হালাল চিকেন !
নন্দিনী
একদিন পাশের এক সুপারমার্কেটে গেছি । সাপ্তাহিক গ্রোসারী কিনবো । জিনিষ পত্র সব প্রায় কেনা শেষ । দু’একটা আইটেম বাকী আছে । চকলেটের আইলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, মেয়ের জন্য চকলেট কিনবো, একটা প্যাকেট ট্রলিতে রেখে মাথা তুলতেই মনে হলো কে যেনো একজন চট্ করে সরে গেলো । অদ্ভুত লাগলো ব্যাপারটা ! বাদিকে মাথা ঘুরাতেই দেখি একজন দেশী ভাই সামান্য দূরত্ব বজায় রেখে আড় চোখে আমার ট্রলির দিকে দেখছে । তারপর দেখি আমি যেদিকেই ঘুরি সেও কাজের ভান করে আমার পিছন পিছন ঘুরে । লোকটা সুপারমার্কেটেই কাজ করে । আমি তো অবাক ! যেহেতু সে ওখানে কাজ করে তার যেদিকে ইচ্ছা চলতেই পারে, এখানে আমার কিছু বলার নেই । তাছাড়া, যেহেতু ভানটাও করছে কাজের । যদিও আমি ১০০% সিওর সে আমার দিকে নজর রাখছে ! আমার ট্রলির দিকে তার চোখকে অনুসরণ করে ব্যাপারটা ধরতে আমার একটুও দেরী হলোনা এবার । ট্রলি থেকে একটা আস্ত ফ্রোজেন মুরগীর ঠ্যাং বেড়িয়ে আছে – লোকটার বিস্মিত চোখ সেখানেই ! এবার দাঁড়িয়ে সরাসরি তার চোখের দিকে তাকালাম কয়েক মুহুর্ত্য ! আমি এরকম তাকাবো বোধ হয় তার ধারণায় ছিলো না, সে তাই সামান্য ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে অন্য দিকে চলে গেলো ।
যাই হোক, গেলাম কাউন্টারে । অনেকগুলো কাউন্টারের মধ্যে আমার ভাগ্যে পড়লো একটা পাকির কাউন্টার, যে ওখানে কাজ করে । এম্নিতেই তার কাছে আমি পারতপক্ষে যাই না । আজ যেতেই হলো । সে প্রথমেই চিকেনটা হাতে নিয়ে প্রশ্ন করলোঃ
Is it Halal?
ঠান্ডা গলায় আমার উত্তরঃ
That’s not your problem ….
আমার কথা শুনে কি বলবে বোধ হয় ভেবে না পেয়ে - মুখ চোখ শক্ত করে অন্য জিনিষ গুলো ব্যাগে ভরতে লাগলো, কিন্তু মুরগীতে আর হাত দেয়না ! এদিকে পিছনে কাষ্টমারের লাইন । ব্যাটা যখন দেখল আমি এই মুরগী না নিয়ে যাবো না - তখন শেষ চেষ্টা হিসেবে বলার চেষ্টা করলো কাছে কোথায় হালাল দোকান আছে, যেখানে হালাল মুরগী পাওয়া যায় ! আমি যখন এই জায়গায় কত বছর ধরে বাস করছি তার হিসেব দিলাম, তখন যেনো কতই নাফরমানী কাজ করছে এমন একখান ভাব ধরে আমার কাজটা শেষ করলো
এরপর থেকে দেখছি ওখানে গেলেই, নারী-পুরূষ মিলে কয়েক জোড়া চোখ আমাকে নজরদারীতে রাখে ! কেউ না কেউ থাকেই আমার আশে-পাশে । তাদের ভিতর আবার চোখে চোখে কথা হয় । এই গ্রুপের মধ্যে আমি বেশ ‘আলোচনার’ বিষয় হয়ে উঠেছি, বুঝতে আমার একটুও অসুবিধা হয়না – কিন্তু যে বিষয়টা বুঝিনা, এতে করে তাদের কি লাভটা হচ্ছে ?! তবে এটা বলতেই হবে আমি মজা পাচ্ছি খুব
নন্দিনী
মন্তব্য
দৌড়ানি দিতে পারলে ভালো হতো ব্যাটাদের...খালি হালাল- হারাম। যত্তোসব...
=============================
হুম !
নন্দিনী
ওর চাকরি টিকে আছে কিভাবে? সে কাজ করে এই দোকানে, আর কাস্টোমারকে এই দোকানের জিনিস কেনা থেকে বিরত করে অন্য দোকানের মাল গছাতে চায়!
আমি ব্যক্তিগতভাবে হালাল-হারাম বেছে খাই না, তবে যারা খান তাঁদের কাজে ন্যূনতম বাগড়া দিই না। কে কী খাবেন না খাবেন তা সম্পূর্ণ তার ব্যাপার, আমি সেখানে কিছু বলতে যাবার কে? একমাত্র ধূমপায়ীদেরই একটু জ্বালাতন করি, তারা নাকের সামনে যাতে ধোঁয়া না ছাড়েন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
চাকরি তো করে নাছারা ব্যাটার ! ঐ ব্যাটা তো আর জানছে না এসব । যে পাত্রে খায় সে পাত্রেই......আর কি ...
নন্দিনী
এ নিয়ে আমারও কয়েকটি অভিজ্ঞতা আছে। সময় বুঝে বলবোনে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অভিজ্ঞতার ঝুলিতে আমারো আরও অনেক গল্প আছে - আপনার গুলা একটু শুনি
নন্দিনী
- হায়রে হালাল চিন্তা ভাবনা! এই হালাল হারামের চিন্তা করা পাবলিকদের বলতে ইচ্ছে করে তারা যে দেশে আছে, যে দেশের (হালাল, কারণ আল্লাহ'র দান তো!) আলো-বাতাস ছাড়া যেসব সুবিধা নিচ্ছে সেগুলো হালাল তো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সুবিধা বুঝে হারাম/হালাল আর কি ...
নন্দিনী
এই বিষয়ে কবে জানি কী কৈছিলাম
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আমিও পেলাম
তবে, আমার ধারনা হালাল মাংসের স্বাদ অ-হালালের চাইতে ভালো হয়। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি চেষ্টা করি উপমহাদেশীয় ধরনের রান্নার জন্য সবসময় হালাল মাংস কিনতে।
সত্যি বলতে কি, আমার হালালের স্বাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব এতোই বেশী যে, পারলে আমি হালাল শূকরমাংসও কিনতাম!
হালাল মাংসের স্বাদ অ-হালালের চেয়ে বেশী - এটা আমি অনেকের কাছেই শুনি, এর পিছনে মনস্তাত্বিক কোন কারণ থাকতে পারে বলে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস...
না হলে হালাল দোকান গুলোতে যে মাংস বিক্রি করা হয় ,তার কোয়ালিটি অন্য দোকান গুলোর থেকে ভালো না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী । নিজের অভিজ্ঞতায় অন্তত এটাই দেখেছি...
নন্দিনী
নন্দিনী আপু, আমার বাসার সাজ সজ্জা দেখে এক খাটি মুসলমান বান্দা ডাইনীং টেবলে বসে জিজ্ঞেস করেছে, মাংস হালাল কিনা ???? তিনি আবার এক ফ্রেঞ্চ রেষ্টুরেন্টের শেফ। যদিও সেখানে নাকি তিনি কিছুই খান না অথচ না চেখে খাবার পরিবেশনের নিয়ম কিন্তু নেই। এই হলো অবস্থা আমাদের।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তানবীরা,
তোমাকে আরেকটা ঘটনা শুনাই । একবার বেশ রাত করে একদঙ্গল মানুষ এলেন আমার বাসায় বাঁচ্চা কাচ্চা সমেত, অসুস্ত্য আমাকে দেখতে - এ দিকে ঘরে কিছুই রান্না নেই ।
সাধারণত এ অবস্থায় বাইরে থেকে আমরা খাবার অর্ডার দিয়ে এনে খেয়ে ফেলি । ব্যাস কাজ শেষ । আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবলাম এতো গুলো লোককে এখন কি খেতে দেই ! দিলাম অর্ডার আমার প্রিয় একটা মেক্সিকান রেষ্টুরেন্টে । আমি তো মনে মনে খুশী যাক, মেহমান দের না খেয়ে যেতে হবে না...সবাই মিলে বেশ মজা করে বাসায় বসে মেক্সিকান ফুড খাবো ।
জানো তারপর কি হয়েছিল?
খাবার আসার পর টেবিলে সাজিয়ে দিচ্ছি খুশী মনে, কিন্তু কেউ খাবার ছুঁয়ে দেখা তো দূরে থাক, বলতে লাগলো ...এই খাবার হালাল না...!!! বাঁচ্চাদের দু'একজন হাত দিতে গিয়েছিল খাবারে, ওর মা এক ঝাটকায় হাত সরিয়ে দিয়ে দু'দিকে প্রবল বেগে মাথা নেড়ে বলতে লাগলো এই খাবার 'হারাম' ! এই গুলা খাবোনা বলে সবাই গ্যাট হয়ে বসে থাকলো !
সেদিন ওদের এই ব্যবহারে আমি ভীষন দুঃখ পেয়েছিলাম । শারীরিক কষ্টের চেয়েও ওদের ব্যবহার আমাকে আহত করেছিল বেশী ।
তুমি তো আমার মেয়েকে দেখেছো, সে হতভম্বের মতো দাঁড়িয়েছিল । অপমানে ওর চোখে জল এসে গিয়েছিলো । সিজলিং চিকেন টিকেন সহ আরও কিছু মজার মজার আইটেম ছিল, কি এমন ক্ষতি হতো ওদের, মাংস জাতীয় কিছু না খেয়ে যদি অন্য কিছু খেয়েও ভদ্রতা রক্ষা করতো !'ধর্ম' মানুষকে কোথায় নিয়ে যায় ভাবি...!
নন্দিনী
সেটাই!
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে, আমি তোমার থেকে সুপিরিয়র, তুমি যেটা খাচ্ছো সেটা আমি খাচ্ছি না বলতে ওদের কষ্ট হয় না, খেতে কষ্ট হয়। বেহেস্তের লোভ এতো বড় ব্যাপার।
একজন ব্রাক্ষন ভদ্রমহিলা আমাকে খুবই ভালোবাসে, আমার ঘরে উনি জল স্পর্শ করে না কিন্তু আমাকে চুমু খায়। ????? আশির উপড় বয়স উনার।
আমার সাউথ ইন্ডিয়ান বান্ধবী যে ডিম পর্যন্ত খায় না, যার বেস্ট ফ্রেন্ড আমি বলে দাবী করে, আমার বাড়ি চা ছাড়া অন্য কিছু খেতে ততস্থ হয়ে থাকে, ধর্ম না খুইয়ে ফেলে। মায়া লাগে এই গুলারে দেখলে। কতো টেনশন এইগুলার জীবনে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমি হালাল হারাম বেছে চলার পক্ষপাতি। কিন্তু যারা হালাল মুরগি বিক্রি করে তারা কীভাবে ওটাকে হালাল করে আমি বুঝি না। তাদের ব্যবসায়িক ইন্টেগ্রিটি অনেক ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। কখনও এক্সপায়ারড্ ডেটের পণ্যও বিক্রি করে (অন্তত আমি যাদের দেখেছি)। তাই আমি তাদের পণ্যকে আলাদাভাবে দেখি না। অনেকে বিষয়টা নিয়ে অপছন্দনীয় রকমের বাড়াবাড়ি করে। নিজে যেটা হালাল মনে করে খায়, খাউক। কিন্তু অন্যে হালাল খাচ্ছে না কি, তা নিয়ে মাথা ব্যথা একধরনের গোঁড়ামি।
এসব লোকদের অনেককে আমি দেখেছি আমেরিকায় ব্যবসা করে অথচ ট্যাক্স ফাঁকি দেয়। নিজের দেশী ভাইকে কর্মচারি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে মজুরি কম দেয়, ঠকায়। কর্মচারির ট্যাক্স (আমেরিকায় w2) দেয় না, কর্মচারির গ্রুপ মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স করে না। সরকার এবং কর্মচারি উভয়কে ঠকায়। নিজের দেশী ভাইয়ের কাগজপত্র না থাকলে তো আরও জঘন্য হয়ে যায় তারা। এ ধরনের লোকদেরই আমি হালাল হারাম নিয়ে কানাঘুষা করতে দেখেছি সবচেয়ে বেশি।
অনেকে আমেরিকান পাসপোর্টধারী। পাসপোর্ট নেয়ার সময় যে ওয়াদা (oath) করতে হয় সে ওয়াদা ভুলে যায় যে, এদেশের প্রতি অনুগত থাকতে হবে। তারা যদি ধর্ম মানে তাহলে দেশের প্রতি অনানুগত্য অধর্ম সেটা জানা দরকার। কিন্তু তারা ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে শতকরা ১০০ ভাগ ট্যাক্স ফাঁকি দেয়। চারপাঁচজন দেশী ভাই একত্র হলে কে হারাম মাংস খায়, কে বিয়ার খায়, কার কি বদঅভ্যাস ইত্যাদি বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে, যদিও নিজেও কম যায় না। দেশী ভাই দেশে বা বিদেশে যেখানেই যাক, স্বর্গে গেলেও 'ঢেকির মত ধান ভানবে'। তাতে আর অন্যথা কি? এ হল আমাদের দেশী ভাইদের অবস্থা।
দেশী এক ভাবী এক আপাকে জিনের ভয় লাগিয়ে দিয়েছে। উনি যে অ্যাপার্টমেন্টে থাকে সেখানে বড় গাছ আছে যেখানটায় সন্ধ্যায় অন্ধকার হয়। তাকে বলেছে, "ভাবী সন্ধ্যায় ঘর থেকে বেরোবেন না, বড় গাছে জিন থাকতে পারে"। এমনিতেই মহিলা একটু ভীতু, ব্যস্ সে আর সন্ধ্যায় ঘর থেকে বেরিয়ে গার্ব্যাজ ডাম্প করতে যায় না। আমি ওনাকে বলেছি আপা এদেশে জিন থাকলে সবার আগে বুশকে ধরত। কারণ ও সবচেয়ে বদ। এ কথায় কোন কাজ হয় নাই। রাতে নাকি ওই কথা মনে হলে ওনার ভয় শুরু হয়; জানালা দরজা বন্ধ করে সব লাইটা জ্বালিয়ে বসে থাকে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
আমি হালাল খাদ্য খাই
যা খেতে ইচ্ছে করে এবং যা খেতে সুস্বাদু - সেটাই আমার কাছে হালাল।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
বিবাহিত মুরগীর ডিম:
এই হালাল হারামের পাল্লায় অনেকবার ই পরতে হয়েছে। যেহেতু আমার চারপাশে তার্কিশ বেশি, তাই তাদের কাছে ই জবাবদিহি করতে হয়। আমাদের লেব এর পোস্ট ডক একদিন ধরলো, সে আমারে বুজাচ্ছে যে ডিম এর ও হালাল হারাম আছে। আমার মাথায় তো আর ধরে না, ডিম তাও হারাম হালাল কেমনে? তারে জিগাইলাম, তোমরা কি বাচ্চা মোরগ মুরগী ধইরা আইনা বিয়া পড়াও, সেই দম্পত্তির ডিম খাও?
সে একটু ভেবাচেকা খাইয়া, আরও আধা ঘন্টা নস্ট করলো আমারে দীনের পথে আনতে।
আমার ল্যাব মেট এক কনফারেনসে গিয়ে আরেক তার্কিশের উপরন মহা খাপ্পা, তার ভাষ্য মতে ঐ পোলা মানুষ ভালো না। জিগাইলাম, করছে টা কি? সে বিয়ার খাইছে, মুসলমান হইয়া বিয়ার খায়, সে ভাল মানুষ হইতে পারে না।
খুব ইন্টারেস্টিং লাগে আমার।
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিবাহিত মুরগীর ডিম !
মজা পেলাম খুব
আমরা বাঙ্গালী মুসলমানরা যে এতো মাছ খেকো, মাছেদের ও তাহলে বিয়ের ব্যবস্থায় করেন......ব্যাটারা পানির তলে কি না কি করে কে জানে...!
নন্দিনী
খাওয়ার আবার হালাল-হারাম, যা পেটে সয় তাই খাই আমি। তবে সংস্কার যে মাঝে মাঝে বাগড়া দেয় না তা নয়।
আমার মনে হয় যারা হারাম-হালাল মেনে চলা পছন্দ করেন তাদের জন্য অন্যকে এব্যাপারে ইনসিস্ট করাটা "ধর্মীয় দ্বায়িত্বের" মধ্যে পড়ে। কারন ইসলামে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার (আকিমুদ্দ্বীন) কথা বলা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠার মানে নিজে আচরন করা এবং সমধর্মী অন্যদের একই আচরন করতে উদ্বুদ্ধ করা। সুতরাং এই ব্যাপারটিকে আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানো মনে করার উপায় নেই। ইসলামের বিধান এই প্রকার।
ব্যক্তিগত জীবনে ঐসমস্ত মানুষ আর যা সব কাজ করেন, তার মধ্যে ইসলাম-বিরোধী কিছু পেলে আপনিও তা ধরিয়ে দিন। তখন যদি সে কুতর্ক করার চেষ্টা করে তখন তাকে বলে দিন যে আপনার হারাম-হালাল খাদ্যগ্রহনের ব্যাপারে বলা যদি তার ধর্মীয় দ্বায়িত্ব হয় তাহলে তার অন্য সব অনসৈলামিক কার্যকলাপের ব্যাপারে বলাও আপনার ধর্মীয় দ্বায়িত্ব হয়।
তবে এসবই হচ্ছে অহেতুক তর্ক বাড়ানোর উপায়। ব্যক্তিগতভাবে আমি নন্দিনীর মত "That’s not your problem …." বলার পক্ষপাতি। ইতিপূর্বে যুধিষ্ঠির তার এক লেখায় এধরনের প্রসঙ্গ এনেছিলেন। সচলরাও তখন এনিয়ে বেশ কথা বলেছিলেন। তাই এনিয়ে আর কথা বাড়াবো না।
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একরাতে বোতলসহ ধরা খাইলাম পুলিশের হাতে... সেই ভদ্রলোক আবার কপালচিহ্নিত নামাজী...
প্রথমে তিনি আমার উপরে বেদম ক্ষেপলেন... আমি মুসলমান হয়া এইসব খাই? হারাম হারাম... বিরাট উত্তেজিত বকাবকি... পারলে আমারে মারে। আমি পয়লায় তারে ৫০ টাকা সাধলাম... সে আরো গেলো ক্ষেইপা... আমি তারে ঘুষ সাধতেছি!! ধর্ম... ধর্ম...
তারপর ১০০ দিলাম... শুরু হইলো গাঁইগুঁই... ২০০ দিতেই বমাল ছেড়ে দিলো... এবার বেশ হাসিমুখ...
জিগাইলাম এইটা কি বেশি হালাল হইলো? তিনি লাজবাব থাকলেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
মজা পাইছি !!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
হারাম মুরগী বেচে হালাল উপার্জন, আল্লাহ ওদের হেদায়েত করুন
...........................
Every Picture Tells a Story
হা হা হা - বিবাহিত মুরগীর ডিম!!
ওরে মারে হাসতে হাসতে পেট ফাইটা গেল রে !!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হালাল চিকেন - এই কথাটাই একটা ভ্রান্ত ধারণা। ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী মুরগী সবসময়ই একটি হালাল প্রাণী। আমি এ যাবৎ যতগুলো ঐশ্লামিক কিতাব পড়েছি তাতে কোন যায়গাতেই দেখিনি যে মুরগী কখনো স্থান-কাল-পাত্র ভেদে হালাল বা হারাম হতে পারে। যারা এই পথে ঘাটে জোড় করে আকিমুদ্দ্বীন পালন করার চেষ্টা করেন, তাদের সমস্যাটা হল তারা "হালাল" এবং "জবাই করা" মুরগীর (আমেরিকার উপমহাদেশীয় বাজারগুলোতে যেটা "জাবিহা" শব্দ দিয়ে বোঝানো হয়) ব্যাপারগুলোকে গুলিয়ে ফেলে, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। জবাই করে একটা হালাল প্রাণীকে মেরে তার মাংস খেতে বলা হয়েছে ইসলামে, কোথাও কিন্তু বলা নেই যে জবাই না করলে সেটা "হারাম" হয়ে যাবে। "ধর্মপ্রান" ব্যবসায়ীরা এক্ষেত্রে "হালাল" শব্দটা ব্যবহার করেন, তাতে বিক্রি বাড়ে। ঈমানদার মুসলমান কোন সাহসে যাবে "হারাম" মুরগী কিনতে! আপনাদের নিশ্চয়ই অ্যারোম্যাটিক হালাল সাবানের কথা মনে আছে। কি অসাধারণ বিজনেস কনসেপ্ট! এখানেও তাই হচ্ছে, পুঁজি হচ্ছে সহজ মানুষের ধর্মভীরুতা, শনৈ: শনৈ: উন্নতি নিশ্চিত হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
স্নিগ্ধাকে বলছি, হালাল মাংস খেতে সাধারণ গ্রসারীর দোকান থেকে কেনা মাংসের চেয়ে মজা কেন জানেন? আমার ধারনা হল এরকম। এরা যে মাংসগুলো আনে, সেগুলোতে সাধারণ দোকানের মাংসের চেয়ে অনেক বেশী অ্যাণ্টিবায়োটিক আর স্টেরয়েড সহ অন্য অনেক ড্রাগ ব্যবহার করে। এতে করে এদের মাংসগুলো অনেকদিন পর্যন্ত ওদের এবং আপনার ফ্রিজে ভালো থাকে। আমি আজ পর্যন্ত অনেক খুঁজেও এমন কোন "হালাল" মাংসের দোকান পাইনি, যারা কাগজ কলম দেখিয়ে দাবী করতে পেরেছে যে তাদের মাংসে অ্যাণ্টিবায়োটিক বা অন্য ড্রাগ নেই, যেটা আজকাল আপনি অনেক সাধারন দোকানের মাংসের প্যাকেটে লেখা দেখবেন।
ব্যক্তিগতভাবে আমিও নন্দিনীর মত সোজাসাপ্টা "That’s not your problem …." বলার এবং এরা তারপরও এরা আকিমুদ্দীন করে বিরক্ত করলে এদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার পক্ষপাতি।
প্রিয় যুধিষ্ঠির - 'হালাল' বলতে আমি গুলি বা অন্য কোনভাবে না মেরে জবাই করে মারা হয়েছে এটা বুঝি (ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আসল মানে যাই হোক) - আর আমার এক দুর্দান্ত রাঁধুনী বন্ধু আছে, সে বলেছিলো হালাল মাংসের স্বাদ ভালো হয় কারণ জবাই করবার ফলে মাংসে রক্ত সঞ্চালনের একটা তারতম্য ঘটে যেটা মাংসকে ময়েস্ট রাখে এবং স্বাদ বাড়ায়।
হুমমম, আপনি যেটা বলছেন সেটা সত্যি হলে তো চিন্তার কথা!!
তবে, আমি সব্জির ক্ষেত্রে দেখেছি স্টেরয়েড আর এন্টিবায়োটিক দেয়া সব্জির চাইতে না দেয়া সব্জি খেতে অনেক অনেক ভালো হয়।
হ্যাঁ, সব্জীর ক্ষেত্রে আপনার কথাটা অবশ্যই সত্যি।
দেখি এ বিষয়ে আরো কিছু গবেষণা করে... কিছু পেলে পরে আবার লিখবো।
ধর্ম্মপুত্র, সচল স্নিগ্ধা হইতে সাবধান। উনার বেশি কাছে ঘেঁষবেন না। আমার হিসাব বলে উনি দ্রৌপদীদের ব্যাচমেট বা একটু এদিক-ওদিক। আর দ্রুপদ কন্যা যেমন 'সর্বজনবিদিত' টাইপ ছিলেন তাতে স্নিগ্ধা একটু গন্ধ পেলেই সব জারিজুরী ধরে ফেলবেন। শেষে গোয়েন্দা ঝিকিমিকির হাতে পড়ে পাণ্ডবদের অকারণ রহস্য গল্পের থলের বেড়াল বের হয়ে যাবে। (এই মন্তব্য লিখে মনে হচ্ছে পাগলকে সাঁকো নাড়াতে না করলাম না তো!!)
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তথাস্তু!
একি! এসব কি?! খামোখা আমার নামে ভয় দেখাচ্ছেন যে? আর ঝিকিমিকি তো খৃসমাসের ছুটিতে আছে, ও এখন কোন কেইস হাতে নিচ্ছে না।
হ্যা, এখন বলুন তো মিঃ ষ্ঠির, কে এমনকি এন্টিবায়োটিক বা স্টেরয়েড দেয়া মাংসকেও অমৃত বানিয়ে ফেলতে পারে? মানে, আপনার জানা সবচেয়ে ভালো রাঁধুনী কে ছিলো ? মানে, এখন না, আপনাদের ছাত্রাবস্থায়?
উহুঁ, আমাকে বোকা পেয়েছেন নাকি! আপনি চাইলেই আমি আপনাকে সুভদ্রা-হিড়িম্বাদের নাম বলছি না।
হালাল মাংসের স্বাদের ব্যাপারটা ব্যক্তিভিত্তিক। আপনার কাছে হালাল মাংসের স্বাদ ভাল্লাগে কারণ আপনি ছোটবেলা থেকে হালাল মাংস খেয়ে অভ্যস্থ। স্বাদের তারতম্য নিয়ে আপনার বন্ধুর ধারণাই সঠিক বলে জানি। জবাই করলে মাংসে রক্ত থাকেনা বললেই চলে। ফলে রান্না করলে রক্তের স্বাদ ও গন্ধ অনুপস্থিত থাকে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ভাই, আপনার এ কথাটি ঠিক না। হালাল এবং জাবিহা- এ দুইয়ের সমন্বয়ের ঘটলেই সেই প্রাণী খাবার হিসেবে হালাল হয়। কোরআনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, যে প্রাণী জবাই করার সময় আল্লাহর নাম নেয়া হয়না তা খাওয়া অবৈধ, অথাৎ তা খাওয়া হারাম। বলাই বাহুল্য, এ ক্ষেত্রে হালাল পশুর কথাই বলা হয়েছে, কেননা হারাম পশু ,যেমন- শুকর, তা আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করলেও হালাল হবেনা।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে,এ আলাচনা আমার নিজস্ব নয়, যে কোন নির্ভরযোগ্য তাফসীরগ্রন্থেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত অলোচনা পাবেন।
"সচলায়তন" এর সকলকে শুভেচ্ছা।।
আপনার মন্তব্য পড়লাম। আমার কথাটি কেন আমি ঠিক মনে করি সে ব্যাপারটি নিয়ে এখানে তর্ক করতে চাচ্ছি না। আমার মন্তব্য আপনার অনুভূতিতে আঘাত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দু:খিত।
হালাল খাবার, হালাল রুজি, হালাল চিন্তা, হালাল ঘুষ, হালাল জীবন, এই বিষয়গুলোই আসলে আমি বুঝি না !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হালাল বীয়ার বোঝেন?
ভণ্ডামির মাত্রা দেখে মনে হয়, অচিরেই হালাল ভোদকা এবং হালাল সেক্স-ডলও পাওয়া যাবে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
মন্তব্যে (বিপ্লব)
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
যা খেতে মন চায়, তা-ই খাই। দেখতে ভাল হলেই হয়; গন্ধ আর খেতে ভাল তো হতেই হবে।
মুরগী খাই, কিন্তু হালাল না হারামভাবে জবাই করা, ওসব নিয়ে মাথা ঘামাই না একদমই।
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
হায়রে হালাল হায়রে হারাম !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বিবাহিত মুরগীর ডিম? ) হো হো হো হিহিহি ওরে বাবা!
আমার প্রিয় খাদ্যগুলির মধ্যে একটা ছিলো মোহাম্মদপুরস্থ বিভিন্ন দোকানে মুরগির চাপ, যেগুলি প্রায় সবই জেনেভা ক্যাম্পের মরামুরগি ইন্ডাস্ট্রি থেকে আগত।
এইখানকার মুর্গি অত্যন্ত বিস্বাদ, একে হজ্জ্ব করিয়ে আনলেও স্বাদ খুলবে না। কমসেকম চব্বিশ ঘন্টা আরকে চুবিয়ে রাখলে যদি কিছু হয়।
বিবাহিত মুরগির ডিম কনসেপ্টটিকে প্রোমোট করা দরকার। মোরগ মুরগির অবাধ যৌনলীলায় উৎপন্ন ডিমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। ডিমের সাথে মোরগ মুরগির কাবিননামার ফোটোকপি দেয়া হোক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হুম ! এর চেয়ে উত্তম প্রস্তাব আর হয়না
নন্দিনী
আমি হালাল এলকোহল খাবো। সাথে বিবাহিত মুরগি ভাজা।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
বিশাল কাহিনী...।
_
থাইল্যান্ডে আমার চাকরীতে মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া 'ভি আই পি'দের সাথে দেখা সাক্ষাত করতে হতো। সে রকমই একজন ব্যবসায়ী। হোটেলের লবিতে বসে আছেন, হাতে হ্যানিকেন, চুমুক। গিয়ে পরিচয় দিলাম। প্রথমেই যেটা বললেন, "আচ্ছা ভাই- এই যে এই হোটেলের চিকেন তো হালাল না। এটা তো খাওয়া যাবে না। আশে পাশে হালাল চিকেন কৈ পাওয়া যাবে?"
আমি জবাব দিই। আর মনে হয় ঐ লোকের হাতের হ্যানিকেন ক্যানটা খিক্ষিক করে হাসছে।
পাকিরা মনেহয় একটু বেশিই করে টানাটানি হালাল-হারাম নিয়ে। আমাকে একবার এক ছেলে বলতে আসছিল আমি বললাম তুই নিজে আগে ভালা হ তারপর আমাকে বলতে আসিস ব্যাটা, খালি দাড়ি রাখলেই কি পাক্কা মুসলিম হয়ে গেলি নাকি ? কাস্টোমারকে এভাবে হেনস্তা করার জন্য তাদের চাকরি যাওয়াই উচিত।
--------------------------------------------------------
সবখানেই এক গল্প। হাসি পায় হালালওয়ালাদের এইসব কান্ড দেখলে। আরও কীসব আছে, পাউরুটিতে নাকি কিসের কি জেলাটিন দেয়, সেইটা উদ্ভিদজাত না প্রাণীজাত সেই নিয়া রিসার্চ করতেও দেখছি অনেক কে।
বাংলাদেশে থাকতে এরা জীবনে কী খাইতেসে, সামান্য মাথা ঘামায় নাই। আমি দেশে বাজার করতাম, সরকারের নামে খিস্তি খেউর করতে করতে মুরগি ব্লেড দিয়ে এক ধাক্কায় গলা কেটে ফেলে দেয় মুরগির দোকানদারেরা। আল্লার নাম কইতে কখনো দেখি নাই।
মনে হয়, মাইর লাগাই। মেজাজটা খারাপ হয় মাঝেমাঝে, পরে হেসে নেই একচোট।
বিবাহিত মুরগির ডিম ব্যাপারটা মনে ধরসে। এই ফতোয়া কেউ চালু করেন। আমি এইটারে বিজনেস মডেল হিসেবে বাস্তবায়ন করতে চাই।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
নতুন মন্তব্য করুন