তিনি সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন! দেশের সবচাইতে সঙ্কটকালে দানবের মত শক্তিশালী হয়ে ওঠা 'মানবিক' অধ্যাপক শেষে স্বীকার করলেন।
১. "জ্বি ম্যাডাম", বয়সে ও সম্মানে আপনার চাইতে বড় হলেও আপনিই আমার ম্যাডাম। দোষ দিতে পারেন, সময়মত ধূর্ত আজিজকে দিয়ে নির্বাচন করিয়ে আপনার চোদ্দপুরুষকে পার করাতে পারিনি। তাই আমি সমালোচনার ঊর্ধ্বে নই।
২. জাতির সবচাইতে বিপদের সময়ে রাষ্ট্রপতি আর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এতগুলো মিনিস্ট্রি আমার হাতে ছিল। আরেকটু হলেই প্রায় পার পেয়েছিলাম। আআখা সুকা এরা বেশ ঝামেলা করেছে। উপদেষ্টারা দিনরাত কাজ করেছেন, আর আমি ফোন পেয়েই 'না' করে দিয়েছি। এই মানবিক সিদ্ধান্তগুলো আমার আমলনামায় নিশ্চয় পজিটিভলি লেখা থাকবে।
৩. আমার স্ত্রীর নামে খাল ইজারা করানোর ভুলটি সাঙ্ঘাতিক 'মানবিক' ছিল। তবে জেনেশুনে শ্যাওলা আর মাছের কোন ক্ষতি আমি করতে চাই নি। আমার সন্দেহজনক সুপুত্র সোনালী ব্যাংক থেকে ২৮ কোটি টাকা লোন পেয়ে গেল। সরকারি মাল গনিমতের, ওটার একটা ইন্ডেমনিটি হলে আশাকরি আমার সততা নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়।
৪. কলম উল্টে ধরলেও কালি বেরিয়ে আসে। অন্ধকারে লেখায় আমার সমস্যা নেই। সমস্যা ড্রাফটিঙ-এ। কোত্থেকে যে ভাষণ তৈরি হয়, আমাকে শুধু মুখ নাড়াতে হয়। তাই গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে, আর আমরা পরাজিত হলাম। পরজন্মে আরেকবার সেবা করার সুযোগ দিতে ভুলবেন না। তখন নিশ্চয় পেসমেকার থাকবে না।
৫. দিনরাত বঙ্গভবনের বাইরে পায়ের ওপরে থাকা সাংবাদিকেরা যতদিন বেঁচে থাকবেন আমাকে ভুলবেন না। কেননা টানেলের শেষ প্রান্তে যে অন্ধকারটুকু ছিল তা 'আমিই'। আমি পনের কোটি মানুষকে বজ্রে রূপান্তরিত করেছি। বাজ পড়বি পড়, দেখে শুনে আপনারই মাথার ওপর !
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
মন্তব্য
ইয়াজুদ্দি রাস্ট্রপতির বিচার হওয়া খুবই দরকার, দেশের স্বার্থে, আইনের শাসনের জন্য, একই কারনে যুদ্ধাপরাধীরও ।
- হুমম
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ইয়াজুদ্দি রাস্ট্রপতির বিচার হওয়া খুবই দরকার, দেশের স্বার্থে, আইনের শাসনের জন্য
ঠিক। জীবদ্দশায় তাকে কোর্টে দাঁড় করানো দরকার ছিল। শরীরের জোর নেই, মন নিভু নিভু করে তবু জ্বলছিল। কিন্তু গণতন্ত্রের সাম্প্রতিক বিজয়ে মনের মনের অবস্থা একেবারে কেরোসিন।
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
কলের পুতুল, সুবিধাবাদী
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
প্রিয় ইয়াজ ভাই,
সচলায়তন ব্লগাররা যেভাবে আপনার পেছনে লাগছে , পাবলিকের সামনে ভাষণ দেবার আগে বুশের কথাটা মাথায় লয়েন। তয় বুশের মত মাথা বাছাইতে পারলে আশা করা যায় আপনেও কয়বেন,' কিচ্ছু মনে করিনাই।
নতুন মন্তব্য করুন