(এই লেখাটা গত বছর অর্থাৎ ২০০৮ সালে যখন কুয়েত থেকে আমাদের নাগরিকদের চরম অপমানের মধ্য দিয়ে তাড়িয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছিল তখন শুরু করা। শেষ করতে পারিনি। আজ শেষ করলাম। লেখার প্রেক্ষাপট কোন নির্দিষ্ট সময়ের উপর নির্ভরশীল না হবার কারণে তা এখন পোস্ট করলাম। দেশের প্রয়োজনে এই লেখাটা অন্য ব্লগেও দিয়েছি।)
বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা বেশ কিছু ইংরেজি শব্দ প্রায় বাংলার মতই ব্যবহার করে আসছি। মনের অজান্তেই ‘রেমিটেন্স’ শব্দটি অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত বাংলাদেশীদের কাছে একটি পরিচিত শব্দ হয়ে উঠেছে। যাঁরা এই শব্দটি আমাদের কাছে পরিচিত করেছেন, তাঁরাও কিন্তু অধিকাংশই অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত। আমরা যখন এ দেশে সভা-সেমিনার করে তত্ত্বকথা কপচাই, ওই অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত দেশী ভাইরা কিন্তু তখন দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে কোন এক মরুপ্রান্তরে পরিবার পরিজন ছেড়ে অমানুষিক পরিশ্রম করে রেমিটেন্স নামক মূল্যবান বস্তুটি দেশে পাঠাচ্ছেন। রেমিটেন্স এর এই টাকাতেই আবার আমরা বিলাসবহুল লেক্সাস বা মার্সিডিজ কিনে তত্ত্বকথা কপচাতে সভা-সেমিনারে যোগ দিতে যাচ্ছি। ‘এ ট্রু ভিশাস সারকেল ইনডিড’!
আমাদের দেশে রাজনীতিবিদ, সরকার ও সুশীল সমাজের কর্তাব্যক্তিরা নিঃসন্দেহে ভাল কথা বলতে জানেন। কেউ কেউ আবার পত্র-পত্রিকায় (খুব সম্ভবতঃ সভা-সেমিনারের দাওয়াত না পেয়ে) খুব চোস্ত লিখাও লিখতে পারেন। তবে সমস্যা হল এদের কেউই ‘কর্ম’ নামের সাথে খুব একটা সংশ্লিষ্ট বা সম্পর্কিত নন। আর যার কারণেই আজ প্রচুর সম্ভাবনাময় এই দেশে কিছুই এগোয় না। সেই পুরানো উক্তিটি করতে ইচ্ছা করছে ‘৩৭ বছরে আমাদের কিছুই....’ - থাক এটাতো সবার মুখস্তই আছে। যাহোক এসব স্তুতিবাক্য আর ভণিতা ছেড়ে এবার মূল কথায় আসি।
সম্প্রতি এদেশের মানুষ স্বচক্ষে এবং পরিপূর্ণ বিস্ময় নিয়ে নিজ জাতির সম্মানহানি প্রত্যক্ষ করেছে। আমাদের বন্ধুপ্রতিম (???) দুটি দেশ থেকে বাংলাদেশীদের কুকুর-বিড়ালের মত করে বিতাড়িত করার ঘটনায় এদেশের মানুষ চরম আঘাত পেয়েছে। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধে বর্বর পাকিস্তানীদের অত্যাচার আর নিপীড়ন প্রত্যক্ষ করতে পারেনি। থ্যাংকস টু কুয়েত এন্ড সৌদি আরব! এ দুটি দেশের সৌজন্যে আমরা ১৯৭১ এর একটা ‘রিক্যাপ’ ২০০৮ এ দেখতে পেলাম। তবে পার্থক্য একটাই। ১৯৭১ এ একটা যুদ্ধ ছিল। আর এখন আমরা বিনা যুদ্ধে অত্যাচারের একটা সুন্দর ডেমোন্সট্রেশন দেখলাম। আশ্চর্য ব্যাপার হল, অল কোয়ায়েট অন দ্য সরকার/রাজনৈতিক ফ্রন্ট! প্রতিদিনই বিমান বন্দরে এসে পৌঁছচ্ছেন শত শত বাংলাদেশী - মাথায়, হাতে,পায়ে,পিঠে, বুকে আঘাতের ক্ষত নিয়ে। জাতি হিসেবে আমাদের সামান্যতম আত্মসম্মান থাকলে আমরা উপলব্ধি করতে পারব যে, এই ক্ষত শুধু ভুক্তভোগীদেরই নয় বরং আমাদের সারা জাতিকে চরম অপমানে বিদীর্ণ করেছে।
কুয়েত, সৌদি আরব তথা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশীরা কি অমানবিক জীবন কাটায় তা অনেকেরই অজানা। বৈরী আবহাওয়া, স্বল্প মজুরী, অপ্রতুল খাদ্য, অস্বাস্থ্যকর বাসস্থান কিংবা নিম্নমানের নাগরিক সুবিধার মধ্যেও আমাদের দেশের শ্রমিকরা জীবন যাপন করতে দ্বিধাবোধ করেন না। কারণ একটাই - মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাঁরা যতটুকুই উপার্জন করবেন, তা হয়তো দেশে পড়ে থাকা পরিবারের সদস্যদের মুখে সামান্য স্বস্তির হাসি ফোটাতে পারবে। এই মোটিভেশনে বছরের পর বছর তাঁরা কাটিয়ে দেন নির্বিবাদে। কয়েকটি টাকা বেশি পাবেন এই আশায় বুক বেঁধে, সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে, পরিবার পরিজনকে নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে শ্রমিক শ্রেণীর এই মানুষরা একদিন বিমানে চড়ে পাড়ি দেন এক অনিশ্চয়তার উদ্দেশ্যে।
আমি জানিনা, আপনারা কুয়েতে থাকা শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের কথা জানেন কিনা। তবে সব মানুষের স্রষ্টা মহান আল্লাহ আমকে এটা জানার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে আমি অনেকের না জানা কিছু তথ্য দিতে চাই।
কর্মসংস্থানের নামে ডেজার্ট এরেস্ট
আমাদের শ্রমিক ভাইরা যখন কুয়েতে পৌঁছে, তখন যে কোন অভিবাসীর মতই তাদের দেবার কথা একটি ন্যাশনাল আই ডি কার্ড। এই কার্ড ব্যতীত কুয়েতে চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষেধ। কুয়েতে এই কার্ডটি করতে বেশ কিছু টাকা খরচ করতে হয় যা শ্রমিক নিয়োগকারী সংস্থার বহন করার কথা। কিন্তু অত্যন্ত কৌশলে নিয়োগকারী সংস্থা এই খরচটা এড়িয়ে যায়। এতে দুটা পাখী মারা হয়। এক. খরচ বাঁচানো। দুই. শ্রমিকদের মোটামুটি তাদের কাজের জায়গায় বন্দি করে রাখা। আর এই কাজের জায়গাটা সাধারণতঃ হয়ে থাকে নির্দয় মরুভূমিতে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, আই ডি কার্ডবিহীন অবস্থায় আমাদের দেশি ভাইরা মরুপ্রান্তরে কাটিয়ে দেন।
ফোর্সড ডায়েটিং
মরুভূমিতে বাস করা বাংলাদেশীদের মেদ-ভুঁড়ি আর স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার জন্যই হয়তো আমাদের কুয়েতি বন্ধুরা সপ্তাহে একটি বা দুটি দিন বেছে নেন তাদের খাদ্য সরবরাহের জন্য। আর খেতেও দেয়া হয় একটা অত্যন্ত ব্যালান্সড ডায়েট। সপ্তাহের দিন হিসাবে কয়েকটা শক্ত রুটি বা ‘খবুজ’, কিছু খেজুর আর পানি। ভাত-ডাল, তরকারি, মাছ, মাংস, ডিম-দুধ এর আর প্রয়োজন হয়না, কারণ ওগুলো তারা স্বপ্নে খেয়ে নেন।
উন্নত বেতন-ভাতা
জেনে অবাক হবেন যে আমাদের দেশের শ্রমিকেরা কত বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। এখনকার কথা জানি না, তবে আমি যখন কুয়েতে ছিলাম (প্রায় ১০ বছর আগে) তখন তারা উপার্জন করত প্রায় ২০,০০০ - ২৫,০০০ ফিলস, বাংলাদেশী টাকায় প্রায় তিন থেকে চার হাজার টাকা! কত টাকা! আমি মাঝে মাঝেই অনেক শ্রমিককে প্রশ্ন করেছি, “এত কম টাকায় থাকেন কেন?”। উত্তর, “জীবনের সবকিছু বেইচা আইছি, ফিরুম কেমনে। আগে কিছু জমায় লই টিকেটের টাকাটার জন্যে।” অথবা “যামু কেমনে, পাসপোর্ট তো ‘মুদীরের’ (ম্যানেজারের/মালিকের) কাছে, ‘বাতাকা’(আই ডি কার্ড) ও তো নাই”।
অমানুষিক পরিশ্রম – উন্নতির চাবিকাঠি
বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আমাদের শ্রমিক শ্রেণীর ভাইয়েরা কুয়েতে এক বিভীষিকাময় জীবন যাপন করেন। অনেকেই নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রমাণ করে যাচ্ছেন ‘থ্রি-ইন-ওয়ান’ বা ‘ফোর-ইন-ওয়ান’। যে কাজ করতে তিন বা চারজনের প্রয়োজন হয়, তা আমাদের একজন দেশি ভাইকে দিয়ে করিয়ে নিয়ে কুয়েত পৃথিবীতে বিশ্বসেরা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে। বাহবা! মারহাবা!
হিউম্যান ব্র্যানডিং – এক অভাবনীয় কুয়েতি আবিষ্কার
আমাদের দেশি ভাইরা তাদের কৃত সামান্য ভুলত্রুটির জন্য প্রায়ই কুয়েতিদের সুনজরে পড়েন। পুরস্কার স্বরূপ থাকে উত্তপ্ত লোহার রড কিংবা গরম পানি দিয়ে পুড়িয়ে ব্র্যানডিং। বিশ্বাস করুন, মিথ্যা বলছি না। এটা প্রায়ই ঘটে থাকে কুয়েতে। অবশ্য কুয়েতিরা একটু কম সন্তুষ্ট হলে আমাদের দেশি ভাইদের কপালে সজোরে লাথি-ঘুষি ছাড়া আর কিছু জোটে না।
আমাদের দেশি বোনদের সমুন্নত ইজ্জত
কুয়েতে গৃহপরিচারিকার নামে পাঠানো আমাদের বোনদের কি অবস্থা হয় তা অনুমান করুনতো। জি, ঠিক ধরেছেন। তারা আরব দেশের উন্নত পুরুষ সম্প্রদায়ের সাথে শারীরিক সম্পর্কের সৌভাগ্যময় অভিজ্ঞতা প্রায়ই অর্জন করতে পারেন। কম কথা!
আর লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে না। অনেক কিছু যদিও লেখার ছিল। রুচি হচ্ছে না।
আল্লাহর প্রিয় নবী (সঃ) আমাদের মানুষ-মানুষের ভেদাভেদি থেকে অনেক ঊর্ধ্বে গিয়ে কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সারা বিশ্বের অধিকাংশ ভূখণ্ডের অঘোষিত এই সম্রাট কি সাধারণ জীবন যাপন করতেন তা আজ আমরা কেউ কি কল্পনা করতে পারি? আমরা গরিব দেশ, তাই হয়ত নবীজির জীবন যাপনের কষ্টটা আমরা কিছুটা বুঝি। কিন্তু বিশ্বের সেরা ব্রান্ডের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী আরব জাত কি কখনও তা বুঝবে? মনে হয় না।
অনেক গুরুজনকে এই কথাগুলো বলেছি। তাঁদের মতামত - আরবরা একসময় আমাদের উপমাহাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি করতে আসত। আবারও আসবে ভবিষ্যতে।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি সেই দিনটা যেন তিনি আমাকে দেখে যেতে দেন।
মন্তব্য
সচলায়তনে পূর্বপ্রকাশিত লেখা সাধারণত প্রকাশিত হয় না। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নীতিমালাটি পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো। আমরা আপনার কাছে নতুন লেখার আশায় থাকবো। ধন্যবাদ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
বিষয়টি যেহেতু আমাদের দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠির অসহায়ত্বের সাথে জড়িত, তাই লেখাটি প্রকাশের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ
- আজব
লেখাটার প্রয়োজনীয়তা কেন এতো বেশি যে একই দিনে সচলায়তনের নীতিমালা ভেঙ্গেও সেটাকে প্রকাশ করতে হবে সেটা বুঝতে পারিনি ।
যাক , সেটা কথা নয় ।
মাঝখানে হযরত মুহম্মদ ( সা: ) এর কথাটা আবার টেনে আনলেন কেন সেটাও বুঝে এলো না ।
প্রাসঙ্গিক তথ্যবিভ্রান্তিটা শুধু শুধরে দেই ।
আল্লাহর প্রিয় নবী ( সা: ) সারা বিশ্বের অধিকাংশ ভূখন্ডের ঘোষিত অঘোষিত কোন ধরনের সম্রাটই ছিলেন না ।
ব্যাপক ভূখন্ড দখল শুরু হয় আরো অনেক পরে , হযরত ওসমানের সময় ।
তথ্যবিভ্রান্তি যদি তৈরী করে থাকি তাহলে আমি দু:খিত। আসলে লেখার ঐ অংশে ক্ষমতাধরের সিম্পলিসিটির মাহাত্যের প্রতি ইংগিত করতে চেয়েছিলাম মাত্র।
সচলায়তনের নিয়ম-নীতি ভেংগে আমার লেখা প্রকাশের জন্য আমি অনুরোধ করিনি। যেহেতু আমার লেখার পরে মডারেটরের প্রথম মন্তব্যে "সাধারনত প্রকাশ করা হয়না" অংশটি ছিল তাই একটা অনুরোধ করেছি মাত্র।
ভাই, মধ্যপ্রাচ্যে যদি আপনি আমাদের ভাইবোনদের জীবনটা দেখতেন, তাহলে আমার এই আকুতির কারনটা বুঝতেন।
দীর্ঘশ্বাস! গল্পে পড়েছি, অনে----ক আগে পর্তুগীজ জলদস্যু সর্দার ফার্নান্দেজ বাংলার চাটগা অঞ্চলে দাসের হাট চালাতো। ওদেরও ওরকম গরম লোহার ছ্যাকা দিয়ে হায়ে নম্বর লাগানো হতো।
দিন তো আসলে বদলায়নি ---
এখন দাস-ব্যাপারীর আধুনিক নাম ইমিগ্র্যাশন/রিক্রুটিং এজেন্ট। ছ্যাকা দেয়াকে ভদ্র ভাষায় বলা হয় "ব্র্যাণ্ডিং"।
তফাত শুধু একটাই। আগে দাস বেইচা এককালীন কিছু ট্যাকা পাওয়া যাইত। এখন দাস ভাড়া দেওনের উন্নত ব্যবস্থা হইছে। এখন অরা মাস-কাবারী ট্যাকা পাঠায়।
বাংলাদেশ! তোর এক নম্বর রপ্তানিপণ্য যে আদমকূল, তোর গায়ের চর্বি বাড়ানের লাইগাও তো অগোর দেখভাল করা দরকার, করবিনা?
লেখাটি এত বেশি প্রয়োজন যে সব ব্লগে ও থাকার দরকার। অত্যন্ত প্রয়োজনিয় লেখাটি অন্য কোথাও ছাপা হলেও, সচলায়তনে ছাপানোটি সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। গল্প উপনাস্যের বেলায় অন্য কোথাও প্রকাশ হলে, না ছাপানোই ভালো।
কষ্ট লাগছে দেশী ভাইদের জন্য। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ওরা নাহয় পশু, আমাদের সরকার কেন আমাদের লোকদের এদেশ শিকার হতে দিচ্ছে?
এই লোকগুলোর বেশির ভাগই দেশে থাকতে ভেরেন্ডা ভাজে বেড়ায়। আমাদের গ্রামে এরকম ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। যেই কষ্ট তারা কুয়েত-বিদেশ গিয়ে করে দেশে থাকতে তার কিয়দাংশ পরিমান ও করে না। প্রায় প্রতিদিনই দেখি টিভির শোরুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক দল মানুষ! নিজের গ্রাম সম্পর্কের আত্মীয়দেরও দেখেছি। অনেক সাহায্য সহযোগিতা করে নিজের পায়ে প্রায় দাঁড় করিয়ে দিলেও সেই সব বিক্রি বাট্টা করে, যাবে 'বিদেশ'। অনেক সময় যৌতুক এর আশ্রয় নেয় টাকা যোগাড় করতে। মা বাবা গুরুজনকে কে অমান্য করে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রয়-বন্ধক, এটা তো ঘটে হর হামেশা।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নতুন মন্তব্য করুন