমার এই ধারনা বদ্ধমূল হচ্ছে দিন-কে-দিন।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ও.ডি.আই সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষনা করা হয়েছে গতকাল। খেলোয়াড়দের নামের তালিকা দেখে সব সাংবাদিকের চোখ নাকি কপালে উঠে গেছে! তিন তিনটি নতুন মুখ! তুষার ইমরান, নাফিস ইকবাল আর রাজিন সালেহ বাদ!!! কেন??? খুবই জটিল প্রশ্ন।
আমার প্রশ্নটা এর থেকেও জটিল, এই তিনজনকে কেন নেয়া হবে??? তাদের মতে, তারা অনেক অভিজ্ঞ, আই.সি.এল ঝড়ের মধ্যে তারা তাদের অভিজ্ঞতার ঝুলি দিয়ে আমাদের রক্ষা করবেন। আসুন, এই তিন তথাকথিত অভিজ্ঞতাপূষ্ট খেলোয়াড়ের রেকর্ডের দিকে একটু চোখ বুলাই, প্রথমেই তুষার ইমরান –
ক্যারিয়ার / প্রতিপক্ষ |
ইনিংস |
রান |
সর্বোচ্চ |
গড় |
গড় (সর্বোচ্চ বাদ দিয়ে) |
স্ট্রাইক রেট |
ক্যারিয়ার |
৪০ |
৫৭৪ |
৬৫ |
১৪.৩৫ |
|
৫৯.১৭ |
অস্ট্রেলিয়া |
৯ |
১০৮ |
২৮ |
১২ |
১০ |
৫৮.৩৭ |
ইংল্যান্ড |
৩ |
৪২ |
৩২ |
১৪ |
৫ |
৬৭.৭৪ |
ভারত |
১ |
২ |
২ |
২ |
- |
৬৬.৬৬ |
কেনিয়া |
২ |
৫০ |
৪৮ |
২৫ |
২ |
৫৩.১৯ |
নিউজিল্যান্ড |
৩ |
৪৩ |
২২ |
১৪.৩৩ |
১০.৫ |
৬৯.৩৫ |
পাইক্যা |
৭ |
১৬৫ |
৬৫ |
২৩.৫৭ |
১৬.৬৬ |
৬৪.৭০ |
দক্ষিন আফ্রিকা |
৪ |
৩৩ |
২৩ |
৮.৫ |
৩.৩৩ |
৫১.৫৬ |
শ্রীলংকা |
৮ |
১২৫ |
৬১ |
১৫.৬২ |
৯.১৪ |
৫৩.৬৪ |
ওয়েষ্ট ইন্ডিজ |
১ |
০ |
০ |
০ |
- |
০ |
জিম্বাবুয়ে |
২ |
৬ |
৬ |
৩ |
০ |
৬০ |
এই ভদ্রলোক ৪০ ম্যাচ খেলার পর তার গড় রান ১৪.৩৫। ধরে নেই যদি বাংলাদেশের সব খেলোয়ার তার মতো গড়ে রান সংগ্রহ করে, তবে সেই ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ হবে সাকুল্যে ১৫৮। প্রশ্ন হলো, তিনি তো ওপেনার নন, মিডল-লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তাকে নতুন বলের মোকাবেলা করতে হয় না, করতে হয় না দিনের শুরুতে সতেজ পেস বোলারদের। তিনি পান ২০/৩০ ওভার পুরোন বল এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্পিনার অথবা মিডিয়াম পেস বোলার। তাদের সামলে তার গড় সংগ্রহ ১৪.৩৫।
বলা হতে পারে, তাকে দ্রুত রান সংগ্রহ করার জন্য এলোপাথারি খেলতে হয়। ৫৯ স্ট্রাইকরেট কিন্ত তা বলে না। তাছাড়া তিনি মিডল অর্ডারে নেমে ক্যারিয়ারে কোনদিন নট আউট থাকতে পারেন নি। তার মানে কি দাড়ালো? তিনি একজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, যিনি গড়ে ১৪.৩৫ রান করবেন, এই রান করতে তিনি বল খরচ করবেন ২৪টি, মানে ৪ ওভার। ৪ ওভারে ১৪ রান করে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত আসবেন।
তুষার ইমরান জিম্বাবুয়ের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রান করেছেন ২ ইনিংসে ৬।
বিশ্লেষনের সুবিধার জন্য আমি আরেকটি মান ব্যবহার করতে চাই। এটা হলো সর্বোচ্চ স্কোর বাদে গড়। এর মানে হচ্ছে, একজন খেলোয়াড় কোন দেশের বিপক্ষে যতো ইনিংসে যতো রান করেছেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি বাদ দিয়ে বাকি ইনিংসগুলোর গড়। আমার মনে হয় এতে একজন ব্যাটসম্যানের প্রকৃত গড়টি ভালোভাবে বোঝা যায়।
সেই বিশ্লেষনের মান “গড় (সর্বোচ্চ বাদ দিয়ে)” ঘরে দেয়া হলো। কি দেখতে পাই? ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ইনিংসে ৩২ বাদ দিলে, বাকি ২ ইনিংসে তিনি ৫ গড়ে রান করেছেন। শ্রীলংকার বিপক্ষে একটি ইনিংসে ৬১ বাদ দিলে, বাকি ৭ ইনিংসে তিনি ৯.১৪ গড়ে রান করেছেন।
এবার আসি নাফিস ইকবালের কাছে –
ক্যারিয়ার / প্রতিপক্ষ |
ইনিংস |
রান |
সর্বোচ্চ |
গড় |
গড় (সর্বোচ্চ বাদ দিয়ে) |
স্ট্রাইক রেট |
ক্যারিয়ার |
১৬ |
৩০৯ |
৫৮ |
১৯.৩১ |
|
৫৪.৪০ |
অস্ট্রেলিয়া |
১ |
৮ |
৮ |
৮ |
- |
৩৮.০৯ |
ইংল্যান্ড |
৩ |
৩২ |
১৯ |
১০.৬৬ |
৬.৫ |
৪৭.৭৬ |
ভারত |
৩ |
২৮ |
১০ |
৯.৩৩ |
৯ |
২৯.৭৮ |
নিউজিল্যান্ড |
২ |
৪০ |
৪০ |
২০ |
০ |
৪৪.৯৪ |
দক্ষিন আফ্রিকা |
১ |
৪০ |
৪০ |
৪০ |
- |
৬৭.৭৯ |
ওয়েষ্ট ইন্ডিজ |
১ |
২ |
২ |
২ |
- |
১৬.৬৬ |
জিম্বাবুয়ে |
৫ |
১৫৯ |
৫৮ |
৩১.৮০ |
২৫.২৫ |
৭০.৩৫ |
নাফিস ইকবাল ওপেনিং ব্যাটসম্যান হয়ে গড়ে ১৯.৩১ রান করেছেন। তবে উল্লেখযোগ্য হলো তার স্ট্রাইকরেট, যা হলো ৫৪.৪০। তার মানে তিনি প্রতি ২ বলে ১ রান করতে পারেন। কল্পনা করুন তিনি ওপেনিং করতে নেমেছেন, তাহলে বাংলাদেশ প্রথম ৫ ওভারে ১৫, ১০ ওভারে ৩০ এবং ১৫ ওভারে ৪৫ রান করতে পারবে, অবশ্য যদি তিনি ক্রিজে থাকতে পারেন!
প্রথম ওভারগুলোতে, যখন ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশন থাকে, তখন যদি একজন ওপেনার এই গতিতে এবং এই গড়ে রান করে, তবে তার দলে থাকার জন্য চেচামেচি করাটা একেবারে অযৌক্তিক মনে হয়।
আমার ব্যাক্তিগত মত হলো নাফিস ইকবালের ব্যাটিং টেকনিকে বড়ো ধরনের সমস্যা আছে। বিশেষ করে শাফলিং করাটা। বোলার বল ডেলিভারি দেবার আগে সে শাফলিং করে ডান পা মিডল স্ট্যাম্পে আর বাম পা লেগ স্ট্যাম্পে নিয়ে আসে। কোনরকমে উইকেটসোজা একটা বল মিস করলে অবধারিতভাবে এল.বি.ডাব্লিউ, কোন মাফ নেই। ক্যারিয়ারে নাফিস ১৬ বারের মধ্যে ১১ বারই ক্যাচ আউট হয়েছেন যার মধ্যে বেশিরভাগই উইকেটের পেছনে, অর্থাৎ কট বিহাইন্ড।
বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিকদের সমস্যা হলো, তারা অতিরিক্ত হুজুগে। অনেকে তো সাংবাদিকতার বদলে সাহিত্য রচনায় বসেন। মোহনীয় শট (সাধারন কাভার ড্রাইভ), দাপুটে মেজাজ (ওভারে দুটো চার, কিংবা একটা ছয়), গতির ঝড় (১৩০ কি.মি. প্রতি ঘন্টা খুব বেশি হলে) ইত্যাদি ইত্যাদি উপমায় ভরিয়ে দেন রিপোর্ট। কোনদিন দল ২০০ উপরে করতে পারলে মারাত্মক খুশি, খেলোয়াড়দের পিঠ চাপড়ে দিতে দিতে ছাল উঠিয়ে দেন পারলে। আশরাফুলের ব্যাটিং-ধ্বসের মূল কারন আমার মতে সাংবাদিকদের অতি-তোষন আর তার বেলুনের মতো ফুলে যাওয়া।
অভিজ্ঞ কিন্তু অচল খেলোয়াড়ের চেয়ে নতুন প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দেয়া বলে আমি মনে করি। একই সাথে, সাহিত্যিক এর বদলে প্রফেশনাল ক্রীড়া সাংবাদিক দরকার, যে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে জানে, অতিরিক্ত তোষন করে কোন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে না।
তথ্যসূত্রঃ ক্রিকইনফো
মন্তব্য
নাফিস ইকবালের একটা জিনিস আমার খুবই ভালো লাগে। ছোকরা ব্যাট হাঁকড়াতে গিয়ে বল মিস করার পর দারুণ সব শ্যাডো শট ভাঁজে। সেগুলি যদি সে কদাচিৎ বলের গায়ে লাগাতে পারতো, তাহলে ছয়ে ছয়ে বারো হতো কমসে কম। আপসোস, যে ক্রিকেট নাফিসের, তুষারের, ব্যাটে আর বলে তার হয় না কো দেখা।
হাঁটুপানির জলদস্যু
মজা লাগলো...
আরও মজা লাগলো...
ফাহিম
প্রথম লেখা দেবার উত্তেজনায় নাম দিতে ভুলে গিয়েছিলাম।
ফাহিম
ভালো লেখা। খেলা নিয়ে এখানে কেউ ব্লগ লেখেনা। আপনি নিয়মিত লিখুন। ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ। এখন থেকে লেখার চেষ্টা (বা অপচেষ্টা!) করব।
হা হা হা ! এবার সচলে আমরা একজোড়া দারুণ ক্রিড়াচক্ষু পেলাম।
আপনার ক্রিড়া বিশ্লেষণটা ভালো লাগলো।
সচলায়তনে অভিনন্দন জানাচ্ছি। নিয়মিত লিখবেন আশা করছি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক ধন্যবাদ।
ফাহিম
ভালো বিশ্লেষন ।
ধন্যবাদ ।
আপনার মন্তব্য পেয়ে আনুপ্রাণিত হলাম। ধন্যবাদ।
ফাহিম
খাইছে... আপনে এত খবর পাইলেন কই? লেখেন নিয়মিত...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইন্টারনেট, আর কোথায়।
ক্রিকইনফো তে সার্চ দিলেই সব বের হয়ে যাবে।
ভয়ংকর অসাধারণ পোস্ট। আপনার সব কথার সাথে একমত। আর কিছু বলার নাই। এই পোস্ট ক্রীড়া সাংবাদিক সবাইরে মেইল করে দিতে পারলে ভালো হইত।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
মন্তব্যের জন্য ভয়ংকর ধন্যবাদ,
এই পোষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিকেরা দেখলে আমাকে ধুয়ে ফেলবে নিশ্চিত।
ফাহিম
বাংলাদেশ ক্রিকেটদল নিয়ে হাত ধুয়ে ফেলেছি। টুকটাক যা খেলে খেলুক। আশা করলে কষ্ট পেতে হয়। ঢাকা ওয়রিয়র্স কি করে দেখি। তাদের টার্গেট নাকি সেমিফাইনাল।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
সেটাই, যতটুক সামর্থ্য আছে, ততটুকু খেললেই হয়। কিন্তু সমস্যাটা সাংবাদিকদের, এরা খামখেয়ালী রিপোর্ট করে একটা জগাখিচুড়ী পাকিয়ে দেয়। আজকে আগরতলা পাঠায়, তো কাল চৌকির তলা। আইসিএলে যাওয়া নিয়ে ক্রিকেটারগুলোকে একেবারে "দেশদ্রোহী" "অর্থলোলুপ" বানিয়ে দিলো।
লেখণীর স্বাধীনতা যে যা ইচ্ছা তা লেখার স্বাধীনতা নয়, সাংবাদিকদের যে দায়িত্বজ্ঞানের সাথে লিখতে হয়, এটা বোধহয় অনেকেরই মনে থাকে না।
ধন্যবাদ ফাহিম ভাই...
ব্যক্তিগত ভাবে আমি বাংলাদেশের দু'জন খেলোয়াড়কে কখনো appreciate করিনি; একজন, তুষার ইমরান; অন্যজন, সাবেক আল শাহরিয়ার রোকন। ঘরোয়া লীগে তাদের যতই চাকচিক্য থাকুক না কেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা আহামরিটাও করে দেখাতে পারেনি।
প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়দের কথা বলেছেন। আমি তা সমর্থন করি; তবে সাথে অভিজ্ঞ ও অন্যরা মান্যিগন্যি করে এমন খেলোয়াড়ও থাকা প্রয়োজন ( আশরাফুলকে কখনও আমার এমন মনে হয়নি)
থাকলে তো খুবই ভাল। কিন্তু বাংলাদেশ দলে এমন কেউ আছেন কি?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ফাহিম
আমিও সাংবাদিকদের সাথে একমতই ছিলাম। কিন্তু আপনার যৌক্তিক বিশ্লেষনের পর মত পাল্টাতে বাধ্য হলাম। এটা আপনারই জয়। সে সাথে ক্রিকেটেরও জয় হোক! যদিও দিল্লী বহুদুর!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরন্দাজ ভাই, আমি আপনার লেখার একনিষ্ঠ ভক্ত। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। ধন্যবাদ।
ভালো বিশ্লেষন
লিখুন নিয়মিত
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ।
ফাহিম
সচলায়তনে ক্রীড়া বিষয়ে লেখা খুবই কম। আপনিই নিয়মিত লিখুন না! লেখার হাতটিও আপনার ভালো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
কামরাঙ্গা ছড়ার জনকের কাছ থেকে মন্তব্য পেয়ে অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ।
ফাহিম
পোস্ট ভালো হইছে ...
একটা অফটপিক কমেন্ট করি ... সাংবাদিক-অসাংবাদিক নির্বিশেষে একটা জায়গায় সবাই একমত, আশরাফুলকে গালি দেয়া ... মজার ব্যাপার হল আমাদের বড় যে দুই-তিনটা জয়, অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা ইন্ডিয়ার সাথে, সেটা কিন্তু আশরাফুলের হাত ধরেই ... হার্মিসন-ফ্লিন্টফকে মুড়ির মত বাড়ি দিয়ে চুয়ান্ন বলে চুরানব্বই [প্রায় চারশো রান করার পরেও প্রত্যেক ওভারের পরে ফ্লিন্টফ-কলিংউড-ট্রেস্কোথিক মাথা চুলকাইতে চুলকাইতে মিটিং করতেছে, সেটা একটা দেখার মত দৃশ্য ছিল], কিংবা টেস্টে একসাইডে যখন লাইন দিয়ে উইকেট পড়তেছে তখন ধমাধম বাড়ি দিয়ে ইন্ডিয়া-শ্রীলংকার সাথে সেঞ্চুরি কিন্তু খালি একজনই করতে পারছে ... মানলাম আশরাফুলের কোন কন্সিস্টেন্সি নাই, ও একটা কমপ্লিট বালছাল, কিন্তু এই বালছালটা তো দুই চারটা ম্যাচ জিতাইছে, নাকি? ... ওরে রিপ্লেস করতে হইলে তো এমন একজন লাগবে যে এটলিস্ট একটা ম্যাচ জিতাইছে, কে আছে এমন আমাদের হাতে?
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
একমত। আশরাফুল যখন খেলে তখন সব ম্লান হয়ে যায়। ছেলেটা যদি একটু কন্সিস্টেন্সি আনতে পারতো তাহলে ক্রিকেটাঙ্গনে একটা ব্যারাছেড়া হয়ে যেতো। ছেলেটার আস্তে আস্তে বয়স হয়ে যাচ্ছে, ক্রিকেটজীবন ক্ষণিকের... এখন ঠিক না হলে আর কবে যে হবে।
ওকে দলে না রাখার কোনো কারণ নাই।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আশরাফুলের প্রতিভা নিয়ে কোন সন্দেহ যেমন নেই, তেমন সন্দেহ নেই যে সেই প্রতিভার প্রায়গিক ঘাটতি আছে। এর দায়টা অনেকটা আশরাফুলের, অনেকটা আবার সেই লোকজনদের, যারা অতিরিক্ত প্রশংসা করে তাকে আকাশে তুলে দিয়েছে। সাংবাদিকদের এই দায় অবশ্যই নিতে হবে।
ফাহিম
ফাহিম ভাই, আপনার লেখা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা খুব ভালো লাগল। লিখে যান নিয়মিত
বেশ কয়েক মাস আগে একটা গল্প লিখেছিলাম, পড়ে দেখতে পারেন।
আশরাফুল ও মাশরাফিদের সাথে একদিন
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
রেনেট ভাই, আমি সচলায়তনের জন্ম থেকেই এর একনিষ্ঠ পাঠক। আপনাদের সবার লেখাই আমি নিয়মিত অনুসরন করি। বাংলাদেশ ক্রিকেট-টিম আর অলিম্পিক টিম নিয়ে আপনার সিরিজটা দুর্দান্ত হয়েছিল। তবে দুঃখ এটাই যে, দুটোর পরে আর কন্টিনিউ করলেন না। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আবারও আপনার লেখা পাব।
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।
ফাহিম
আপনার লেখা ভাল লাগল। কিন্তু আমার একটা কথা ছিল। পাইলটের যদি একটা বিশ্লেষণ দিতে পারতেন তাহলে আমার মনে হয় পাইলটকে দলে নেওয়ার একটা কারণ খুঁজে পাওয়া যেত।
তবে আরেকটা কথা পুরানদের নেওয়ার আরেকটা কারণ আমার মনে হয় যেটা হল নতুনদের আরেকটু সময় দেওয়া। আপনার মনে আছে কিনা জানিনা ফয়সাল নামের একটা প্লেয়ার ছিল প্রথম জাতীয় লীগে সর্বোচ্চ রান করেছিল। তাকে জাতীয় দলে নিয়ে এসে খুব একটা লাভ হয়নি মাঝখান দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেল। নতুনদের আরেকটু পরে দলে আনলে আমার মনে হয় ভাল হয়।
---------------------------------------------------------
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় দিও সামান্য ঠাঁই
---------------------------------------------------------
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় দিও সামান্য ঠাঁই
নতুন মন্তব্য করুন