এসি বাসের বেশী বিপদ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০১/২০০৯ - ৩:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এসি বাসের বেশী বিপদ
-------------------------

ঘাড় শক্ত করে সিটে হেলান দিয়ে বসে আছি, হাত দু'টো পেটের ওপর রাখা; ঠিক পেট নয়, আসলে বেল্টের ওপর রাখা। পুরো শরীর কাঠ হয়ে আছে! বাসটা যখনই ঝাকুনি দিচ্ছে, প্রাণপণে ঢোঁক গিলে ভেতরের জিনিস ভেতরেই ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেকেউ দেখলেই বুঝতে পারবে- এই পাবলিক, বাসে উঠলে 'সেইরকম' হয়ে যায়!

অথচ ঘটনা কিন্তু সবসময় এরকম নয়। আমি ঢাকার রাস্তায় 'লোকাল'-এ চড়া পাবলিক; ইদানিং অবশ্য বড় বড় সিটিং বাসে চড়ে বড় বড় ভাব দেখানোর চেষ্টা করি। দাঁড়িয়ে-বসে, এমনকি সিট খালি পেলে পা তুলে আধশোয়া হয়ে বাস চড়তেও আমার কোনো বিকার নেই। হাই জাম্প দিক, আর লংজাম্প - 'ফিনিক্স'-এর গতিতে দৌড়াক, আর 'ফেরারী'-র মতো হার্ড ব্রেক করুক - বাসে আমার রেকর্ড একদম 'নিট এন্ড ক্লিন'; নো পলিথিন বিজনেস উইথ মি!

যত সমস্যা হয় এই এসি বাসে উঠলে। বদ্ধ, গুমোট জায়গায় অর্ধেক দম বের হয়, আর বাকীটা শ্বাসনালীর বদলে খাদ্যনালী দিয়ে ব্যাক করে; তখনই শুরু হয়ে যায় 'খাইবারের যুদ্ধ'। তার উপর এমন সব বিদঘুটে বায়ু সতেজকারী (এয়ার ফ্রেশনার) স্প্রে করে যে পেটের মধ্যে যা কিছু আছে ডিগবাজী খেয়ে উল্টো দিকে হাঁটা শুরু করে দেয়। বাসে ওঠার আগে 'এভোমিন' খেয়ে নিয়েছিলাম; মনে হচ্ছে, সেই বেচারাই এখন এই উল্টো হাঁটার নেতৃত্ব দিচ্ছে!

চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। এই এক কাজে আমি বলতে গেলে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু যতবারই চোখটা লেগে আসে, অমনি বাসটা রাস্তার সাথে এক জোট হয়ে একটা ঝাকুনি মেরে ওঠে। আর যায় কোথায়, ভূড়ির ভেতর সব আনন্দে লাফিয়ে ওঠে। প্রায় নতুন বাস। সিটের ভেতরে কিসব ম্যাসাজের ব্যবস্থা রেখেছে; কেমন কে জানে? দিলাম সুইচ টিপে। অদৃশ্য কে যেন পিঠের মধ্যে কিল মারা শুরু করল। আহা, কী সেই কিল! কিল খেয়েই আমি মেসেজ পেয়ে গেলাম। কথায় আছে - পেটে খেলে পিঠে সয়। পেট নিয়েই পারছিনা, আবার পিঠে খাবো!

পূর্ব অভিজ্ঞতা বলে, আধা ঘন্টার মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু যাত্রার প্রায় ঘন্টা ছুঁই ছুঁই, কিছুই তো ঠিক হচ্ছে না। ঘটনা কী?

ঘটনা গুরুতর! কিছুক্ষন আগে বাস কোম্পানির দেয়া শুভেচ্ছা বোতলের মিনারেল ওয়াটার খেয়েছিলাম। বজ্জাত পানির যে অশুভ ইচ্ছা ছিল, কে জানত? আমার তৃষ্ণা না মিটিয়ে সেই পানি খাদ্যনালী 'অয়েলিং' করতে করতে গলা থেকে পাকস্থলী পর্যন্ত নেমেছে। এমন 'স্মুদ' পথ পেয়ে পেটটা আর শান্ত হতে চাচ্ছেই না।

ঘটনা কদ্দূর এগোত, কে জানে; আমি কয়েক টুকরো সুপারী খেয়ে ফেললাম (আমার মা জননীকে ধন্যবাদ। উনি এ লাইনে 'প্রো'; রেকর্ডও নিট এন্ড ক্লিন নয়) সম্ভবত কাজ হলো; সাথী পেয়ে 'এভোমিন'ও মনে হয় ভরসা পেলো। কিছুক্ষন পর আমিও শান্তি পেলাম। আর কি! বিনা নোটিশে ঘুম!

--- ভাঙ্গা মানুষ ---


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

ইয়ে, (ভাঙ্গা মানুষ) দাদা, আপনার নিকখানা কি বেশী বেশী এসি বাসে চড়ার হাতেনাতে ফল? দেঁতো হাসি

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

হে হে.. ভালোই বলেছেন, তবে সেক্ষেত্রে মনে হয় নিকটা 'বিবমিষা মানুষ' কিংবা সংক্ষেপে 'বিবমানব' হতো... হো হো হো

অভ্রনীল এর ছবি

মাইন্ড খাইয়েননা... অশিক্ষিত মানুষতো অনেক কিছু বুঝবার পারিনা... "বিবমিষা" কি বস্তু? খায় না গায়ে মাখে??
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মনে হয় "বমন করিবার ইচ্ছা – বিবমিষা"। এখন আবার জিগায়ো না "বমন" কী জিনিস, খায় না মাখে! চোখ টিপি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

এখন আবার জিগায়ো না "বমন" কী জিনিস, খায় না মাখে!

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুব মজা লাগল লেখাটা। বাসে চড়তে আমার সমস্যা হয় না কোনো। তবে ভ্রমনকালীন সময়ে যদি কোনওভাবে দীর্ঘ সময়ের জন্য নাকে পেট্রল বা সিগারেটের গন্ধ যায়, তাহলে অবস্থা কিঞ্চিৎ "সেইরকম" হয়ে যায়। তবে রেকর্ড এখন পর্যন্ত "নিট এন্ড ক্লিন"।

শিরোনামটা ইংরেজিতে যে, বাংলায় হলে ভালো দেখাত। লেখা চলুক নিয়মিত।

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

শিরোনামটা বাংরেজীতে দিয়েছি ছন্দ মিলানোর জন্য, এই যাহ...
আমিও চাই লেখা চলুক, তবে সমস্যা হচ্ছে হাতে কলম আর টেবিলে কাগজ নিয়ে বসলেও হেড কোয়ার্টার থেকে সহজে সিগনাল আসেনা... আমি তো আর 'প্রো' নই...
মজা পেয়েছেন দেখে উৎসাহিত হলাম

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শিরোনাম ঠিকই আছে। বাংলা শব্দ ইংরেজি হরফে লেখা ছিল জন্য বললাম আর কী...

অভ্রনীল এর ছবি

আপ্নের তো ধৈর্য আছে রে ভাই... প্রথমে কাগজ-কলমে লেখেন... তারপর আবার টাইপ করেন!!
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

কন কী? কাগজ-কলমে তাও কিছু দুর্বল সিগনাল আসে, কম-পিউটারে কি-বোর্ড হাতড়াতে হাতড়াতেই তো এন্টেনা ব্যস্ত থাকবে, সিগনাল ধরব কখন?

মুশফিকা মুমু এর ছবি

পেট্রলের গন্ধ আমার দারুন লাগে দেঁতো হাসি আর কেরোসিন, আর নারিকেল তেল দেঁতো হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কও কী! অ্যাঁ

দাঁড়াও, তোমাকে পেট্রলের গন্ধওয়ালা একটা পারফিউম গিফট করব। তারপর দেখি দারুন লাগে না কী লাগে হো হো হো

এনকিদু এর ছবি

মজা পাইছি ।

আপনার সাথে প্লাস্টিকের ব্যাগ ইত্যাদি রাখেন না ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

বলেন কি! সাথে এইসব রাখলে যদি পেটের ভেতর বজ্জাতগুলো আর পেটের বাইরে প্লাস্টিকের মধ্যে অদৃশ্য যোগাযোগ হয়ে যায়!!!

অমিত আহমেদ এর ছবি

ফ্রেশনারের বাড়াবাড়ি আমারো ভালো লাগে না। বাংলাদেশ বিমানেরও ফ্রেশনার প্রীতি আছে।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অভ্রনীল এর ছবি

লেখা ভালো হইসে...

বাসে আমিও পলিথিন বিজনেস করিনা... তয় আমার পাশের সিটের লোক যদি এই বিজনেস শুরু কইরা দ্যায় তাইলে ... চোখ টিপি
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঢাকার অভ্যন্তরীন রুটে চলাচলকারী এসি বাসগুলোয় বিশেষ করে প্রিমিয়ামে ব্যবহৃত এয়ার ফ্রেশনার গুলো আসলেই বিদঘুটে। যে আমার উটের উপরেও রেকর্ড নীট এণ্ড ক্লীন, সেই আমারো পেট বাবাজী দুলে ওঠে! নিরাপদ নামক আপদটা এদিক দিয়ে কিঞ্চিৎ সেইফ মনে হতো।

আর এইসব এসি বাসে আসলেই বিপদ বেশি। আরে ভাই, বাসে ওঠার সময় জাতাজাতি, পারাপারি, গুঁতাগুঁতি, কিলাকিলি যদি নাই হবে তাইলে বাসে চড়ে মজা কী? এইজন্যই আমি লোকাল বাসের নিয়মিত যাত্রী ছিলাম। চান্স পেলে বসতাম কি দাঁড়িয়ে পড়তাম একেবারে চালক ভাইয়ের কাছাকাছি জায়গায়। এই ভাইয়েরা ফর্মূলা ওয়ানে যোগ দিলে মাইকেল শুমাখারের কান্নামাখা ছবি দেখতে পেতাম তখন। আশেপাশের ইট-কাঠ-লোহা যা আছে তাই চেপে ধরে উপভোগ করতাম জার্ণীটা। সেইদিন আর নাইরে নাতি, ছোলা ছোলা কলা খাতি! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

চান্স পেলে বসতাম কি দাঁড়িয়ে পড়তাম একেবারে চালক ভাইয়ের কাছাকাছি জায়গায়। এই ভাইয়েরা ফর্মূলা ওয়ানে যোগ দিলে মাইকেল শুমাখারের কান্নামাখা ছবি দেখতে পেতাম তখন।

আমি ১১০% একমত...

স্বপ্নাহত এর ছবি

আহা! ছোট বেলায় বমণ করিবার কি সব দুর্দান্ত দিনের কথাই না মনে করায় দিলেন!

লেখা মজা লাগসে।

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ভাগ্য ভাল আমার বাসে গাড়িতে পানিতে বা প্লেনে চরায় কখনো কোনো সমস্যা হয়নি, হয়ও না, তাই অনেকের এই বমি লাগা ব্যাপারটা ঠিক বুঝিনা কেন লাগে। আমার অনেক কাজিনদের দেখি আপনার মত এমন এসি গাড়ি হলেই সমস্যা নাহলে বাতাস আসলে তাও কিছুটা ভাল। বেশি বেশি সুপারি নিয়ে ট্রাভেল কইরেন।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কয়েকদিন ঢাকার প্রিমিয়ামে "বমনেচ্ছা বাড়ান্তিস এয়ারফ্রেশনারের" মধ্যে ভ্রমন করে দেইখো। অতীতের সকল রেকর্ড সাফল্যের সহিত না ভাঙলে তারপর কইও। এইটা ধুগো বাবা'র ওপেন চ্যাখেঞ্জ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ওপেন চ্যাখেঞ্জ এক্সেপটেড! ফলাফল যথাসময়ে জানানো হবে! হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

স্পর্শ এর ছবি

ভাই ভাঙ্গা মানুষ! আসেন কোলাকুলি করি!!

আমি ভাবতাম এই ঘটনা বুঝি আমার এখার ঘটে। আব্বু গালি দেয় এই বলে যে "তোর হয়েছে ফকিরা স্বভাব, সারা দিন চড়বি ১৩ নাম্বার বাসে আর এই ভলভো গাড়িতে উঠে নাকানি চুবানি খাবি!!" যাক অন্তত এখন বলা যাবে যে আমি একা নই!!

....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দৃশা এর ছবি

টুরকা টুরকা থুক্কু ভাঙ্গা ভাই, লেখা তো উমদা হইছেরে ভাই।
এই পরিস্থিতির দরুন এরকম ঝরঝরে লেখা যদি ভবিষ্যতেও আসে তাইলে মাঝে মাঝে পলিথিন লইয়া দৌড়া দৌড়ি করা উত্তম, নাকি কন?
-----------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

প্রশংসা করলেন? নাকি আমার দুঃসময় কামনা করলেন?

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

আমার অবস্থাও আপনার মতো ।
এসি বাসে এভোমিনই নিত্য সঙ্গী।
অবশ্য ফলাফল টা - কুইনিন জ্বর সারাবে বটে তবে কুইনিন সারাবে কে জাতীয় হয়।
এভোমিনের রেশ পারলে দুদিন আমাকে কাবু করে রাখে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বমিটমি এইসব আরামের মানুষদের লক্ষ্মণ
ঝাড়া বারো বছরের তিনভাগের একভাগ নাটকের রিহার্সেল করে শীত গরম বর্ষায় রাতে বাড়ি ফিরেছি পাঁচ টনি ট্রাকের পেছনে করে

এখন বাসের ঝাঁকি তো দূরের কথা
পুরো বাস আমার গলা দিয়ে ঢুকিয়ে দিলেও বোধহয় বসি আসবে না

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

ট্রাকের পেছনে বসে তো হাওয়া খেতে খেতে গেছেন। বমি হবে কেন?
এসি বাসের দমবন্ধকরা ফ্রেশনার ওয়ালা পরিবেশে যান।
মজা টের পাবেন।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

আহা, চুক চুক চুক! বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যাবে!
(বাসে আমার কোনোদিনই কখনোই বমি আসে না, কাজেই এ জাতীয় ফাঁকা সান্ত্বনার বাণী আমাকেই মানায়) হো হো হো
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ভাইয়া, আপনার লেখা পড়ে সবসময়েই অনেক মজা পাই।
এবারেও তার ব্যতিক্রম হলনা।
এসি বাসে আমারও চড়তে ভাল লাগেনা। লোকাল বাসে চড়ে অভ্যাস খারাপ হয়ে গেসে বুঝতে হবেতো। তাই ঘিয়ের স্বাদ নিতে গেলে পেটের সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
লিখতে থাকুন নিয়মিত।
---------------------------------------

--------------------------------------------------------

দ্রোহী এর ছবি

শিপুল ভাই আপনাকে সচলায়তনে স্বাগতম। হাত-পা খুলে লিখতে থাকেন। দেখতে না দেখতেই দেখবেন সচল হয়ে গেছেন।

এসি বাসে চড়ার বেশি সুযোগ পাইনি। মিরপুর-আজিমপুর রুটে প্রিমিয়াম আর সিটি বাসে কিছুদিন চড়েছিলাম কিন্তু সেসব বাসে এয়ার ফ্রেশেনারের গন্ধ দুরে থাক নামও শুনিনি কোনদিন।

আমার ভালো লাগতো ফার্মগেট টু মিরপুর এক নম্বর রুটে যেসব টেম্পো চলতো সেগুলোকে। চলায় সময় আধাপোড়া পেট্রোলের একটা চমৎকার গন্ধ বের হত। আমি এখনো সেই গন্ধ খুব মিস করি!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।