রূপা - এসেছিস্ তাহলে । তুই যে অলস...! আমি ভেবেছিলাম এখনো ঘুমাচ্ছিস ..
জয়ি - তোর বাসায় আসব বলে ক্লাস মিস দিয়েছি । গত এক মাস ধরে তুই এই দিনটায় আসতে বলছিস,চাইলেতো ভুলতে পারিনি । তো আজই আসতে বললি কেনো?
রূপা- আজ সাকিবের জন্মদিন । এখন যা আমার রুমে গিয়ে বোস্.....
জয়ি- আমাকে আগে বললিনা কেন ... কিছু নিয়ে আসতাম তার জন্য । যাই হোক আঙ্কেল কোথায়...
রূপা- হুম দেখি আব্বু কি করে...
টেবিলে একসাথে সবাই খেতে বসার সময়--
কর্নেল সাহেব শার্টের বেতাম লাগাতে লাগাতে চেয়ার টেনে খেতে বসলেন ...
ভরাট গলায় হঠাৎ বলে উঠলেন- কি মেয়ে কি খবর তোমার...কোন খোঁজ খবর নেই ।সাকিব যে ট্রেনিং চলে যাচ্ছে শুনেছ?
জয়ি- জী শুনলাম ...।(কিছুক্ষন পর.....)আপনি কেমন আছেন এখন?
কর্নেল- এতদিন পর পাজি মেয়ে খোজ নিচ্ছে কেমন আছি আমি...তুমি তো আমাকে একদমই ভয় পাওনা দেখছি.........
জয়ি- (ভেতরে ভেতরে খুবই অনুতপ্ত মুখে হালকা একটা হাসি)কি যে বলেন আপনি.......
রূপা- কথা কম বলে খাওয়া শুরু করতো..
রূপার বাবা একজন রিটায়ার্ড কর্নেল...তার থেকে বড় পরিচয় উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা....উনি কথা বলেন খুব সাবধানে এবং তিনি তাঁর এই পরিচয়টি গোপন রাখেন...এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি যে......।এই মানুষটি এত বেশী জ্ঞান ধারন করেন যে তাঁর কাছে গেলে প্রচন্ড জ্ঞান পিপাসায় ভুগতে থাকি ...কোনটার পর কোনটা শুনবো বুঝে পাইনা । উনিও ধৈর্য নিয়ে আমাকে বলতে থাকেন...তাঁর বলাও যেন শেষ হতে চায় না...
কর্নেল - দেখেছ মেয়ে..আমি যা-ই পেয়েছি হয় লিখে রেখেছি নয়তো পেপার কেটে রেখে দিয়েছি ...কিন্তু দেখো এগুলো পড়ার কেউ নেই দেখার কেউ নেই..এই আজ তুমি এসে দেখছো...(রূপাকে দেখিয়ে) আমি মরে যাবার পর দেখবে এরা এগুলো সব কেজি দরে বিক্রি করে দেবে.....
রূপা- ( ভ্রু কুচকে তার বাবাকে উদ্দেশ্য করে) আপনার এগুলা মানুষ জানলে আপনাকে বাঁচতে দেবে ভেবেছেন?
জয়ি- আপনি যা-ই করেন আমাকে দয়া করে দিয়ে যাবেন ...
কর্নেল বলতে শুরু করলেন...এর মধ্যে অনেক কথাই নোট করে রাখার মতো..খাতা কলম নিয়ে বসলাম তাঁর সামনে ....
(সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে যাচ্ছে...
কর্নেল- তুমি মা আজ রূপার সাথে থেকে যাও....আরও অনেক কথাই বলা হয়নি...
জয়ি- আজ থাকতে পারছিনা তবে আমি আসব.....
(আমাকে আসতেই হবে, অনেক কিছু যে জানার আছে আমার...)
(জয়িতা)
মন্তব্য
চলুক। আর ফিরে যাননি?
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
- হুমম।
জানা হলে আমাদেরকেও জানাবেন আশা করি। কর্ণেল সাহেবের জন্য শুভকামনা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন