চাঁদ ও ময়ুর
তৈমুর রেজা
হে অলস কবি, তোমাকে পেরোতে হবে ছয় ক্রোশ পথ; নীল ময়ুরের পেখমদানি খুঁজে আনো শহর ছেনে, কয়েকটি গোলার্ধের তারা বুনে সেখানে পেখমদানি বানাতে পারে ভিনদেশি কারিগর; তুমি তাহার তালাশ করো; নীলের বিচিত্র সম্ভার তুমি স্পর্শ করো অনিরুদ্ধ আকাক্সায়, এইবার তোমার ময়ুর বাঞ্ছা করেছে এই লোকায়ত উপহার; তুমি আকাক্সার শূন্যঘর পূরণ করে দাও।
গৌরচাঁদের ভাঙা কলোনিতে চাঁদের উর্বর আলো, খোলা জানলা গলে নামছে বাঁধভাঙা হাসি; চাঁদের ব্রীড়ানত মুখে রাধার বিগ্রহ; কৃষ্ণ, ও বন্য যৌবন, শুধু তোমার ভজনা করি ওগো নাথ।
তারপর নিশীথের তৃতীয় যামে বৃষ্টি নামে; ও চাঁদ, তুমি কি শুনিতে পাও? তোরঙ্গ খুলিয়া তুমি পুরাতনী শাল বের করো, সেখানে গন্ধ আছে, বাসী গন্ধ, ভাঁটফুল; মৎসগন্ধা শালবনে তুমি ঘর তোলো। সেই শালগন্ধ আদিশালদুধ মেখে তুমি নিদ্রা যাও, নিরাপদ নিদ্রায় তুমি বীর্যবান হও, হলায়ুধ হও। নতুন সূর্য এলে তুমি কুসুম জলে øান করো, চুল আঁচড়াও, তারপর বগলে ভুরভুর বাসনা ছেপে ছয় ক্রোশ যেতে হবে, অলকা নগরী থেকে সঞ্জীবনী মদ তুলে আনো, ওগো অচেতন চাষা, নীল ময়ুরের পেখমদানি তোমাকে আনতেই হবে।
মন্তব্য
অদ্ভুত লাগলো।
তবে কয়েকটা জায়গায় বানান একটু উল্টেপাল্টে গেছে। সম্ভবত এটা আপনার সচলে প্রথম লেখা তাই ওগুলো চোখ এড়িয়ে গেছে।
সচলে স্বাগতম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
নতুন মন্তব্য করুন