(আমার নিজের একাউন্টের কোটা শেষ হয়ে যাওয়াইয় এটুকু ছলনা করতে হল, গেস্ট রাইটার হিসেবে লেখা দিয়ে। সেজন্যে দু:খিত। কিন্তু একদন পরে দিলে ফ্লো টা মরে যায় বলে দেরী করতে খুব খারাপ লাগছিল। মূল লেখার কমেন্ট হিসেবে দেয়া যেত, কিন্তু কমেন্ট হিসেবে অনেক বড় আর মূল বিষয়বস্তু থেকে পুরোপুরি আলাদা। ফ্লাড কন্ট্রোল ভাঙার কোন দুরভিসন্ধি আমার নেই এটুকু জানিয়ে লেখা ছাপানোর অধিকার মডারেটরদের উপর ছেড়ে দিলাম।)
খুব বিতর্কিত একটা লেখা হবে কোন সন্দেহ নেই। তবু এইটা লেখার ইচ্ছা ছিল প্রথমেই আমার আরেকটা পোস্টে কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর কমেন্টের পর থেকেই। রানা মেহের ভাইয়ের কমেন্টের পরে ইচ্ছেটা আর বদ্ধমূল হল। হয়ত অনেক পুরানো একটা বিষয়, তবু সবার মনোভাবগুলো জানতে চাই। আমার এই লেখাটুকু সবাইকে উদ্যেশ্য করে।
আমি নিজে ১৯৭১ এর পাকিস্তানের সবকিছুকে ঘৃনা করি। কেন করব না! একজন বাংলাদেশি কিভাবে না করে থাকতে পারে? সবকিছু জেনে বুঝে যদি না করে থাকতাম তাহলে নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিতে আমার লজ্জা হত। কিন্তু তাই বলে আমি এখনকার পাকিস্তান সম্পর্কিত সবকিছু ঘৃনা করতে পারি না। কেন?
একটা সহজ কথা বলি। আমি একটা পাকিস্তানি দোকানে খেতে যাব না। কারণ তারা পাকিস্তানি। খুব ভাল কথা। কিন্তু যার বাপ দাদারা গুষ্ঠি ধরে জন্মথেকে ইংল্যান্ডে, তার সাথে পাকিস্তানের কি সম্পর্ক? ১৯৭১ এর সময় সারা পাকিস্তানের মানুষ কি ২৫শে মার্চের গণহত্যাকে সমর্থন দিয়েছে? যে মানুষটা ১৯৭১এ পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীকে মন থেকে কখনো সমর্থন দেয়নি, তাকে আমি কিভাবে ঘৃনা করব? আমি শুনেছি ১৯৭১এ পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ শাসকগোষ্ঠীর আচরণ মেনে নিতে পারেনি। আমি এর সত্যতা জানি না। তাই আমি এ নিয়ে তর্ক করব না। কিন্তু শিশু বৃদ্ধ আপামর জনগণ সোনার বাংলা পুড়িয়ে ছাই করে দিতে চেয়েছিল – এটা মেনে নিতে আমার একটু কষ্ট হয়।
একটা রাষ্ট্র ধরে মানুষ কখনো ভাল বা খারাপ হয় না। একটা গোষ্ঠীর মধ্যে সবসময়ই কেউ ভাল থাকে, কেউ খারাপ থাকে। মানুষ থেকে মানুষ আলাদা হয়। রাষ্ট্রধরে সবাই যদি সবসময় একপক্ষে থাকতো, তাহলে কখনো রাজাকার শব্দটার জন্ম হত না।
উল্ভারহ্যাম্পটনে আমার নিচের তলায় থাকে এক বাঙালি ছেলের পাশের রুমের পাকিস্তানি তার জাতীয়তা শুনে প্রথম যে প্রশ্নটা করেছিল সেটা ছিল, ‘হোয়াই ডিড ইউ ফাইট উইথ আস?’ শুনে স্বাভাবিক ভাবেই সেই বাংলাদেশি ছেলের মাথায় আগুন জ্বলে গিয়েছিল। কিন্তু একটু ভেবে দেখুনতো, কি পরিস্থিতিতে একটা পাকিস্তানি মানুষ একজন বাংলাদেশিকে এরকম একটা প্রশ্ন করতে পারে? উত্তরটা খুব সহজ। তাকে ছোট বেলা থেকে ভুল শেখান হয়েছে। যে ভুল জানে, তাকে আমি সঠিক ইতিহাসটা বলতে পারি, তাকে রেফারেন্স আর তথ্যসূত্র ধরিয়ে দিতে পারি, হানাদার বাহিনীর সেই নির্মমতার কথা জানাতে পারি; কিন্তু তাকে আমি ঘৃনা কি ভাবে করি?
১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বৃটিশরা আমাদেরকে শাসন করেছে। এই সময় কালটাতে তারাও কিন্তু কম নির্মমতা দেখায়নি। তাহলে আসুন বৃটিশদেরকেও আমরা ঘৃনা করি। নাকি তখন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়নি বলে সে অপরাধ ক্ষমা করে দিচ্ছেন? তখন আমরা ভারতীয় উপমহাদেশের অংশ ছিলাম, বাংলাদেশ ছিলাম না বলে সেটা আমাদের মাথা ব্যথা নয়? নাকি অপরাধ ক্ষমা দিচ্ছেন না, তবে ঘৃনা করার মত মনে করছেন না? নাকি সেসব আমাদের বাবাদের জন্মেরও আগের বলে আজকাল আমাদের গায়ে লাগছে না?
১৯৭১ সালের পাকিস্তানি জনগণকে ঘৃনা করা যেতে পারে, কারণ তারা তাদের শাসকগোষ্ঠীকে থামাতে পারে নি। কিন্তু থামানো কি যায়? জর্জ ডাব্লিউ বুশ যখন ইরাক আর আফগানিস্তান আক্রমণ করে, আমেরিকার অনেক জনগণ কি তখন প্রতিবাদ করেনি? তাতে কি ইরাক বা আফগানিস্তান বেঁচে গেছে? কাকে ঘৃনা করছেন আপনি? সারা আমেরিকাকে? যা কিছু আমেরিকার সাথে জড়িত সবকিছুকে? যদি না করেন, কেন করছেন না?
আসুন ঘৃনা করি সারা ইন্ডিয়াকে কারন তারা ফারাক্কা বাধ দিয়ে আমাদের পদ্মানদী শুকিয়ে দিয়েছে বলে, আসুন কলার চেপে ধরি রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসা হিন্দু ধর্মের বন্ধুটির কারণ ভারতে একটি হিন্দুগোষ্ঠী বাবরি মসজিদ ভেঙে দিয়েছিল বলে, আসুন ঘৃণা করি সারা দুনিয়ার পাথরকে কারণ রাস্তায় হাঁটার সময় একটায় হোচট খেয়েছেন বলে, আসুন ঘৃণা করি আকাশে ওড়া সব পাখিকে কারণ আপনি অফিসে যাবার সময় একটি আপনার মাথায় তার কর্ম সেরে দিয়েছে বলে, আসুন ঘৃনা করি রাস্তার সব মানুষকে কারণ তাদের ভেতর একজন আপনার পেটে ছুরি চালিয়েছিল বলে, আসুন ঘৃণা করে গাড়িতে চড়া বন্ধ করে দেই, কারণ বাংলামটরের মোড়ে একটা গাড়ি একজন পথচারীকে ছেচড়ে বহুদূর নিয়ে গিয়েছিল বলে, সর্বপরি, আসুন ঘৃণা করি ঈশ্বরকে(যদি বিশ্বাস করে থাকেন) তিনি এত অসুন্দরের জন্ম দিয়েছেন বলে।
আমি পাকিস্তান সম্পর্কিত সবকিছুকে ঘৃণা করতে পারি না। এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত চিন্তা। আমি এর জন্য লজ্জিত নই। আপনি হয়তো করতে পারেন। সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত চিন্তা। কিন্তু একটু ভেবে দেখবেন কি উপরে লেখা কথাগুলো?
মন্তব্য
খুব তাড়াতাড়ি লিখেছি বলে ভুল করে ২৫শে মার্চের বদলে ২৫শে ডিসেম্বর লিখে ফেলেছি, এবং নিজের নাম সাইন করতে ভুলে গেছি। সম্পাদনা করতে না পারার ক্ষমতা না থাকাটা কখনো খুব অসহায়ের মতন লাগে। ক্ষমা প্রার্থনীয়
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মাহবুব মোর্শেদ ভাই, কিসে থাম্বস ডাউন দিলেন?
লেখককে? লেখার মানকে? লেখার বিষয়বস্তুকে? নাকি লেখার বিষয়বস্তুর প্রতি আপনার অবস্থান জানিয়ে?
লেখার বিষয়বস্তুর প্রতি অবস্থান জানিয়ে।
আমার মার্স্টাসের প্রফেসর এবং বর্তমান ম্যানেজার পাকিস্থানী। শুধু মাত্র বাধ্য বলে কাজ করে যাই বা গেছি। আমার ল্যাবের পাকিস্থানী পিএইচডি ছাত্রটি আমার সাথে কথা বলে যখন বুঝতে পারে এব্যাপারে অবস্থান কিরকম, তখন বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে পরোক্ষভাবে সরি বলে। তারপর থেকে এই একটা পাকিস্থানিকে আমি সহ্য করতে পারি।
আমার কথা হল, সম্ভব হলে প্রথমেই বিষয়টা পরিষ্কার করে নেয়া ভাল। যারা বলে যে তারা জানে না, কিংবা তাদের পরিবার ভুল শিক্ষা দিয়েছে, কিংবা মনে করে তারা ঠিকই করেছিল - এদের মুখে মুতি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
১ ...
তোমার কোন পোস্টে কোন কমেন্ট করছিলাম যেটা দেখে তোমার এমন একটা লেখা দেয়ার ইচ্ছা করছিল সেটা মনে পড়তেছে না ...
২ ...
আমি মনে করি কে পাকিদের সাথে মিশবে আর কে মিশবে না সেটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যপার ... এই ব্যপারে জোর খাটানো যায় না ... তবে,
ক) কেউ যদি পাকিদের সাথে হিন্দি/উর্দুতে কথা বলে তাকে সেটা নিয়ে প্রশ্ন করা যায় ...
খ) সেভেন্টিওয়ান নিয়ে কোন আপত্তিকর কথা বলার পরেও যদি বাঙালি পুলাপান সেটা গায়ে না মাখে বা ভদ্রতার খাতিরে এড়ায় যায় তাহলে সেই পাকির আগে বাঙালিরেই একটা লাথি দেয়া যায় ...
গ) "তোমরা মুসলমান, কিন্তু তোমাদের মেয়েরা মাথায় কাপড় দেয় না কেন" জাতীয় কথাবার্তা কোন পাকির মুখে শুনলে [আমি এই কথাটাই বেশি শুনছি] তাকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া ফরজ, সেটা না করে কেউ যদি ক্যালায় তবে তাকে ধোলাই দেয়া জায়েজ আছে ...
৩ ...
নিজের ব্যাপারে বলা যায়, আমি "বেসিকালি" পাকি পোলাপানরে পছন্দ করি না ... এদের বেশিরভাগের মধ্যেই একটা হিপোক্রেসি আছে ... কিন্তু আমার প্রফেসর পাকিস্তানী, এবং মানুষ হিসাবে তাকে অপছন্দ করার মত কিছু এখনো চোখে পড়ে নাই ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
মন্তব্যে শুধু একমতই না - জাঝা ও !!
"আমরা এমনিতে পাকিগো বেশি পছন্দ করি না"
- এইটা
নিজেকে যথেষ্ট যুক্তিবাদী মনে করি। শুধু পাকিস্তান প্রসঙ্গ এলেই ছুটি দিয়ে দিই যুক্তিবাদকে। পাকিস্তানের সব কিছু ঘৃণা না করার পক্ষে আপনি লক্ষ-কোটি যুক্তি দেখাতে পারেন; আমাকে সে সব স্পর্শও করবে না।
তাই তর্কে নামবো না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আপনার সরাসরি পাকিস্তান প্রসঙ্গ এলে যুক্তিবাদকে ছুটি দেয়ার স্বীকারোক্তিটা ভাল লাগল।
আমিও সন্ন্যাসীর দলে। আইইউটির পাশের রুমের পাকি গুলার সাথেও আমি জীবনে কথা কই নাই। ভাল্লাগে না।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
কোন যুক্তি তর্ক নেই। পাকিস্তান ও পাকিস্তানীদের ঘৃণা করি মনে প্রাণে। ফুলস্টপ।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
সাদাত হাসান মান্টু প্রিয় গল্পকার, একজন পাকিস্তানী ।
ফাইজ আহমেদ ফাইজ প্রিয় কবিদের একজন, পাকিস্তানী ।
নূসরাত ফতেহ আলী, প্রিয় গায়কদের একজন ,পাকিস্তানী ।
তাহলে কি করে বলি- পাকিস্তানের সবকিছু আমি ঘৃনা করি?
হ্যাঁ ঘৃনা করি অবশ্যই, ঘৃনা করি পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর মানসিকতাকে যে মানসিকতায় তারা গনহত্যা চালিয়েছিল '৭১ এ, গনহত্যা এখনো চালাচ্ছে বেলুচিস্তানে । একই ধারাবাহিকতায় ঘৃনা করি '৭১ কে যারা অস্বীকার কিংবা বিকৃত করতে চায়- হোক সে পাকিস্তানী অথবা বাংগালী। অথবা আমাদের স্বজাতি শাসকেরা ও যখন বিনা বিচারে হত্যাকে বৈধ করে তখনো তা ঘৃনা করি, মুলতঃ সেই একই কারনে ।
ভালোবাসার মতো ঘৃনাটা ও খুব শক্তিশালী এবং ভীষন প্রয়োজনীয় । তাই যাচাই করে ভালোবাসার মতো ঘৃনাটা ও সার্বজনীন না হয়ে-'টু দ্যা পয়েন্ট' হওয়াটা অধিক কার্যকর ।
আপনার লেখাটা ভালো লাগলো । অরূপের একটা পুরনো পোষ্ট ছিলো যেখানে ভিডিও সংযোজিত আছে, পাকিস্তানের স্কুল ও কলেজের ছাত্ররা '৭১ গনহত্যার নিন্দা জ্ঞাপন করছে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একটা মজার ব্যাপার দেখুন। সেই বাপদাদার আমল থেকে থাকার পরও কিন্তু আপনি বলছেন, পাকিস্তানী দোকান। পরিচয়ের সমস্যাটাই এখানে। মানুষ নিজের গা থেকে মুছতে পারে না। আমরা যেমন প্রত্যেকেই আমাদের পাহাড়িদের বাস্তুভূমি থেকে উৎখাতের দায়ে অপরাধী।
ভাই, আপনি আমাকে বলেন, আজকে ৩৭ বছর হয়ে গেছে, পাকিস্তান কি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে তাদের কৃতকর্মের জন্য? এতো প্রমাণ থাকার পরও? এখন তো ইউটিউবে মার্কিন টিভির তোলা ভিডিও ফুটেজগুলি পাওয়া যায়, কিভাবে পাকিস্তানী আর্মি মাঠের মধ্যে গুলি করে মারছে সাধারণ মানুষকে, কিভাবে নদীর পার ধরে একটার পর একটা লাশ পঁচতেসে।
আমি পাকিস্তানী প্রোডাক্ট ব্যবহার করি না, আমি আমার ঘৃণা ঐভাবে প্রকাশ করি। এখানে আরও বলি, আমি ভারতীয় প্রোডাক্টও এড়িয়ে চলি ভারতীয় ভূরাজনৈতিক গাজোয়ারির কারণে। বাংলাদেশে বাস করে ঐ কাজটা করা খুব কঠিন, তারপরও করে এসেছি যতটা সম্ভব, আপনার সাথে তর্কের খাতিরে বলছি না। এখানে কেনাকাটা করি আফগান দোকান থেকে, বা তুর্কি দোকান থেকে। মশলা কিনি ওখানকার। এতদিন ঠেকে চাল খাচ্ছিলাম ভারতীয় আর পাকি বাসমতী, সেটা ফেলে এখন থাই জেসমিনের দিকে চলে যাচ্ছি। যেখানে বিকল্প আছে সেখানে আমি পাকি বা ভারতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করি না। আমি চা-পাতা পর্যন্ত বয়ে এনেছি দেশ থেকে। আমি কোন পাকিস্তানী যুবককে খুন করতে চাই না, কোন পাকিস্তানী যুবতীকে ধর্ষণ করতে চাই না, তাদের বাড়িঘরে আগুন লাগাতে চাই না। আমি চাই তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চাক। তার আগ পর্যন্ত তাদের সবাই এই অপরাধের দায় বহন করবে।
আপনাকে কেউ জোর করে বলছে না আপনি পৃথিবীর প্রতিটি পাকিকে ঘৃণা করুন। একজন সাধারণ বালুচও আমার মতোই ঘৃণা করে পাকিস্তানকে। এ ঘৃণা শুধু দেশটির নাগরিকদের জন্যে নয়. এটি একটি জঘন্য অন্যায়ের প্রতি। পাকিস্তানের নাগরিকরা সে অন্যায়ের দায় থেকে মুক্ত হবার সুযোগ গ্রহণ করছে না।
পাকিস্তানীদের হরেদরে কিভাবে গালি দেই, যেখানে আমার নিজের দেশে বসেই পাকি দালালেরা একটু একটু করে বেড়ে উঠছে? ঘৃণা তাদের জন্যও। আমার নিজের আত্মীয় আছেন পাকমন পেয়ার, তাঁদের বাড়িতে আমি যাই না, তাঁদের অন্নস্পর্শ করি না। আমার প্রতিবাদ বর্জনে।
আপনার যুক্তিটি ভুল নয়। আপনি সরলীকরণ না করলেন, চেষ্টা করে দেখলেন ওদের সাথে মিশে দেখতে, ক্ষতি কী? কিন্তু গড় অভিজ্ঞতা তো সেই একই রকম। কেউ দেখে শেখে, কেউ ঠেকে শেখে। শেষ পর্যন্ত শিক্ষা একই। দেখুন ওপরে একজন ভুক্তভোগী মুর্শেদের অভিজ্ঞতার সারসংক্ষেপ।
আমিও কামনা করি আপনি হৃদয়বান ও বিবেকবান (হৃদয়বতী ও বিবেকবতীদেরও বাদ দেবো না) পাকিস্তানীর সাক্ষাৎ পান, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন, ইতিহাস সম্পর্কে তাদের ভুলগুলি ধরিয়ে দিন। আমরা আপনার চেয়ে বয়সে একটু প্রবীণ, আমরা হয়তো আমাদের ঘৃণাটুকু নিয়ে বেঁচে থাকবো, যেভাবে আমার পূর্বপুরুষ ইংরেজদের সম্পর্কে ঘৃণা নিয়ে বেঁচে ছিলেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
লেখাটা ভাল লাগল খুব
- তোর যুক্তিতে মরচে আছে হিমু।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
থাকতে পারে দোস্ত। ধরাইয়া দে, ভুল থাকলে শুধরে নিতে আপত্তি নাই আমার। আমি তো পাকিস্তানী না ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- আমি নিজে একজন পাকিস্তানীকে চিনি এবং জানি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর এয়ারফোর্সের পাইলট বাবাকে যখন ঢাকায় বোম্বিংএর জন্য ডাকা হয় তখন তিনি সিকলীভ নেন। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে তাঁর চাকরি চলে যায়।
আমার এক দেশী ভাই যখন আমার সাড়ে নয় হাজার ইউরো মেরে দিলো, প্রতিবাদটা সে এবং কেবলমাত্র সেই করেছে। যখন আমার পকেটে দিনের পর দিন কোনো ইউরো ছিলো না, যখন আমি কী খাবো আজকে সেই চিন্তা করতে হয়েছিলো, তখন সেই পাকিস্তানী আমাকে ডেকে নিজে রেঁধে খাইয়েছে। আমার প্রচন্ড খারাপ সময়ে পাশে থেকেছে। খালি পায়ে মাঠে দৌঁড়াতে গিয়ে পায়ে ফুঁটে যাওয়া কাঁটা ছাড়াতে পারিনা ভয়ে, আমার চেয়ে বসয়ে বড় হয়েও আমার পা নিজের হাতে ধরে কাঁটা তুলে দিয়েছে পরম যত্নে।
তার ঘরে যে পরিমান অত্যাচার চালিয়েছি নিজের বোন হলেও সহ্য করতো কিনা সন্দেহ আছে। এখন তুই আমাকে বল, তাঁকে তো আমার ঘৃণাই করা উচিৎ নাকি?
তোর সূত্রমতে যদি তাঁকে ঘৃণা করতেই হয় তাহলে তো একজন বৃটিশ, কিংবা একশটা বৃটিশ বিশ্ববিদ্যালয়, এক হাজারটা বৃত্তিদানকারী সংস্থা থাকা সত্ত্বেও সারা বৃটিশ জাতিকে আমাদের ঘৃণা করা উচিৎ। তাদের সঙ্গে পান-তামুক বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ আমাদের। তারা আমাদের শূকরের চামড়ার স্বাদ নিতে বাধ্য করেছে, তারা আমাদের গরুর চর্বি জিভে লাগাতে বাধ্য করেছে। তারা আমাদের ধানী জমিতে নীল চাষ করিয়েছে। হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছে। আমাদের পিঠের ওপরে পা রেখে ঘোড়া থেকে নেমেছে। এখন মুষ্টিমেয় কয়েকজন বৃটিশের মিঠামিঠা কথায় কি আমরা সেগুলো ভুলে যাবো? তোর সূত্রমতে অবশ্যই না।
আমি ভারতীয়দের পছন্দ করিনা। যুক্তিসঙ্গতঃ কারণও আছে এর পেছনে। কিন্তু আমি যে অঞ্চলের মানুষ তার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মেঘনা। এখন এই মেঘনার উৎপত্তি ভারতে বলে আমি কি মেঘনায় গোসল করা বন্ধ করে দিবো? মেঘনায় মাছ ধরা কিংবা নৌকা চালানো কি আমার জন্য হারাম? ঘৃণা করবো আমি মেঘনাকে? তোর সূত্র কী বলে?
শোন দোস্ত, আমি পাকিস্তানী, ভারতীয় আর বৃটিশ- এই তিন জাতিকে পছন্দ করি না। পাকিস্তানী আর ভারতীয়দের সঙ্গে তাদের ভাষায় কথাও বলি না। যারা বলে তাদের প্রতি প্রচণ্ড রাগও হয় আমার। বৃটিশদেরকে চিনি চরম রেসিস্ট হিসেবে। কাউকে রাগ হয়ে বৃটিশ বলে গালিও দেই। কিন্তু এগুলো সব মোটা দাগে।
আমি ভারতীয় কিংবা পাকিস্তানী বাসমতি চাল খেতে পারি কিন্তু বাংলাদেশী কালিজ্বিরা চাল খাওয়ার মতো ক্ষমতা তো আমার নেই। সেক্ষেত্রে কি আমার দেশপ্রেম ঠুনকো হয়ে গেলো তোর সূত্রমতে? আমাকে কেনো থাইল্যান্ডের জেসমিন খেতে হবে, বল তো দেখি!
পাকিস্তানকে আমি ঘৃণা করি, আমৃত্যু ঘৃণা করবোও, কিন্তু এর পেছনে যদি আমাকে কেউ যুক্তি দিতে বলে আমি দেবো না। আমি মৌলবাদকেও ঘৃণা করি কিন্তু যেখানে আমার দেশের প্রশ্ন সেখানে আমি প্রচন্ড মৌলবাদী। একাত্তর নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, রাজাকার নিয়ে, জামাত নিয়ে আমার কাছে কোনো যুক্তি নেই, কোনো বিচার নেই। এখানে স্ট্যাণ্ড একটাই। ফুলস্টপ! কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে 'কেনো', আমার জবাব হলো, "আইনফাক সো"! কিচ্ছু করার নাই।
তাই বলছিলাম, অন্তত এই ব্যাপারে যুক্তি দেখাইতে যাইসনা। সন্ন্যাসীদা'র মতো এক লাইনে জবাব দে।
আরেকটা কথা, কে পাকিস্তানী দোকানে গিয়ে খেলো নাকি ব্রাজিলিয়ান দোকানে গিয়ে খেলো সেটা আসলেই কোনো ম্যাটার না। একদমই যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। অন্ততঃ আমাকে যদি এটা তুই ও শুধরে দিতে আসিস তাইলে হয়তো আমিও খুব ভালো বোধ করবো না।
টিকটিকির ল্যাজের পোস্ট নিয়ে কিছু বললাম না কারণ এই পোস্টটা আমার চোখে সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
'টিকটিকির ল্যাজের পোস্ট নিয়ে কিছু বললাম না কারণ এই পোস্টটা আমার চোখে সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়।'
শুধু এই লাইনটা বাদে আপনার প্রতিটি কথার সাথে সম্পূর্ণ সহমত। ব্যক্তিঘৃণা আমাদেরকে একজন মানুষের ভেতরে ভালো-মন্দ আলাদা
করার ক্ষমতাকে দূর্বল করে দিয়েছে।
আমাদের ইতিহাসের কারণেই আমরা আবেগতাড়িত হয়ে যাই ও এসব প্রশ্নে এটা একেবারে অস্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া, তাও নয়। তারপরও আমাদের আবেগ আর যুক্তিকে আলাদা করে বিচার করা জরুরী।
আবার অনেক সময় এই আবেগও নিজের সুবিধার কথা ভেবে উড়িয়ে দিই। নাহলে জামাতের জন্ম হতো না এদেশে, আর আওয়ামী লীগও জামাত বা ধর্মান্ধ কোন দলের সাথে বিয়ের পিড়িতে বসতে যেতো না।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
- ঐটা বলার কারণ হলো তীরু'দা, এগুলা নিয়া কথা কইতে ভালো লাগে না। রাগ লাগে। মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায়। সমস্যাটা ঐখানেই। এই পোস্টের জন্ম না হলেও হতো। যেখানে শুরু সেখানেই এটা শেষ হতে পারতো। ওপেনলী কোনো কিছু লেখলে সেটার বিপরীতেও মনোভাব আসতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। এখন সবাই যদি এই নিয়ে আলাদা আলাদা পোস্ট দেওয়া শুরু করে তাইলে কেমনে হবে?
আমার কথা হচ্ছিলো হিমু'র যুক্তির পয়েন্টে। ওর যুক্তিতে ভ্রান্তি ধরার মতো ধৃষ্টতা আমি কখনোই করি না। কিন্তু এই একটা জিনিষ নিয়ে আমি কোনো যুক্তিতর্কে যেতে রাজী নই। আমি এখানে মৌলবাদী, রেসিস্ট- যা খুশি বলে তাই। কোনো যুক্তি দিয়ে আমি আমার স্ট্যান্ডকে সিদ্ধ করতে চাই না। ফিনিতো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইটা ঠিক উদাহরণ না, এইটা হলো ব্যতিক্রম।
মাস পাকিস্তানীরা যদি সিকলিভ নিতো, তাহলে বাংলাদেশে গণহত্যা হতো না, মাস পাকিস্তানী যদি তাদের কুকর্মের জন্য 'ফিল' করতো, তাহলে এতদিনে তারা ক্ষতিপূরণসহ ক্ষমাপ্রার্থনা করতো।
পাকিস্তানকে ঘৃণা করাটা শুধু আবেগের ব্যাপার না, প্রচন্ডভাবে যুক্তির ব্যাপার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই দেখলাম আমার কথাটা বলে দিয়েছেন। আমি তো বললামই, হৃদয়বান, বিবেকবান পাকিস্তানীদের সঙ্গে আমাদের সখ্যতা হোক, মতের আদানপ্রদান হোক। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত তারা তাদের কৃতকর্মের জন্যে আনুষ্ঠানিকভাবে অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা না চাইছে, ততদিন পর্যন্ত আমি তাদের ঘৃণা করে যাবো। দে ডিজার্ভ দ্যাট।
হাঁটুপানির জলদস্যু
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
আমার রাগে গা জ্বলে যায় কখন জানেন- যখন পোলাপাইনকে দেখি উর্দুতে পাকিস্তানিদের সাথে কথা বলছে।
তর্ক করবো না। নিজের ধারণাটাই বলে রাখি-
পাকিস্তানিদের আমি সারজীবন ঘৃণা করব এবং এর জন্য আমি দুঃখিত না।
আইইউটিতে পাকিস্তানিগুলাকে দেখলে আমার রক্ত মাথায় উইঠা যায়। ক্যান জানি না। জানার দরকারও নাই।
সেদিন এক পাকিস্তানি রুমে আইসা করল- আমার কাছে জালের মিউজিক ভিডিও আছে নাকি। (দূর্ভাগ্য বশত আমার দুই রুম পরেই ওদের রুম)। আমি কইলাম- ঐসব বালের গান রাইখা হার্ডডিস্ক নষ্ট করতে চাই না। বাংলায় গান শোনার পর উর্দু গান শুনলে আমারে কানের ডাক্তার দেখাইতে হবে।
উর্দু(কথ্য হিন্দী) হয়ত অনেক সমৃদ্ধ ভাষা। ভালো গান আছে। কবিতাও নাকি আছে। শুধুমাত্র পাকিস্তানিদের ভাষা দেইখা এটা আমার কাছে অস্পৃশ্য।
বায়াসড হইলেও তাই।
তবে আপনার কথাও ঠিক আছে। এটা যার যার ব্যাপার।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আর একটা তথ্য জানাই। বৃটিশরা বাংলা তথা ভারতবর্ষ দখল করার পর দুটি বড় দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো বাংলায়, যা সরাসরি ইংরেজের প্রত্যক্ষ শোষণ ও ঔদাসীন্যের কারণে ঘটেছে। একটি ওয়ারেন হেস্টিংসের আমলে, তখন বাংলায় (বৃহত্তর বাংলা) প্রতি তিনজনে একজন মারা গিয়েছিলো, যাকে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বলা হয়। আরেকটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। জাপানের বার্মা দখলের পর ইংরেজ সরকার গোটা বাংলা থেকে খাদ্য উদ্বৃত্ত সরিয়ে নিয়েছিলো, যাতে জাপানিরা বাংলার ওপর দিয়ে আক্রমণ করলে রেশন না পায়। তিন মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিলো সেই দুর্ভিক্ষে। কিন্তু দেখুন, এ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে খোদ ইংরেজের তত্ত্বাবধানে। তপন রায়চৌধুরী এ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেছেন অক্সফোর্ডে বসে, তাঁর তত্ত্বাবধানে গবেষণা করেছেন আরো অনেক ইংরেজ ও বাঙালি ইতিহাসবেত্তা। আপনি কল্পনা করুন, পাকিস্তানের কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে আপনি গবেষণা করছেন বাংলাদেশে চালানো পাকি গণহত্যা নিয়ে। কল্পনা করতে পারেন?
আমি কখনো ইংল্যান্ডে যাইনি, খুব বেশি ইংরেজের সাথে মিশিওনি, বলতে পারি না তাদের সাধারণ মানুষের মধ্যে ইম্পেরিয়ালিজমের দাগ কতটা গভীর। আপনি আছেন, কিছুদিন পর আপনি অনুভব করতে পারবেন, তাদের পূর্বপুরুষরা যে অন্যায় করে গেছে আমাদের ওপর, তার দায় তারা এখনও বহন করে কি না।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমাদের সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্রগ্রামে যে গনহত্যা চালিয়েছে সেটারও প্রকৃত বিচারবিশ্লেষন বোধ করি বাংলাদেশে ও সম্ভব নয় @ হিমু ।
আর ইম্পেরিয়ালিজমের দাগ খুব স্থুলভাবে না হলে ও আসল ক্ষেত্রগুলোতে ঠিকই আছে । দাসপ্রথার জন্য তারা আনুষ্ঠানিক ক্ষমাটমা চায়, প্রতীকি অনুশোচনা ও করে কিন্তু রিপার্টেশনের জন্য যে বিশাল অংকের টাকা দাবী করা হয়েছিল সেটাকে অস্বীকার করে ।
আমার বেশ কৌতুহল জাগে, পার্বত্য চট্রগ্রাম গনহত্যা যখন চলছে আমরা সচেতন,মানবতাবাদী,নিপীড়নবিরোধী বাংগালীরা এর বিরুদ্ধে কতোটা কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিলাম? আমরা কিন্তু ঠিকই একাত্তুরে পাকিস্তানের জনসাধারনের নিরব ভূমিকার সমালোচনা করি ।
ব্যাপক আকারে না হলে ও কিছুটা প্রতিবাদ হয়েছিল কিন্তু । ন্যাপের ওয়ালী খান, সিন্ধু জাতীয়তাবাদী নেতা জিএম সাইদ, কবি ফাইজ আহমেদ , আসমা জাহাংগীর রা সে সময় জেল ও খেটেছেন ।
অনস্বীকার্য্য সংখ্যাটা নগণ্য । বিবেক তাড়িত হওয়াদের সংখ্যা কোথাও খুব বেশী নেই, না এইখানে, না ঐখানে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কোন যুক্তির ধার ধারি না, পাকিস্তানীদের ঘৃণা করি।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আমি করি, মনে প্রাণে ঘৃণা করি। পাকিস্তানিদের বাংলাদেশ সম্পর্কে কী ভুল ধারণা আছে তা ভাঙার দায় আমার না।
টিকটিকি আপনি মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত বইটা পড়ুন। বইটার নাম মনে আসছে না (রাগের মাথা) কিন্তু অনলাইনে ফ্রি পাওয়া যায়। সেখানে জানতে পারবেন ৭১ এ "সাধারণ" পাকিস্তানিরা কি তাদের শাসকগোষ্ঠীর প্রতি বিরূপ ছিল কিনা। মহিউদ্দিন একজন হিন্দুর নাম হতে পারে কিনা, বাংলা নামে কোন ভাষা আছে কিনা এটা যদি এখনও কোন পাকিস্তানি না জানে আমার ঠেকা না তাকে তত শিক্ষা দেয়ার।
আমি কি সব কিছু ঘৃণা করি? না। আসমা জাহাঙ্গীর সহ যারা পাকিস্তানে সম্প্রতি ক্ষমা চাওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন তাদের করি না। নুসরাত ফতেহকে করে করি না, মেহেদি হাসানকে করি না। বাকী সবাইকে করি। তারা আমার "বন্ধু-প্রতিবেশী" হলেও।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
বইটির নাম সম্ভবত "সেইসব পাকিস্তানীরা"।
ইউপিএল এর সৌজন্যে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে পাকিস্তানীদের অতীত ও বর্তমান মনোভাব নিয়ে। যদিও অনুচিত, তারপরও আমি দাবী করবো, বইগুলির অনলাইন সংস্করণ করা হোক।
"পরাজিত জেনারেলদের দৃষ্টিতে একাত্তর" (বা কাছাকাছি নাম, হুবহু মনে পড়েছে না) বইটিতে বাংলাদেশে গণহত্যা পরিচালনাকারী বাহিনীর জেনারেলদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছিলো। সেটিও অবশ্যপাঠ্য।
হাঁটুপানির জলদস্যু
এটার ইংরেজী ভার্শনটা ফ্রি। আমি কোথা থেকে নামিয়েছিলাম। প্রায় পুরোটা পড়েওছিলাম।
এই হলো লিংক: ভ্যাংকুইশড জেনারেলস
ধন্যবাদ স্বাধীন (নিচের মন্তব্যকারী)।
পাকিস্তান এবং যুক্তিবোধ একসাথে চলে না। পাকিস্তান শব্দটি শুনলে ঘৃণা ও রাগে সমস্ত শরীর জ্বলতে থাকে।
দেখুন তো এখানে থাকা বইগুলি খুজছেন কি না।
http://bd71.blogspot.com/2008/04/books-on-1971.html
আমার নিজেকে নিয়ে ধারনা ছিল ঢালাও ভাবে পাকীদের আমি ঘৃণা করি না, কিন্তু যখন এক পাকীকে সামনে পেলাম, আমার ভুল ভাঙতে এতটুকু দেরি হয় নি; পাকিস্তানিদের আমি ঘৃণা করি।
১.
৯৭ সালে আমি দক্ষিণ এশিয়া নাট্য উত্সবের আয়োজক দল নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য... সেখানে সাফ কান্ট্রিগুলার নাট্যদল অংশ নেবে। একটা দল আসবে পাকিস্তান থেকেও... এবং দূর্ভাগ্যভাবে সেই দলটাকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করার দায়িত্ব চাপলো আমার কাঁধে।
ঢাকা থিয়েটারের নেতৃত্বে অন্য নাট্য দলগুলি ইতোমধ্যে এই দলরে ঢাকায় নাটক করতে দিবো নাই বইলা প্রতিরোধের ডাক দিলো।
সেবারই প্রথম আমি পাকিস্তানি কারো হাতে হাত মিলাইলাম... কথা বললাম। কিন্তু আমার এই নিয়া কোনো কষ্ট থাকলো না যখন তারা ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে নাটক করার আগে দাঁড়িয়ে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলো ৭১এ পাকিস্তানের ভূমিকার প্রতিবাদে। যখন বললো শুধু এই কারনে তারা নিজেদেরকে পাকিস্তানি পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করে... এবং এ সহ আরো কিছু আন্দোলনে নাখোশ সরকারের সঙ্গে আপোষহীনতায় তাদের দেশ ছাড়তে হইছে।
এই পাকিস্তানিকে আমি পছন্দই করি না কেবল... ভালোওবাসতে চাই।
২.
সম্প্রতি ফেইসবুকেই অস্ট্রেলিয়া নিবাসী জনৈক সুন্দরীর সাথে আলাপ... কিন্তু যখনই জানতে পারলাম সে পাকিস্তানি তখনই তাকে বিদায় জানাইলাম... বললাম পাকিস্তানিরা সুন্দরী হইলেও তাদের সঙ্গ পরিত্যাজ্য। আমার কিছু ফ্রেন্ড তাকে ব্যাপক গালিগালাজও করলো...
কিন্তু যখনই সে বললো ৭১ সম্পর্কে জানতে চায়... আমি তখন তার সাথে কথা চালাইলাম... তাকে জানাইলাম সব... সে স্যরি বললো... বললো আরো জানতে চায়... আমি তারে রেজওয়ান ভাইয়ের সাইটটার লিঙ্ক দিলাম...
৩.
পাকিস্তানি বা পাকিস্তান নাম শুনলে আমার বিচি কান্ধে উঠে... সহ্য করতে পারি না। চান তারা পতাকা দেখলে তো খবরই খারাপ হয়। এইখানে আমিও সন্ন্যাসীদার মতো... যুক্তিবোধ কাজ করে না।
৪.
মুনতাসীর মামুন- সম্পাদিত সেইসব পাকিস্তানী বইটা পড়ে দেখার অনুরোধ আমিও জানাই। সবচেয়ে কষ্টকর যখন সেখানে পড়ি সেইসব পাকিস্তানী জেনারেলদের বাড়িতে দারোয়ান বা বাবুর্চি হিসাবে কাজ করছে বাংলাদেশের মানুষ।
৫.
আমি কখনো পাকিস্তানী প্রোডাক্ট ব্যবহারের কথা ভাবতেই পারি না। কিভাবে সম্ভব সেটা? একটা ম্যাঙ্গো জুস কিনলে সেটার খুব অল্প পরিমান টাকাও তো সমৃদ্ধ করবে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে।
আর সেজন্যই আমি পাকিস্তানী কোনো রেস্তরায় কখনোই খাবো না।
আমার কষ্টার্জিত টাকায় সমৃদ্ধ হবে পাকিস্তানের রাজকোষ? অসম্ভব...
৬.
আপনি কিভাবে এবং কোন বিচারে... আকাশ বাতাস পাখি পাকিস্তানী সব এক কাতারে ফেললেন বুঝলাম না... আপনার কাছে কি সত্যই এক মনে হলো, নাকি আপনার পোস্টে এই প্রসঙ্গ টানা হয়েছে বলে আপনি যুক্তি খুঁজছেন? আপনার পাকিস্তানি রেস্তোরায় বন্ধুকে আপ্যায়ন করাটাকে জায়েজ করতে যদি আপনি এই রকম একটি পোস্ট দিয়ে ফেলেন তবে তা খুব দুক্ষজনক।
আমি বিশ্বাস করি আপনি মনে প্রাণে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক।
৭.
আপনি বৃটিশদের প্রসঙ্গ তুলেছেন। আমি অন্তত বৃটিশদেরকে কখনোই পছন্দ করি না। বৃটিশ প্রোডাক্টও জানামতে ব্যবহার করি না।
আমি সবসময় শোষণের বিপক্ষেই অবস্থান করি। সেটা যেখানে বা যেই করুক। আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানদের (পড়ুন 'আমারে কবর দিয়ো হাঁটুভাঙ্গার বাঁকে') থেকে শুরু করে যেখানে যতো শোষণ হয়েছে সবরকম শোষণের বিরুদ্ধেই আমার অবস্থান। আর বুশের কথা বললেন? আর কি বলবো?
৮.
বাংলাদেশে অবস্থিত সংখ্যা লঘিষ্ট জনগোষ্ঠীর কথা বলেছেন হাসান মোরশেদ... এই যে তুলেছেন, আমি তুলছি... সবসময় তুলে আসছি... সবসময় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি... সেইসব বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চাইছি... তাদের সামনে গেলে নতজানু হয়ে যাই...
এটাই আমার প্রতিবাদ। এই রাষ্ট্রের তো কতো মনোভাবই পাল্টাতে চাই... আন্দোলন করেছি করি করবো... পারি না... তেমনি একটি ব্যর্থতা এই ক্ষেত্রেও আছে। হয়তো একদিন আমরা সফল হবো।
৯.
আমাদের দাবী খুব স্পষ্ট...
পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইবে, এবং তত্কালীন দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দেবে। অপরাধী ঘোষণা করবে।
আর তখনকার আর্থিক লেনাদেনার বিষয়টা ফয়সালা করবে।
এদেশে অবস্থানরত তাদের শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেবে।
এই দাবীটা তাদের কাছ থেকেও উঠুক, এটা চাই। তাদের এই অসচেতনতাই আমাকে যে কোনো পাকির প্রতিই বিমূখ হতে বাধ্য করে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পাকিস্তান ইস্যুতে সচলায়তনে পচুর গিয়ানজাম করে ফেলেছি। এখানেও করতাম, কিন্তু আমার আগেই অনেক সচল চমৎকার সব যুক্তি দেখিয়ে গিয়েছেন। আমার বক্তব্য কম বেশি তাঁদের মতোই।
আমি শুধু বলতে চাই, পাকিস্তানের প্রসঙ্গে কোন যুক্তি নাই। যতদিন তাঁরা মাফ না চাবে, আর বাংলাদেশের মধ্যে বাম হাত ঢোকানো বন্ধ না করবে, ততো দিন পাকি এবং তাদের এ দেশীয় সহচর ছাগু পোন্দানো অব্যাহত থাকবে, অন্তত আমার তরফ থেকে।
*** বাজে ভাষার জন্য দুঃখিত, কিন্তু এটা ছাড়া আমার পক্ষে মনের প্রকৃত ভাব প্রকাশ সম্ভব হতো না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আপনি যা বলতে চেয়েছেন তা বুঝতে পেরেছি। মানুষকে তার জাতীয়তা, বর্ণ, চেহারা, অর্থনৈতিক পরিচয়ে বিচার করতে চাই না। করি না। কিন্তু এই পাকিস্তানের ব্যাপার আসলে যুক্তি কাজ করে না। এ লেখাটাও তাই প্রথম পড়ে মাথা একটু গরম হয়ে গিয়েছিলো। বিস্তারিত নজরুল ভাই বলেছেন, সবজান্তা বলেছেন, কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন, আরও অনেকেই বলেছেন। আমি আর না বলি।
তবে পাকি পন্য কিনতে পারি না। কখনো কিনি নাই। আমার পরিবারের কেউ কিনে নাই।
পাকিদেরকে প্রথমের বাতিলের খাতায় ফেলাটা যে ভুল তা শিখেছি আমার দুই পাকি বন্ধুর কাছে। যেসব বাঙালি পাকি ভাষায় কথা বলে। পাকিদের চামচামী করে। তাদের চেয়ে ৭১ নিয়ে অনুশোচনা পুষে রাখা এই দুই পাকি বন্ধু হাজার গুনে ভালো।
এই বন্ধুর পাল্লায় পড়ে পাকি রেস্তোরায় এই বছরে ক'বার গিয়েছি। এর আগে কখনো যাই নাই।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
লেখকের কথায় যে-যুক্তিটুকু আছে, সেটা বুঝতে পারছি। আমার চোখে ব্যাপারটা অনেকটা এরকম -- ঢাকা থেকে করাচি অনেক দূর, তাই নিজের অবস্থান ধরে রাখা খুব বেশি জরুরী/সহজ। অন্যদিকে ভার্জিনিয়া থেকে করাচি ও ঢাকা দুটোই অনেক বেশি দূরবর্তী। নিজভূম থেকে বিতাড়িত/বিচ্যুত প্রতিটা মানুষের ভেতরই এক ধরণের ঘরমুখী হাহাকার কাজ করে। সে-কারণেই বাইরে এলে "দেসি"দের মধ্যে এক ধরণের নৈকট্য কাজ করে। জাতিবৈষম্যকে তখন বর্ণবৈষম্য ও বিত্তবৈষম্য ছাড়িয়ে যায়। এই স্বাভাবিক নৈকট্যকে আমি বাস্তবতা হিসেবেই মেনে নেই। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি লেখকের দিকটা বুঝতে পারছি মনে হয়।
যুক্তির দিকের সবকিছু হাসান মোরশেদ ভাই এক কথায় বলে দিয়েছেন -- সংবেদনশীল, বিবেকবান মানুষ সবদিকেই সংখ্যালঘু।
আবেগের দিকের সবকিছুও সন্ন্যাসীদা বলে দিয়েছেন -- হাজারো যুক্তি মেনেও এক ধরণের অসহায় ক্রোধের কাছে আত্মসমর্পণ করি চাঁদ-তারা পতাকা দেখলে।
স্রেফ 'মানুষ' হিসেবে জীবনপথে দেখা হলে আমি বিভেদ করি না, তবে কেউ পাকিস্তানি পরিচয় তুলে ধরে মিশতে এলে (উর্দু, ইত্যাদি) নিজের ভাষা ও পরিচয় ধরে রাখা খুব জরুরী। এ-প্রজন্ম সেটা করতে ভুল না করলেই হল।
নিজেরা শোষিত বলেই পার্বত্য চট্টগ্রামের মত ইস্যুতে আমাদের এখন ত্রুটিস্বীকারের সময়ও এসেছে।
আমাদের এখানে ডাল কিনতে হলেও পাকিস্তানি দোকানে যেতে হয়। হিমু ভাইয়ের মত সব এড়িয়ে চলতে পারলে মনে শান্তি পেতাম, কিন্তু বাস্তবতা বেগতিক।
আমাদের এইখানে উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম কোনদিকেই একশো মাইলের মধ্যে হালাল মাংসের কোন সোর্স নাই, এক পাকির ফার্ম ছাড়া ... আমি নিজে ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামাই না, হাউসমেটরা ঘামায় ... তাই সেই পাকিরে ফোন করেই অর্ডার দেই, নিয়ে আসলে হাসিমুখে হাই-হ্যালো করে দাম মেটাই ...
কি করার আছে এ ছাড়া?
কিন্তু এই জন্য যদি কেউ আমাদের দিকে আঙ্গুল তোলে তাহলে আমার মেজাজ খারাপ হবে, একটা কথাই বলবো, দূরে গিয়া মর ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
কি করবা বলো। একটা কথা। এই হালাল মাংস, দেশী কাঁচাবাজার, এমনকি শাড়ি-সালোয়ার কামিজ, এসবের ব্যবসা ইন্ডিয়া-পাকিদের হাতে ক্যান আমাকে বুঝাও তো? এতো বাঙালি, তারা কি করে?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ব্লগ লেখে মনে হয়
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
হা হা হা হা!
এখানেও আমার অভিজ্ঞতা বলে, বাঙালি ব্যবসায়ী হিসেবে এখানে খুব একটা ভালো নয়। ব্যবসা চালানোর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কূটবুদ্ধি সব প্রবাসীর নেই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
এখানে সমস্যাটা 'ট্যাগ' এর। পাকিস্তান ট্যাগটি থাকলেই আমাদের ইতিহাস তাকে আর ভালো বাসতে দেয় না। এই বোধটা কারো মধ্যে তীব্র থাকে, কারো মধ্যে থাকে না। একাত্তরেও আমাদের কেউ কেউ বুকে মাইন বেঁধে ট্যাংকের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, কেউ মুক্তিযুদ্ধে পরোক্ষ সহযোগিতা করেছে, কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, কেউ পাকিস্তানীদের সাথে হাত মিলিয়ে এদেশের মানুষকে হত্যা করেছে। বোধের তীব্রতার পার্থক্যই এর কারণ। তাই একইভাবে পাকিস্তান নামটি শুনলেই কারো মধ্যে ইতিহাস তীব্রভাবে আঘাত করে, কাউকে কম তীব্রভাবে করে, কাউকে আঘাতই করে না, কেউ আবার উলটা ভাবে পাকিস্তান থাকলেই আমরা সুজলা-সুফলা হতাম।
আপনার 'যুক্তি'টা অনেকটা এরকম - ৫০এর নিচে যাদের বয়স, তাদেরকে রাজাকার বলা যাবে না। সমস্যা হলো, ৫০এর নিচের যারা রাজাকারি চেতনা ধারণ করে, তাদেরকে এতে বৈধতা দেয়া হয়। বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করা জামাতও এই 'যুক্তি'র সুযোগ নিয়ে আজ স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করে, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাকেই টিভি ক্যামেরার সামনে লাথি মারে।
পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণা মানে পাকিস্তানী কাউকে দেখলেই গিয়ে চড় কষে দেয়া নয়। ঘৃণা মানে সেই অনুভূতি, যা মনে করিয়ে দেয় এই কুত্তার বাচ্চারা কত বড় অপরাদঃ করেছে আমাদের সাথে, সে অপরাধের জন্য ক্ষমা চাওয়ার সৌজন্যও দেখায় নি। জামাতের সাথে ঘৃণা ভুলে গিয়ে যারা দেশ গড়তে চায়, তারা বুঝে না দেশের জন্মের বিরোধিতা করা একটা গোষ্ঠী কেন দেশের ভালোর জন্য কাজ করবে। যুদ্ধে হারা পাকিস্তান ও পাকিস্তানীদেরকে যারা ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেন, তারা বুঝতে চান না, তারা আপনার ভালোবাসার থোড়াই কেয়ার করে, তারা আপনার ভালোবাসাকে বড়জোর পতিতার ভালোবাসা মনে করতে পারে।
ব্যাপারটা অনুভবের, অনুভূতির তীব্রতার। সেই তীব্রতা একাত্তরেও সবাই সমানভাবে অনুভব করে নি, আজও করবে না। তবে মানুষকে জানার এটাও একটা নিয়ামক বৈ কি!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ফারাক্কা এবং বাবরী মসজিদের উদাহরণ দিয়ে আপনি পাকিদের অপরাধকে একই পাল্লায় উঠাতে চাইছেন। বাবরী মসজিদের ব্যাপারটা মূলত ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, ওটাকেও আমাদের কনসার্ন ধরেও বলা যায়, অপরাধের তীব্রতার বিষয়টি আপনার বক্তব্যে চাপা পড়ে গেছে।
আজকাল একটা ট্রেন্ড দেখা যায়, কেউ গালি দিচ্ছে ধুর শালা, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত - সব শালা খারাপ! (কেউ কেউ অবশ্য জামাতকে 'টেরাই' করতে চান।) কথাটা মিথ্যা না। কিন্তু এতে যে জিনিসটা চাপা পড়ে তা হলো, আওয়ামী লীগ খারাপ হলেও স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দেয়া দল, বিএনপির জন্ম সামরিক উপায়ে হলেও জিয়া একজন সেক্টর কমান্ডার আর জামাত দেশের জন্মের বিরোধিতাকারী। সুতরাং এদেরকে এক পাল্লায় তুলে দেয়া যায় না, একইভাবে এদের মূল্যায়ন করা যায় না।
এবার আসুন ফারাক্কা বাঁধ বনাম একাত্তরের গণহত্যা ও ধর্ষণ। দুটো অপরাধকে এক পাল্লায় বিচার করা যায় না। আমাকে কেউ একটা চড় দিলেও অন্যায় করলো, আমার মাকে কেউ ধর্ষণ করলেও অন্যায় করলো। ওই চড় দেয়া লোকটা আমার পুরো পরিবারকে বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো। চড় দেয়া লোকটির সাথে আমার সম্পর্ক রাখা আমার মায়ের ধর্ষকের সাথে মিষ্টি ব্যবহার করাকে জায়েজ করে না। দুটো অন্যায়ের তীব্রতার পার্থক্যটা আশাকরি বোঝাতে পেরেছি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই'দার মন্তব্যে জাঝা
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
গণহত্যা আর্কাইভের এই পাতার উপর কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু পাকিস্তানী মতামত সংগ্রহ করেছি মুক্তিযুদ্ধের উপর।
যেমন:
করাচী মেটব্লগে একজন পাকিস্তানী নারী লিখেছেন:
I had always been ashamed to meet the eyes with any Bengali, although I was not a part of the brutality which was unleashed upon the innocent people to favor just a handful few but still I feel the guilt. For these Crimes and incidents I do not blame the army, I do not blame the foreign elements, I don’t blame anyone else but my self. Me, and the people who took advantage of them, who never stood-up for them, who never raised their voice against the unjust, We never talked to our children about it, we never told the stories we should have been telling. Was this not our responsibility ?
অথবা:
Pakistanis were misled into thinking that Bangladeshis were Hindus:
“Ahmad Salim, a former professor of the Karachi University Ahmad Selim, who suffered jail terms for writing against military atrocity in Bangladesh in 1971, said that in 1971 the people of West Pakistan were in the dark totally about what was really going on in the eastern part due to the false and malicious propaganda of the then military rulers of Pakistan.”
The Dawn:
“What we need to remind ourselves, but don’t, is that there was hardly a voice raised in West Pakistan against the army action in East Pakistan. In fact, the overwhelming opinion in the Punjab was that Yahya had done the right thing, his only mistake being just one: he had moved too late and let the situation deteriorate. In Lahore, the only person who publicly spoke against the army crackdown was the journalist and lifelong communist Abdullah Malik who told a meeting of students at the Engineering University, “We are with the suppressed people of Bangladesh.” He had said in Urdu, “Hum Bangladesh ke mazloom awam ke saath hain.”
Malik was hauled up, produced before a summary martial law court and sentenced to a jail term and a fine. He was spared lashes because the major presiding over the court said he was being spared that particular punishment because of his “age”. The ever youthful Malik, then 51 years old, told us, “This offends me more than my sentence.”
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
সেইসাথে ঘৃণা করি তাদের দেশীয় দোসরদের যারা পাক-সেনাদের চাইতে এক কাঠি সরেস ছিল। যতদিন তারা সকলে মাফ না চাইবে, ধর্ষণ-লুঠ-ভষ্ম-গণহত্যার জন্য সকলের জন্য ঘৃণা।
নূসরাত ফতেহ বেঁচে থাকতে মাফ চান নাই, তাই গুণী হলেও তাঁর মাফ নাই। তাঁকে সাংঘাতিক ঘৃণা করি।
ঢালাও ভাবে কোন এক জাতি, গোষ্ঠী বা ধর্মকে ঘৃণা করার পক্ষপাতি আমি নিজেও নই। এর ভেতরে কোথাও না কোথাও লুকোনো মৌলবাদের গন্ধ নাকে এসে লাগে আমার। এ মৌলবাদের চেহারা আমাদের অতি পরিচিত ধর্মীয় মৌলবাদ না হলেও একে নিয়ে ভাবা দরকার আমাদের। সেই ভাবনা নিয়ে আপনার যে সাহসী পদক্ষেপ, তাকে আমি সাধুবাদ জানাই।
নিজেও পাকিস্তানীদের পছন্দ করতে পারি না। এর পেছনে যে ইতিহাস লুকোনো আছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সে ইতিহাসের কারণে ব্যাক্তিঘৃণা লালন করা যে পৃথিবীব্যাপী শান্তিপ্রতিষ্ঠার গতিকে ব্যাহত করে, সেটা জেনেও অনেক সময় নিজেকে তা থেকে মুক্ত করতে পারি না। এতে বর্তমান পাকিস্তানিদের অবদানও একেবারে কম নয়। তারা এখনও একই প্রশ্ন করে যায়, “তোমরা নিজেরা মুসলমান হয়ে মুসলমান ভাইদের বিরুদ্ধে কেন অস্ত্র হাতে নিলে”? সে মানুষটি যতোই আন্তরিক হোক না কেন, তার শিক্ষার পরিধি যতোই বিশাল হোক না কেন, এই প্রশ্নটি একবার হলেও আসবেই। আর তখনই ফিরে আসি আমরা একই বৃত্তে, একই ঘৃণার আবর্তে ঘুরপাক খাই। কিন্তু এই ঘৃণাকে কি করে অস্বীকার করি? যদি করি, তাহলে তো আমাদের যোদ্ধাদের অবদান, আমাদের ভাইদের রক্ত, আমাদের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হয়।
সেজন্যেই অনেকের সাথে মিলে আমিও বলি, দুই পক্ষ থেকেই সঠিক ইতিহাসকে স্বীকার করে এগিয়ে আসা দরকার। পাকিস্তানী শাসকের ক্ষমা চাওয়া দরকার। সেই সাথে তাদের জনগনকে এই ক্ষমা চাওয়ার পেছনের সঠিক ইতিহাসটি জানিয়ে দেয়া দরকার। আর আমাদের দরকার ব্যাক্তিঘৃণা থেকে নিজেদের মুক্ত করা। এসব দরকারী পদক্ষেপ হলেও আপাতঃ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুরাশা ছাড়া কিছুই নয়।
তবে আমরা পাকিস্তানী হলে কি করতাম, এই আত্মসমালোচনামূলক চিন্তাটিও মাথায় আসে আমার। আমাদের নিজেদের দৈনন্দিন রাজনৈতিক অন্ধকারের ঘোরচক্র, পার্বত্য চট্টগ্রামে আমাদের সাশসকদের ঘাতক চেহারা, আমাদের ক্ষমতার সন্ত্রাসী অপব্যবহার কোন না কোন ভাবে আমাদেরকেও একই কাতারে দাঁড় করিয়ে দেয় না?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরন্দাজ ভাই, এ ধরনের প্রশ্ন এভাবে যার মাথায় আসে, সে হয়তো মুসলমানই রয়ে গেছে, মানুষ হতে পারেনি বলেই আমার ধারণা।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এই একটি জায়গায় " পাকিদের ঘৃনা" না করার কোন কারণ-যুক্তি আমার কাছে নেই।
একবার আমার বোন তাকে চোখে দেয়ার একটি কাজল কিনে এনে দিতে বলেছিলো। আমি কাজলটি কিনতে গিয়ে দেখলাম যে এটা পাকিস্তানের তৈরী, এটা দেখে আমার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যাওয়ার উপক্রম হলো। আমি কোন রকম বাসায় এসে আমার বোনকে ডেকে ওর গালে আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে একটা চড় বসিয়ে দিয়েছি। সেদিন কেন তাকে চড় মেরেছিলাম এর কারণ তাকে দুই বছর পর বলেছিলাম।
আমি যুদ্ধ দেখিনি কিন্তু যখন এই পাকিদের নিয়ে কেউ কথা বলে তখন আমার চোখের সামনে শহীদ আজাদের মায়ের ছেলের জন্য ভাত নিয়ে টিফিনকারী হাতে ছুটোছুটির চিত্র ভেসে আসে। মনে মনে শহীদ রুমীর ছবি আঁকতে চেষ্টা করি, কেমন দেখতে ছিল সে, সদ্য গোঁফ উঠা কোন তরুন নাকি আমার স্বাস্থ্যবান ছোট ভাইটার মতো ছিল!!
ভাল্লাগেনা এইসব........ শুধু জানি আমি এদের ঘৃনা করি, প্রচন্ড ঘৃনা করি।
.................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আমি নিজে কখনো বাংলাদেশের বাইরে যাই নি তাই আপনার মত কোন পাকি কে পরীক্ষা করা হয় নি তবে আমি এতটুকু বুঝি যতদিন পাকিস্তান আমাদের কাছে প্রকাস্যে ক্ষমা না চাচ্ছে ততদিন ওদের প্রতি রইবে আমার ঘৃণা । এই ঘৃণা সব পাকিদের প্রতি নয় যারা তাদের রাষ্ট্রের গ্ণহত্যা কে সমর্থ্ন করে তাদের প্রতি । ভালবাসায় যেমন কোন যুক্তি কাজ করে না দেশের প্রতি আমার ভালবাসায় সেরকম কোন যুক্তির ধার আমি ধারি না ।
আর আপনি বলেছেন পাকিস্তান সম্পর্কিত সব কিছু আপনি ঘৃণা করতে পারেন না , ঠিক আছে । কিন্তু এখন আপনি গিয়ে এমন কাওকে বলুন এই কথা যার পরিবারের এক দুই জন ৭১ এ গ্ণহত্যার শিকার হয়েছেন , তাকে বলুন ক্রিকেটে পাকিস্তান সাপোর্ট করতে । ঠিক যেই কারণে সে পাকিস্তান সাপোর্ট করবে না ঠিক সেই কারণে আমিও পাকি দের সাপোর্ট করব না ।
নিবিড়
আমি এক অশুভ ছাড়া আর কোন কিছুকে ঘৃণা করি না।
আমি সবকিছুকে আলাদা করি "শুভ" এবং "অশুভ" এই দুটি টার্মের মাধ্যমে।
একাত্তরে পাকিস্তানীরা আমার মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে, আমি সেই পাকিস্তানীদের ঘৃণা করি; সেই পাকিস্তানীদের যারা বিচার করেনি তাদের ঘৃণা করি।
একাত্তরে পাকিস্তানীরা গণহত্যা করেছে; আমি সেই গণহত্যা ও হত্যাকারীদের ঘৃণা করি; যারা সেই গণহত্যার বিচার করেনি তাদের ঘৃণা করি।
এছাড়াও একাত্তরে পাকিস্তানীরা অসংখ্য অপরাধে অপরাধী। সেই সব অপরাধ ও অপরাধীদের ঘৃণা করি। যারা সেই সব অপরাধের বিচার করেনি তাদের ঘৃণা করি।
কিন্তু সেই অপরাধীদের বংশধরদের ঘৃণা করি না। কারণ, তাহলে আমার নিজেকেও ঘৃণা করতে হয়। আমার বাবা-মা দুজনেই জামাত করেন। এই ১ বছর আগেও আমি তাদের মতে বিশ্বাস করতাম। আমি নিজেকে ঘৃণা করতে পারবো না।
পাকিস্তানী পরিবারে জন্মেছেন বলে যদি কাউকে ঘৃণা করতে হয়, তাহলে একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘরে জন্মেছি বলে তো আমার নিজেকেও ঘৃণা করতে হয়।
আমি একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘরে জন্মেছি, এজন্য কি আপনারা কেউ আমাকে ঘৃণা করেন।
যদি করেন তাহলে আমার কিছু বলার নেই।
আর যদি না করেন তাহলে বলতে হয়, দেশের সব জামাত-শিবিরকেও আপনি ঘৃণা করেন না। বাবা-মা জামাতপন্থী হলে ছেলেমেয়েরাও অধিকাংশ সময় জামাতপন্থী হয়; কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই নিজে কিছু না জেনে বাপ-দাদার ধর্ম পালন করে যায়। জামাত-শিবিরের ঘরে আমার মতো অনেক ছেলেপুলে আছে যারা মুক্তিযোদ্ধার ঘরে জন্মালে জামাত-শিবির উচ্ছেদে জীবন দিয়ে দিতো।
তাই আমার মনে হয়, ঘৃণা করাটা খুব সহজ বলেই সবাই ঘৃণা করেন। কারণ ঘৃণা করতে কোন যুক্তি লাগে না।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
অনেকেই ভাবছেন, পাকিস্তানকে 'আবেগ' থেকে ঘৃণা করা হয়। কিন্তু যুক্তির ব্যাপারটা কি আলাদা? আমার কাছে, আবেগের চেয়েও যুক্তির খাতিরেই ঘৃণাটা বেশি আসে। ৩০ লাখ মানুষকে হত্যার পরেও কাউকে ঘৃণা করতে যুক্তির টান পড়ে নাকি?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এখানে কিছুটা আলাদা করে দেখা দরকার অছ্যুৎ বলাই |
পাকিস্তানী শাসক ও যারা যুদ্ধাপরাধী, তাদের প্রশ্নে আমাদের ঘৃনার পেছনে অবশ্যই যুক্তি রয়েছে। আবেগের কোন প্রশ্নই আসে না।
সাধারণ পাকিস্তানীদের প্রতি আমাদের যে ঘৃণা, সেটার প্রায় পুরোটাই আবেগতাড়িত। হয়তো এটাই স্বাভাবিক ও আমাদের তা স্বীকার করা উচিত।
আবার কোন পাকি যদি সেই কাহিনী বিকৃত করে আমাদেরকে আঘাত করে, তাহলে যুক্তির কারণেই ঘৃণার জন্ম নেয় সেখানে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরুদা, এখানে অর্থটা সামষ্টিক, ব্যক্তিক নয়। সাধারণ পাকিস্তানী বলে কি কিছু আছে? পাকিস্তানী শাসক ও যোদ্ধারা তো পাকিস্তানকে রিপ্রেজেন্ট করে। পাকিস্তানী শাসক বলে আলাদা একটা সত্ত্বা তো নেই। পাকিস্তান বলতে তার শাসক, সামরিক বাহিনী, বেসামরিক লোকজন সবাই অন্তর্ভুক্ত। আজ বাংলাদেশের ক্রিকেট টীম যখন ম্যাচ জেতে, তখন সেটা কি 'ক্রিকেট দলের' খাতায় জমা হয় শুধু? তাইলে আমরা লাফাই কেন, আনন্দে রাস্তায় নামি কেন?
সাধারণ জনগণের সবাই হত্যার সমর্থক নয়, সেটা পাকিস্তান হোক আর ইজরায়েল হোক। কিন্তু দায়টা আসলে সবার ওপরে গিয়েই পড়ে। ধুসর গোধুলীর দেয়া উদাহরণের মত যারা আছে, তারা ব্যতিক্রম। ব্যতিক্রমকে উদাহরণ ধরে আগালে বিপদ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
৯৪ তে রাঙামটি গিয়েছিলাম .... তখন আমি ভীষনভাবে শান্তিবাহিনীর বিরোধী .... পেপার-টেপার পড়ে যা হয়
তো, একদিন একজন ডাক্তারের কাছে শুনলাম পাহাড়ীদের অত্যাচারিত হবার ইতিহাস .... এটা একটা বিরাট শক ছিলো ... আমি প্রথম বুঝলাম কতটা অজ্ঞ ছিলাম ... তবে সে ইতিহাস আমি পরে অনেক পরিচিতদের মাঝে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি ... মোর্শেদ ভাই যেটা বললেন, সেটাই হয়েছে ,,, সংখ্যালঘু হয়ে গেছি ,,,,, বুঝেছি, আসলে এটা এত সহজে বোঝানো যাবেনা ,,,, যার যখন সময় হবে রাঙামাটি গিয়ে, বিপ্লব রহমানের বই পড়ে বুঝে নিবে, জেনে নেবে ,,,,
আমাদের বাংলাদেশেই আমরা এখনও প্রজন্ম টু প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারিনি ,,,, সবার গা বাঁচিয়ে যতটুকু তুলে ধরলে শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ ছড়িয়ে দেওয়া যায়, ততটুকুই পেরেছি ,,, সেখানে ৭১ এর অত্যাচারী সাইড পাকিস্তান রাষ্ট্র নিজ দেশের সংবাদপত্র/পাঠ্যক্রমে নিজেদের চরম বর্বরতার ইতিহাস স্বীকার করে নেবে, এটা আশা করার মতো নির্বোধ আমি নই .... সেজন্য দোষটা মূলতঃ পাকিস্তান রাষ্ট্রের
তাই শুধু পাকিস্তানী বলে কাউকে আমি ঘৃণা করিনা ... ৭১ এর একজন পাকিস্তানী নাগরিক আর ৯৪ এর সেই পাহাড়ীদের ইতিহাস না জানা আমি --- স্কেলে ভিন্ন হলেও একইরকম .... বাংলাদেশের স্কুল/ইউনিভার্সিটিগুলোতে গিয়ে যদি সার্ভে চালানো হয় পাহাড়ীদের উপর চালানো অত্যাচার সম্পর্কে তারা কি জানে, আপনি হতাশ হবেন!
তবে পাকিস্তান রাষ্ট্রের ব্যাপারে আমার সুনির্দিষ্ট দাবী আছে --- (১)যথাযথভাবে (শহীদদের সংখ্যা ) যুদ্ধাপরাধ স্বীকার করতে হবে, (২) বাংলাদেশকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, আমার মতে এটা হওয়া উচিত ৩০ হাজার কোটি টাকা (এটা খুবই উদার একটা হিসাব) .... তাতেই চলবে .... প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শত্রুতা বয়ে যাবার পক্ষে আমি নই .... তবে, উপরের দুটো শর্ত পূরণের আগে কিছু নয়
আর একটা কথা, প্রায়ই অনেককে বলতে শুনি, তবে পাকিস্তান খালি ক্ষমা চাইলেই ক্ষমা করে দেয়ার পক্ষপাতি আমি নই ... শাস্তি হওয়া উচিত কঠোর
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
যু্ক্তিবোধ আমি ভালোবাসি। এবং 'ঘৃণা' শব্দটিকে আমি ঘৃণা করতে চাই।
কিন্তু ৭১-এ যে পরিবার থেকে মা ভাই বোন সহ পাঁচজন সদস্যের মৃত্যু পরিবারটিকে বিরান এবং নারীহীন বানিয়ে দেয়, সে পরিবারের সদস্যের কাছে আবেগের নিয়ন্ত্রণ আর যুক্তিবোধ আশা করাটা মশকারিই হয়।
অতএব, পাকিস্তান প্রশ্নে আমার কাছে একটা শব্দই প্রথমে উচ্চারিত হয়, 'ঘৃণা'। এক্ষেত্রে পাকিস্তানীরা ক্ষমা চাইলেও যে শব্দটি থেকে আমার মুক্তি পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই, তা হচ্ছে তীব্র 'ঘৃণা'।
আমি নিজেকে একজন যুক্তিবাদী হিসেবে গড়ে তোলায় আন্তরিক। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখিত যে এখানে আমার কোন যুক্তি নেই। এবং কোন যুক্তিতর্কে নামতেও চাই না।
কারণ, শেষপর্যন্ত আমি পাকিস্তানকে বিনাযুক্তিতে ঘৃণা করে যেতে চাই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এতো কথার পরও পাকিস্তানের বিপক্ষে
আমার মনোভাব একদমই পাল্টায়নি।
কামলা খাটতে যেতে হবে।
ফিরে এসে কথা বলবো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সাইবার ক্যাফে থেকে লিখছি। তাই অন্যদের মন্তব্য পড়ার সময় নেই।
=============================
১
আমি শুনেছি ১৯৭১এ পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ শাসকগোষ্ঠীর আচরণ মেনে নিতে পারেনি। আমি এর সত্যতা জানি না। তাই আমি এ নিয়ে তর্ক করব না।
আপনি যার সত্যতা জানেন না তা এভাবে লিখিত আকারে প্রকাশ করতে পারেন না। কারণ যার সত্যতা জানেন না তার দায়িত্ব তো আপনি নিতে পারবেন না। কাজেই পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ ভালো ছিলো কি খারাপ ছিলো সে-বিষয়ে আপনার বক্তব্য না-রাখাই ভালো।
২
কিন্তু একটু ভেবে দেখুনতো, কি পরিস্থিতিতে একটা পাকিস্তানি মানুষ একজন বাংলাদেশিকে এরকম একটা প্রশ্ন করতে পারে? উত্তরটা খুব সহজ। তাকে ছোট বেলা থেকে ভুল শেখান হয়েছে।
পাকিস্তানে কেউ যেনো তাদের শিশুদের ছোটোবেলা থেকে ভুল না শেখায়- সেই দায়িত্ব কি আপনি নেবেন? অথবা আপনি ব্যবস্থা করতে পারবেন পাকিস্তানি শিশুদের সঠিক শিক্ষার? পারবেন না। তাহলে এই ভুল শেখানোর বিষয়টিকে অজুহাত হিসেবে টেনে আনছেন ক্যানো??
৩
আমি পাকিস্তান সম্পর্কিত সবকিছুকে ঘৃণা করতে পারি না। এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত চিন্তা।
আপনি নিজেই বলছেন এটা আপনার ব্যক্তিগত চিন্তা। তাহলে আপনার পোস্টে বলা কথাগুলো পাঠকদের ভেবে দ্যাখার আহ্বান জানালেন ক্যানো???
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
যেহেতু সরাসরি আমাকে প্রশ্ন করেছেন, তাই উত্তর দিচ্ছি।
১) মেনে নিচ্ছি। যা সত্য বলে জানি না, তা নিয়ে কথা বলা সাজে না। কিন্তু সেটাকে সম্ভাবনা হিসেবে তুলে ধরা যায়, এবং যার ফলশ্রুতিতে রেফারেন্স হিসেবে কিছু ঘটনা, কিছু লিংক, কিছু বইয়ের কথা এসেছে......সেগুলোর কথা জানাটা - প্রাপ্তি।
২) আপনার এই প্রশ্নটা বক্তব্য থেকে সামান্য দূরে সরে গেছে। বক্তব্য ছিল, যে জানে না তাকে ঘৃণা করতে একটু বাধে। অনুরূপ উদাহরণ কমেন্টের ভেতর পেতে পারেন - পাহাড়িদের ব্যাপারে আমাদের স্কুলের ছেলেগুলো কিছুই জানে না, বা ভুল যদি জানে, তাদের কি দোষ দেয়া যায়?
তবে দায়িত্বের কথা যখন বলেছেন, আমি যদি এমন কাউকে দেখি যে জানেনা, এবং তাকে আমি জানাতে পারি - তবে জানানোটা আমার দায়িত্বের ভেতরে পরে বলে মনে করি।
৩) কারণটা অনেকটা এরকম - আমার লেখার উদ্যেশ্যটা কারো ব্যাক্তিগত চিন্তভাবনা পরিবর্তনের দাবী জানানোর নয়, সে অধিকার আমার নেই। এটা শুধুই ভেবে দেখার আহ্বান (যেমনটি আপনিই লিখেছেন)
লেখকের নিক টিকটিকির ল্যাজ ।
ব্লগে লেজ দেখানোঅলাদের থেকে দূরে ভাগলাম ।
একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?
একটা ব্যাপারে একটু পরিষ্কার করে বলি। এই লেখাটার পেছনে আমার মূল উদ্যেশ্য ছিল একটা দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরা। কোন কিছু প্রতিষ্ঠা করা নয়, (যে জন্য লেখার শেষ লাইনে ভেবে দেখার আহ্বান জানানো, মেনে নেয়ার দাবী নয়, সে অধিকার আমার কখনোই নেই)।
আমি এটা বিশ্বাস করি যে ১৯৭১ এ যদি আমার মাকে পাকিস্তানি আর্মিরা ধর্ষণ করতো, আমি এভাবে লিখতে পারতাম না। এভাবে কখনো ভাবতাম ও না। যত যুক্তিই থাকুক না কেন। কাজেই যুক্তি যে মানতেই হবে এটাকে মহা সত্য বলে মেনে নিচ্ছেই বা কে!!!!
ধূগোদা লেখাটার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। লেখার ফলশ্রুতিতে আমি অনেকের অনেকগুলো দৃষ্টিভঙ্গি, কিছু রেফারেন্স তথ্য সূত্র ইত্যাদি পেয়েছি। এগুলোকে আমি আমার জন্য লেখাটার প্রাপ্তি হিসেবে দেখছি। অন্যদের কথা জানি না।
লেখাটার কারণে কেউ যদি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অপমান সূচক কথা বলতে চান, লেখার মাধ্যমে সরাসরি অপ্রাসঙ্গিক শিশুতোষ আক্রমণ করতে চান, আমার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, আমি যুদ্ধে নামব না; তবে কষ্ট পাব আমার লেখার বক্তব্যটুকু বোঝাতে পারিনি বলে।
ঠিক। পোস্টে একটা ভাবনা, একটা প্রস্তাবনা আছে, সেটার পক্ষে বিপক্ষে কথা হোক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
যারা মানবতার বিরুদ্ধে অন্যায় করেছে তাদের তো ঘৃণা করবই। এটাই স্বাভাবিক। প্রশ্ন হল পাকিস্তান করেছে না পাকিস্তানিরা করেছে। ও কথা সবাই ভেঙেচুড়ে বলেছেন। কিন্তু মিরজাফর, বর্তমানে আমরা যাদের রাজাকার হিসেবে চিনি তারা, বিদেশি শত্রুকে আমাদের উপর খড়্গ চালাতে সহায়তা করেছে। ইংরেজরা বাঙলা (ক্রমে সারা ভারতবর্ষ) দখল করে নিল মিরজাফরদের মিরজাফরির কারণে। তাদের প্রতি ঘৃণা জানাতে ভুলবেন না যেন। পাকিস্তানিরা নয়মাস আমাদের উপর নির্যাতন চালাল রাজাকারদের উৎসাহ পেয়ে। ওরাতো আমাদেরকে বিদেশি মনে করে মেরেছে কিন্তু দেশের যে ভাইয়েরা ভাইয়ের রক্তের হোলি খেলেছে তাদের কতটা ঘৃণা করা উচিত। তাদের আবার নিজের ভাই মনে করে বুকে জড়াবেন কি? পাকিস্তানকে ঘৃণা করার আরও কারণ আছে। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর চরিত্র কিন্তু আজও বদলায়নি। তারা নির্লজ্জ জাতি। কেউই কোন দেশের সব মানুষকে যাচাই করে সে দেশের ব্যাপারে ধারনা করে না। বরং বহির্বিশ্বে তাদের পরিচয় যেটা প্রকাশ পায় সেটাই মানুষ জানে। পাকিস্তানে একটা চোরকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছে। আমি লোকাল টিভিতে খবর শুনে নিজেই লজ্জাবোধ করেছি। টিভির খবর ছিল এমন - "সবার কাছে তিনি মিস্টার টেন পার্সেন্ট হিসেবে পরিচিত। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর স্বামী। আসিফ আলি জারদারি। তিনি পাকিস্তানের রাষ্টপতি নির্বাচিত হয়েছেন" (অনুবাদ)। এ জাতির কিছু সমস্যা তো আছেই। যারা ব্যক্তিগতভাবে ভাল মানুষ তাদেরকে ঘৃণা করব কেন। কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে তার নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে তার এটুকু অন্তত বলা উচিত যে একজন পাকিস্তানি হিসেবে (১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের উপর) পাকিস্তান সরকারের কর্মকাণ্ডে সে লজ্জিত। তাহলে তাকে আর ঘৃণা করা যায় না। কিন্তু কারো কারো পরিচয় হয়তো সুখকর না। যারা তৎকালিন পাকিস্তানি সৈনিক ও ক্ষমতার অংশ ছিল। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের যুগে দেশ কিংবা বাপ-দাদার পরিচয়ে কোন ব্যক্তিকে ঘৃণা করা যুক্তিযুক্ত নয়। তবে দেশের প্রশ্নে আমাদের পূর্বশত্রু দেশগুলোর সাথে সাবধানে ডিল করা উচিত নয় কি?
আমরাও কিন্তু কম যাই না। দেশের যত হিংস্র, লোলুপ, দুশ্চরিত্রদের নেতা বানিয়ে বসে থাকি। কথায় কথায় দিন চলে যাচ্ছে। রাজাকার আবার মন্ত্রী হবার পায়তারা করছে। তাদের ঠেকানো জরুরী। বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে সময় নষ্ট করার সময় আমাদের হাতে নেই।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
বিষয়টি অত্যন্ত আবেগের। একটু ভিন্নভাবে ব্যপারটাকে দেখার চেষ্টা করি। নাইন-ইলেভেন এর পরে আমেরিকাতে মুসলিমদের প্রতি গনবিদ্বেষ শুরু হবার একটা ছোট সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিলো অল্প ক'টা দিনের জন্য। আমি নিজেকে কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের অনুসারী মনে করি না, সেটা বুঝবেন এটা পড়লে। তারপরও, আমার সুদীর্ঘ এগার বছরের প্রবাস জীবনে ওই একবারই আমি খানিকটা নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করেছিলাম। কারণ কাগজে কলমে আমার পরিচয় মুসলিম হিসেবে।
কিন্তু সেই অপ্রিয় অনুভূতিটা চলে গিয়েছিলো ক'দিনের মাথায়। আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম আমার স্বল্পশিক্ষিত বয়স্ক প্রতিবেশীর কথায়, আমি জানি তুমি একজন ভালোমানুষ, তোমাকে যদি কেউ কিছু বলে আমি তাকে দেখে নেব। আমার সহধর্মিনী সে সময় চাকরীসূত্রে বিরান এক রেডনেক শহরে একা থাকতেন। অফিসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওকে বলেছিলেন, তোমার যদি নিজের বাসায় কখনো অনিরাপদ মনে হয়, যে কোন সময় তুমি আমাদের বাসাতে স্বাগতম। এরকম আরো অনেক উদাহরন আছে আমাদের বন্ধুদের। এমনকি রামগাধা জর্জ বুশও তার ভাষনে বলেছিলেন (অথবা বক্তৃতা লেখক তাকে দিয়ে বলিয়েছিলো), "The enemy of America is not our many Muslim friends; it is not our many Arab friends. Our enemy is a radical network of terrorists, and every government that supports them." (আমি অত্যন্ত লজ্জিত যে শেষ পর্যন্ত এক বন্দুকবাজ কাওবয়ের উদ্ধৃতি দিতে হচ্ছে, নিতান্তই প্রাসঙ্গিক বলে)। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘৃণার বহিপ্রকাশ যে ঘটেনি তা না, এখনো ঘটছে, সারা পৃথিবীতেই ঘটছে। কিন্তু আপনাদের মত সচল, চিন্তাশীল আর বর্তমান সময় থেকে অনেক এগিয়ে থাকা মানুষদের এরকম যুক্তি-না-মানা ঘৃণার প্রকাশে ভয় পেয়ে যাই।
আপনারা যারা পাকিস্তান সম্পর্কিত তাবৎ ধারণাকে একবাক্যে ঘৃণার ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলছেন, একবার ভাবুন, মার্কিনীরা যদি এই আমাদের নাইন-ইলেভেনের পর কচুকাটা শুরু করতো (অনুগ্রহ করে তর্কটাকে ইরাক-আফগানিস্তানের দিকে নিয়ে যাবেন না - ওটা অন্য আলোচনা), আপনি কোন যুক্তিতে তাদের বাধা দিতেন? কোন রাগী তরুন যদি এরকম কোন একটা ফোরামে লিখতেন, যুক্তি-টুক্তি মানি না, সব মুসলিমকে ঘৃণা করি। আপনি কোন মুখে তার ভুল ধরিয়ে দিতেন? এরকম ফোরাম যে নেই তা নয়। অনেক রক্ষণশীল রেডিও-টিভি চ্যানেল শুনলেই এসব ঘৃণার কথা এখনো শুনবেন। কিন্তু আপনি কোন যুক্তিতে তার প্রতিবাদ করবেন?
আমার মত অনেকে এই আমেরিকাতে এখনো সম্মান আর নিরাপত্তার সাথে কাজ করি, থাকি। এদের অনেকেই দাড়ি-আলখাল্লা ওয়ালা মুসলিম। তারাও দিব্যি শান্তিতে আছেন এখানে। নাইন ইলেভেনের পর আমার অফিসে যে কুড়ি হাজার লোকের চাকরী চলে গিয়েছিলো, তাদের মধ্যে বিরাট অংশটাই ছিলো সাদা আমেরিকান। শুধু ধর্মের যুক্তিতে সেদিন কারো চাকরী চলে যায়নি। এই সেদিনও এয়ারপোর্টে নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হবার সময় দেখেছি, একজন হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারী নিরাপত্তা কর্মী একজন সাদা আমেরিকানের দেহ এবং সুটকেস তল্লাশী করছেন। কি ভীষণ গুরুত্বপূর্ন ব্যপারটা ভাবতে পারেন - নাইন ইলেভেনের মত ঘটনার পরও একজন হিজাবী মুসলিম নারীর খোদ এয়ারপোর্টে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারাটা?
একাত্তরের যুদ্ধ যারা ঘটিয়েছেন আমি তাদের সর্বাংশে ঘৃণা করি, আজীবন করবো, তারা পাকিস্তানী হোক, বাংলাদেশী হোক, হোক আমেরিকান, হোক আমার নিজের পরিবারের লোক। এরকম যুদ্ধ আর বর্বরতা যারা ইরাকে, আফগানিস্তানে, প্যালেস্টাইনে, অন্য আর যেখানেই ঘটায়, তাদের মনে প্রানে ঘৃণা করি। কিন্তু ঢালাওভাবে একটা গোটা জাতির মানুষকে ঘৃণা করতে পারি না। বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য এ মুহূর্তে ভারত হলো অনেক বেশি বিপদজনক। কিন্তু আপনি ভারতীয় দোকান থেকে মাংস না কিনে কি প্রমাণ করতে চাইছেন? ভারতীয় ওই দোকানদার ব্যবসায় সাফল্য লাভ করেছে সেটা তো তার কৃতিত্ব - পারলে নিজে একটা ওরকম ব্যবসায় নেমে ওই বেটাকে ব্যবসা থেকে হটিয়ে দিন। আমাদের প্রবাসীদের অনেকেই চাকরী করি ভারতীয় বসের নিচে, বা যে অফিসে কাজ করি তার আংশিক বা পূর্ণ মালিক হলো হলো ভারতীয়রা। এখন কি করবেন? ভারতীয়দের ঘৃণা করি বলে বেতন নেয়া বন্ধ করে দেবেন? আমাদের দেশের আই.টি. কোম্পানীগুলোর একটা বিরাট অংশের ব্যবসার বা আয়ের উৎস হলো ভারতের আই.টি. প্রতিষ্ঠানগুলো - ওদের মাধ্যমে কাজ না করলে আমরা পশ্চিমের অনেক দেশের মার্কেটেই ঢুকতে পারবো না। কি করবেন? ওদের বাদ দিয়ে ব্যবসা পেলে করবেন, না হলে করবেন না?
আপনি বলতে পারেন, আপনি জামাতীদেরকে ঘৃণা করেন, মেনে নেব, আমিই করি। কারন এরা স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে একটা পাশবিক দর্শণকে বেছে নিয়েছে। কেউ চাইলে যে এটা থেকে বের হয়ে আসতে পারে তার প্রমাণ এখানে একটা মন্তব্যে দেখবেন। কিন্তু একটা পাকিস্তানী ছেলে বা মেয়েকে কি তাহলে আপনার ঘৃণা থেকে বাঁচতে হলে জাতীয় পরিচয় ত্যাগ করে বার্মিজ বা পর্তুগীজ নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে হবে?
আমি আশা করতেই পারি যে প্রতিটি পাকিস্তানী ছেলে-মেয়ে তাদের স্কুল জীবনের একটা বিরাট অংশ পার করবে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস পড়ে, এবং সবাই ব্যক্তিগতভাবে একটা ক্ষমা-চাই জাতীয় চিঠি লিখবে বাংলাদেশীদের কাছে। কিন্তু তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যদি এই জিনিস না থাকে, আর তারা যদি আর অন্য সব দিক থেকে একটা মোটামুটি ভালো নাগরিক হয়ে গড়ে ওঠে তাহলে শুধু তাদের জাতীয়তার কারণে আমি কোন যুক্তিতে তাদের ঘৃণা করি?
সচল, যুক্তিবাদী এবং চিন্তাশীল একজন বিশ্ব নাগরিক, একজন বিশ্ব-মানের মানুষ, কোনভাবেই জন্ম-জন্মান্তর ধরে ঘৃণা ধরে রাখতে পারে না। - আল-যুধিষ্ঠির
শতভাগ একমত
আমার অবস্থান হাসান মোর্শেদের অবস্থানের খুবই কাছাকাছি। আমি তাঁর প্রিয় পাকিস্তানীদের মধ্যে আমার পাঁচজনের নাম যোগ করতে চাই : একবাল হোসেন, সাগির হোসেন, এজাজ আহমদ (ইনি এখন ভারতে) আরেকটা নাম মনে পড়ছে না এবং তারিক আলী।
একবাল আহমদ বিশিষ্ট স্কলার ও বিপ্লবী। তাঁকে হেনরি কিসিঞ্জারকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে আমেরিকায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রথম চারজন একাত্তরের ১০ এপ্রিল হোমরুল ফর বেঙ্গল নামে একটি নিবন্ধ লেখেন। পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আরো কলম ধরেন।
যাই হোক, পাকিস্তানের একজন নাগরিক তার রাষ্ট্রের সকল কৃতকর্মের জন্য দায়ি নয়। কিন্তু সে যদি ১৯৭১ এ এবং আজ তার রাষ্ট্রের বাংলাদেশ বিষয়ক অবস্থানের নিষকৃয় সমর্থকও হয়, আমার তার সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ আছে বলে মনে করবো। নইলে লাদেনের মতো বলতে হয়, টুইন টাওয়ারের লোকেরা ভোট দিয়ে তাদের সরকার নির্বাচন করেছে, অতএব তারাও মার্কিন সরকারের কৃতকর্মের জন্য দায়ি। অতএব তাদের হত্যা করা জায়েজ।
দ্বিতীয়ত, আমরা কি একই রকম ঘৃণা ব্রিটিশদের করি। দুইশ বছরের শাসন-লুন্ঠন-হত্যকাণ্ড এবং দুর্ভিক্ষ, উপরূন্ত তাদের বর্ণবাদ ইত্যাদির জন্য কি তারা আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে? তারপরও কি আমরা একজন ব্রিটিশকে ঘৃণা করি ওই কারণে? কিংবা যে আমেরিকা একাত্তরে পাকিস্তানের প্যাট্রন ছিল, ছিল যে চীন তাদেরও কি আমরা পাকিস্তানের প্রতি বরাদ্দ করা ঘৃণার অংশিদার করি?
আমি মানুষের দিকে হাত বাড়াই এবং একই সঙ্গে মানুষের ভেতরে যা অমানুষি, সংস্কৃতির ভেতর যে আধিপত্য ও ঘৃণার রাজনীতি তার সঙ্গে লড়াই করতে আগ্রহী। অন্ধ ঘৃণাও এক ধরনের মৌলবাদ।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
শতভাগ একমত
আপনার মনের অনুভুতির অকপট লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।
এই প্রসঙ্গে ২০০৬ সালে লেখা একটা পোস্টের উদ্ধৃতি দেই ... সেই সময়ে সা.ইন.এ একাউন্ট ছিল:
প্রত্যেক জাতিই সবল হলে দূর্বলের উপর অত্যাচার করেছে। এটা প্রকৃতির নিয়ম - সার্ভাইভাল ফর দ্যা ফিটেস্ট। সুতরাং ইংরেজ, পাকিস্থানি এবং ভারতীয়রা অত্যাচার শোষন করবেই। ওদের জায়গায় আমি/আপনি হলেও তাই করতাম (পাহাড়িদের উপরে তাই করেছি)।
জীবনে যুক্তির পাশাপাশি কিছুটা আবেগের প্রয়োজন আছে। তাই ঘৃণার শক্তিটাকে আবেগের হাতে পুরাপুরি ছেড়ে না দিয়ে এটাকে সঠিক জায়গায় শক্তি হিসেবে ব্যবহার করাটাই ভাল।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আমি পাকিস্তানকে ঘৃনা করি এবং সারাজীবন করবো।
পাকিন্তানিরা মাদার*ত।
পাকিস্তান প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে অনেকে ভারতের বিপক্ষে লিখছেন। আমি জানতে চাই পাকিস্তান আর ভারত প্রসঙ্গে একই মনোভাব কি করে পোষণ করা সম্ভব। আপনারা নিশ্চই জানেন, অনেক ভারতীয় বাঙালি বাংলা ভালবেসেই সচলে লিখে থাকেন। তাদের পক্ষে এরকম মানসিকতা মেনে নেওয়া কতটা কঠিন হতে পারে?আর এরকম ঢালাও মন্তব্য করা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?
সহমত। একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়। ভারতীয় বা অন্য যে কোন জাতিয়তার মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এত দীর্ঘ পোস্ট এবং ৬৭টি মন্তব্য (অধিকাংশই দীর্ঘ) পড়ে রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে গেছি, রাত তিনটার বেশি বেজে যাওয়ায় ঘুম ঘুমও লাগছে বেশ, কিন্তু তবু মতটা চেপে না রেখে প্রকাশ করে যাওয়াই উচিত মনে হচ্ছে। যদিও চমকেই গেছি এটা দেখে যে, প্রচণ্ড যুক্তিবাদী অনেক সচলই সকল পাকিস্তানিদের আজীবন ঘৃণা করে যাওয়ায় বিশ্বাসী। বিশ্বাস এরকমই হয়, খুব গোয়ার, খুব নিলাজ। তাঁদের কথার ধরনে মনে পড়ল শঙ্খ ঘোষের কবিতার এই পঙক্তিদ্বয় :
মত কাকে বলে, শোনো। মত তা-ই যা আমার মত।
সেও যদি সায় দেয় সেই মতে তবে সে মহৎ,
এরপরও, আমিও একটা মত দিচ্ছি। উদ্ধৃত পঙক্তিদ্বয়ের মতো দাঁত কামড়েই হয়ত।
আমি ঢালাওভাবে সকল পাকিস্তানিকে ঘৃণা করার পক্ষে না। প্রথমত, আমি সব মানুষকে ভালোবাসি। তাঁদের মধ্যে যারা যারা অপরাধ করেছে ও করে আমার সঙ্গে, আমাদের সঙ্গে, রাষ্ট্রের সঙ্গে, মানবতার সঙ্গে কেবল তাদের তাদের ঘৃণা করি। সে ব্রিটিশই হোক, পাকিস্তানিই হোক আর আমেরিকানই হোক। যদিও তাদেরও ঘৃণা করা উচিত নয় বলেও উপদেশ/মত আছে : পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়।
পাপী/অপরাধীদেরও হয়ত ঘৃণা করব না, যখন অপরাধ স্বীকার করবে ওরা (যদি করে), যখন শাস্তি কার্যকর হবে ওদের (যদি কার্যকর হয়)।
শুভ রাত্রি।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। স্রোতের বিপরীতে সাহসী ও যৌক্তিক মতামত প্রদানের জন্য (Y)। ভালো থাকুন... মানুষ বা প্রাণী যাই হোক এতটুকু সেনসিবল আচরণের দাবী স্বহজাতভাবেই করা যেতে পারে।
আদিত্য, আপনাকে একটা কথা বলি, কিছু মনে করবেন না।
সচলে সবাই স্রোতে পড়ে মন্তব্য করেন, এমনই মনে হয় আপনার কমেন্ট পড়লে। আপনি প্রায়ই এসে "স্রোতের বিরুদ্ধে" মন্তব্য করার জন্যে বাহ্বা দেন লোককে। এ কিন্তু প্রকারান্তরে অন্যদের বিরুদ্ধে স্রোত অনুসরণের অভিযোগ। আপনার কি মনে হয় না, এখানে প্রত্যেকেই নিজের মতো করে মত জানাচ্ছেন?
হাঁটুপানির জলদস্যু
ফাকিস্তানীদের প্রতি "যৌক্তিক" সহানুভূতিপূর্ণ লেখাটায় ২৫শে মার্চ ভুল করে ২৫শে ডিসেম্বর হয়ে গিয়েছিলো। ইন্টারেসটিং!
টাকা মেরে দেবার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা আর রান্না করে খাওয়ানো জন্য তো দূরের ব্যাপার, কামনা করি যেন জীবন বাঁচানোর জন্য হলেও আমার কখনো কোন পাকির সাহায্য নেয়া না লাগে।
যাদের কৃতজ্ঞতাবোধ তৈরীর সুযোগ হয়েছে তাদের আগে থেকেই মনটা কোন কারণে আর্দ্র ছিলো বলে বিশ্বাস করি।
"তাকে রেফারেন্স আর তথ্যসূত্র ধরিয়ে দিতে পারি, হানাদার বাহিনীর সেই নির্মমতার কথা জানাতে পারি"
আহা আহা ! qufr123 নামের নাদান ফাকিস্তানীটি আপানার, শুধু আপনার অনুপস্থিতিতেই আজ এত অবুঝ! তিনি নিশ্চয় আপনার হেদায়েত প্রত্যাশী -
http://www.youtube.com/watch?v=i94HXcnapJ4
দেখুন, লেখক কিন্তু থ্রেডের এক জায়গায় এসে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। আপনার সারকাজম অকারণে খরচ হচ্ছে বলে মনে হলো। এর সহজ বিকল্প ছিলো প্রস্তাবনাটি নিয়ে এর সপক্ষে বা বিপক্ষে গুছিয়ে কিছু বলা।
হাঁটুপানির জলদস্যু
৩৩ নম্বরে এসে টিকটিকির ল্যাজ যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতেও ৩৩ দিতে পারলাম না। “আসুন ঘৃণা করি সারা দুনিয়ার পাথরকে কারণ রাস্তায় হাঁটার সময় একটায় হোচট খেয়েছেন বলে, আসুন ঘৃণা করি আকাশে ওড়া সব পাখিকে কারণ আপনি অফিসে যাবার সময় একটি আপনার মাথায় তার কর্ম সেরে দিয়েছে বলে,” - এইসব তুলনার পর পোস্টদাতার বক্তব্যের “সপক্ষে বা বিপক্ষে গুছিয়ে কিছু বলা” র খুব কি কিছু বাকি থাকে? তারপরও শুধু আপনার জন্য লিখছি -
পাকিস্তানীদের প্রতি “সর্বাত্মক ঘৃণা” র একটা বড় কারণ এই যে আজও আমরা “আক্রান্ত”। খুব বেশি দূরের না কিন্তু বিষয়গুলো - তাদের রাষ্ট্রদূতের ঢাকায় বসে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বক্তব্য দেয়া, পুরান ঢাকায় তাদের লোকজনের তাদের পতাকা ওড়ানো, তাদের দেশী গোলামদের “অখন্ডতা তত্ত্ব”, তাদের মিত্র কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাকে লাথি মারা, গ্রেনেড সরবরাহে তাদের সম্পৃক্ততা এমনকি এই সেদিনের ভাষ্কর্য্য ভেঙ্গে ফেলা পার্টির আফগান-পাকিস্তান কানেকশন এবং তাদের এ প্রজন্মের একটা অংশের “রিইউনিফিকেশন” এর প্রত্যাশা এই সব কিছু, “৭১ এর পাকিস্তানী শত্রুপক্ষ” এর জন্য প্রযোজ্য “সর্বাত্মক ঘৃণা” কে সব পাকিস্তানীদের জন্য প্রযোজ্য করে তোলে। একজন আসমা জাহাঙ্গীর বিরল ব্যাতিক্রম মাত্র।
“ব্যাপারটা অনুভবের, অনুভূতির তীব্রতার। সেই তীব্রতা একাত্তরেও সবাই সমানভাবে অনুভব করে নি, আজও করবে না” - অছ্যুৎ বলাই
আপনি অনেক বড় একটা অভিযোগ করলেন, ঢালাওভাবে, যাদের বিরূদ্ধে করলেন তাদের সম্পর্কে কোন রকমের পূর্ব ধারণা না নিয়ে ...
আপনার সাথে তর্কে যাওয়ার রুচি আমার হচ্ছে না, তবে বাস্তবে কেউ যদি সামনাসামনি এই অভিযোগটা করতো তাহলে খুব খারাপভাষায় উত্তর দিতাম ... সচলের পরিবেশ নষ্ট করতে চাই না তাইই সেটা করলাম না ...
আপনি তো আপনার ধারণা জানালেন, এবার আপনার সম্পর্কে আমার ধারণাটা বলি ... আপনাকে আমি সেই টাইপ সুবিধাবাদীদের একজন মনে করি যারা ছদ্মনামের আড়াল নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলে কিন্তু নিজের স্বার্থের বেলায় পাকিদের বুট চাটতেও দ্বিধা করবে না ...
হয়তো আপনি এমন না ... কিন্তু কি আসে যায় ... ঢালাও ট্যাগিং আপনার থেকেই শিখলাম ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
“...খুব খারাপভাষায় উত্তর দিতাম ... সচলের পরিবেশ নষ্ট করতে চাই না তাইই সেটা করলাম না”
- প্লিজ, একবারের জন্য হলেও এখানে দিন। আমি দেখতে চাই আমার বক্তব্য আপনাকে (দেরকে) কতটা ব্যাথিত করেছে এবং সেই ব্যাথার বদলে কোন মাত্রার খারপভাষা আপনার কিবোর্ড দিয়ে বের হয়। আমার বুঝতে সুবিধা হবে আপনার(দের) পাক-উদারতা কোন মাত্রার। আশা করি “বুট চাটার” চেয়ে সহস্র গুণ খারাপ কিছু লিখে আমার জানার আগ্রহকে তৃপ্ত করবেন। আমি কথা দিচ্ছি যে তার বিপরীতে আমি আর কিছুই লিখবোনা। সুতরাং “খারাপভাষা” ব্যবহারের আগে এবং বুট চাটাচাটি করার পরও সচলের পরিবেশ যেমন পরিচ্ছন্ন ছিলো (আছে), আপনি আমার জ্ঞান তৃষ্ণা মেটাবার পরও তেমনই থাকবে।
“আপনাকে আমি সেই টাইপ সুবিধাবাদীদের একজন মনে করি যারা ছদ্মনামের আড়াল নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলে”
- কিংকর্তব্যবিমূঢ়, ধুসর গোধূলি, টিকটিকির ল্যাজ ! ভাল হত যদি আপনি অন্তত তাদের দুজনকে একথাটা বলতেন। আরো ভাল হত যদি নিজেকেই বলতেন!
“কিন্তু নিজের স্বার্থের বেলায় পাকিদের বুট চাটতেও দ্বিধা করবে না”
- কামনা করি আমার জীবনে যেন পরীক্ষার প্রহর আসে!
“ব্যাপারটা অনুভবের, অনুভূতির তীব্রতার। সেই তীব্রতা একাত্তরেও সবাই সমানভাবে অনুভব করে নি, আজও করবে না” - অছ্যুৎ বলাই
কিংকর্তব্যবিমূঢ়, ধূসর গোধূলি এইগুলি ছদ্মনামের চেয়ে বেশি নিক ... আমাদের নাম কি, আমরা কে কোথায় থাকি, কি করি সেটা মোটামুটি সবাই জানে এখানে ... আমাদের পক্ষে আপনার মত ঢালাও কথাবার্তা বলা পার পাওয়া সম্ভব না ...
অনুভূতির তীব্রতার ব্যাপারটা সত্যি ... এই কারণেই আমার অনুভূতি তীব্রতা নিয়ে আপনার নাক গলানো পছন্দ করি না ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
“ঢালাও ট্যাগিং”(?) শেখাতে পারলাম(?) কিন্তু টু দা পয়েন্ট উত্তর দেয়া শেখাতে পারলাম না! আফসোস!
“কিংকর্তব্যবিমূঢ়, ধূসর গোধূলি এইগুলি ছদ্মনামের চেয়ে বেশি নিক”।
আমি শেখাতে পারলাম না বটে তবে শিখলাম যে কিংকর্তব্যবিমূঢ় নিক আর ...এখনো খুঁজি ছদ্মনাম!
“সবাই জানে এখানে” - হু, এখানে! আমি তো “এখানকার কেউ” না, তাই শুধু জানলাম যে “সবাই জেনে গেছে এদ্দিনে” !
যাকগে, এ পোস্টে আর লিখবোনা। যাওয়ার আগে আফসোস থেকে গেল যে পাকি বুট চাটাচাটির তুলনায় আপনার ভাষা আরো কত খারাপ হতে পারে তা জানা হল না। তৃষিতই থেকে গেল জানার আগ্রহ - পাক-উদারতার মাত্রার জ্ঞান পেলামনা। চীন দেশ পর্যন্ত আসলাম, চ্যাপ্টা নাক প্রেমী কনফুসিয়াসকেও পেলাম! ... তবু...কপাল আমার!
রয়েসয়ে ব্রাদারস, রয়েসয়ে।
এখানে কেউই পাকিস্তানের ব্যাপারে সহমর্মী নই আমরা। কেউ জামাত বা তালেবানের প্রতিও অনুরক্ত নই। সবার মনেই ক্ষোভ জমে আছে '৭১ এর কারণে। কেউই সেটা পাকিস্তানিদের উপর ঝাড়তে পারি না। সেই ক্ষোভ স্বদেশি, সমমনা কারও উপর ঝেড়ে বসাটা ঠিক না।
এই থ্রেডটি খুবই ভাল আগাচ্ছিল। অনেক ধরণের দ্বিধা, কষ্ট, ও সংশয়ের কথা উঠে আসছিল। সেই পথেই আগাতে থাকুক। সেই আলোচনায় ফেরত যাবার অনুরোধ রইলো। হয়তো আমি নীরবে পাকিস্তানে তৈরি কাপড় ফেলে দেই, আর আপনি সরবে গালি দেন। প্রকাশের কম-বেশির কারণেই কাউকে জাজ করা ঠিক না, কারণ দিনের শেষে জামাতের মিটিং-এ আপনি-আমি কেউই প্রতিবাদ জানাতে যাই না।
আপনাকে আমি এমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে করি না যে টু-দ্য-পয়েন্ট উত্তর দিতে হবে ...
আমিও এখানে আর কিছু বলতে আগ্রহী না ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
আমি নিজেকে যুক্তিবাদী মানুষ ভাবতে পছন্দ করি। মানুষের মধ্যে কোন ধরণের বৈষম্য হোক সেটা চাইনা । নিজেও না করার-ই চেষ্টা করি । কিন্তু, সেই আমি পাকিস্তান, পাকিস্তানি এই শব্দগুলো উচ্চারিত হতে শুনলে এক ধরণের প্রচন্ড বিতৃষ্ণা অনুভব করি নিজের ভিতর । হতে পারে সেটা এক ধরণের ঘৃণা । আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এদের আচরণ আমার কাছে কখনও যথাযথ মনে হয়নি । দু/একজন ব্যতিক্রম এর কথা এখানে হচ্ছেনা । হচ্ছে সাধারণ পাকিস্তানিদের কথা, এদের শাসকদের কথা বাদই দিলাম-সাধারণ পাকিস্তানীরা ও মনে করে বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃত মোসলমান নয়,এরা হিন্দুদের প্ররোচনায় দেশ ভেঙ্গেছে !
আমি কখনও পাকিস্তানি দোকান থেকে কিছু কিনি না। কোন পাকিস্তানির সাথে হেসে কথা বলা তো দূরে থাক, কিছু বলতে হলে চোখ মুখ শক্ত করে ইংরেজিতে বলি (তারা কথা সব সময় অবধারিত ভাবে শুরু করে উর্দুতে)। উর্দু বোঝেও আমি সরাসরি বলে দেই আমি উর্দু বোঝিনা । (হিন্দির বেলাও একই কথা ) ব্যাটারা এমন অবাক হয় !কিন্তু আমার চেহারা দেখে কিছু বলতে সাহস পায়না । আমার সাথে অন্য কেউ থাকলে তখন বলে আমার এমন রুড আচরণ ঠিক হয়নি ! এখানে আমার কোন যুক্তি কাজ করেনা, পাকিস্তানিদের হাসি দেখলে কেন যেন আমার গায়ে হুল ফুঁটে । মনে হয় উপহাস করছে ! আমি সহ্য করতে পারিনা এদের । সেদিন এক ফিশ এন্ড চিপসের দোকানে গেছি রাত দশটার দিকে, শুক্রবারের রাত ছিল, গিয়ে দেখি লম্বা লাইন। কাউন্টারের লোকগুলো দ্রুত কাজ করে যাচ্ছে, আমার সামনে মাত্র যখন দুজন কাষ্টমার ছিল তখন - দেখি কাউন্টারের ছেলেটা আমার দিকে তাকাচ্ছে বার বার, কিছু যেন বলতে চায় । আমি তাকাতেই আমাকে উর্দুতে জিজ্ঞেস করে, তুমি কি পাকিস্তানি? সাথে সাথে আমার চেহারা বদলে যায় ! আমি খটমট করে ইংরেজিতে বলি,
No ! I am from Bangladesh. ‘ নো’ তে এত বেশী জোর ছিল লোকটা খুব অবাক হয়, বোঝতে পারি ।
তখন সে আমাকে বলে যে তুমি আমাদের দেশের ন্যাশনাল ড্রেস পরে আছো তো (সেলোয়ার কামিজ)তাই জিজ্ঞেস করছিলাম ! আমি অবশ্য লোকটাকে দেখে পাকিস্তানি বোঝতে পারিনি না হলে লাইনে দাঁড়াতামই না । গট গট করে বেরিয়ে যাই খাবার না নিয়েই ! এই রকম এদের নিয়ে অনেক ঘটনা আমার আছে । কিন্তু কেন? আমি ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারবো না ।স্বাভাবিক দৃষ্টিতে ব্যাপারটা অবশ্যই বাড়াবাড়ি, আমি নিজেও বোঝতে পারি। কিন্তু বোঝার পরও এখানে আমার কোন যুক্তি কাজ করেনা ! যেমন, গনতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা যতই কাম্য হোক, জামাতীদের এই সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী আমি নই ! পত্র-পত্রিকায় বা বিশেষ করে টিভি স্ক্রীণে এদের চেহারা ভেসে উঠলেই তাই আমি চোখ সরিয়ে ফেলি !
এখানে কোন যুক্তিরই আমি ধার ধারিনা!
নন্দিনী
To Hasan Murshed,
Bohudin por apnar ashol chehara dekhe mugdho
বহুদিন ধরে আপনি আমার চেহারার আসল নকল খোঁজ়ায় নিয়োজিত আছেন জেনে আপনার জন্য কিছুটা দুঃখই হলো মাননীয় সিদ্ধার্থ । বৃথা সময় অপচয় করলেন একজন সামান্য মানুষের আসল নকল সন্ধানে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই থ্রেড আর অন্য আরেকটা রাণা মেহের এর লেখা পড়েছি। অনেকের বক্তব্যও পড়লাম। অধিকাংশ বক্তব্যই আমার কিছুটা একপেশে মনে হয়েছে - যদিও ইতিহাসের দিকে তাকালে তার কারণও সহজবোধ্য।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে আমারও একটা বক্তব্য আছে যা কিছুটা ভিন্নধর্মী। বাংলাদেশের লোকেদের প্রতি অনেক পাকিস্তানিই ১৯৭১-এর ঘটনার জন্য সহমর্মী নয় সেটা কিন্তু শুধু পাকিস্তানিদের সমস্যা নয়, একইভাবে সেটা বাংলাদেশীদেরও সমস্যা। কারণ, আজকে স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩৫ বছর পরেও যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সবাইকে বিশ্বাস না করিয়ে উঠতে পারে সেটা বাংলাদেশীদের ব্যর্থতাও বটে। কেউ বুঝতে চাইছেনা বলে তাকে ঘৃণা করাটা সোজা, কিন্তু তাকে বুঝিয়ে বিশ্বাস করানোটা শক্ত। শক্ত কাজটা করে দেখানোর জন্য বাংলাদেশের/বাংলাদেশীদের মধ্যে কতবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?
এখন এত বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী বাইরে বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা করছে। তাদের পাশাপাশি পাকিস্তানি লোকজনও আছে। তাদের সবাইকে ডেকে ডেকে না হোক - উৎসব অনুষ্ঠানের মধ্যেও বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করা উচিত সবারই। দেশের মধ্যে যারা আছে তারা নাহয় সব জেনেও উলটো কথা বলে চলে, কিন্তু অধিকাংশ পাকিস্তানিই সঠিক ইতিহাস না জানার কারণে এরকম কথা বলে চলে। তাদের সঠিকটা জানানো দরকার ... এ নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম ডেইলি স্টারে।
আর বাকি পাকিস্তানি, ব্রিটিশ, ভারতীয়, চিনা, জার্মান, বাংলাদেশী, জাপানী বা আমেরিকানদের ঘৃণা করার ব্যাপারটা একধরণের রেসিজম। এটা মানুষের মধ্যে থেকে দূর হতে অনেক অনেক সময় লাগবে কারণ মানুষের বিবর্তনের একটা বড় সময় মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধ জীব হিসাবে কাটিয়েছে - গোষ্ঠী-কেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা মানুষকে প্রাকৃতিক ভাবে নির্বাচিত হতে সাহায্য করেছে। তাই মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে আছে এই দুর্বলতা।
আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা বলি। আমি ব্রিটিশদের খুব অপছন্দ করতাম এককালে। ১৯৯২ এর বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিলাম ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা বলে। কিন্তু, বছরকয়েক আগে রিচার্ড ডকিন্সের লেখা পড়ে এতটা ভাল লাগে যে তার ফ্যান হয়ে যাই। দুঃখের বিষয় আরো কিছুদিনের মধ্যেই জানতে পারিন তিনিও ব্রিটিশ। কিন্তু তখন উপায় কোথায়? আরো পরে বিবিসির অনুষ্ঠান দেখে একে একে অনেক ব্রিটিশ প্রিয় হয়ে যায় আমার। এখন ব্রিটিশদের আমি আর অপছন্দ করি না ... কাকেই বা আর করব? ব্রিটিশ বললে আমার লিস্টে এখন অনেক প্রিয় নামও উঠে আসে যে ...
আর বিশেষ কিছু বলার নেই আমার এ নিয়ে। তবে আশা রাখব সবাই সবার ভালবাসাগুলো পরবর্তী প্রজন্মে দিয়ে গেলেও ঘৃণাগুলো থেকে সন্তানদের দূরেই রাখবেন।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দারুণ বললেন!
নন্দিনী'র মন্তব্য থেকে জানতে পারলাম: স্যালোয়ার কামিজ পাকিস্তানের মেয়েদের জাতীয় পোষাক। আমরা যারা পাকিস্তানকে ঘৃণা করি, তারা নানারকম পাকিস্তানী পন্য বর্জন করি। কিন্তু পাকিস্তানী সালোয়ার কামিজ/ পাজামা পাঞ্জাবীকে বর্জন করি না কেন, এই বিষয়টা চিন্তা করা উচিত বলে মনে হচ্ছে। নন্দিনী যদি বাংলাদেশের জাতীয় পোষাক পড়তেন(হায়, যদি একটা থাকতো), তাহলে ঐ নোংরা পাকিস্তানীটা তাকে পাকিস্তানী বলে মনে করতে পারতো না।
আমরা যেটাকে পাঞ্জাবি বলি, প্রকৃতপক্ষে যেটার নাম কুর্তা, সেটা পাকিস্তানের পণ্য নয়, বরং পূর্ব ভারতের পোশাক। পাকিস্তান আর উত্তর ভারতে ওটাকে বাঙালি কুর্তা বলে। বরং শেরওয়ানি ওখানকার পোশাক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সেলওয়ার কামিজ শুধু পাকিস্তানের পোষাক এই ত্থ্য ঐ পাকিস্তানির, আমার না। কিন্তু আমার জানা মতে তো এটা উপমহাদেশের নারীদের শাড়ির পরই একটা সার্বজনিন পোষাক । বাংলাদেশে ও যেমন পরা হয় ইন্ডিয়াতেও তাই । এটা কি করে শুধু পাকিস্তানি পোষাক হয় ! (আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, আমার প্রথম পছন্দ শাড়ি, শাড়ি এবং শাড়ি যদিও থরে থরে লাখ লাখ টাকা দামী শাড়ি নেই, থাকার কথাও নেই, তবে তাতের শাড়ি, সূতির জামদানী শাড়ি কিছু সংগ্রহে আছে,তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরা হয় বড় টিপ সহকারে, তখন আবার শুনতে হয় ইন্ডিয়ান ! আমাদের থাকলো কি তা হলে ?! ঃ-)
নন্দিনী
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে।
এর পর এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে ভীষণ অবাক হওয়ার ভাণ করে ইংরেজি/বাংলাতে বলবেন "ও.... তোমরাও আমাদের পোশাককে জাতীয় পোশাক বানিয়েছো!"
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে সচলদের কারো কারো সাহসী মন্তব্য ভালো লাগলো যদিও অধিকাংশই তীব্র আবেগ প্রকাশ করেছেন শুধু ।
আমি বলছিনা,তীব্র আবেগ দোষের কিছু । মহান মুক্তিযুদ্ধের মতো বিষয়ে যদি চুড়ান্ত আবেগ নাই থাকলো তাহলে বাংগালী কিসের? আর বাংগালীই বলি কেনো শুধু, যে কোন বিচারবিবেচনাসম্পন্ন মানুষ মাত্রই তো '৭১ এর পাকিস্তানের ভূমিকাকে ঘৃনা করবেন ।
কিন্তু আবেগে অন্ধ হয়ে গেলে অনেক আলোই চোখের আড়ালে রয়ে যেতে পারে । পাকিস্তা্নী শুনলেই ঘৃনা করতে থাকবো, তার কোন কথাই শুনবনা, পাকিস্তানী মানেই আমার বাবার খুনী, মায়ের ধর্ষনকারী এরকম প্রোটোটাইপ কি অন্ধত্ব নয়?
ফারুক ওয়াসিফ ও হাসান মোরশেদ এর মন্তব্য থেকে জানা গেছে,সেই উন্মাদনার সময় ও পাকিস্তানীদের কেউ কেউ এই গনহত্যার বিরোধীতা করেছে্ বিরোধীতা করে তৎকালীন শাসকদের বিরুপভাজন হয়েছেন । এরকম একজন মানুষ ও যদি থাকেন পাকিস্তানীদের মধ্যে তাহলে পাকিস্তানী জাতিদের পুরোটাকে ঘৃনা করাকি সেই মানুষের প্রতি অবিচার নয়?
কেউ কেউ বলেছেন পাকিস্তানীদের এখনকার প্রজন্ম কেউ ক্ষমা চায়না? আমাদের কোন প্রজন্ম কি পাহাড়ীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি?
আশা করি কেউ যুক্তি দেখাবেননা, পাহাড়িদের প্রতি আমাদের সেনাবাহিনী পাকিস্তানীদের তুলনায় মানবিক ছিলো ।
তাহলে আমরা যা পারিনি তা অন্যদের কাছে আশা করা কতোটুকু যৌক্তিক?
যারা একটু ভিন্ন কোন থেকে আলোকপাত করেছেন তাদেরকে আবার কেউ কেউ কটুক্তি,ব্যাঙ্গোক্তি ও করেছেন কিন্তু তাদের দেয়া যুক্তিকে খন্ডাতে পারেননি । অবশ্য তারা যুক্তিতে নেই , আছেন আবেগে, অন্ধ আবেগে ।
অনেক বড় এই থ্রেডে কিছু লিখব না এটাই ভাবছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত না করে পারলাম না। এক্টা প্রশ্ন না করেই পারছি না...... প্রিয় রানা মেহের, আপনার মন্তব্যে শতভাগ সহমত, কিন্তু ধরেন আমন পরিস্থিতি আস্লো যে পাকি দের সাহায্য নিলে আপনি দেশের কোন উপকার করতে পারবেন সেই সময় আপনি কি করবেন??? এক্টা উদাহরণ দেয়, আমাদের ফারাক্কা বাধের জন্য ইন্ডিয়ার উপর প্রেশার দেয়ার জন্য পাকিদের সাহায্য দরকার কিংবা ধরেন সাধারন লাইফ এই চিন্তা করেন, আমি জব করি পাকি ম্যানাজার এর আন্ডারে, একটা জব ভ্যাকান্সি আসে এবং পাকিকে অনুরোধ করলে ঐখানে একজন বাংলাদেশির জব হইতে পারে... দেশের রেমিটেন্স বাড়বে তাতে... এমন পরিস্থিতে আপনি কি করবেন?? পাকির সাহায্য নেয়া কি ঠিক হবে???
প্রশ্ন করা হয়েছে রানা মেহেরকে। উনি নিশ্চয়ই উত্তর দিবেন। তবে অযাচিতভাবেই আমার উত্তরটা জানাতে পারি, হয়তো বা বিরক্তই হবেন।
ফারক্কার যে প্রশ্নটা করলেন, প্রথমে সেটার ব্যাপারেই বলি। যদিও ফারাক্কার পানি বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, তবুও এর জন্য আমি পাকিস্তানের সাহয্য নিতে নারাজ। পাকিস্তান এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে একবারও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায় নি, তাদের কাছ থেকে কীসের সাহায্য ?
আমি এটাও ভেবে পাই না, কীভাবে সার্কের মত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হল যেখানে পাকিস্তান আছে? পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কে স্বাভাবিক করার ব্যাপারটাই আমাদের কাছে মেরুদন্ডহীনতা (যতদিন পাকিস্তান ক্ষমা না চায়)। কাজেই ফারাক্কার প্রশ্নে পাকিস্তানের সাহায্য নেওয়াটাকে আমি কোন মতেই সমর্থন করবো না।
পরের প্রশ্নটা একটু ব্যক্তিগত। এর উত্তর হয়তো ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হবে। তবে যদি আমার সেই উর্ধ্বতন পাকিস্তানী বস নেহায়েৎ বিরলপ্রজ ভদ্রলোকদের কেউ না হয়, আমি কোন মতেই তাঁর কাছে যাবো না কোন সুপারিশ নিয়ে। যত যাই হোক, না খেয়ে মারা গেলেও এখন পর্যন্ত আমি পাকিস্তানীর কাছে হাত পাতার পক্ষপাতী না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
"পাকিস্তানীদের আমি অবিশ্বাস করি - যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। ( হুমায়ূন আজাদ )"
To Hasan Murshed,
Bangla amar pc teke likte parina bole dukkito.
Na hole, ekjon bangali hishebe apnar emon uttorer uttor banglae daya ucit chilo.-
Ami jodi jantam, amar ei monttobber por apni bikkato hoe jaban (emniteo bikkato, tobe ei proshongger kotha bolci) tobe montohbbo kortam na. Kenona Azam, Nizami, Muzahidi der amra ebhabei bikkato kore tuleci jader proti thuthu chitano ucit tader shomporke bole bole.
Dhonnobad SHOBJANTA. Dhonnobad SADAT SHIMUL.
দিন দাদা ।
আপনার কম্পিউটারকে বাংলা লিখতে শেখান তারপর বাঙ্গালী হিসেবে আমার তেমন উত্তরের উত্তর আপনি বাংলাতেই দেন ।
আগে ও বিখ্যাত কেউ ছিলাম না, আপনার মন্তব্যে ও নতুন করে বিখ্যাত হওয়ার সাধ,সুযোগ কোনটাই নেই ।
গোলাম আজম নিজামীদের থুথু না ছিটিয়ে কেবল বলে বলে বিখ্যাত করে ফেলেছেন, তাই করতে থাকুন ।
যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই পোষ্টে , তাতে নিজের মতামত খুব স্পষ্টভাবেই জানিয়েছি ।
আপনার থুথু কিংবা বলাবলির ধার ধেরে তো আর আমি লেখালেখি করিনা কিংবা কোন বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করিনা ।
তাই থুথু হজম করবেন,ছিটাবেন নাকি কেবল বলাবলিই করতে থাকবেন সেটা আপনার সিদ্ধান্ত । আমার কিছু যায় আসেনা ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমার এ গাঁড় মারিয়াছে যে বা
আমি ঢাকি তার গাঁড়
আদর করিতে খুঁজিয়া বেরাই
যে মোরে দিয়াছে মার।
যে মোরে হাসিয়া দিলো মুলি বাঁশ
লুঙি তুলি ঘুরি তারি চারিপাশ
এক গালে চড় দিলে আর গাল
ফেরাই শতেকবার।
অপ্রাসঙ্গিক মনে হলে ক্ষমা করে দেবেন সবাই। কিন্তু মনে হচ্ছে এখন পাকিস্তানকে ঘৃণা করা বিষয়ে জনমত মোটামুটি বিভক্ত, এবং তিক্ত বাক্যালাপ শুরু হয়ে গেছে। আমরা বরং ক্রোধ সংবরণ করি। পরিস্থিতি বেশি উত্তপ্ত হয়ে গেলে আবার খরচক্ষু মডারেটররা কমান্ডো হামলা করে কমেন্ট ব্লক করে দিতে পারে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
খোদ দেশই যেখানে বিভক্ত,সেখানে সচলায়তনে এই বিভক্তি দেখা দেবে,এটাই তো স্বাভাবিক ।
বিভক্ত না হলে কী আর জামায়াতী যুদ্ধপোরাধীরা চক্রবৃদ্ধিহারে বেড়ে চলে এই দেশে ! আমি বরং ক্ষেত্র বিশেষে পাকিস্তানীদের থেকে ও আমাদের (বাঙ্গালী?!) জাত ভাই জামায়াতীদের বেশী ঘৃণা করি ! এরা বিএনপি নামক আধা মৌলবাদী দলকে গিলে খেয়ে এখন ক্ষমতার সর্বময় অধিকারী হতে প্রানান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে । সফল ও হলো বলে ...গতকাল টিভিতে দেখলাম মুজাহিদ আঙ্গুল ঊচিয়ে গলা স্বর সপ্তমে তুলে ভাষণ দিচ্ছে, খালেদাকে ছাড়া সে নির্বাচনে যাবেনা ! হাসবো নাকি কাঁদবো ভেবে পাইনা । এই ভদ্রমহিলা (খালেদা) বোঝবে কত ধানে কতচাল, সেদিন খুব দূরে নয় ... যখন মুজাহিদ গং তাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে । তখন এই মহিলা মাথায় হিজাব বেঁধে ইন্দুরের গর্তে লুকিয়েও রেহাই পাবেনা ! রেহাই দেবেনা স্বয়ং মুজাহিদরা...।
যাই হোক । ভাল্লাগছেনা এসব ...
নন্দিনী
মি. হাসান মোরশেদ,
একবার ধন্যবাদ দেই; আপনাকে বাংলায় উত্তর দেয়া উচিত ভেবে কিছুটা সময় বের করে হলেও কম্পিউটারকে বাংলা লিথতে বাধ্য করেছি। আফসোস, নিজামীদের সেটা বুঝানো গেল না।
থুথু ছেটানো আমার মতো দুর্বল মানুষদের কাজ। স্বস্তি পাই এই ভেবে যে আমার থুথু ছেটানোর আগেই রাজাকারদের টুটি চেপে ধরার মতো সাহসী কিছু সানুষ আশপাশেই আছেন। এমনকী এই ব্লগেও।
তাদের জন্য শুভকামনা। আর আপনার জন্য... না বলতে ইচ্ছে করছেনা।
সিদ্ধার্থ
হয়তো আমিও গালি খাবো কথাটা বলার জন্য, তবুও বলি।
আমি আজ থেকে ১৫ বছর আগে পাকিস্তানিদের যতটা ঘৃণা/অপছন্দ করতাম, আজ তার চেয়ে কিছুটা কম করি।
আমি আজ থেকে ১৫ বছর আগে বাঙালিদের যতটা ভালবাসতাম/পছন্দ করতাম, আজ তার চেয়ে অনেক কম করি।
কেউ গালি দেওয়া বা থুথু ছেটানোর জন্য লাফ দেওয়ার আগে দয়া করে গত ১৫ বছরে আমাদের কর্মকাণ্ডের কথা ভাববেন। যেই আত্মসমালোচনার অভাবের কারণে আমরা পাকিস্তানিদের গালি দেই, সেই গুণ কি আমাদের আছে?
পাকিস্তানে আজও কেউ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলে না। তাদের কাছে অতীতের কথা এগুলো। তবে এই ইস্যু তাদের কাছে রদ্দি হলেও আমাদের কাছে নয়। অথচ এই ২০০৮-এ এসেও রাজধানীতে প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধা আলী আমান জামাতিদের লাথি খায়। কই, কিছু করেছি আমরা?
পাকিস্তান বাংলাদেশকে 'পাকিস্তান' বানাতে চায় না আর, কিন্তু আমাদেরই মাঝে ঘুরে বেড়ানো বাংলাদেশিরা চায়। ১৯৭১ ও তার চেতনা ভোলার না, ভুলতে বলিও না। কিন্তু ক্রোধটুকু এখন অন্য কোথাও নিশানা করার সময় এসেছে।
১৯৭১ এর কথা তুলে পাকিস্তানকে গালি দেওয়া তাই আমার কাছে সময়ের অপচয় মনে হয়। কে পাকিস্তানিদের থুথু ছিটাই, আর কে তাদের গায়ে গু মেখে দেই, সেটা লেখা নিয়েই আমাদের যত লম্ফঝম্ফ। সরকার, নির্বাচন কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, ইত্যাদি সব জায়গায় বসে আছে জামাতিরা। এই সব গালাগালি বাদ দিয়ে এদের কীভাবে সরানো যায় তা নিয়ে কিছু বলেন।
আমাদের সবার দেশপ্রেমই স্থির, সঠিক, এবং শাশ্বত। এটাকে অযথা আর কচলানোর প্রয়োজন দেখছি না।
লেখাটা যখন প্রকাশিত হয়েছিল তখনই অফলাইনে পড়ে গিয়েছিলাম। মন্তব্য সবগুলো পড়া হয়ে উঠেনি সময়াভাবে।
পাকিস্তানীদের ব্যাপারে কার কী মত তা আমি জানি না। আমি মোটা বুদ্ধির মানুষ। সবকিছুই মোটা দাগে বিচার করতে পছন্দ করি। আর তাই আমার মতে পাকিস্তানী মাত্রই মাদারচোদ।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
হুমম…আসেন সবাই ঘৃণা করি...আমরা পাকিস্থানীদের ঘৃণা করি... পাহাড়ীরা আমাদের ঘৃণা করুক...পাকিস্থানীরা ঘৃণা করুক ভারতীয়দের...জাপানী, ভিয়েতনামী, ইরাকী আর আফগানরা ঘৃণা করুক আমেরিকানদের...ইরানীরা ঘৃণা করুক ইরাকীদের...মিত্রশক্তির সবাই ঘৃণা জার্মান আর জাপানীদের...কালোরা সাদাদের ঘৃণা করুক...হিন্দুরা মুসলমানদের ঘৃণা করুক...মুসলমানরা হিন্দু, ইহুদী আর খ্রীস্টানদের ঘৃণা করুক... খ্রীস্টানরা ঘৃণা করুক ইহুদী আর মুসলমানদের... ইহুদীরা ঘৃণা করুক খ্রীস্টান আর মুসলমানদের...মহিলারা ঘৃণা করুক পুরূষদের......তারপর হটাৎ দেখা যাবে...প্রত্যেক জীবিত মানুষই নিজেকে ছাড়া আর সবাইকে ঘৃণা করছে কোন না কোন কারনে............
~
ঘুমাইতে যাওয়ার আগে দারুন ডায়ালগ শুনে গেলাম...
নতুন মন্তব্য করুন