...নামহীন
শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারা যাচ্ছে যে লেখাটি ‘মানবিকতা’ ও ‘সমাজ’ –এই দু’টি বিষয়ের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা। এই লেখায়(প্রকাশিত কিনা জানি না) উনি (নাম না জানা লেখক, লেখা কাগজটি পড়ে পাওয়া)এটাই দেখাতে চেষ্টা করেছেন যে মানবিকতা ও সমাজ কীভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
সমাজের প্রধানতম ও একমাত্র মৌলিক উপাদান হলো মানুষ (পরমানুর ইলেক্ট্রন, প্রোটন বা নিউট্রনের মত)। কারণ মানুষ ব্যতিত সমাজের অস্তিত্বই কল্পনা করা যায় না। তাই সমাজকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে মানুষ বৃদ্ধি করতে হয় বা মানুষের উপস্থিতিকে নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু মানুষ বৃদ্ধি করাটা কতটুকু মানবিক বা যুক্তিযুক্ত?
আমরা নিজেদের মাধ্যমেই বুঝতে পারছি যে পৃথিবিতে বাঁচতে হলে মানুষকে নিদারুন কষ্ট ভোগ করতে হয় এবং করতেই হবে। এই কষ্ট পাওয়ার ধরণ এবং মাত্রা মানুষে মানুষে ভিন্ন হয়। কিন্তু কষ্ট পাওয়াটা অনিবার্য। তাই আমরা আমাদের প্রয়োজনে যে সন্তানটি আনছি, সেই সন্তানটিও তো নিশ্চিত কষ্টের মুখোমুখী হয়। আমরা যদি নিজেদের কষ্টকে লাঘব করার জন্য সচেষ্ট হতে পারি তবে অনাগত শিশুটির প্রতি কি মানবিক বা সহানুভুতিশীল হতে পারি না? যদি তাকে আমরা কষ্ট না দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিতে চাই তাহলে আমাদের একটাই পথ খোলা আছে, তা হলো- সন্তানটিকে পৃথিবীতে না আনা। কারণ একটি সন্তানকে পৃথিবীতে এনে কষ্ট দেয়াটা আসলেই অমানবিক এবং তা এই কারণে যে আমরা তো নিজেদের প্রয়োজনে তাকে আনছি এবং কষ্ট ভোগ করতে বাধ্য করছি, অথচ বাচ্চাটির কোন প্রয়োজন নাই এই পৃথিবীতে আসার, তাই না?
কিন্তু নতুন নতুন মানুষ যদি পৃথিবীতে না আসে তবে সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে- এই কথাটি সমাজ জানে। তাই সমাজ নিজের জীবন ভিক্ষা চেয়ে মানবিকতাকে বলেছে যে দয়াকরে যেন তাকে মানুষ দেয়া হয়। আর এখানেই মানবিকতার মৃত্যু ঘটেছে এবং এই মৃত্যুটি হলো মানবিকতার আত্মাহুতি। সমাজকে বাঁচাতে গিয়ে মানবিকতা নিজেকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে সন্তান জন্ম দানের মত অমানবিক কাজ করে যাচ্ছে।
মানবিকতার এই মহানুভবতা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু সমাজ কখনও মানবিকতাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে না। সে চায়- যেভাবেই হোক আমি বেঁচে থাকি। তাই আমরা পৃথিবীর মানব সমাজকে বাঁচাতে গিয়ে মানবিকতার মৃত্যু ঘটিয়ে রীতিমত সন্তান জন্ম দিচ্ছি এবং অমানবিক কাজ করছি, তাই নয় কি?
এখন মানুষের অবস্থান সম্পর্কে যদি একটু আলোচনা করতে চাই তাহলে আলোচনা করতে হবে মানুষের অবস্থান কোন দিকে হওয়া উচিত্- মানবিকতার দিকে নাকি সমাজের দিকে। যে কোন একটি বেছে নিতে হবে এই কারণে যে, একই ব্যক্তি এই দুই দিককে রক্ষা করতে পারে না। তাহলে মানুষ কোন্ দিকটি বেছে নেবে- মানিবিকতা নাকি সমাজ?
......ঠিক এই জায়গাটায় পাতাটি শেষ হয়ে যায়। আর পড়তে পারি নাই। হয়তো আরো ছিল। কিন্তু প্রশ্নগুলো আমার মনে ঘুরপাক খায়, উত্তর জানি না। আপনারা কেউ কিছু জানেন নাকি?
মন্তব্য
এন্টেনার কিঞ্চিত উপর দিয়া গেলো... যাই হোক... গাছটারে ভালো লাগসে... গাছটা যারে বলে একদম সেই রকম আরকি!!
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এন্টেনার বাঁশটা আরেকটু খাড়াইয়া তোলেন দেহি...
...নামহীন
লাভ নাই... এন্টেনাটা এক্কেবারে বাঁশের শেষ মাথায়... আর বাঁশও মোটামুটি মাটি হইতে বিশ বিঘৎ উপরে ভাসতেসে... আর উপরে উঠানোর পারমিশন নাই...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
তালি আর কী করা... অমনি-ই থুয়্যা দ্যান গা...
...নামহীন
আমিও বুঝি নাই।
এই গাছ গাছ নয় আরও গাছ আছে। এই গাছেরে নিবা তোমরা সেই গাছেরো কাছে।
এই যে দ্যাখেন ...
গাছটার দেখি মানুষের মত স-ব কিছু-ই আছে...!!!
...নামহীন
দ্রোহীদা, সেই গাছের কাছে নিবার জন্য আপনাকে
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
নতুন মন্তব্য করুন