বলিয়া প্রমাণ করিলেন তিনি যোগ্য নন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১০/০১/২০০৯ - ৫:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সড়কের রাজনীতিতে তামাটে রাজনীতিক হওয়া আর দক্ষ-যোগ্যভাবে প্রশাসন-দেশ চালানো যে এক কথা নয় তা ষ্পষ্টভাবে প্রমাণ করলেন দেশের নয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মূলত যে তিনটি অতি-গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় দেশের আমজনতার জীবনে খুব বেশি প্রভাব ফেলে তথা সরকারি দলের ভাগ্যনিয়ন্তা হিসেবে কাজ করে তার একটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশের চতুর পুলিশ-প্রশাসনকে বাগে এনে, চোর-ডাকাত-সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ কাবু করে, দলের ভেতরের রগচটা-রগকাটা পক্ষকে বশ করে এবং সর্বোপরি জনসাধারণকে একটি স্বস্তিপূর্ণ ও নিরাপদ জীবন উপহার দিতে একজন চৌকস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জুড়ি নেই।

এবং তিনি ফেল মারলে সরকারই ফেল।

নির্বাচনের পর দেশে সন্ত্রাস আবার ফিরে এসেছে। রাজনৈতিক সরকারের এই এক অসুবিধা বাংলাদেশে, রগচটাদের বশীকরণ মন্ত্র যেন এদের জানা নেই। লাশ পড়ছে দুপক্ষেরই, কিন্তু বিরোধীদের লাশ অনেক বেশি বেশি বোঝা সরকারের মাথার ওপর। অনেক বড় লজ্জা, ব্যর্থতা। তাদের ফিনকি দেয়া রক্ত গণভবনের ঝকঝকে মেঝে ও গালিচাকে পিচ্ছিল ও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।

এমন অবস্থায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ আচরণ সবাই আশা করে। অথচ তিনি যেভাবে কথা বলছেন তাতে মনে হয় ঐ পদের তিনি যোগ্য নন। তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নন। সবচাইতে ভাল হয় তিনি যদি মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন। তিনি ফেল মারলে আক্ষরিক অর্থেই সরকার ফেল।

প্রফাইল

...............................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

অতিথি লেখক লিখেছেন:

সড়কের রাজনীতিতে তামাটে রাজনীতিক হওয়া আর দক্ষ-যোগ্যভাবে প্রশাসন-দেশ চালানো যে এক কথা নয় তা ষ্পষ্টভাবে প্রমাণ করলেন দেশের নয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গতকালের টিভি তে যা শুনলাম সেটা? মানে অভ্যন্তরীন কোন্দল নিয়ে কথা?

অতিথি লেখককে সাধুবাদ, আপনার জ্ঞানের জন্য, অল্পতেই অনেক কিছু বুঝেন। তবে একটা কথা কি জানেন চুলে জেল্‌ দিয়ে বাংলিশ কথার চৌকস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চাইতে তামাটে রাজনীতিকের প্রতি আমজনতার বিশ্বাস এতটাই বেশী যে আপনার ভাষায় 'ষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত' হওয়ার জন্য এসময়টা কিছুই না।

...........................
Every Picture Tells a Story

রণদীপম বসু এর ছবি

হুঁম, এ মুহূর্তে আমাদের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ...মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলামের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তিনি কথা বলতেন না, কাজ করতেন ঠিকই। সেজন্য তাঁর বিরোধীতা এসেছিল বাইরে থেকে নয়, দল থেকেই। আমরা তো এড: সাহারা খাতুনের কাছ থেকে সেরকমটাই আশা করেছিলাম ! কেবিনেটে এমন কেউ কি নেই যিনি তাঁকে এটা বুঝিয়ে বলেন..?
যত তাড়াতাড়ি সুমতি হবে ততই মঙ্গল...

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতিথি লেখক এর ছবি

হুঁম, না হলে কিন্তু ভীষন অমঙ্গল। সবার জন্যই। মহাজয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই দেশ যেন ভরাডুবি উপহার না পায়।

আলীগ অনেক করলেও নাম হয় না বললেই চলে, কিন্তু সামান্য এদিক-ওদিক হলেই চারদিকে ঢি-ঢি পড়ে যায়।

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই পরিষদের মন্ত্রীদের ডিপ্লোম্যাটির অভিজ্ঞতার অভাবের সাথে সাথে সবচে বড়ো ঝামেলা হলো এরা একা একা ভালো নেতা
মাঠ রাজনীতিতে এদের নিয়ন্ত্রণ কিংবা প্রভাব একেবারে নেই বললেই চলে

মতিয়া চৌধুরীসহ অনেককেই দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা করে সালাম দিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে সলাপরামর্শ করে অন্যদের সাথে

এর আগেরবার মতিয়া চৌধুরীকে শ্রদ্ধা করেই তার কর্মীরা তাকে ফেল করিয়ে দিয়েছিল
কারণ মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাদের সবাইকে তার কাছ থেকে শুনতে হয়েছে 'বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে'

বিধিহীন দেশে মতিয়া মোহিত নাহিদের কথা শোনার মতো লোকের বড়োই অভাব দলের ভেতরেই

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তাহলে তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় যা বলেছেন তা দলের লোকজনদের খুশি করবে সন্দেহ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

"তাহলে তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় যা বলেছেন তা দলের লোকজনদের খুশি করবে সন্দেহ নাই।"

নিশ্চয়। তারা হয়ত বগল বাজাতে শুরু করেছে দেখুন গিয়ে। মারলাম আমি, আর থানাপুলিশ বলল নিজের গালেই নিজে চড় মেরেছে।

প্রফাইল

...............................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

অতিথি লেখক এর ছবি

"ডিপ্লোম্যাটিক অভিজ্ঞতা" আসলেই খুব দরকারি। অনেকটা শিঙ মাছ হবার মত। ঘা মারবে ঠিকই, আবার ধরাও যাবে না।

কর্মীরা বড়ই ত্যাদড়। তাদের শ্রদ্ধা আর শলাপরামর্শ দুটোই আদায় করতে ডিপ্লোম্যাসির বিকল্প নেই।

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

সাধু এর ছবি

আমাদের স্বরাস্ট্র মন্ত্রীর কন্ঠ থেকে অনেকটা বাবরের প্রেতাত্তার কন্ঠস্বর শুনতে পাই ।
ভগবান সুমতি দিক ।

দুর্দান্ত এর ছবি

হাসিনা বিশেষ জেলে বসে নিজের অতীত নিয়ে কতটা ভাবতে পেরেছেন এখন বলা মুশকিল। গতবার তিনি নিজেও কম আগড়ম বাগড়ম কথা বলেননি। সাহারার বাতচিতে প্রমান হয় যে মন্ত্রীদের মানসিকতা দল থেকে সরকারে উন্নীত করার কোন প্রক্রিয়া লীগ নেতৃত্ব নেয়নি, নিলেও তারা গতবারের হাসিনাকে রোলমডেল হিসাবে নিচ্ছেন।

সব ট্রেনিং এর ব্যাপার। মন্ত্রী হয়েছেন বলে সব জেনে বসে আছেন, এটা ভাবাটাই প্রথম ভুল। মিডিয়ায় নিজের ওজন কিভাবে রাখতে হয় এই ট্রেনিং আমাদের মন্ত্রীসভার এক্ষুনি দরকার। বিশেষজ্ঞ ডেকে না হোক অন্তত মতিয়ার গত মন্ত্রীত্বকে দেখে কিছু শেখা যেতে পারে।

বাচাল মন্ত্রীকে স্মীতভাষী করা লীগ সরকারের ফর্যে-আইন।

অতিথি লেখক এর ছবি

"বাচাল মন্ত্রীকে মিতভাষী করা লীগ সরকারের ফর্যে-আইন"

খাঁটি কথা। আচ্ছা, তাঁরা কি রনদীপমের "ইয়োগা" পড়েন না? একটু যোগচর্চা করলেই তো আর এই বয়েসে এত্ত ব্যস্ততার মধ্যে ট্রেনিং নেবার দরকার হয় না।

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

নিঝুম এর ছবি

একটা কথার ভিত্তি ধরে চট করে সিদ্ধান্তে আসার ব্যাপারটা মনে হয় ঠিক না । দেখাই যাক না কয়েকটা মাস । তিনি নারী বলে শুরু থেকে আশে পাশের সবাইকেই দেখলাম বেশ হতাশা নিয়ে বলছে... ও...নারী স্বরাস্ট্র মন্ত্রী??? হায় হায়... গেল রে... এ কারনেই, তিনি হয়ত কাশি দিলেই সাংবাদিকরা সেটাকেই নিউজ করে দেবেন । "দেশের টাকায় চলিয়া, স্বরাস্ট্র মন্ত্রী কাশি দিয়া বেরাইতেছেন " এই শিরোনামে ।

বলি কি...তাঁকে একজন নারী হিসেবে না দেখে একজন আইনজীবি ও রাজনীতিবিদ হিসেবে দেখলেই সম্ভবত ভালো হবে । আখেরে ভালো হবার চান্স সে ক্ষেত্রে থেকেই যাবে ।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

অতিথি লেখক এর ছবি

"নারী বলে" কোন সমস্যা নেই। মন্ত্রিসভার সকলে নারী হলেই বা ক্ষতি কি? তবে "থ্রেশল্ড লেভেল" বলে একটা কথা মূর্খদের ডিক্সনারিতে আছে।

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

দুর্দান্ত এর ছবি

এখানে মন্তব্য করে প্রথম আলোতে গিয়েই দেখি হাসিনা ফিরে গেছেন তার পুরাতন আগড়ম বাগড়ম ফর্মে।

সাহারা নির্দোশ! রেলের ইঞ্জিন যেদিকে যায়, বগিও সেদিকে যায়।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় আমি খুব প্রীত না হলেও হাসিনার এই মন্তব্যটাকে আমার সারকাস্টিক মনে হচ্ছে... ফলে ঠিক বাগাড়ম্বর বলতে পারছি না... আরেকটু ভালোভাবে বলতে পারতেন, তবে আমার মনে হচ্ছে তিনি "পল্টি" খাওয়া নেতা/কর্মীদের সম্পর্কে এটা বলেছেন যারা দল বদলীয়ে এখন সরকারী দলে আসতে চাইছে....

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

নিঘাত তিথি এর ছবি

প্রথম আলোর এই খবরটায় অবশ্য এই মন্তব্যটাকে সামগ্রিক না বলে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর প্রতি ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর সমকালের খবরে (নিচে আনোয়ার সাদাত শিমুল-এর লিংক) দেখলাম, সাহারা খাতুনকে তার মন্তব্যের জন্য ডেকে নিয়ে সতর্ক করেছে হাসিনা।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমার তো মনে হলো শেখ হাসিনা তাঁর কমেন্টে 'ডিগবাজিওয়ালা'দের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, যারা সবসময়ই (আওয়ামী লীগ-বিএনপি না বরং) সরকারী দলের থাকে। মিরপুরের খালেক এমপি'র মতোন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দুর্দান্ত এর ছবি

আরেকটু ভেঙ্গে বলা দরাকার ছিল। আমার বিরক্তিটা হাসিনার বক্তৃতার কন্টেন্ট নিয়ে না, তার বক্তব্যের বডি লেঙ্গুয়েজ নিয়ে। নিজের দলের মান ঠিক রাখতে বিস্মিল্লাতেই তিনি মাইকের সরনাপন্ন হচ্ছেন, সেটাও বিরক্তির বিষয়।

তারুন্যের উদ্দীপনার চমকপূর্ন মন্ত্রীসভা দেশবাসীকে উপহার দিয়েছেন ঠিক, আবার মন্ত্রী পদমর্জাদার উপদেষ্টাও নিয়োগ করে চলেছেন। এই সেদিন মোদাসসের আলী নামক এক চক্ষুবিশেষজ্ঞ বেশধারী 'স্পিন ডক্টর' (ভিন্ন ধারারা আটরশি পীর বা খাজা আনোয়ার বলা চলে) কে ফুল মন্ত্রী সুবিধার উপদেষ্টা নিয়োগ করলেন। আরো হালিখানেক এই জাতীয় সাদা চুলের তরুন সাইডলাইনে জার্সি পরে খাড়া আছেন, বাঁশী পড়লেই ঘাসে সালাম ঠুকে ফিল্ডে নেমে পড়বেন।

সুধাসদন কিভাবে ধানমন্ডির হাওয়া ভবন হয় তাই অবলোকন করিতেছি।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভাল খবর। দিকে দিকে প্রচারিত হোক।

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

খবরটা পুরোটাই যে ধারণাগত নয় তার নিশ্চয়তা কী? পড়ে অন্তত আমার মনে হয়নি এটা নির্ভরযোগ্য কোন সূ্ত্র থেকে প্রাপ্ত। তবে সত্যি হলে ভালো।

অতিথি লেখক এর ছবি

এধরনের খবর সত্যি না হলেও ভাল। মানির মান রক্ষা পায়, জাতিও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে, "যাক, আপা তাহলে ডেকে নিয়ে বকে দিয়েছেন"।

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি মনে হচ্ছে বেশ হতাশায় ভুগছেন। হতাশার কিছু নেই। ভালো লিখতে পারেন মনে হচ্ছে। নিয়মিত লিখবেন আশা করি। তবে এত অল্পেই একটা পক্ষ নেয়াটা একটু চোখে লাগে। পরিবর্তন তো রাতারাতি আসেনা। তবুও, পরিবর্তন কিন্তু অনেকটাই হয়েছে, সেটা বিশ্বাস করেন বোধ করি। বাকিটার জন্য নাহয় আরো কিছুদিন অপেক্ষা করি।

অতিথি লেখক এর ছবি

"এত অল্পেই একটা পক্ষ নেয়াটা একটু চোখে লাগে"

তাই নাকি? যদি পক্ষ নিয়ে থাকি তাহলে অবশ্যই তা স্বাধীনতার, বাংলাদেশের আর পরিবর্তনের পক্ষ।

পরিবর্তন যদি রাতারাতি না আসে তবে তাকে "পিওর টাইম এফেক্ট" বলা যায়। সেক্ষেত্রে সরকার সামান্যই বাহবা পাবার যোগ্য। রাতারাতি পরিবর্তন আনতে রাত জেগে খাটুনির দরকার হয়। আমি মনে করি পরিশ্রমের সে সুযোগ সরকারের আছে।

ওদিকে আপনার ইঙ্গিত করা পক্ষটি কিন্তু শান দিচ্ছে ছুরিতে। বিএনপি'র সব কমিটি ভেঙে দেবার ঘোষণা এসেছে। পরবর্তী নির্বাচন সামনে রেখে এখনি ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে ওরা। সরকারকে তাই ওরা সময় দিতে চায়। অপেক্ষায় ওদেরই লাভ।

পাব্লিককে ম্যাজিক দেখাতে না পারলে কুপোকাত হতে হবে বন্ধু।

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

সাধু এর ছবি

এত অল্পতে সিদ্ধান্তে পৌছান যায় না, সময় দিতে হবে, ওয়েট এন্ড সি সবচেয়ে ভাল পলিছি ।

অতিথি লেখক এর ছবি

"ওয়াচফুল ওয়েটিং অ্যাপ্রচ" ক্লিনিক্যাল সায়েন্সে খুব কাজের। তবে এক্ষেত্রে ডাক্তার মরে যাবার পর রোগি আসার ভয় থাকে। চিকিত্ সা নামের মষ্করা আর কি !

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

অতিথি লেখক এর ছবি

"অতিথি লেখককে সাধুবাদ, আপনার জ্ঞানের জন্য, অল্পতেই অনেক কিছু বুঝেন।"

ক্ষমাপ্রার্থী মুস্তাফিজ ভাই, নিজের বাড়াবাড়ি রকমের অজ্ঞতার জন্য। এজন্যই সবসময় ডিক্সনারি দেখার দরকার পড়ে।

তবে জনতা কিন্তু সাঙ্ঘাতিক, এদের পেটে পোড়া মবিল সইলেও ঘি সয় না। একারণে গোয়ালাকে বুঝতে হবে দিন বদলের ঘি ডিজিটাল ভাল, নাকি এনালগেই চলবে। কাজ হওয়া বলে কথা।

"লুকিং ফর শত্রুজ" টাইপ ভাড়ের চাইতে তিনি শ্রেয় কিনা তা বোঝার সময় না এলেও এটা পরিষ্কার যে, স্টিয়ারিংটা তাঁর নিয়ন্ত্রণে আর নেই। একদিকে দেশ গড়ার প্রত্যাবর্তন দিবস হচ্ছে, অন্যদিকে ঘর ভাঙছে, খুলনা মেডিকেল বন্ধ হচ্ছে, ঢাকা কলেজে চরদখলের ত্রিমুখী "উত্ সব" হচ্ছে। সত্যি, বড়ই সুন্দর।

প্রফাইল

...............................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

রয়েসয়ে ভাই (অথবা বোন)। নতুন ড্রাইভারের প্রথম দিকে একটু সমস্যা হতেই পারে। আরো কিছুদিন নাহয় যাক। আশাবাদি হই, তারপরে দেখি কতটা বদলাতে পারি আমরা।

হিমু এর ছবি

প্রফাইল ভাই, কাইন্দেন না। বসেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্টায় দেওয়া হবে হাসি । এই আর এট্টু।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে আপনি ! ল্যাপটপ'টা তাহলে আপনারই হাতে দেখছি। যা ডিজিটাল কেরামতি আপনাদের!!

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

সৌরভ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধ্রুব হাসান এর ছবি

গতকাল শেখ হাসিনার ভাষন শুনে বেশ অন্যরকম অবস্থা মনে হলো! হঠাৎকেন জানি খারাপই লাগলো উনার জন্য! শুনেছি বঙ্গবন্ধু শেষের দিকে এসে প্রায় বিরক্ত হয়ে যেতেন নিজের দলের লোকজনের উপর! এমন কি তার নিজের কম্বল চুরি যাওয়ার অনুযোগও নিজের লোকজনের উপর একধরনের অনাস্থার প্রকাশ।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষন শুনে মনে হলো দলের বাদ পড়া বুড়াদের উপর তিনি বেজাই নাখোশ! কথার ইঙ্গিতে মনে হলো তাকে দেশ চালাতে বাধার সৃষ্টি করা হলে উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া হবে। কিন্তু ভয়টা অন্য জায়গায়, এদিকে নতুনদের ভুল আর প্রবীন বাদ পড়াদের রাজনৈতিক কূটচালে আবার না বড় ক্ষতির ভার বহন করতে হয় নতুন দেশকে!

অতিথি লেখক এর ছবি

"নতুনদের ভুল আর প্রবীন বাদ পড়াদের রাজনৈতিক কূটচালে ..."

নিজে শক্ত থাকলে এবং যেখানে সেখানে নিজের দলের শক্তির বড়াই না করলে সমস্যা হবার কথা নয়।

প্রসঙ্গক্রমে, সল্টলেক বনাম থিয়েটার রোড খেলাটা যুদ্ধকালে বেশ জমে উঠেছিল। তাজুদ্দীন নতুন ছিলেন বটে, তবে নিজের প্রধানমন্ত্রিত্বের ওপর আস্থা রেখে মুখ বুজে শুধু কাজ করেছেন, আর মাঝেমধ্যে মুখ খুলে শুধু দেশের কথা বলেছেন। ফলে বঞ্চিত মোশতাক গং একেবারেই কায়দা করতে পারেনি তখন। দেশের জন্ম হয়েছে ঠিকই।

দিনবদলের দিনে তাই সেরকম একটি "ওয়ার ফুটিং", মুখ বুজে কাজ, আর মাঝেমধ্যে মুখ খুলে শুধু দেশের কথা বলা চাই।

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

আদিত্য [অতিথি] এর ছবি

আমরা আম জনতারা (Mango Public) ৩মাস ওনাদের নীবিড় পর্যবেখ্যনে রেখে
দেখি না ওনারা কি করে .................................

শংখচীল এর ছবি

শেখ হাসিনা নাকি আমেরিকাতে একবার মন্তব্য করেছিলেন ,"দেশ চালনো ওত কঠিন না , কঠিন হলো আওয়ামি লীগ চালানো। "
এ সরকারকে এখনি বাতিলের খাতায় ফেলার চেষ্টা থাকবে, সেটা মোকাবেলা করতে ভাল কাজের বিকল্প নাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।